নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজছিলাম। তাই আমি মন্দিরে গেলাম, সেখানে তাকে খুঁজে পেলাম না। আমি গির্জায় গেলাম, সেখানেও তাকে পেলাম না। এরপর আমি মসজিদে গেলাম সেখানেও তাকে পেলাম না। এরপর আমি নিজের হৃদয়ে তাকে খুঁজলাম, সেখানে তাকে খুঁজে পেলাম।

গফুর ভাই

সাধারন নাগরিক একজন

গফুর ভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোহিঙ্গা নিয়ে যাতনা

২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:২৩

মিয়ানমারের নব্বইয়ের নির্বাচনী ফলাফল ও রোহিঙ্গাবিরোধী অপারেশনের ফলে ১৯৯১ সালের ২৬ জুনের মধ্যে প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার ৮৭৭ জন রোহিঙ্গা বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১৯টি শরণার্থী শিবির এবং এর বাইরে প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার ৬৬১ জন রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু আশ্রয় নেয়। মিয়ানমার সরকার দুই লাখ ৩১ হাজার ২৭৯ জন রোহিঙ্গাকে নাগরিক বলে স্বীকার করে। দুই দেশের সরকারের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী ১৯৯২ সালে শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার করা হলেও এখনো শরণার্থীকে নেয়নি

বর্তমানে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুর সংখ্যা শুধু বাংলাদেশেই দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ লক্ষ এবং কুতুপালং পৃথিবীর অন্যতম সর্ববৃহৎ শরণার্থী শিবির হিসেবে এখনই বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছে।

এই ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গারা অনেক মানবেতর জীবনযাপন করছেন। শিশুরা প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছে নানাবিধ পানিবাহিত এবং অন্যান্য রোগে; অনেকেই মানসিক আঘাতে জর্জরিত আছেন। অতিমাত্রায় ঘিঞ্জি পরিবেশে তাঁদেরকে থাকতে হচ্ছে এবং এর সাথে আছে বিশুদ্ধ খাবার পানি, পর্যাপ্ত শৌচাগার এবং অন্যান্য দৈনন্দিন সুযোগ-সুবিধার অভাব।আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা কাজ খুঁজবে, তখন স্থানীয় লোকদের সঙ্গে তাদের আর সদ্ভাব থাকবে না। এখন যে ভালোবাসা তারা পাচ্ছে, তখন সেই ভালোবাসা থাকবে না। এই মানুষগুলো কাজ না পেলে অন্যদিকে চলে যাবে: সন্ত্রাস, নানা রকমের অপরাধবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়বে। সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা শুধু যে জাতিসংঘ অনুমোদিত নির্দিষ্ট আশ্রয় শিবিরে আছে তাই নয় বরং কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলা এবং গ্রামের স্থানীয় জনগণ তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছেন; কিন্তু অল্প সময়েই স্থানীয় জনগণের মাঝে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে এবং তাদের মনে প্রশ্ন জেগেছে – “রোহিঙ্গারা কবে ফিরে যাবে”? স্থানীয় অনেকের মতেই রোহিঙ্গাদের আগমন উপলক্ষে কক্সবাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সংকট দেখা দিয়েছে; যার ফলে স্থানীয় অসন্তুষ্টি দিনে দিনে মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে সরকার প্রায় এক লক্ষ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালী জেলার ভাসানচরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যেখানে তারা যেখানে তাদেরকে বসবাসের জন্য নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে যার ফলে তাদের জীবিকা নির্বাহের একটি ব্যবস্থা হবে। তাহিরপুর উপজেলায় এক রোহিঙ্গা পরিবারের সদস্যদের জন্মসনদ দেওয়ায় উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার,
এগুলো কিছু ঘুসখেকো অসৎ ব্যাক্তির পাপের ফল যারা তার নিজ জাতীর সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করে অর্থের বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের হাতে আমাদের পাসর্পোট তুলে দিয়েছে।রাজধানীর আফতাবনগরের একটি ফ্ল্যাট থেকে ১৩ রোহিঙ্গা তরুণীকে উদ্ধার করেছে র‍্যাব। এ সময় মানবপাচার চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হ। র‍্যাব জানিয়েছে, দুজনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট, ভুয়া জন্ম নিবন্ধনের কপি, জন্ম নিবন্ধনের ফরম এবং পাসপোর্টের ফরম উদ্ধার করা হয়েছে।এইসব চক্রের কথা প্রায়শঃ শুনে থাকি । কিন্তু আসল কাজটি করেন, পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাগণ এবং সবসময়য় ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যান।মুল হোতা পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাগণ এবং তারাই এইসব দালাদের নিয়োগ করেন ।পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতি নুতন কিছু নয়, কিছুদিন সামরিক কর্মকর্তাদের ব্যবস্থাপনায় প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো । এখন আবার আগের রূপে আবির্ভাব - এরা ডিজিটাল ব্যবস্থায় কিভাবে একাজ করতে হয়, তা ইতিমধ্যে রপ্ত করে ফেলেছে
৮ আগস্ট ২০১৯ প্রায় দুই লক্ষ শরণার্থী এক মহাসমাবেশ করে কক্সবাজারে। তারা সেখানে তাদের দাবী দাওয়া সম্বন্ধে সোচ্চার হয় তারা সাংবিধানিক দাবি নিয়া বাংলাদেশ সরকার বেকাদায় ফেলে এতে শুধু আওয়া্মীলিগ এর উপর পরবে নাহ, তার পুরো প্রভাব এর বিষাক্ত অংশ বাংলাদেশ এর জনগণ বয়ে বেরাবে।

