![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
....কেন জানি না সেই শ্যাম-বরণ কণ্যাটিকে অকারণেই মনে পড়ে মাঝে মাঝে। একেবারেই অকারণে....।
এস এস সি পরীক্ষারি ঠিক আগ মুহূর্তে নতুন ভাড়াটিয়া হিসেবে আমাদের বাড়িতে ওঠেছিল ওরা...।
দিন কতেক যেতেই যখন তখন কারণে অকারণে আমার রুমে এসে মেয়ে হাজির!
"ভাঁইয়া, এঁই অঙ্কটা বুঁঝি না, এঁকটু দেখবেন? ভাঁইয়া, এই প্যারাগ্রাফটা বুঁঝি না, একটু বুঁঝিয়ে দিন নাঁ।"
তো একদিন সন্ধ্যার পর খুব যত্নসহকারে ওকে কিছু একটা বুঝিয়ে দিচ্ছিলাম.....। আমি চেয়ারে বসা আর ও আমার পাশে দাঁড়ানো। মেয়ে আমার দিকে ঝুঁকতে ঝুঁকতে একেবারে কাঁধের ওপর পড়ি পড়ি ভাব। আমি তো ভেতর ভেতর বাকুম বাকুম করছি আর শিহরিত হচ্ছি। .....ওর শ্যাম্পু করা চুলের গন্ধ নিচ্ছি আর ভাবছি, আরেকটু... আরেকটু... আরেকটু, আর.........
আরেকটু আর হলো না। দূর থেকে ভবলীলা বাবার দৃষ্টিগোছর হয়েছে।
তিনি হুঙ্কার ছাড়লেন,- তোর রুমে কে রে এএএএএ...?
আমি কাঁপতে লাগলাম। আমার শিহরণ, কম্পনে রূপ নিল!
কম্পিত গলায় বললাম, "কেউ না আব্বা, কেউ না....।"
ঠক্ ঠক্ করে দুই হাঁটু কাঁপতে লাগলো।
বাবার গর্জন শুনে মেয়ে দরজা খুলে দৌড়।
বাবা সামনে এসে দাঁড়ালেন। তাঁর চোখ ঠিকরে আগ্নেয়গিরির লাভা বেরুচ্ছে।
সমস্ত বাড়ি কাঁপিয়ে "ঠাস" করে গালের মধ্যে মারলেন এক চড়। চোখ বুঝে রইলাম বহুক্ষণ।... বাবা চলে গেছেন বুঝতে পেরে আস্তে করে চোখ খুললাম।
চোখ খুলে দেখি, প্যান্ট বেয়ে নামা পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে চারদিক।...
কেউ দেখে ফেলার আগে বাথরুমের দিকে হাঁটতে লাগলাম.... বাথরুম থেকে কাপড় চেঞ্জ করে বের হয়ে মাড়ির দাঁত ঠিকঠাক আছে কি-না তা দেখার জন্য ডেন্টাল ক্লিনিকের দিকে গেলাম.....।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫৭
হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: হে হে হে.....
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:

আহা