নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন বাঙ্গালি। বাংলা আমার ভাষা, নিভৃত আবাস ও অহংকার। বিঃ দ্রঃ- ব্লগে ছন্দ নামে দ্বন্দ্ব নাই।

কবি হাফেজ আহমেদ

অসাধারণ মানুষগুলো সাধারণ হয়, অতিসাধারণ মানুষগুলো মানুষ হ্য়, মানুষ হতে হলে সাধারণ হতে হয়। হাফেজ আহমেদ

কবি হাফেজ আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রিফাত হত্যার ঘটনাটি কোনদিকে প্রবাহিত করা হচ্ছে?

২০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:০২

শুরুতেই বলছি, মিন্নির চরিত্র খারাপ, মিথ্যাবাদী এবং সে এখানে সাধু নয়। ঠিক আছে তার এসবের সুক্ষ্ম ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বিচার করা হোক।

কিন্তু, যারা দিনের আলোতে কুপিয়ে রিফাত শরিফকে হত্যা করেছে আর যেসব গডফাদারের ছত্রছায়ায় লালিত হয় নয়ন বন্ড ও ফরাজিদের ০০৭ নামের সন্ত্রাসী গ্রুপ, ওরা (শম্ভু বাবুরা) কী শুধুই সাধু?

এমপির পুত্র মানববন্ধনের মাধ্যমে সরাসরি কুপিয়ে হত্যাকারী রিফাত কিংবা রিশান ফরাজির বিচার চায়নি। সে শুধু মিন্নির বিচার চেয়ে মিন্নিকে ফাঁসাতে মানববন্ধনে নেমেছে। মিন্নি বারবার বলেছিল যে তার শ্বশুরের উপর, উপর মহলের চাপ রয়েছে বিধায় এতদিন পর শম্ভু বাহিনী উনাকে দিয়ে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। যেখানে আমরা এমপির পুত্রকে উপস্থিত দেখেছি। এমপি পুত্রের এত আয়োজনের পরেই মিন্নিকে গ্রেফতার করা হয়। অথচ, ১ নাম্বার সাক্ষী মানেই সবচেয়ে বিশ্বস্ত। এই মামলার এক নাম্বার এবং একমাত্র সাক্ষী ছিলো মিন্নি।

এমপির পুত্র মিঃ সুনাম দেবনাথ ফেইসবুক স্ট্যটাসে লিখেছেন রিফাত হত্যাকারীদের একজনকেও যেনো কোনো আইনজীবী আইনী-সহায়তা না প্রদান করে।
তার জের ধরেই মিন্নির পক্ষে কোনো আইনজীবী জীবন বাঁচানোর ভয়ে কোটে দাঁড়াননি।

পরিশেষে, মিন্নির পক্ষে আইনজীবীরা দাঁড়াবে শুনেই পাঁচ দিন রিমান্ডের যায়গায় মাত্র দু'দিনের মাথায় শুক্রবারে বন্ধের দিনে তাও বিকেল বেলায় মিন্নিকে কোর্টে উঠিয়ে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি নেয়া হয়েছে। এমনকি আদালতের সামনে কথা বলতে চেয়েছিলেন মিন্নী কিন্তু মুখ চেপে ধরলেন পুলিশ। ___ মিন্নির বাবা

বিষয়টি সন্দেহজনক।

মামলার প্রভাবশালী আসামী রিফাত বা রিশান ফরাজিকে বুলেট প্রুফ জেকেট পরিয়ে জামাই আদরে এরেস্ট করা হলো। অথচ, শুধু টোকাই নয়ন বন্ডকে সুপরিকল্পিতভাবে কথিত বন্ধুক যুদ্ধে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হলো।

অথচ নয়নকে জীবিত ধরে বিচারের আওতায় আনলেই সকল সত্য পানির মত পরিস্কার হয়ে যেত।

তবে কার ইশারায় এবং কাদেরকে বাঁচাতে সত্য ঘটনা ধাপাচার জন্য নয়নকে এভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যা করা হলো?