রোহিঙ্গাদের অস্ত্র হিসেবে বিভিন্ন গ্রুপ ব্যবহারের সুযোগ খুঁজছে। বিভিন্ন এনজিও বা গ্রুপের গোষ্ঠিগত বা আন্তজার্তিক স্বার্থ জড়িত আছে। ওদিকে রোহিঙ্গাদের অনেকে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত হয়েছে চোরাচালান, মাদক পাচার, নেশায় আসক্তি ইত্যাদি। তাদের বিপুল উপস্থিতি স্থানীয় জনগণের উপর চাপ পড়ছে। তারা অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সরকারের দু’একজন মন্ত্রী বলেছেন যে, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বা অন্যান্য অধিকার দেওয়া হবে কি হবে না তা মায়ানমারের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তাই আমরা চাই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন। কিন্তু তা কিভাবে সম্ভব তা নিয়া কোন বাংলার কোন রাজনিতীবিদ চিন্তা করার মত দক্ষতা আছে কিনা সন্ধেহ আছে ?

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ, কক্সবাজারের উখিয়া, রামু ও হ্নীলা, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িসহ সীমান্তবর্তী উপজেলার লোকজনকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছে। উখিয়ার রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, ‘উখিয়া উপজেলায় আমাদের লোকসংখ্যা আছে ৩ লাখের কাছাকাছি। তার ওপর রোহিঙ্গারা আছেন প্রায় ৫ লাখের মতো। এখানে তারাই এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ। ফলে এখানকার রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা ভাবাই যাচ্ছে না।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার এস এম রিজুয়ান নুর হাসান
অনেকে নিজেদের জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মসনদ ও অন্যান্য কাগজপত্র ভোটার হওয়ার জন্য রোহিঙ্গাদের কাছে বিক্রি করছে বা ভাড়া দিচ্ছে বলেও ওই বৈঠকে জানান তিনি।

বাংলাদেশের দেয়া ২২ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা থেকে এই ৩৫৪০ জন যাওয়ার জন্য নির্বাচিত হয়। কিন্তু শরণার্থীরা বেঁকে বসে। তাদের দেয়া ৫ দফা দাবী পূরণ না হলে তারা ফেরত যাবে না স্থির করেছে। মানবতার সেবা করতে গিয়ে আমাদেরকে দাবি আদায়ের মত ফাদে ফেলেছে যাকে বলা যায় আমাদের দেশের কাঁধে বন্দুক রেখে গোলাগুলি করতেছে । বাংলাদেশ সরকার নিজ থেকে তিন হাজার কোটি টাকা ব্যায় করসে যা আমাদের জনগন এর ট্যাক্স এর টাকা।
আন্তর্জাতিকসম্প্রদায় এর ভুমিকা ও দিমুখী আচরন,,

