![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
নটরডেমে পড়ার সময় প্রথম গল্প লেখলাম "স্বপ্নের সমাপ্তি"
বাংলার শিক্ষক ফাদার বকুল, অমল এঞ্জেল রোজারিও , ইংরেজির সুশিল স্যার, পরিসংখ্যানের ফিলিপ রোজারিও, খামোশ স্যার বাহবা দিয়ে বললেন, " চালিয়ে যাও, তোমাকে দিয়ে হবে।"
ইংরেজির সুশিল স্যার একটু আগ বাড়িয়ে বললেন, "বাংলার পাশাপাশি মাঝেমধ্যে একটু-আধটু ইংরেজি-টিংরেজিও লেখার চেষ্টা করো"
বন্ধুরা জোর দিয়ে বলে, "দোস্ত তুই কিন্তু কোনোদিন লেখা-লেখি ছাড়বি না।"
আমি আশায় বুক বাঁধি। আবেগে চোখে জল চলে আসে।
ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হবার পর ফিচার প্রতিবেদক হিসেবে "ইত্তেফাকে" কাজ শুরু করলাম। সিদ্ধান্ত নিলাম, জীবনে যদি কিছু করতেই হয়, সাংবাদিকতাই করবো।
আব্বা গতিবিধি লক্ষ্য করে জনে জনে বলে বেড়াতে লাগলেন, "আমার পোলা গেছে, সে কান্ধে ভিক্ষার ঝোলা ঝুলাইয়া এইদিক সেইদিক ঘুইড়া বেড়ায়। ভাব ধরছে, ভাব।"
মাস্টার্সে পড়ার সময় একদিন ডাকলেনে আমায়। আমি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছি।
আব্বা হুঙ্কার ছাড়লেন- "তুই না-কি সন্যাসি হইছস? রাস্তায় রাস্তায় ঘুইড়া বেড়াস?"
আমি মাথা নিচু করে রইলাম।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আব্বার অজান্তে ৪ খান উপন্যাস প্রকাশিত হয় আমার।
একদিন আব্বা জানতে পাড়লেন- গোপনে গোপনে আমি এইসব আকাম কইরা বেড়াই!
সেদিন যা ঘটেছিল, তা মনে পড়লে এখনো নিজের অজান্তে দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে আসে- দু'চোখ জলে ভরে উঠে।
....................
সাংবাদিক হওয়া হলো না আমার। ইত্তেফাক-এ পাঁচ বছর কাজ করা এবং জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউট থেকে 'মিডিয়া মেনেজম্যান্ট' ও 'টিভি রিপোর্টিং' এর উপর করা দুই দুইটা ট্রেনিং- সবই বৃথা গেল।
.............
আব্বার পছন্দ মতো আপাদমস্তক ব্যবসায়ী বনে গেলাম আমি। হলাম সংসারীও....
নাহ্ কোনো আফসোস নেই আমার। নেই কোনো দুঃখও.........
আব্বার মুখে হাসি ফুটুক, আমাকে নিয়ে তাঁর সমস্ত দুশ্চিন্তা দূর হওক........সন্তান হিসেবে এটাই আমার একমাত্র চাওয়া হওয়া উচিত নয় কি?
২০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:০০
হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: হুম এই তো ভালো আছি.......
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:২৫
পথহারা নাবিক বলেছেন: আমারও অনেক আশা ছিলো!! হয়নি তবু মনে মনে বলি এইতো ভালো আছি!!