নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাবিবুর রহমান জুয়েল

হাবিবুর রহমান জুয়েল

জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....

হাবিবুর রহমান জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি তো এমন নন, কিংবা ছিলেন না কোন কালে....

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭

প্রিয় স্যার, প্রিয় আমজাদ স্যার,

পত্রের শুরুতে লক্ষ-কোটি সালাম নিবেন করছি। নিবেদন করছি, হৃদয় নিংরানো নিখাদ ভালোবাসা।... আশা করি কুশলেই আছেন। কুশলেই থাকুন চিরকাল, কায়মনে এটিই তো আমাদের একমাত্র চাওয়া আপনার জন্য।

প্রিয় স্যার, বৈশাখের দিন-কতেক আগে অপরাজেয় বাঙলার পাদদেশে আপনার সাথে দেখা হয়েছিল।.... আপনার সেই স্বভাব সুলভ গোঁফ-মাখানো হাসি নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন আমাদের কাছে।.... আপনার সেই জীবন্ত ঝকঝকে হাসি যেন পড়ন্ত বিকেলের নরম আলোর মতো ছড়িয়ে পড়ে ছিল পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে...। ...জানতে চেয়েছিলেন কোথায় আছি, কেমন আছি আমরা....। কেমন আছে আমাদের পরিবার পরিজন। কেমন কাটছে আমাদের দিনকাল...।

...কথার ফাঁকে আমার দুই সহপাঠি বন্ধু, আপনার প্রিয় দুই ছাত্রী খুব উৎসাহ ও উচ্ছ্বাস নিয়ে আপনার সাথে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছিলো সেদিন...। আমিই তুলে দিয়ে ছিলাম। আপনি শিশুদের মতো হাসি মুখ করে দাঁড়িয়ে ছিলেন ওদের পাশে...। মনে হয়েছিল, যেন কোন দেবদূত তার দুই কণ্যাকে পাশে রেখে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন আমার সামনে।

তারপর বলেছিলেন, "পয়লা বৈশাখের দাওয়াত রইলো তোমাদের, এসো কিন্তু.....।"

আমি যাই নি..। যাই না আজ অনেক বছর ধরেই....।

জানি না আপনার সেই প্রিয় ছাত্রী দুজন পয়লা বৈশাখে ক্যাম্পাসে গিয়েছিল কি-না....। তবে এ কথা জানি, আপনার শত শত ছাত্রীদের মাঝ থেকে অনেকেই সেদিন লাল-সাদা শাড়ি পড়ে বৈশাখী আনন্দ উদযাপনে তাদের প্রিয় ক্যাম্পাসে গিয়েছিল সেদিন ....।

প্রিয় স্যার, আপনি কি হলফ করে বলতে পারবেন, সেদিন যে ক'জন মেয়ে ঢাবির পবিত্র ভূমিতে লাঞ্ছিত হয়েছিল, তাদের মাঝে আপনার প্রিয় ছাত্রীদের কেউ একজন ছিল না?...... পারবেন বলতে??


....যদি না পারেন, তবে কেন কেউ একজন কাঁদতে কাঁদতে আপনাকে ফোন করে সাহায্য চাবার পরও আপনি এগিয়ে যান নি, কিংবা কোন পদক্ষেপ নেন নি সেদিন??

আপনি তো এমন নন, কিংবা ছিলেন না কোন কালে....।

শুনে আহত হয়েছি স্যার, আপনি না-কি বলেছিলেন, "আমি ওখানে যেয়ে কী করতে পারতাম!!" বলেছিলেন, আপনার কথা না-কি পুলিশ শুনছে না।..

প্রিয় স্যার, পুলিশ আপনার কথা শুনে কি শুনে না, সে কথা আর কারও জানা না থাকলেও আমার জানা রয়েছে অন্তত....। তাই কথাটা শুনে চাপা একটা দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে এসেছে বুকের গভীর থেকে...।

শুনে চোখের পাতা ভিজে এসেছে স্যার, মেয়েদের আর্তচিৎকারে যখন ক্যাম্পাসের আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠছে, আপনি না-কি তখন অফিসে বসে বেশ আয়েশ করে কম্পিউটারে দাবা খেলছেন.....।

সত্য-মিথ্যা জানি না স্যার....। শুধু এটুকু জানাতে চাই আপনাকে।

.... শুধু এটুকু জানাতে চাই যে,

আমাদের হৃদয় নিংরানো ভালোবাসা আপনার জন্য ছিল এবং থাকবে চিরদিন......।

ভালো থাকবেন স্যার। কুশলে থাকবেন চিরকাল....।

....






মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.