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যাম দেখে যা বুঝা জায় রোহিঙ্গাদের সাম্প্রতিক এই নির্যাতনের চিত্র সমগ্র বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং এর ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অনেক প্রসিদ্ধ নেতা, ধর্মীয় গুরু এবং সমাজকর্মীরা ইতিমধ্যে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন, তাদের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়েছেন, বাংলাদেশে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এবং রোহিঙ্গাদেরকে নির্দ্বিধায় মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য আহবান করেছেন। মিয়ানমার সরকার নানাবিধ আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে এখন রোহিঙ্গাদেরকে ফিরে নেয়ার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তবুও এটি এখনও নিশ্চিত নয় যে তারা এই দশ লক্ষ রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিবেন কিনা! সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে এবং মিয়ানমার সরকারের মাঝে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যাতে করে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদেরকে ফেরত নেয়ার কথা বলা হয়; কিন্তু রাখাইনের গ্রামগুলো এখনো রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার জন্য উপযুক্ত নয় এবং তাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নাই এরকম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে সকল আন্তর্জাতিক সংস্থা এই চুক্তির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। সেই সাথে বাংলাদেশে আগত রোহিঙ্গারাও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং জীবিকা নির্বাহের সুযোগ-সুবিধা না থাকার ভয় রাখাইনে ফিরে যেতে চাচ্ছেন না। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে বিশ্বব্যাপী চাপ থাকলেও সকল পরিস্থিতি বিবেচনায় অতি নিকটবর্তী সময়ে রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারের রাখাইনে ফিরিয়ে নেয়া এখন অনেকটা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে কক্সবাজারের স্থানীয় জনরোষ বেড়েই চলেছে, এছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে একটি দরিদ্র এবং অতি ঘনবসতিপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে এই বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠির দায়িত্ব একক ভাবে পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। এভাবে প্রতিদিন প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের রুটি-রোজগার এবং জীবন নির্বাহ করানো একটি অতি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া এবং এই সহায়তা আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ আর কত মাস কিংবা আর কত বছর চালিয়ে যেতে পারবেন তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। সৌদি সরকার বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী ৪২ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে চাপ দিচ্ছে কয়েক বছর ধরেই। এ সময়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি আলোচনায় তোলার পর সম্প্রতি বাংলাদেশকে একাধিক চিঠি দিয়ে সমাধান করতে বলেছে সৌদি আরব। তাহলে আমরাই শুধু ধর্মের ভাই ধর্মের ভাই বলে লাফাই?????সৌদি বুদ্ধিমান তাই এইসব জঞ্জালের দায়িত্ব নিতে চায় না।আমাদের যে কবে সেই বুদ্ধি হবে.. এর নাম সৌদি আরব। সারা বিশ্বে ইসলাম ধর্ম ফেরী করে ওরা মানবিকতা জানেনা। জানলে ওদের তাড়িয়ে বাংলাদেশে পাঠাত না ! মিয়ানমার কে চাপ দিত। বাংলাদেশের মহিলাদের কাজের নামে নিয়ে ..... বানিয়ে নির্যাতন করে ! বাংলাদেশ সরকার কোন প্রতিবাদ করেনা
