নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাবিবুর রহমান জুয়েল

হাবিবুর রহমান জুয়েল

জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....

হাবিবুর রহমান জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

নেপথ্য কণ্ঠে বাজতে লাগলো, "হাওয়া মে উড়তা হে...তেরা লাল দো পাট্টা...."

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৫

সারাদিনের ক্লান্ত দেহ নিয়ে চেয়ারে হেলান দিতেই চোখ দুটো বুজে এলো। চোখের পাতা এক হতেই দেখি রুমের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলেন বাকের ভাই। আঙ্গুলে প্যাচানো চেইন ঘুরাতে ঘুরাতে একেবারে আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন মুখ ভর্তি দাঁড়ি আর সৌম্য চেহারার মানুষটি।

"কী করছিস?" কড়া গলার বাকের ভাই'র।
"জ্বি ঘুমাচ্ছি। বড় ক্লান্তি লাগছে।"
ঠাস্ করে গালের মধ্যে চড় কষে বললেন, "কেন ঘুমাচ্ছিস?"
"জ্বি ঘুম পাচ্ছে, তাই ঘুমাচ্ছি। সারাদিন অনেক দৌড়ঝাঁপ গেছে।"
"ঘুম থেকে তাড়া তাড়ি ওঠ।"

এমন সময় মাথার পেছন দিক থেকে বদির কণ্ঠ ভেসে এলো। বদি যে আচমকা কোথা থেকে এসে ঘাপটি মেরে বসে আছে বুঝতে পারলাম না।

"ঐ ব্যাটা ওঠ, বাকের ভাই ওঠতে বলছে তারপরও ঘুমাস? তোরে চ্যাংদোলা কইরা পুরা অফিস ঘুরানো হইবো।" বলেই বাকের ভাইর মুখের দিকে তাকালো বদি।

"বাকের ভাই আপনে হুকুম দেন শালারে চ্যাংদোলা কইরা পুরা অফিস ঘুরাই।"

"না থাক আজ একটা শুভ দিন। মাপ কইরা দে।"

বাকের ভাই হুমায়ূন আহমেদ স্যারের একটা বাঁধানো ছবি হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন "নে এইটা তোর পেছনের দেয়ালে টানা।"

বদি ধমক দিয়ে বলল, "কি ব্যাপার চাইয়া রইছস ক্যান? তাড়াতাড়ি টানা।"

বাকের ভাই পিঠ চাপড়ে বললেন-

"ওঠ কেক কাটবো।"
"কেক?"
"হুম, স্যরের জন্মদিনের কেক। মিস্টার বেকার থেইকা আনছি। আয় সবাই মিইলা কাটি।"

মোনা একগাদা রঙিন মোমবাতি হাতে নিয়ে নরম পায়ে হেঁটে হেঁটে ভেতরে আসলো। খুব আদরমাখা কণ্ঠে বলল, " কাউকে একটা ম্যাচ আনতে বলতো। ম্যাচ আনতে ভুলে গেছি।"

বদি বলল, "গান ছাড়"
"কোন গান?"
"আরে ব্যাটা কোন গান ছাড়বি জানস না?"
"জ্বি?"
"হাওয়া মে উড়তা হে......গানটা ছাড়।"
"এই গান কই পামু? আমার কাছে তো নাই।"
"ছাড়তে কইছি ছাড়। ইন্টারনেট থেইকা ডাউনলোড দে।"

নেপথ্য কণ্ঠে বাজতে লাগলো, "হাওয়া মে উড়তা হে...তেরা লাল দো পাট্টা...."

"নক্ষত্রের রাত" এর রঞ্জু, মনীষা, পরী, আর মবিনও দেখি চলে এসেছে।

এত্ত মানুষ কই জায়গা দেই! ছোট্ট অফিসে..।

"আজ রবি বার" এর বড় চাচাও দেখি একটা কাশি দিয়ে ভিতরে ঢুকলেন।

আসলেন "বহুব্রীহি"র ডাক্তার সাবও। আজ আর তার লাজুক ভঙ্গি নেই। খুব প্রাণবন্ত দেখাচ্ছে তাকে।

পিয়ন দিয়ে দোকান থেকে একটা ম্যাচ আনিয়ে মোনার হাতে দিলাম। সে একে একে রঙিন মোমবাতিগুলোর মাথায় আগুন জ্বালিয়ে দিলো।

সবাই গোল হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। বড় চাচা কেকের সাথে দেয়া প্লাস্টিকের ছুরিটা নিয়ে কেকের ভেতর চালিয়ে দিলেন।

হাত তালিতে মুখরিত হয়ে গেল পুরো ড্রইং রুম।

"হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ......হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ, হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ............

শুভ জন্মদিন স্যার।

যারা যারা স্যারের জন্মদিনের কেক খেতে চান, দেরি না করে আমার ঘুম ভাঙার আগে এক্ষুণি চলে আসুন..........।







মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪

আমিনুর রহমান বলেছেন:



সুন্দর হয়েছে +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.