নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজছিলাম। তাই আমি মন্দিরে গেলাম, সেখানে তাকে খুঁজে পেলাম না। আমি গির্জায় গেলাম, সেখানেও তাকে পেলাম না। এরপর আমি মসজিদে গেলাম সেখানেও তাকে পেলাম না। এরপর আমি নিজের হৃদয়ে তাকে খুঁজলাম, সেখানে তাকে খুঁজে পেলাম।

গফুর ভাই

সাধারন নাগরিক একজন

গফুর ভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনার দেখা সবচাইতে রোমান্টিক নাটক কোনটি?

২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৫২

হুমায়ূন আহমেদকে আমি বলব— বাংলাদেশে তার মতো গল্প বলার ক্ষমতা খুব কম নাট্যকারের ছিল। গল্প বলায় তার মতো মুনশিয়ানা কম লেখকেরই ছিল। নাটকের জন্য যখন সংলাপ লিখতেন, তখন খুব বেশি কষ্ট করে আমাদের মুখস্থ করতে হতো না। মনে হতো এসব সংলাপ আমাদের জীবনের সঙ্গেই মিশে আছে।

তার নাটকের গল্পে জটিলতা থাকত না। সংলাপে মারপ্যাচ থাকত না। সহজ সরল ভাষায় সংলাপ লিখতেন। কিন্তু, সেসব সহজ সরল সংলাপগুলোই মানুষ মনে রাখতেন। মানুষকে গভীরভাবে টেনেছে সেসব সংলাপ।
লেখক হিসেবে তিনি কতটা সফল তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। নাট্যকার হিসেবেও ব্যাপক সফল একজন মানুষ ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। পরিচালক হিসেবেও কম করেননি। মুক্তিযুদ্ধের “সিনেমা আগুনের পরশমণি” পরিচালনা করে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন সেরা কাজ সিনেমায়ও করতে পারেন। বাংলাদেশের যতগুলো মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা নির্মিত হয়েছে, তার মধ্যে হুমায়ূন আহমেদের এই সিনেমাটি কোনো অংশে পিছিয়ে নেই।

সেজন্য বলব, ভালো একজন পরিচালকও তিনি।

তবে, হুমায়ুন আহমেদের মধ্যে ধৈর্যের খুব অভাব ছিল। এই মানুষটি কেমন ছিলেন একটু ব্যাখ্যা করি। শুটিংয়ের সময় অনেকবার হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আর শুটিং করবেন না। কোনো কারণ ছাড়াই এটা করেছেন।

শুটিং বন্ধ করে বলতেন, এখন আড্ডা হবে। শুরু হয়ে যেত আড্ডা।

তার একটা বড় গুণ ছিল নিয়মিত লিখতেন। কেবল লেখালেখিটা তিনি সময় করে এবং নিয়ম মাফিক করে গেছেন সারাজীবন। খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে লেখালেখি শুরু করতেন। টানা কয়েক ঘণ্টা লিখতেন। তাও বলপয়েন্ট দিয়ে। দামি কোনো কলম দিয়ে নয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.