নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
আমার আব্বা ছিলেন আমার লেখালেখির ঘোর বিরোধী।
ছেলে লেখালেখি করে সন্যাসি হবে, বনে-বাদারে ঘুরে বেড়াবে এটা তাঁর বরাবরই অপছন্দ ছিল। নিজের জীবনে অভাব অনটন সহ্য করেছেন, অর্থ না থাকার জ্বালাটা তিনি বুঝেন। তাই ছেলে সেই জ্বালাটা অনুভব করুক সেটি তিনি চান নি।
তবুও প্রথম যখন আমার লেখা বের হলো- আব্বা পকেটের টাকা দিয়ে বই কিনে তাঁর পরিচিতজনদের দিয়ে বলেছিলেন- আমার ছেলের লেখা। দেখুন, আমার ছেলের লেখা!!
....বাইশ তেইশ বছর আগে আব্বার পুরনো ট্রাংক এর ভেতর ঘাটতে গিয়ে একদিন একটা ডায়েরি খুঁজে পেলাম আমি, সেই ডায়েরির কয়েকটি পাতায় নিজের মতো করে কিছু একটা লিখেছিলেন তিনি।... পরে জানতে পারলাম, লেখালেখির সুপ্ত বাসানা আব্বার ভেতরও ছিল কোনো একমসয়। কিন্তু অভাব তাঁর সেই সুপ্ত বাসানাকে জাগ্রত হতে দেয় নি..... ডায়েরি ট্রাংকের ভেতর তালাবদ্ধ করে অশ্ববেগে তিনি ধাবিত হয়েছেন ভাগ্যবদলের পেছনে....।
.....পড়াশুনা শেষ করার পর আব্বা তারাহুরো করে আমার ঘাড়ে ব্যবসা পরিচালনার গুরুদায়িত্ব চাপিয়ে দিলেন, যাতে লেখালেখির ভূত চিরতরে আমার মাথা থেকে দূর হয়ে যায়...।
ডাইনিং টেবিলে বসে ভাত মাখাতে মাখাতে একদিন আবেগঘন কণ্ঠে বলেছিলেন, "বাবারে, জীবন অনেক কঠিন। অর্থ ছাড়া জীবনের কোনো মূল্য নাই। ক্ষুধার জ্বালা অনেক কষ্টের। তুই ঐ লাইনে আর জাইস না।"
আব্বার কথা মতো ব্যবসার হাল ধরলাম। মনে প্রাণে চেয়েছিলাম, লেখালেখির ভূতটা চিরতরে ঘাড় থেকে নেমে যাক। একদম নেমে যাক।..
কিন্তু পরিতাপের বিষয়, কিছু কিছু ভূত ঘাড় থেকে নামেনা কোনও দিন.......
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৬
হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: না লেখাকে জীবিকা হিসেবে নেই নি, আত্মার তাগিদে লিখে যাই ভাই....
ব্যবসার মাধ্যমে আমার জীবিকা নির্বাহ হয়ে থাকে।
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৪
নিলু বলেছেন: অনেক টাকার মধ্যে শান্তি নেই , আবার টাকা ছাড়া চলেও না , জগত অবশ্যই কঠিন যায়গা , কার কখন কি হয় বলা মুশকিল , হাঁসি কান্নার দুনিয়া , পরতে পরতে সমস্যা , লিখে যান
৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাগ্যিস ভুত ঘাড় থেমে নামে নি!
নইলে আমরা একজন ব্লগারকে হারাতাম
আর এতকিছূ জানতেও পারমাত না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩
খেলাঘর বলেছেন:
আপনি কি লেখাকে জীবিকা হিসেবে নিয়েছেন, কেমন করছেন?