![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
......সত্তর পঁচাত্তর বছরের বয়স্ক লোকটির পেছনে ঠেকিয়ে দিয়ে কালো রঙের বালসার নামক বাহারি মোটর সাইকেলে বসে একের পর এক হর্ন বাজিয়ে যাচ্ছে ছেলেটি- মুখে তার জ্বলন্ত সিগারেট।
হর্নের পোঁ পোঁ শব্দে প্রকম্পিত হতে লাগল চারদিক।
সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ভদ্রলোক ঘাড় ফিরিয়ে পেছনে তাকালেন। ...তাপর আলতো পায়ে এগিয়ে এসে 'ঠাস' করে বাঁ হাতে ছেলেটির কানে-গালে কইষে এক চড় বসিয়ে দিলেন।
চড়ের গতি সামলাতে না পেরে বালসারসমেত কাত হয়ে পড়ল ছেলেটি। জ্বলন্ত সিগারেট মুখ থেকে ছিটকে চার পাঁচ হাত দূরে গিয়ে পড়ল।
বাহারি মোটর সাইকেলখানা কাদা-পানি মেখে একাকার-
ভদ্রলোক নিজেই আবার ছেলেটিকে টেনে তুললেন। যত্নসহকারে তার গায়ে লেগে থাকা কাদা-পানি ঝেড়ে দিতে লাগলেন।
ছেলেটি হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইল।
প্রশ্ন হচ্ছে, চড়টা কি ভদ্রলোক শুধু ঐ ছেলেটিকেই মারলেন?
উত্তর: না। চড় তিনি শুধু মোটর সাইকেল আরোহি ঐ ছেলেকেই মারেন নি, চড় মেরেছেন পুরো "বখে-যাওয়া" যুব সমাজকে।
.......... পরে যাওয়ার পর কাদা-পানির ভেতর থেকে ভদ্রলোক শুধু কি ঐ ছেলেটিকেই টেনে তুললেন?
উত্তর: না। ভদ্রলোক টেনে তুললেন কাদা-পানিতে ডুবে থাকা একটি "পতিত" যুব সমাজকে।
...একটা সময় ছিল যখন, ময়-মুরব্বিদের দেখলে সাইকেল থেকে নেমে সালাম দিয়ে রাস্তার একপাশ ধরে মাথা নিচু করে পথ চলতাম আমরা।
পিছনে ঠেকিয়ে দিয়ে পোঁ পোঁ, থুক্কু ক্রিং ক্রিং বেল বাজানো তো বহু দূরের কথা!
মাত্র ১৬/১৭ বছর আগের সেই সব কথা আজ হয়তো রূপকথার গল্পের মতোই শুনাবে।..........
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৪
হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: হুম তাই......
২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২২
মোঃ মোশাররফ হোসাইন বলেছেন: কলার উল্টে পালসার চালানো এই যুব সমাজকে তাদের মা বাবা কি বলেন আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে। ধন্যবাদ বিষয়টা নজরে আনার জন্য।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৫
হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: ধন্যবাদ মোশাররফ ভাই।
৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১২
কালীদাস বলেছেন: লেখাটা ভাল হৈছে।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৫
হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: ধন্যবাদ.....
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯
মহিদুল বেস্ট বলেছেন: আসলেই তাই