নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাবিবুর রহমান জুয়েল

হাবিবুর রহমান জুয়েল

জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....

হাবিবুর রহমান জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনে হয় কঠিন বড়-বাথরুম পাইছে! প্যান্ট নষ্ট কইরেন না, যান দৌড়ান ঐ যে ঐ দিকে...

১১ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬

"ভাইজান বের হবার গেটটা কোন দিকে বলতে পারবেন?"

কিছু সময় এদিক সেদিক তাকিয়ে বললাম, "উমম ঐ তো ঐ দিকটাই বোধ হয়।"

"থ্যাঙ্কু"

মিনিট দশেক পর ঘুরতে ঘুরতে সেই লোক আবার সামনে এসে পড়লো।

"ভাইজান বের হবার গেটটা কোন দিকে বলতে পারেন?"

"একটু আগে না আপনাকে দেখিয়ে দিলাম?"

"ওহ সরি, কিন্তু সেদিকে গিয়ে গেট খুঁজে পাই নাই। দেখলেন না ঘুরতে ঘুরতে আবার আপনার সামনেই এসে পড়লাম!"

"উমম ঐ যে 'এক্সিট' লেখা দেখছেন না ঐটাকে ফলো করেন।"

"থ্যাঙ্কু ভাই। এদের উচিত এটার ভেতর মিনিবাস সার্ভিস চালুকরা! পাবলিকের লগে যত্তসব ফাইজলামি!"

এমন সময় গ্রাম থেকে এক চাচা ফোন করলেন, "বাবাজি কেমন আছ?"

"জ্বি ভালো। আপনি কেমন আছেন চাচা?"

"আছি ভালো। তুমি কি বাসায়?"

"জ্বি না একটু যমুনায় আসছি আপনাদের বউ আর নতি নিয়া।"

"ভালো খুব ভালো করছো, মাঝে-মধ্যে খোলা বাতাসে বের হওয়া ভালো। যমুনার হাওয়া অনেক তরতাজ। তয় বাবাজি বৃষ্টি-বাদলার দিন ট্রলারে না-কি লঞ্চে গেছ?"

"জ্বি! চাচা এই যমুনা সেই যমুনা না।"

"হ ঠিকই কইছ, এই যমুনা আর সেই যমুনা নাই। অনেক ছোট হইয়া গেছে। আমগো আমলের যমুনা দেখলে দেখতা আসল যমুনার রূপ। তয় বাবাজি বউ নাতিরে নিয়া সাবধানে থাইকো। ঝড়তুফানের দিন!"

এমন সময় ছেলে কান্না শুরু করলো।

"বাবা পেশাব করবো। বাবা পেশাব করবো। আব্বু পেশাব করবো। আব্বু বাবা পেশাব করবো... পেশাব করবো..."

চাচা বললেন, "নাতির গলা মনে হয়। কান্দে ক্যান?"

"জ্বি পেশাব করবে। বাথরুমে নিয়ে যেতে হবে।"

"আরে বাচ্চা মানুষ বাথরুমে নিবা কি! চেইন খুইলা নদীর দিকে মুখ কইরা দাঁড়া করাইয়া দাও!"

"চাচা এই যমুনা সেই যমুনা না, এটা একটা মার্কেট যমুনা ফিউচার পার্ক!"

"অঅঅ..। আমি আরও ভাবছিলাম... ঠিক আছে তোমার আব্বারে সালাম দিও। রখি...।"

চাচা লাইন কাটার পর ছেলেকে কোলে নিয়ে ওয়াশ রুম খুঁজতে লাগলাম।

"বাই ওয়াশ রুমটা কোন দিকে বলতে পারেন?"

"ঐ তো ঐ দিকে"

"ধন্যবাদ।"

মিনিট সাতেক ঘুরেও ওয়াশ রুম খুঁজে পাওয়া গেল না।

"ভাই, ভাই এই যে ভাই, ভাই ওয়াশ রুমটা কোনদিকে একটু বলতে পারেন?"

"আপনি এত ঘামছেন কেন? মনে হয় কঠিন বড়-বাথরুম পাইছে! প্যান্ট নষ্ট কইরেন না, যান দৌড়ান ঐ যে ঐ দিকে...।"

"ধন্যবাদ ভাই, আমার না। ছেলে পেশাব করবে!"

ছেলে নতুন সুর ধরলো, "বাবা পায়খানা করবো। বাবা পায়খানা করবো। আব্বু বাবা পায়খানা করবো....পায়খানা করবো... পায়খানা করবোওওও..."

বউ বলল, "তাড়াতাড়ি করো। তুমি পোলারে কান্ধে নিয়া দৌড়াও। আমি পিছে পিছে আসছি।"

পোলারে কান্ধে নিতেই সে প্রাথমিক সংকেত স্বরূপ গরম পানি ছেড়ে পুরো জামা ভিজিয়ে দিলো।

"বাবা বাবা আব্বু আব্বু পায়খানা করবো। পায়খানা করবো...।"

চিৎকার করে কাঁদো কাঁদো গলায় বললাম, "বাপ তোর পায় ধরি, কান্ধের উপর ছাড়িস না। এই তো আইসা পড়ছি....এই তো....।"

অবশেষে বাথরুম খুঁজে পাওয়া গেল! দৌড়ে ভিতরে ঢুকলাম।

বাইরে বেড়িয়ে আসার পর ছেলের মা আমার শার্টের দিকে তাকিয়ে বলল, "অসুবিধা নাই। ছেলের পেশাবই তো। যাও বাতাস দেখে বসো শুকিয়ে যাবে!"

যমুনা কর্তৃপক্ষের উচিত প্রতি ফ্লোরে কয়েকটি টিম রাখা। যাদের কাজ হবে শুধু বের হবার গেট আর ওয়াশ রুম দেখিয়ে দেয়া......। আশা করি অচিরেই তারা এটি করবে.....

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮

রাবার বলেছেন: হা হা হা মজা পাইলাম অনেক

১১ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯

হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: ধন্যবাদ...

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

সুমন কর বলেছেন: চিৎকার করে কাঁদো কাঁদো গলায় বললাম, "বাপ তোর পায় ধরি, কান্ধের উপর ছাড়িস না। এই তো আইসা পড়ছি....এই তো....।"
- ,মজা পেলাম।

১২ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬

হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: ধন্যবাদ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.