![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
"সত্য বললে মায় মাইর খায়, আর মিথ্যা বললে বাপে হারাম খায়"
অনলাইনের এই জগতে আমাদের কারও কারও অবস্থাটা হয়েছে আসলে সেরূপ।
আমরা আছি উভয় সঙ্কটে।
কিছুদিন আগে একটি ছবি দেখেছিলাম। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার শিশুদের সাথে খেলা করছেন...। হাঁটুর নিচে জল থাকা একটি সুইমিংপুলে শিশুরা স্যারকে জল ছিটিয়ে দিচ্ছেন...। স্যারও হাসিমুখে তা উপভোগ করছেন। সেখানে একটি মেয়ে শিশুর সাথে ক্লোজ শর্টের ছবিটি দিয়ে ছবিদাতা অত্যন্ত আপত্তিকর এবং ঘৃণ্য একটি শিরোনাম করে তার ওয়ালে দেয়। ছবিটি দেখে দারুণভাবে আহত হই।
মানুষ কতোটা নিচে নামতে পারে..। কতোটা নিচে নামতে পারে মানুষের বিবেক বোধ। একজন মানুষের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য যেন এক প্রকার মুখিয়েই থাকি আমরা কেউ কেউ। ফেসবুকে সেই অসভ্যের ফলোয়ার সংখ্যা ছিল প্রায় ত্রিশ হাজার। একমুহূর্ত দেরি না করে সাথে সাথে লিস্ট থেকে বের করে দিলাম।
ঠিক একইভাবে "কবি" আলমাহমুদ ও তার পাশে ফুলের মালা গলায় দাঁড়ানো একটি মেয়ের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে কি অসভ্যতাটানাই করলাম আমরা। কোন রকম খোঁজ-খবর কিংবা যাচাই-বাছাই না করেই রটিয়ে দিলাম- আলমাহমুদ বিয়ে করেছেন। সাথে বিভিন্ন নোংরা ভাষার ছড়াছড়ি।
একবারও আমরা তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটির কথা ভাবি নি। যেমন করে ভাবিনি, জাফর ইকবাল স্যারের সাথে খেলতে থাকা সেই মেয়ে শিশুটির কথা! একবারও ভাবিনি সমাজে কী পরিণাম হতে পারে তাদের!
..একদিন তো এমনও হতে পারে যে, ঠিক এমনিভাবে আমাদের মা-বোন-স্ত্রীও অপমাণিত হতে পারে আমাদের মতোই কোনও না কোনও অসভ্য আর বর্বরের দ্বারা।
ভয়ে আছি, কবে না আমার সাথে তোলা কোন নারীভক্তের ছবি ছড়িয়ে দিয়ে বলা হয়, "দ্বিতীয় বারের মতো বিবাহ কর্ম সম্পাদন করিয়াছেন হাবিবুর রহমান জুয়েল।"
সাথে যদি ফটোশপে বানানো একখান হানিমুনের ছবিও সংযুক্ত করে দেওয়া হয়। তাইলে তো কাম সারছে মাশাল্লাহ!!
©somewhere in net ltd.