আবারও বলছি, নয়ন বেঁচে থাকলে বিচার কোনোভাবেই ভিন্নভাবে প্রবাহিত করা যেত না।
তবে কী বিচারকে ভিন্নভাবে প্রবাহিত করতেই এ নাটক?

এতেই প্রমাণিত হয় যে মামলার নেপথ্যের ঘটনাগুলো ধামাচাপা দিয়ে গডফাদারদের বাঁচানোর জন্যই সুপরিকল্পিতভাবে নেমেছে ওরা।

সুতরাং ওদের উপর আস্থা রাখা কিভাবে সম্ভব?

কারণ আমরা জানি, নুসরাতের ঘটনাকেও সর্বপ্রথম অন্যভাবে প্রভাহিত করার জন্য মাঠে নেমেছিলো অসি মোয়াজ্জেমসহ কিছু সংবাদ মাধ্যম।

বিঃ দ্রঃ নয়ন বন্ড এবং রিফাত শরিফের মাঝে বন্ধুত্ব ছিলো যেমন সত্য ঠিক মটর সাইকেল চোরাচালানীর ব্যবসায়ের দ্বন্দ্বের জের ধরে দু'জন দু'জনের শত্রুতে পরিনত হওয়াটাও সত্য।

মনে রাখতে হবে যে, মিন্নি মিথ্যাবাদী এবং চরিত্রহীন হলেও, সরাসরি কুপিয়ে হত্যাকারী নয়। ভুলে গেলে চলবেনা যে, এক নয়ন বন্ড মরে গেছে কিন্তু সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চোরাচালানি এবং মাদক সম্রাজ্যের পাপ মোছন না হলে অর্থাৎ শম্ভু বাবুদের বিচার না হলে দিনেদিনে ওদের ছত্রছায়ায় হাজারো নয়নের জন্মের মাধ্যমে অভিশাপ মুক্ত হবে না আমাদের প্রানের স্বদেশ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:২৯

আপেক্ষিক মানুষ বলেছেন: চোরাচালানীর ব্যবসায়ের দ্বন্দ্বের জের ধরে দুজন শত্রুতে পরিণত হয় কিন্তু একজনের বউ অন্যজন কিভাবে নিল?

২১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ২:০৮

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: Click This Link

১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১১

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন:  বলেছেন: নেওয়ার সময় নয়ন বন্ড কোথায় ছিলো? আর চারিত্রিক সমস্যার উপরতো সরাসরি হত্যার অপরাধ চাপিয়ে দেয়া যায় না।
এসবের সুক্ষ্ম তদন্ত হোক তাতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু যারা দিনের আলোর কুপিয়ে হত্যা করেছে আর যারা বন্ডদের মদদদাতা তাদেরকে সাধু বানাতে এবং তাঁদের করা মানববন্ধের জের ধরে ১ নাম্বার আসামি মিন্নিকে হত্যাকারী বানিয়ে দেয়া কতটুকু সমীচীন? মিন্নি অপরাধী, মিথ্যাবাদী কিন্তু সরাসরি হত্যাকারী নয়।

২| ২০ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: অবস্থা জট পাকিয়ে গেছে।

২১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ২:০২

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: হুম। নিদারুণ সংকট তৈরি করা হচ্ছে।

৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:০৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: হঠাৎ করে মিন্নির জন্য দরদ উতলে উঠার কিছু দেখি না। মিন্নির বডি ল্যাঙ্গুয়েজের কারণে তাকে সবাই সন্দেহ করছে। এখন বর্তমান খুন নিয়ে চিন্তা করেন। কে শেল্টার দিয়েছে, কে গ্রুপ বানিয়েছে এসব পরে ভাবা যাবে...

২১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ২:১০

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: Click This Link প্রথম আলো এই লিংকটি পড়ে নিতে পারেন।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১০

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: যারা দিনের আলোয় সরাসরি কুপিয়ে খুন করেছে তাঁরাইতো খুনী। প্রভাবশালীরা তাঁদেরকে বাঁচাতে মরিয়া আর সেই জের এবং ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে নাতো মিন্নী?

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.