নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নয়দুয়ারি

গ্রীনলাভার

আপাতত মনে হচ্ছে অ্যাডভেন্চারই জীবন। হাটুভাঙ্গার বাঁকেই আমার বাড়ি। সবাইকে নিমন্ত্রন।

গ্রীনলাভার › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বদেশ-বিদেশ

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:০১


খেলাধুলার সাথে খুব বেশি পরিচয় নেই আমার। ছোট বেলায় টিভিতে ফুটবল দেখতাম। একটু বড় হয়ে টিভিতে ক্রিকেট দেখি। স্পোর্টস্‌ চ্যানেলগুলোতে দৌড়-ঝাপ দেখি, কার রেসিং দেখি। ব্যস, নিজে মাঠে গিয়ে খেলেছি খুব কম। কয়েকবার ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করেছিলাম স্কুলের বন্ধুদের সাথে। তখন দেখেছি, সবসময় কেমন যেন একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা কাজ করত সবার মাঝে। সেই চিৎকার চেচামাচি করছে সবাই। এই একে মারল, এই একে ধরল - এই অবস্থা ছিল। তবে স্কুলে টিফিন পিরিওডে ক্লাসরুমের সামনের বারান্দায় দৌড়ঝাপ মারতাম খুব। এরপর কলেজে দু'তিনজন বডিবিল্ডার বন্ধু ছিল। পড়াশুনা তেমন করতনা বলে ভাবতাম সব দোষ ঐ বডিবিল্ডিংয়ের। খেলাধুলা করলে মাথায় কিছু থাকে? আর এত সময় কই?

পড়াশুনার জন্য বিদেশে থাকতে হল আমাকে কয়েকবছর। বিদেশের মাটিতে পা রেখেই প্রথমে যে কথাটা মাথায় এল, সোবহানআল্লাহ্‌। আল্লাহ এত সুন্দর করে মানুষ বানায়? বইতে, টিভিতে, মুভিতে এতবার এতবার সাদা-সুন্দর মানুষ দেখলাম, কিন্তু একহাত দুর থেকে ওদেরকে দেখার অভিজ্ঞতাই আলাদা। খালি দেখি আর দেখি। মন ভরে দেখি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা এত সুন্দর, এত স্মার্ট। দেখলেই মন ভাল হয়ে যায়।

যাক, দেখতে দেখতে একবছর পার করলাম। একবার মনে হল একটু খোজখবর নিয়ে দেখি। আল্লাহ্‌ তো আর গায়েবি হাত দিয়ে ওদেরকে ফিট রাখেননা। আল্লাহ্‌ ওদেরকে কি জ্ঞান দিয়েছেন যার কারনে ওরা এরকম ফিট থাকতে পারে? আমিও একটু চেষ্টা করলে ওদের মতো একটু ভেপু ছাড়া ফিগার তো বানাতে পারি। তো, একবিকেলে গেলাম ইউনি-স্পোর্টস্‌ হলে। গিয়ে যা দেখলাম!! ঐ বিকেলে পুরো স্পোর্টস্‌ এরিয়া ঘুরে শেষ করতে পারিনি। ১১২ ধরনের বিভিন্ন স্পোর্টস করা যায়। সবকিছুতে হাই-টেক ব্যবহার করা। এক একটা হল রুমে ২০০/২৫০ জন করে স্টুডেন্ট স্পোর্টস্‌ করছে। সে এক মহা এলাহি কারবার। তো, এর পরদিনই একটু সাহস করে ঢুকে গেলাম একটা স্পোর্টস্‌ এ। এর মাস খানেক পরে আরেকটা শুরু করলাম। নিচে দুইটার ভিডিও দিলাম। দেখবেন সময় করে।

এখন বলি স্পোর্টস্‌ করে কি কি পরিবর্তন দেখলাম। এক, বন্ধু বানালাম বেশ কয়েজনকে। স্পোর্টস্ এর খাতিরে অনেক কথা হয় আমাদের, যেটা অন্য কখনো প্রায় হয়ে ওঠে না। কেন হয়ে ওঠে না সেটা পরে আরেকদিন বলব। দুই, সারাদিন পড়াশুনার চাপ শেষে বিকেলে স্পোর্টস্‌ এর পর নিজেকে অনেক ঝরঝরে লাগে। নতুন করে শক্তি পাই যেন। তিন, ভেপুটা মনে হয় একটু কমেছে। মাপিনি এখনো। মেপে পড়ে একদিন জানাব। :) এবং চার, যে বড় পরিবর্তনটা আমি নিজের মাঝে দেখেছি সেটা হল "কনফিডেন্স"। আমি এখন ঠিক ব্যাখ্যা করতে পারবনা ব্যাপারটা কিভাবে কাজ করছে। আমার আরেকটু সময় লাগবে বলতে।

তো আজকে এ পর্যন্ত থাক। বিদেশ বিভুইয়ে এসে অনেক অনেক কিছু শিখেছি আমি। আমি এদের থেকে কতটুকু অন্যরকম সেটা। আস্তে আস্তে লিখব সেসব...












মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.