নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
সকাল থেকেই শ্রাবণের টিপটিপ বৃষ্টি। শরীরের প্রায় একচতুর্থাংশ ভিজে গেছে লতিফার।
অনেকটা দৌড়ানোর মতোই করেই হাঁটছে লতিফা। অফিসের সময় বেশি বাকি নাই। যে করেই হোক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অফিসে পৌঁছতে হবে তাকে।
ভেজা ওড়নাটা আরেকবার ঠিকঠাক করে নেয় সে।
নগরের বুকে বিষ-ফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বিজিএমই ভবনের সামনে আসতেই বিপরীত দিক হতে আসা একজনের গায়ে ধাক্কা লেগে হাত ফসকে খাবারের বাটিটা ছিটকে পড়ে লতিফার। ডাল-মাখানো ভাত আর আলুভর্তার ছোট্ট গোল্লাটা কাদা-পানির সাথে মিশে গেল মুহূর্তে।
লতিফার চোখে জল নেমে এলো।
আজ দুপুরটা না-খেয়েই থাকতে হবে তাকে।
নুয়ে খালি বাটিটা তুলল সে। ভাত আর ভর্তার গোল্লাটার জন্য ভীষণ মায়া হতে লাগলো তার।
সোজা হয়ে দাঁড়াতেই বিশেষ ভবনটির দিকে দৃষ্টি যায় লতিফার। মাস কতেক আগে অন্যান্যদের সাথে বকেয়া বেতনের দাবিতে এখানে এসেছিল সে।
সেদিন পুলিশ কি পেটানোটাই না পেটালো তাদের। পুলিশের সেই লাঠির আঘাতের কথা মনে পড়তেই দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে লতিফা। দু'চোখ ছাপিয়ে আবারও জল আসে তার।
শ্রাবণের বৃষ্টি-জলের সাথে লতিফার অশ্রুধারা মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়......
©somewhere in net ltd.