![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপাতত মনে হচ্ছে অ্যাডভেন্চারই জীবন। হাটুভাঙ্গার বাঁকেই আমার বাড়ি। সবাইকে নিমন্ত্রন।
যা থেকে লেখার উৎসাহ পেলাম - আমার ভাগনে আদমজি কেন্ট: পাবলিক স্কুলে পড়ে। একদিন বলল, "আমাদের (কোন এক) স্যার ক্লাসে এসে ফেসবুক ওপেন করে বসে থাকেন।" ব্যপারটা সত্যি চমকপ্রদ।
আমাদের (যেকোন) ইন্জিনিয়ারিং পড়াশুনোার মান স্কুল ফাইভ লেভেলের। নিজেদের জন্য কোন কিছু তৈরী করার যোগ্যতা আমাদের নেই। সমস্ত কিছু আমাদের বাইরের কোন দেশ থেকে বানিয়ে বা কিনে আনতে হয়। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলে পড়াশুনার দরকার কি?
অনেকে ভিন্ন মত দিবেন। আমাদের দেশের ছেলেপুলেরা আন্তর্জাতিক মানের কাজ করে (যেমন: সফট্ওয়্যার আউটসোর্সিং)। কিন্তু লাভ কি? বাইরের দেশের কাজ করে যে বৈদেশিক মুদ্রা আসে সেটা এক একটি "এসএমএনএএস (সোস্যাল মিডিয়া নেটওয়্যার্ক এনালাইসিস সিসটেম)" কিনতেই খরচ হয়ে যায়। কোন্ দেশের ফাইনেন্স সিসটেম (উদাহরন: ব্যাংকিং) আরেক দেশের সফট্ও্য়্যার দিয়ে চলে - দেখাতে পারবেন? (দয়া করে ভারত উপমহাদেশের কোন উদাহরন টানবেন না। ভিক্ষার ঝুলি; এই ভারত উপমহাদেশেই প্রচলিত।)
আমি জানি, এই ব্লগে অনেক ওয়াচার আছেন। যদি তাদের চোখে পড়ে পোষ্টটা। এবং তাদের উত্তর কি তাও বলছি। বলবেন, "হাত-পা বাধা"। তাহলে আরেক দেশের দেয়া দয়ার উপরই সারা জীবন কাটিয়ে দেবার প্রস্তুতি ছিল আপনার অনেক আগে থেকেই। তাহলে এটাই বলতে পারি, আমাদের ইন্জিনিয়ারিং পড়ার মান আরেক দেশ থেকে দয়া চাইতে পারার মানের।
কেউ যদি এই কমেন্ট করার জন্য আসেন যে, "ভাই আপনে কি করতেছেন?"; তাহলে বলব, আমি অন্তত সত্য উপলব্ধি করেছি।
স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক আমি। আমি গর্বিত। কিন্তু বিদেশিরা যখন "বাংগাল" বলে সম্বোধন (আসলে "তুচ্ছ") করে তখন শরিরের চামড়া ভেদ করে কলিজায় লাগে।
অনেক কষ্ট থেকে পোষ্ট টি লিখলাম। দেখি, যদি পাঠকদেরও ছুয়ে যায়।
[এডিট: শুনেছি "শেখ হাসিনা" - নামটি নাকি অনেক শক্তিধর। বর্তমান এসএমএনএএস এর অন্যতম প্রধান কাজ নামটি সেন্স করা। তো, আমার ধরে দুইটি মাথা। তাই নামটি নিয়ে নিলাম। দেখি, যদি পোষ্টটি তাঁর কান পর্যন্ত পৌছাতে পারি।]
১১ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৩২
গ্রীনলাভার বলেছেন: "বাইরের দেশের ছুটা কাজ"; আরও সুন্দর করে বললে "অড জব" - এই শব্দগুলো আমাদের উপমহাদেশীয় ইনভেনশন। বাইরের দেশে অড জব বা ছুটা কাজ বলে কিছু নেই। পিউন বা দপ্তরি বলে কিছু নেই। ডাক্তার, প্রফেসর সবাই নিজের হাতে নিজের চা-কফি বানিয়ে খায়; এটা খুবই ছোট্ট উদাহরন। কিন্তু এই ছোট ছোট গুনাবলী গুলো এক করেই এরা উন্নত। শ্রদ্ধেয়।
ইউরোপে ছিনতাইকারী নেই। "ছুটা কাজ/অড জব" - এর এভেইলেবেলিটির জন্যই এটা করা সম্ভব হয়েছে। সময়ের দাম টাকা দিয়ে হিসেব করা সম্ভব এখানে।
২| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩
সুমন কর বলেছেন: অনেক দিন পর ব্লগে দেখলাম। কেমন আছেন?
ভালো লিখেছেন।
১১ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫
গ্রীনলাভার বলেছেন: বলার বলা - ভালো আছি। এরকম ঘৃনিত এক জাতিতে পরিনত হয়েছি ভাবলে ভাল লাগে না।
৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৩৬
বিপ্লব06 বলেছেন: "ছুটা কাজ" শব্দটা আপনার "বাংলার বাঘ; ইউরোপের ছাগল।" পোস্ট থেকে নেওয়া। কমেন্ট করার আগে আপনার লেখা কয়েকটা পোস্ট পরছিলাম কিনা।
আমার কমেন্টের মুল ফোকাসটা আপনারে বুঝাইতে পারি নাই মনে হইতেছে। মনে করছিলাম "আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা দেশীয় প্রোডাক্ট বানায় না ক্যারে?" এইটার ব্যাপারে আপনার মতামত দিবেন।
ভালো থাকবেন।
১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৩১
গ্রীনলাভার বলেছেন: আপনার কমেন্ট বুঝতে ভুল করেছিলাম।
ভিক্ষার ঝুলি বন্ধ হয়ে যাবে এজন্যে।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:২৪
বিপ্লব06 বলেছেন: বাইরের দেশের ছুটা কাজ না কইরা আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা দেশীয় প্রোডাক্ট বানায় না ক্যারে? বিদেশি ভাইবার টাইবার ইউজ না কইরা দেশীয় ভালো মানের জিনিস বানাই দিলে লকজন ইউজ করবে না ক্যারে?
আমাদের আরও কিছুদিন সময় লাগবে ইন্ডিয়ার লেভেলে যাইতে। বহুত পিছায়ে আছি।
পোস্ট ভালো লাগছে। ভালো থাকবেন।