![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোনো মহামারি মোকাবেলা করার পর দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া স্বাভাবিক। যেখানে ইউরোপ,আমেরিকান দেশ গুলো তাদের অর্থনিতি মন্দাভাব কাটিয়ে উঠার চিন্তা করে হিমসিম খাচ্ছে। বাংলাদেশের মত গরিব দেশের জন্য পরিস্থিতি হবে ভয়ঙ্কর। মাথাপিছু আয় কমে যাবে। অনেকে চাকুরী হারাবে। শেয়ার এর দাম কমে যাবে,শেয়ার হোল্ডার দের মাথায় হাত উঠে যাবে। যেহেতু সমস্যা সারাবিশ্ব জুড়ে। সুতরাং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ কমে যাবে,সুতরাং করোনা যুদ্ধ শেষ হলে আরেক নতুন যুদ্ধ অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। যে যুদ্ধ দেশের অর্থনীতিকে সচল করতে এবং দেশের জনগণ কে জনসম্পদে পরিণত করতে সরকারের পাশাপাশি জনগনকেও নানান কর্মমুখী পরিকল্পনা গ্রহন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। ২য় বিশ্ব যুদ্ধের পরে ইউরোপে সবাই কম বেশি শ্রমিক হয়েছিল। সবাই রাস্তায় মাটি কেটেছে, ইট ভেংগেছে কারখানায় "লেবারি" করেছে৷ করতে হয়েছে।
করোনা শেষ হলে আমাদেরও করা লাগবে। অনেক আজাইরা আভিজাত্য কমবে। মধ্যবিত্তের "লজ্জা" কমবে। পাশের বাসার ভাবি কি বললো এটা আর কেউ ভাববে না।
দুই হাতে কাজ করবে। আমিও মাটি কাটার জন্য রেডি হচ্ছি। কাজে ভয় পাবো কেনো? যে রকম অবস্থা সে রকম ব্যবস্থা। ভয় পাবেন না। কারন আপনার যে খারাপ অবস্থাটা হবে, সেটা অন্য সবারও হবে। বাড়ি ভাড়া দেবো কিভাবে? বাড়ি ভাড়া কমে যাবে। কারন আপনি যেমন ১৫ হাজার টাকা ভাড়া দিতে পারছেন না, আরেকজনও পারবে না। ইনকাম সবারই কমবে। ডিমান্ড কমে যাবে অনেক কিছুর। এখন একটা মধ্য বিত্তের বাসায় মিনিমাম ৩ টা টিভি চলে। আম্মা জলসা দেখে, আব্বা খবর দেখে, আমি নেটফ্লিক্স দেখি। এই তো? ৩ টা কেনো, ৫ টা টিভিও মধ্যবিত্ত এফোর্ড করতে পারে। ডিশের লাইনের ৫০০ টাকা দেয়ার পরেও নেটফ্লিক্সের ১২০০ টাকা দিতে গায়ে লাগে না।
৯০ এর দশকে মনে আছে, এই সব কিছুই ছিল না। তখন আমাদের ইকোনমির সাইজ ছিল ছোট। চাহিদাও ছিল ছোট। অনেক যারা বড় লোক, তারা বিদেশ যেতো৷ আর এখন সিংগাপুর যাই মিরপুর যাবার মত। নেইল
কাটারও আনি আলিবাবায় ওর্ডার করে চায়না থেকে। সবার পকেটে মিনিমাম দুইটা ক্রেডিট কার্ড। এগুলা ছাড়া চলা যায়। বিশ্বাস করেন চলা যায়। টাইম পাসের জন্য বন্ধুরা আছে, ভাই বোন আছে। প্রেম করার জন্য বান্ধবীও আছে। সমস্যা হবে, যাদের বউও লাগে, পাশের বাসার ভাবিরেও লাগে। বউর পেছনে খরচ অনেক কম। ভাবির পিছনে অনেক খরচ।