রোহিঙ্গাদের ৫ দফা দাবীগুলো হচ্ছে, নাগরিক অধিকার প্রদান / ফেরত এবং পরিচিতি কার্ড, জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা, জাতিগত নৃগোষ্ঠি রোহিঙ্গা হিসেবে স্বীকৃতি, হারানো সম্পত্তি পূর্ণ প্রাপ্তি, চাকুরীর অধিকার এবং সংশ্লিষ্ট দাবীÑদাওয়া। তাদের এই দাবী অযৌক্তিক নয়। যে কারণে তারা মাতৃভূমি ত্যাগ করতে বাধ্য হল, তাদেরকে জোরপূর্বক বহিস্কার করা হল, তা প্রতিষ্ঠিত না হলে এবং তার প্রতিবিধান না হলে ফিরে গিয়ে কি লাভ! আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও বলছে যে শরণার্থীদের ফিরে যাওয়ার জন্য মায়ানমারে অনুকুল ও সহায়ক পরিবেশ নেই।
আন্তজার্তিক বিভিন্ন বিবেচনায় ও চাপে মায়ানমার তাদের ফেরত নিতে রাজী হলেও আশ্রয় শিবিরে রাখবে, শরণার্থীদের মত আচারণ করবে, এটাও তো রোহিঙ্গাদের পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব নয়। আমরা তাদেরকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়ে তাদেরকে তোপের মুখে ফেরত পাঠাবো এতো অমানবিকওতো হওয়া সমীচীন হবে না। যা করার তা করতে হবে আমাদের এবং রোহিঙ্গাদের উভয়ের স্বার্থের বিবেচনায়। কুটনৈতিকভাবে, আন্তজার্তিক মহল যথেষ্ট সমর্থন দিয়েছে এই ব্যাপারে কিন্তু কার্যকর ব্যবস্থা এখনো তেমন কিছু হয়নি। আমাদের আরো দুর্ভাগ্য যে প্রতিবেশী বন্ধু দেশ ভারত ও চীন যারা প্রত্যাবাসনে যা করতে পারতো তাদের সাথে মায়ানমারের বানিজ্যিক ও ভূরাজনৈতিক সম্পর্কের কারণে মায়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারছেনা। বৃহৎ শক্তি রাশিয়াও জাতিসংঘে মায়ানমারের পক্ষে অবস্থান করছে। ওআইসি এবং আসিয়ান সক্রিয় ও কার্যকর কিছু করছেনা। অবশ্য সম্প্রতি জোরালোভাবে কুটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করার জন্য পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় কমিটি অসিয়ান এবং ওআইসি ভূক্ত দেশগুলো সফর করবে বলে জানা গেছে। ফলে সারা পৃথিবী শুধু দেখবে আর সুন্দর সুন্দর কথা বলবে অথচ আমরা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা-র মত ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীর ভার বহন করব। পৃথিবী কি এতই অমানবিক যে সেনা নিয়ন্ত্রিত একটি একগুঁয়ে দেশ মায়ানমারকে বাধ্য করতে পারবেনা সঠিক কাজটি করতে! অথচ আমরা হাল ছেড়ে দিতেও পারবনা। রাজনীতি ও কুটনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। বন্ধু রাষ্টদের এবং বৃহৎ শক্তি ও বিভিন্ন সংস্থার সাথে আরো গভীর যোগাযোগ ও সম্পর্ক সৃষ্টি করে এপথে এগুতে হবে। না হলে বিশাল এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবস্থা ও অবস্থান এক সময় শুধু বাংলাদেশে নয় আঞ্চলিক সংকটে রূপ নিতে পারে। কেননা, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে যে কোন ধরণের অঘটন ঘটতেই পারে। আপাতত: হয়তো রোহিঙ্গা সংকটের কিছু হবে না, তবে আমরা তাকিয়ে থাকব কবে সুদিন আসবে, রোহিঙ্গারাও মানুষের মত আচারণ পাবে, কবে বিশ্ব বিবেক কার্যকর হবে, আমরা মুক্ত হব সংকট থেকে। বাংলাদেশ দুর্বল পররাষ্ট্র নিতী দুইধরনের প্রধান দুই দলের কারনে আমাদের জনগণের উপর বার বার বিভিন্ন বোঝা চাপিয়ে দেয়।তার ভালো উধাহরন এই রোহিঙ্গা সঙ্কটে এক দল আরেক দল কিভাবে বেকায়দায় ফেলবে , এই সঙ্কট কে কিভাবে ইসু বানিয়ে ব্যাবহার করবে আই নিয়া ব্যাস্ত।

