![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
গর্তের গভীরতা কতটুকু?
৩০০ ফুট? ৪০০ ফুট? ৬০০ ফুট? ৭০০ ফুট? না-কি ২৪০ ফুট?
গর্তের মাপ কতো?
১২ ইঞ্চি? ১৪ ইঞ্চি? না-কি ১৭ ইঞ্চি?
গর্তের ভেতরে কি পানি আছে? না-কি নাই?
বাচ্চাটির নাম কি?
জেয়াদ? জিয়া? না-কি জেহাদ?
জুস পানি কি দেয়া হয়েছিল? বাচ্চাটি কি তা খেয়েছিল?
রশি কি ফেলা হয়েছিল? বাচ্চাটি কি সেটি ধরে ওঠতে চেষ্টা করেছিল?
যে অতি অতি শক্তিশালী ক্যামেরা ভেতরে ঢুকানো হলো সেটি কতো ফুট নিচে গিয়েছিল ৭০০? ৬০০? ৩০০? নাকি-২৪০??
নিচে যে বস্তুগুলো দেখা যাচ্ছিল, সেগুলো কি?
কক শীট?, প্লাস্টিকের বস্তা? নাকি পাথর?
....রাত আটটা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত টিভির পর্দা থেকে চোখ সরেনি আমার। একবারের জন্য ওঠে রাতের খাবারও খেতে যাইনি।
ভোর ৬টা নাগাদ উপরি উক্ত প্রশ্নগুলোর একটিরও সঠিক জবাব মেলেনি। শুধু তীর্থের কাকের মতো চেয়ে ছিলাম টিভির পর্দায়।
দেখলাম, একটি "ক্যাচার" বানিয়ে আনা হয়েছে সেটির মাপ পাইপের মাপের চেয়ে বেশি। ভেতরে প্রবেশ করানো
যাচ্ছে না।
আমি বার বার আমার ছেলের মুখের দিকে তাকাচ্ছিলাম। চোখ ফেঁটে কান্না আসছিল।
আমার কেন যেন একবারের জন্য হলেও মনে হয়নি শিশুটি গর্তের ভেতর নেই। কেবলই মনে হচ্ছিল, ঐ সাদা বস্তুটির নিচেই আছে শিশুটি। ওটি সরাতে সক্ষম হলেই হাত তুলে বলবে,
"মা বাঁচাও, আব্বু বাঁচাও"
সেই চিত্রটি দেখার অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম।
ফায়ার সার্ভিস যখন সবকার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করলো। তখনও আশা ছাড়ি নি। আমার মন শতভাগ নিশ্চিত ভাবে বলছিল, শিশুটিকে দেখতে পাবো আমি।
হুম শিশুটিকে দুপুর তিনটার দিকে দেখতে পেলাম আমি।
আফসোস...। শুধুই আফসোস...।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী একবার বললেন, "ওখানে টিকটিকি ও তেলাপোক জীবিত রয়েছে- কোনো মানব সন্তান থাকলে সেও জীবিত থাকতো।
কথা সত্য.... টিকটিকি তেলাপোকা বেঁচে থাকলে মানব শিশুও বেঁচে থাকবে। কেন না আপনার চোখে মানব শিশু তো এক রকম টিকটিকি তেলাপোকা বৈ অন্য কিছু নহে...।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, এন এস আইর এক কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিসের কর্মর্তা, ওয়াসার এমডিসহ সরকারের সব কর্তাব্যক্তিরাই বললেন, "এটা নিচক গুজব"
.....কথা সত্য স্যার, আমাদের মতো পাবলিক এই পৃথিবীতে যে বেঁচে আছি, সেটাই তো একটা গুজব!!!
আর উদ্ধারকারী সেই তিন ভাইকে লাখো সালাম।.... আমাদের ভালোবাসা ও দোয়া আপনাদের সাথে থাকবে সবসময়।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬
হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: হা হা হা...বলেছেন ঠিক
২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৮
ব্লগ ৪১৬ বলেছেন: মনে রাখতে হবে প্রযুক্তির সাহায্য নিতে হবে কিন্তু প্রযুক্তির উপর নির্ভর হওয়া যাবে না।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭
হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: যথার্থ
৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ....কথা সত্য স্যার, আমাদের মতো পাবলিক এই পৃথিবীতে যে বেঁচে আছি, সেটাই তো একটা গুজব!!!
আহ! কিকষ্টের নিদারুন নির্মম সত্য মাত্র ক'টা বাক্যে ফুটিয়ে তুললেন! শুধূ এই লাইনটার জন্যই লগিন করলাম, আবার।
বাকরুদ্ধ হয়ে আছি। !!!!!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৩
প্রািন্ত বলেছেন: ঐ তিন জনকে সহস্র লাল সালাম। আর ফায়ার সার্ভিসের জন্য খুর-কাঁচি বরাদ্দ করা হোক। যাতে তারা অলস না হয়, তারা খুর কাঁচি নিয়ে মানুষকে অন্ততঃ কামিয়ে দিতে পারে।