![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঈদ এর দিন আজ। সব ভালো মনেই ছিলাম ব্লগ লেখার কোন ইচ্ছা আমার ছিল নাহ।দুপরে বেশ ভালো ঘুম দিয়ে উঠার পর সংবাদে দেখালাম ঈদের নামাজে অংশ নেয়ায় ৪৮ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দের পর ৩ ও ৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে মালয়শিয়ার পুলিশ।মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় পেনাং রাজ্যের জুরু তামান পেলাংগি মসজিদে নামাজ আদায় করতে যান। কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১০০ মানুষকে নামাজ আদায়ের জন্য অনুমতি ছিল। কিন্তু অনুমতি নেই এমন দুই শতাধিক মানুষ মসজিদের বাইরে ঈদের নামাজ আদায় করে, যাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি। সেই ২০০ জনকে খুঁজছে পুলিশ।প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ঈদের নামাজ আদায়ের এ ঘটনায় সমালোচনায় পড়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা।দুই শতাধিক মানুষের নামাজ আদায়ের একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর রাজ্যজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে স্থানীয় প্রশাসন। সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনায় স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গের ঘটনায় রাজ্যের পুলিশ প্রধান ক্ষমা চান। এর পরেই আইন লঙ্ঘনকারীদের গ্রেফতার করা হয়।এ ঘটনায় আইন লঙ্ঘনকারীদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না, প্রয়োজনে এসব অভিবাসীদের দেশে পাঠানো হবে বলেও কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা জয়নুদ্দিন।
আমি ভাবছি অন্য কথা যদি এই ঘটনা ঘটত বাংলাদেশে তাহলে পলিশের এর উপর কি পরিমান বিদ্বেষ মুলক কথা আর ধর্মিয় ঊষ্কানি মুলক ভিডিও ঊষ্কানি মুলক ফেসবক যোদ্ধা আবির্ভাব হত ।যারা এই সব বলে বলে মানুষের মনে এক ধরনের এই ধরনের কাজের জাস্টিফায় নামক ধারা তৈয়ারি করে,তারা কেন এই সব দেশের বিরুদ্ধে বলে নাহ ,এই মালয়শিয়া মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র বলে।যদি এটা ভারত করত তাহলে বাংলার জনগন হামানদিস্তা (হামানদিস্তা এই শব্দ চাদ্গাজি সাহেবের কাছ থেকে নেয়া,ওনার অনেক মন্ত্যবে দেখায় মাথায় ঘুরতেসে) নিয়া আগায় আসত ঈমানি যুদ্ধ করতে।আমার খুব জানতে ইচ্ছা সামাজিক ভাবে দায় দায়িত্ব পালনে এই দেশের ধর্মিয় প্রান মুসলমান কতটা সচেতন করতে পারত।কিন্তু সেই সব লোক জন কিছুই করে নাই বিভিন্ন ধরেন ঊষ্কানি মুলক কথা বার্তা ছারা।আমাদের দেশের মানুষ হুজুর দের কথা বার্তা তাদের নিষেধ উপদেশ খুব মান্য করে অনেকটা বলা যায় অন্যরকম সম্মান করে তাদের কথার কিন্তু এই সম্মান করাটা নিয়া মানে সম্মান করি বলেই আর সম্মান করে কথা শুনবার কারনে এখন এটা ব্যবসায় রুপান্তর হয়েছে।এই ব্যবসায় ফলাফল কত মারাত্মক হতে পারে তার সামান্য প্রমান এই মালয়শিয়ার ঘটনা।করোনা যখন সারা পৃথিবী তে একটু একটু ছড়াচ্ছিল তখন বাংলার অধিকাংশ ওয়াজে চলতেছিল করোনা নিয়া বিভ্রান্তিকর ওয়াজ ধর্মীয় অপব্যাখ্যা, যা ছরিয়ে পড়তেছিল ইউটিউব আর ফেসবুক কে কেন্দ্র করে।আমি এই সব ওয়াজ দেখাতাম আর তার উদ্দে্যশ ছিল তার আসলে তারা আসলে কি ধরনে মেসেজ দিতে চায় তা বুঝা।এই সব ওয়ায এর নামে যে যারা ব্যবাসা করে টাকা পয়সা ইনকাম করে তারা ভয়ে পেয়ে গেল আর তার সব যেন বন্ধ না হয় তা নিয়া যে যেভাবে পারে অপব্যাখা দিতে লাগল।আমার প্রশ্ন হল এই দেশে অনেক মুসলিম আছে তারা কি কখনও ইসলামি বই ঘেটে দেখেছেন মহামারি ব্যাপারে ইসলাম কি বলে।আমার সাথে অনেকের এই সব নিয়া অনেক কথা হয় অনেক মানুসের সাথে যাকে বলা যায় সমালোচনা, আড্ডা, সব জায়গায় দেখি একই রেফারেন্স মানে হল ফেসবুক আর ইউটিউব থেকে শুনা।আপনারা শুনে অবাক হবেন এক কাছের হুজর কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তার আগে অনার সম্পরকে কে বলি উনি একটা মাদ্ররাসা থেকে পাস করে বের হইয়েছেন, তাকে আমি একটা হাদিস এর ব্যাপারে জানতাম আমি ছোটবেলা থেকে তা হল দাড়িতে নাকি ৭০ টা ফেরেশতা থাকে তা পরে জানলাম পুরাই জাল হাদিস । ওনাকে এটা বলার পর উনিও দুই দিন পর এসে আমাকে জানাল আসলেই জাল হাদিস।একবার ভাবেন যারা আমাকে শিখাল তারা কখনো ঘেটে দেখলো নাহ কি শিক্ষা দিল।বাংলার ওয়াযে সৌদি বিরোধি কিছু বলে নাহ কেন অনেক কে অনেক প্রশ্ন করেছি যেমন সৌদি আরব তার দেশের স্কুলে পড়ানো হবে রামায়ণ-মহাভারত এর জন্য কোন ওয়াযে চরম ভাবে বিরোধিতা করতে দেখি নাই, এই ব্যপারে তারা খুব নিশ্চুপ ,তাদের এই চুপ করে থাকাকে কি বলা যায়।আরা বাংলায় আধুনিক শিক্ষা গ্রহন কে ইহুদি দের শিক্ষা ব্যাবস্থা বলে বেড়ানো হয়ে থাকে ।
এই সব মাহফিলে ওয়ায যদি প্রোপাগান্ডা না ছড়ানোর মেশিন না বানিয়ে সমাজের ভালোর কিছু জন্য কাজ করত, সমাজ আগাত অনেক ,সঠিক ভাবে করোনার সুম্পরকে অনেকভাবে সচেতন করা যেত কিন্তু বহিপ্রকাশ বিন্দুমাত্র দেখা গেল নাহ।তা কাজে আসলো অস্থির অস্থিতিশীলসমাজ গঠনে।যার প্রতিচ্ছুবি আমারে দেখালাম দেশের বাহিরে।যার শিকার ও ফাইনাল প্রোডাক্ট হিসাবে পেলাম মগয বিহিন এক চক্ষু বিশিষ্ট মানুষ।
©somewhere in net ltd.