সঙ্কট সমাধান আরো দির্ঘজীবি ও কি কি সমস্য হতে পারে , কি কি করতে পারে
১.আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি বা আরসা (অজঝঅ) রাখাইন রাজ্যের একটি সক্রিয় রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠন যারা আরাকানের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম শুরু করে। এর পূর্ব নাম ছিল হারাকাহ্ আল ইয়াকিন। পাকিস্তানী করাচীতে জন্ম বংশোদ্ভুত এবং সৌদি আরবে শিক্ষিত আতাউল্লািস্থিতিম্মার জুনুনী এই সংগঠনের নেতা। তারা এই জনগোস্ঠই কে তাদের দলে ভিড়াতে পারে।
২. মায়ান্মার গপ্তচর ব্যবাহার করে অনেক লোক নিহত অথাবা হতাহত করতে পারে, তার কয়েকটা উপায় হল১. খাবারে বিশ মিশিয়ে দিতে পারে
২, রোগজীবানু ছরিয়ে দিয়ে মারতে পারে
৩,আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে জটিল করে দিতে পারে পরিস্থিতি



আমাদের দুই রাজনাইতিক দলে বিগত ৪দশক জুরে


১ বি এনপি
অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিতে প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, রোহিঙ্গা সমস্যার দিকে বাংলাদেশ সরকার কোন মনোযোগ দিচ্ছে না এবং সরকারের দুর্বল কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে পরিস্থিতি শোচনীয় রূপ ধারণ করেছে।
একই সাথে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা মুসলমানদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিতেও আহবান জানান বিএনপি চেয়ারপার্সন।বি এনপি ১৯৯১ সাল থেকে রোহিঙ্গা সম্যসা সমাধানে কিছু করতে পারে নাই দীর্ঘ দশ বছর থেকে। ওই সময় থেকে রাজনিতীবিদগন ভবিষ্যত কি হতে পারে তা আচ করতে পারে নাই।যার ফল এখন বাংলদেশ এর জনগন বয়ে বেড়াবে।

২. আওয়ামী লীগ
রোহিঙ্গাদের জন্য মিয়ানমারে নিরাপদ অঞ্চল বা সেফ জোন প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতা ও বাস্তবতা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের কাছে বাংলাদেশ যে স্পষ্ট এবং জোরালো অবস্থান তুলে ধরতে পারেনি, তার জন্য চীন ও রাশিয়ার অবস্থানকে হয়তো কিছুটা দায়ী করা যায়। কিন্তু সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবে বিষয়টি কেন অন্তর্ভুক্ত করা গেল না? সাধারণ পরিষদে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানিয়ে যে প্রস্তাব পাস হয়, তার পক্ষে ভোট পড়েছিল ১৩৪ এবং বিপক্ষে ৯। ভোটদানে বিরত ছিল ২৮টি দেশ। সেই ভোটের বিশ্লেষণেও আমাদের কূটনীতির হতাশাজনক চিত্রই ফুটে উঠেছে। রোহিঙ্গা নিপীড়ন বন্ধ, সহিংসতার নিন্দা এবং নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনের প্রস্তাবেও আমরা আমাদের ঘনিষ্ঠতম প্রতিবেশী ভারতের সমর্থন আদায় করতে পারিনি।