মহলে এমন কে আছে যার বাসায় ১টি টিভি নাই? আরো বেশি আছে। ডিস আছে, আবার সবার মোবাইলে ইউটিউব আছে। কারেন্ট বিলের সাথে ডিসের বিলও দেই কিন্তু। সাথে নেটের বিল। ওয়াইফাই আছে, আবার ডেটা প্যাকও আছে। কারন আমরা এগুলা দিতে পারি। তাই দিচ্ছি। একটা টাইমে এলাকায় একটা টিভি ছিল। তখনো সবাই ভালো ভাবেই বেচে ছিল।বছরে একটা ফরেন টুরের ছবি না দিলে ইজ্জত থাকে না যাদের তাদের কথা আলাদা। অনেকের ব্যাংকক গিয়ে ম্যাসাজ না নিলে গা ম্যাজম্যাজ করে। এই সব আর হবে না আরকি৷ না হোক, ব্যাংককের ২০ হাজার টাকার বিমান টিকেট, সাথে দুই রাত ৫ হাজার খাওয়া ঘোরা ৫ হাজার, আর ডলাডলিতে ১০ হাজার। এই ৪০ হাজার টাকা খরচ কমে যাবে। এর চেয়ে এলাকার সেলুনে ২০ টাকা দিয়ে গা ডলাইয়েন। যদিও ওই মজাটা হবে না, সেলুনের ব্যাটার হাত শক্ত। তবে ম্যাসাজ কিন্তু মামায় ভালই করে।
অন্য কথায় আসি, ভয় পাবেন না দয়া করে। বিশ্বাস করেন, যদি কারো শক্ত দুইটা হাত থাকে, তাইলে এই বাংলায় কারো ভাতের কষ্ট হবে না আল্লার রহমতে। এই দেশে এখনো মাটি কোপালে গাছ হয়, মুরগি পাললে ডিম দেয়। ব্রান্ডের প্যান্ট বাদ দিয়ে ৩০০ টাকা দিয়ে ২ টা লুংগি কিনবেন। একটা ধুতে দিলে আরেকটা পরবেন। ভাত খেয়ে হাত মুছবেন লুংগিতে। টিসুর খরচ বাচবে। আমরা টিস্যু চিনছি কবে বলেন তো? এক মনিষী বলেছিলেন, "পোলাপান দুইদিন আগেও ভাত খাইয়া হাত মোছছে জামায় , এহন চায় টিস্যু" টিস্যু চাওয়া দোষের কিছু না। কিন্তু এগুলা ছাড়াও চলা যায়। যদি চলতে হয়, চলবো। আমি কোন ভাবেই হায়হায় পার্টিতে যোগ দিতে চাই না। মনে রাখবেন, সমস্যা খালি আপনার একার হবে না। সবারই হবে। তাই আপনি হাত মোছার টিস্যু না পেলে নিজের লুংগিতে মুইছেন। কেও কিচ্ছু মনে করবে না।।
আরেকটা কথা, আপনার আব্বা আম্মা যদি টেনশন করে, পরে কি হবে, তাদের ভরসা দেন। পোলাপান বেচে থাকতে বাপ মা কস্ট করবে কেনো? বলেন আব্বা আমি আছি। লুংগি কাছা দিয়ে কাজ করবেন, তাও বাপ মাকে টেনশন করতে দেবেন না। ওনারা এই রকম দৃশ্য আগে দেখে নাই। হ্যা সিডর, আইলা,১৯৫২,১৯৭১ বা অনেক ঝড় দেখেছে, কিন্তু তখন পুরা বিশ্ব, আজকের মত এক সাথে বসে পরে নাই। আর।মিডিয়াতে এভাবে প্রচারও হয় নাই। ভয় লাগাটা স্বাভাবিক। এই বুড়া বয়সে আবার স্টাগল করতে কার ভালো লাগে বলেন? সংসারের লুংগির গিট এখন আপনার হাতে। টাইট করে বাধবেন, যেনো খুলে না যায়। বাবা মায়ের হাতটা শক্ত করে ধরেন।।মনে রাখবেন, বাপ মার হাত ধরলে, জীবনে কারো পাও ধরতে হয় না।…….
