![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পহেলা বৈশাখ ১৪২৪ বঙ্গাব্দ উপলক্ষে বিশ্ব কবিমঞ্চ সিলেটের আয়োজনে গত ১৫ এপ্রিল শনিবার সিলেট নগরীর দরগা গেইটস্থ রোটারিয়ান ড. আর কে ধর মিলনায়তনে ভারতীয় কবিদের অংশগ্রহনে এক বৈশাখী কবিতা আড্ডা অনুষ্ঠিত হয় ।
বিকেল ৫’টায় বিশ্ব কবিমঞ্চ সিলেট মহানগরের সমন্য়কারী গৌতম বুদ্ধ পালের সঞ্চালনায় রোটারিয়ান ড. আর কে ধর. এর সভাপত্বিতে শুরু হয় বৈশাখী কবিতা আড্ডা ।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে আসন গ্রহন করেন ওপার বাংলা থেকে আগত বাচিক শিল্পি, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী ইলা মিত্রের পরিবার সদস্য, বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পি, টিভি ও রেডিও-র সঙ্গে সংযুক্ত বাংলা ভাষা সংহতি’র সম্পাদিকা শ্রীমতি অঞ্জনা মিত্র, আরও আসন গ্রহন করেন কলকাতা থেকে আগত বিশিষ্ট সংগীত শিল্পি, আন্তর্জাতিক নজরুল গবেষণা কেন্দ্র কলকাতা ইউনিটের সম্পাদীকা কবি শ্রীমতি মাধবী মজুমদার, উপস্থিত ছিলেন মাধবী মজুমদারের স্বামী বাংলাদেশী বংশোদ্ভোত শ্রী রতন মজুমদার ।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে আসন গ্রহন করেন সিলেটের বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক কবি লাভলী চৌধুরী, বিশ্ব কবিমঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কবি মীর লিয়াকত, বিশ্ব কবিমঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক কবি পুলক কান্তি ধর, কবি অসিত দেব ।
কবিদের এই আড্ডায় মঞ্চে উপবিষ্ট কবিদের ফুল দিয়ে বরণ করেন তরুণ কবি সামীমা আরা সুমী ও শাহাদাত শুভ ।
কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আড্ডা, একে একে বৈশাখী কবিতা পাঠ ও শুভেচ্ছা বক্তৃতা নিয়ে আসেন সিলেটের কবিরা, কবি হরিপদ চন্দ, কবি হিমাংশু চন্দ্র দাস, কবি মাধব রায়, কবি মাসুদা সিদ্দিকা রুহি, কবি চন্দ্র শেখর দেব, কবি সামীমা আরা সুমী ।
সিলেট সাহিত্য পরিষদের সভাপতি পুলিন রায়, কবি পুলক কান্তি ধর, কবি লাভলী চৌধুরী, কবি মীর লিয়াকত, কবি অসিত দেব সকলেই নিজ নিজ কাব্যগ্রন্থ থেকে কবিতা পাঠ করেন।
বাচিক শিল্পি কবি অঞ্জনা মিত্র প্রথমেই সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান, বাঙ্গালীর আতিথেয়তায় কমতি নেই, সিলেটে এই প্রথমবার, এখানে না আসলে জানতামই না সিলেটিদের সর্ম্পকে ।
তিনি তার নিজের কাব্যগ্রন্থ থেকে কয়েকটি কবিতা আবৃত্তি পাঠ করেন, পাঠ করেন ভারতীয় কবিদের কবিতা, মুগ্ধ আমন্ত্রীত কবিবৃন্দ ।
সংগীত শিল্পি কবি মাধবী মজুমদার তার বক্তব্যের শুরুতেই বিশিষ্ট লোকজশিল্পি মর্মান্তিক সড়ক র্দুঘটনায় নিহত কালিকা প্রসাদ ভট্রাচার্যের গাওয়া শেষ গান “আমি তুমারি তুমারি তুমারি নাম গাই, আমার নাম গাও তুমি” গানটি পরিবেশন করেন, পরে তাহার আত্মার শান্তি কামনার জন্য এক মিনিটি নিরবতা পালন করা হয় ।
তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, এপার বাংলা ওপার বাংলা আমরা কখনই আলাদা নই, আমাদের সাহিত্য এক, আমরা সবাই মানুষ, পার্থক্য এটাই আপনার বাংলাদেশী আর আমরা ভারতীয় । সিমান্তের কাটা তারের বেড়াঁ কখনই আমাদের সাহিত্যকে আলাদা করতে পারবে না। যার জন্যই কাটা তার পেরিয়ে আজ আমরা সিলেটে । আমাদের ভাষা এক আমরা অভিন্ন ।
পরে তিনি তার নিজের কাব্যগন্থ থেকে কয়েকটি কবিতা পাঠ করেন ।
আগত কবিদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন কবি পুলক কান্তি ধর, রোটারিয়ান ড. আর কে ধর, কবি লাভলী চৌধুরী এবং বৈশাখী অভিনন্দন ক্রেষ্ট প্রদান করা হয় ।
পরিশেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি তার সমাপনী বক্তৃতায় বলেন, এই আড্ডা শেষ নয়, আমার কাছে মনে হচ্ছে আড্ডা শুরু হচ্ছে । এপার বাংলা ওপার বাংলার মেলবন্ধন আমাকে আজ করেছে অনুপ্রাণিত । আজ আমরা কেউ এক দেশের নাগরিক নই, আমরা আজ বিশ্ব নাগরিক ।
সবাইকে আবারও নববর্ষের শুভেচ্ছা, ধন্যবাদ আমন্ত্রিত অতিথিদের ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:২৬
অগ্নিবেশ বলেছেন: ধর্ম যে আলাদা, কি করবেন? পোস্টে কমেন্টও পাইবেন না।