সমন্নিত দুই দলের ভুমিকা

বাংলাদেশ এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। তবে আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে তা করতে হলে অপর পক্ষকেও তাই চাইতে হবে এবং সে চাওয়াটা আমাদের হাতে নয়। যেকোনো পরিস্থিতির জন্য আমাদের প্রস্তুতি থাকতে হবে এবং আমাদের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে।
সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিলে, বলতেই হয়- নিকটভবিষ্যতে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে, এমন সম্ভাবনা খুবই কম। একান্ত বাধ্য না হলে মিয়ানমার এদের ফেরত নেবে বলে মনে হয় না। শুরুতেই উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের জন্য এ সমস্যার শুরু চার দশক আগে। এ সমস্যা সমাধানে চার দশক সময় কম ছিল না। সমস্যাটি বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদি।
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে অনেক সময় ফিল করি আমাদার একটা আন্তরজাতিকভাবে বাহিরের শত্রু কে নিস্কিরু করার জন্য ভালো মানের গোয়েন্দা সংস্থা খুব দরকার। আগে থকে যেন আমারা যেকোন আপদের উপস্থিতি টের পাই আগে থকে ডিফেন্স করা যায়। সিআইএ, র, কেজিবি মোসাদ এর মত দরকার হলে শত্রু বিনাশ এর মত প্রতিশোধমূলক ব্যাবস্থা যেন নেয়া যায়।
বিএনপির গোলটেবিল আলোচনায়, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, কানাডা, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ভারত, পাকিস্তান, নরওয়ে, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, আফগানিস্তান, তুরস্ক, জাতিসংঘ, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল প্রভৃতি দেশ ও সংগঠনের কূটনীতিকেরা উপস্থিত ছিলেন। তবে কূটনীতিকেরা আলোচনায় কোনো বক্তব্য দেননি। তাঁরা আলোচকদের বক্তব্য নোট করেছেন।মিয়ানমারের এবারে রোহিঙ্গা বিতারণ পুর্ব পরিকল্পিত এবং বড় বড় মহাশক্তি পিছনে আছে । আপনারা (বিএনপি) যখন অনেক দেশের রাস্ট্যদুত গনের সাথে নিয়ে গোলটেবিল সভা করছিলেন এবং জনঐক্যের ডাক দিচ্ছিলেন তখনই এ বিষয়ের উপর আরো একটি খবরের হেডলাইন দেখা গেল । আপনাদের অবগতির জন্য উল্লেখ করছি "মিয়ানমারের উপর চাপ কমাতে চীনের সর্বাত্বক চেষ্টা" । আপনারা অবস্যই অবগত আছেন চীন ও রাশীয়া ইউএন সিকিউরিটী কাউন্সেলে দুই দফা ভেটো প্রয়োগ করেছে মিয়ানমারের উপর যেন কোন শাস্তি মুলক ব্যবস্থা না নিতে পারে । আপনারা বিএনপি) ভাল ভাবেই অবগত আছেন চীন, রুস ও ভারত এই ৩ পরাশক্তী তাদের স্রাটিজিক ইম্পর্টেন্ট মিয়ানমারের উপর কোন চাপ আসতে দেবেনা । তাই বিএনপির কাছে আবদার, এই মুহূর্তে দেশের জনগনের ঐক্যে অবস্যই দরকার অভ্যান্তরীণ বিসয়ে, রোহিঙ্গা বিসয় আন্তর্যাতীক । জনগন এমনিতেই বুঝতে পারছেন রোইিঙ্গা সমস্যা নিজেদের বিপদ । দেশের ভাল যদি সত্যি চান তা হলে আপনাদের একটি ডেলিগেসন চীন, রাসীয়া ও ভারত ছফর করুন এবং দেশের বিপদে তাদের সহায়তা চান তাতে দেশের মান বাড়বে অনেক কাজ হবে । নির্বাচন, ঐক্য, জনবিছীন্ন সরকার, ভোট কার্চুপি ইত্যাদি রাস্টদূতগনের কাছে তুলে ধরে কোন লাভ
নাই কারণ তারা আমাদের দেশেই থাকেন এবং সবই জানেন।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা ইস্যুকে তাদের সর্বোচ্চ গুরুত্বের জায়গায় রাখেনি৷ তাদের বিবেচনায় আরো অনেক বড় বড় সমস্যা আছে৷ ফলে তারা এই ইস্যুটিকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছে না৷ আর করোনার কারণে সব দেশই অর্থনৈতিক চাপে আছে৷ ফলে মানবিক সহায়তা কমছে৷ শুরুতে অনেকের আগ্রহ থাকে৷ এখন তারা দেখছে এই সমস্যা চলতেই থাকবে৷ তাই কতদিন আর সহায়তা করবে৷ সমস্যাটি আমাদের ঘাড়ে চেপেছে৷ তাই আমাদের বোঝা তো বইতেই হবে৷

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩

মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ। অশেষ ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩১

গফুর ভাই বলেছেন: কষ্ট করে অনেক ধৈর্য নিয়া পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.