এরকমভাবে নিজের জীবন পুনরায় গঠন করতে পারলে করোনা পরবর্তী সময়ে খুব দ্রুত বাংলাদেশ অর্থনৈতিক মন্দাভাব কাটিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে মাথা উচু করে দাড়াতে পারবে।
যে কোনো মহামারি মোকাবেলা করার পর দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া স্বাভাবিক। যেখানে ইউরোপ,আমেরিকান দেশ গুলো তাদের অর্থনিতি মন্দাভাব কাটিয়ে উঠার চিন্তা করে হিমসিম খাচ্ছে। বাংলাদেশের মত গরিব দেশের জন্য পরিস্থিতি হবে ভয়ঙ্কর। মাথাপিছু আয় কমে যাবে। অনেকে চাকুরী হারাবে। শেয়ার এর দাম কমে যাবে,শেয়ার হোল্ডার দের মাথায় হাত উঠে যাবে। যেহেতু সমস্যা সারাবিশ্ব জুড়ে। সুতরাং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ কমে যাবে,সুতরাং করোনা যুদ্ধ শেষ হলে আরেক নতুন যুদ্ধ অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। যে যুদ্ধ দেশের অর্থনীতিকে সচল করতে এবং দেশের জনগণ কে জনসম্পদে পরিণত করতে সরকারের পাশাপাশি জনগনকেও নানান কর্মমুখী পরিকল্পনা গ্রহন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। ২য় বিশ্ব যুদ্ধের পরে ইউরোপে সবাই কম বেশি শ্রমিক হয়েছিল। সবাই রাস্তায় মাটি কেটেছে, ইট ভেংগেছে কারখানায় "লেবারি" করেছে৷ করতে হয়েছে।
করোনা শেষ হলে আমাদেরও করা লাগবে। অনেক আজাইরা আভিজাত্য কমবে। মধ্যবিত্তের "লজ্জা" কমবে। পাশের বাসার ভাবি কি বললো এটা আর কেউ ভাববে না।
দুই হাতে কাজ করবে। আমিও মাটি কাটার জন্য রেডি হচ্ছি। কাজে ভয় পাবো কেনো? যে রকম অবস্থা সে রকম ব্যবস্থা। ভয় পাবেন না। কারন আপনার যে খারাপ অবস্থাটা হবে, সেটা অন্য সবারও হবে। বাড়ি ভাড়া দেবো কিভাবে? বাড়ি ভাড়া কমে যাবে। কারন আপনি যেমন ১৫ হাজার টাকা ভাড়া দিতে পারছেন না, আরেকজনও পারবে না। ইনকাম সবারই কমবে। ডিমান্ড কমে যাবে অনেক কিছুর। এখন একটা মধ্য বিত্তের বাসায় মিনিমাম ৩ টা টিভি চলে। আম্মা জলসা দেখে, আব্বা খবর দেখে, আমি নেটফ্লিক্স দেখি। এই তো? ৩ টা কেনো, ৫ টা টিভিও মধ্যবিত্ত এফোর্ড করতে পারে। ডিশের লাইনের ৫০০ টাকা দেয়ার পরেও নেটফ্লিক্সের ১২০০ টাকা দিতে গায়ে লাগে না।
৯০ এর দশকে মনে আছে, এই সব কিছুই ছিল না। তখন আমাদের ইকোনমির সাইজ ছিল ছোট। চাহিদাও ছিল ছোট। অনেক যারা বড় লোক, তারা বিদেশ যেতো৷ আর এখন সিংগাপুর যাই মিরপুর যাবার মত। নেইল
কাটারও আনি আলিবাবায় ওর্ডার করে চায়না থেকে। সবার পকেটে মিনিমাম দুইটা ক্রেডিট কার্ড। এগুলা ছাড়া চলা যায়। বিশ্বাস করেন চলা যায়। টাইম পাসের জন্য বন্ধুরা আছে, ভাই বোন আছে। প্রেম করার জন্য বান্ধবীও আছে। সমস্যা হবে, যাদের বউও লাগে, পাশের বাসার ভাবিরেও লাগে। বউর পেছনে খরচ অনেক কম। ভাবির পিছনে অনেক খরচ।
০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৩১
গফুর ভাই বলেছেন: আপনি কখনো সত্যজিৎ রায়ের মুভি অশুনি সঙ্কেত দেখেছেন কি? তাহলে বুঝতে পারবেন কি আসতে যাইতেসে বাংলায়।সরকারের কাছে কিছুই নাই।যদি কিছু থাকে তা হল মনগড়া ধরনের।
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: একই লেখা বোধহয় একাধিকবার এসেছে এই পোস্টে।
"মনে রাখবেন, বাপ মার হাত ধরলে, জীবনে কারো পাও ধরতে হয় না" - কথাটা ভালো বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
কতজন মানুষ বেকার, সরকার সেটা কি জানে, সেই তথ্য সরকারের কাছে আছে?