নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
সন্ধ্যার পর রাজধানীর কোন একটি ফুটপাত ধরে হাঁটছিলাম। ফুটপাতের কোলঘেষে গড়ে ওঠা খুপরি ঘরের পাশে চুলায় কিছু একটা রাঁধছেন একজন মা। তার কাঁধ ধরে অবিরাম কেঁদে চলছে বছর তিন-চারেকের একটি শিশু।
কাছে যেতেই শিশুটির মা আমার দিকে ফিরে তাকালেন। কিছুটা লজ্জিত ভঙ্গিতেই তাকালেন তিনি।
জানতে চাইলাম- কাঁদছে কেন ও?
"খাওনের লাইগা কানতেছে। সারাদিন কাম শেষে অহন আইসা রান্ধা বসাইছি। " জবাব দিলেন মা।
কাছে গিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে কিছু সময় তাকিয়ে রইলাম শিশুটির দিকে। তার কান্না থেমে গেছে। অবাক আর কৌতূহল মিশ্রিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে শিশুটি। বয়স তিন হলে আমার ছেলের বয়সি। আর চার হলে ওর চে' এক বছরের বড়।
"কী নাম রাখছেন ওর?"
"আলামিন।"
"বাহ বেশ সুন্দর নাম। ওর বাবা কী করে?"
"বাপ নাই। অরে পেটে থুইয়া ভাগছে।"
"কই ভাগছে?"
"জানি না। ভাগছে না-কি মইরা গেছে কইবার পারি না।"
কিছু সময় আলামিনের দিকে তাকিয়ে থেকে হাঁটতে লাগলাম। আলামিন আবার কাঁদতে শুরু করেছে। তার কান্নার শব্দ আমার কানে ভেসে আসছে। আগের চে' কিছুটা জোরে কাঁদছে সে।
মিনিট দশেক পর আবার ফিরে এলাম। দুই পিছ কেক এনে আলামিনের হাতে দিয়ে বললাম- নাও খাও।
কেকের টুকরো দুটো হাতে নিয়ে আলামিন ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। তারপর নেড়ে-চেড়ে দেখছে ভালো মতো।.......
আবার হাঁটতে শুরু করলাম আমি। আকাশের দিকে মুখ তুলে তাকালাম একবার। পেছন ফিরে দেখলাম, একটা কেকের টুকরো ভেঙ্গে মুখে দিয়েছে আলামিন .....
©somewhere in net ltd.