![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
সেদিন বৃষ্টি ছিল। ঝুম বৃষ্টি। আকাশে মেঘের গর্জন ছিল। একটা মাঝ-বয়সি সুপারি গাছ শিকড় থেকে আলগা হয়ে মেইন লাইনের তারের উপর হেলান দিয়ে পড়ে ছিল। দলাপাকানো ভারী আাঁধারে চারদিক ঢেকে ছিল।
সেই গাঢ় অন্ধকারের বুক ছিড়ে ছিড়ে কেউ একজন হাঁটছিল। একবুক আশা নিয়ে হাঁটছিল কেউ একজন।
অজানা আশঙ্কায় বুকটা দুরু দুরু কাঁপছিল। চুপচুপে ভেজা শরীর নিয়ে কাদা-মাটির উপরর দ্রুত পা ফেলে ফেলে হাঁটছিল কেউ একজন।
বৃষ্টি থামছিল না কিছুতেই। থামছিল না আকাশে মেঘের গুড়ুম গুড়ুম গর্জনও। বাঁশঝাড়ের বাঁশগুলো একে অপরের উপর আচড়ে পড়ছিল। কড়ই আর রেন্ডি গাছের ভাঙ্গা ডালপালাগুলো এলেমেলোভাবে পড়েছিল। কাছের কোনো বাড়ি থেকেই ভেসে আসছিল মরা-কান্না। এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে এই ঝড় আর ঝুম বৃষ্টির রাতে বিদায় নিয়েছিল হয়তো কেউ একজন।
পোড়া চোখ দুটো দিয়ে অনবরত জল গড়িয়ে পড়ছিল। বানের জলের মতো ধেয়ে আসা নোনা-জল বৃষ্টিজলের সাথে মিলে মিশে একাকার।
কিছু একটা বিধে ডান পা-টা রক্তাক্ত হয়েছিল। হাঁটু দুটো ক্রমশ অবশ হয়ে আশছিল। তবুও আশা ছাড়ে নি কেউ একজন। সেই ঝড়ের রাতে, সেই ঝুম বৃষ্টির রাতে, জমাটবাধা গাঢ় অন্ধকারের বুক ছিড়ে ছিড়ে সবকিছু ধুমড়ে মুচড়ে ছুটে চলে ছিল কেউ একজন। শেষ বারের মতো পোড়া চোখ দুটো দিয়ে তার মায়াভরা মুখখানা দেখতে চেয়েছিল কেউ একজন।
মেহেদীরাঙা হাতখানা শুধু একবার ছুঁয়ে দেখতে চেয়েছিল কেউ একজন.........।
©somewhere in net ltd.