নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফিউচার ইজ নট আওয়ার্স টু সি..

হাইজেনবার্গ ০৬

Nothing to Say

হাইজেনবার্গ ০৬ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি যদি প্রধানমন্ত্রী হইতাম, প্রথম যে পাচঁটা কাম করতাম !!!!!!! ;)

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৪




পোস্টের সাথে সহমত পোষন করলে আমার মন্ত্রীসভায় যোগদানের জন্য আবেদন করতে ভুল করবেন না =p~ মন্ত্রীদের বয়স পন্চাশের নিচে হতে হবে।এর চেয়ে বেশী বুড়ারা দৌড়ের উপ্রে থাকেন। সরকারী কাজে বয়স পন্চাশ হইলেই বাধ্যতামূলক অবসর। যাই হ্উক এগুলো পরে হবে, আগে আলাপে আসি =p~

আমার প্রথম কাজ , দেশে যাদের ব্যান্ক এ্যাকাউন্টে ১০০ কোটির টাকার উপরে জমা আছে তাদের নিয়া এক্টা টিম বা গ্রুপ বানাইতাম। ক্রিয়েটেড এ থরো ইনফরমেটিভ প্রোফাইল। সবটিরে চিনতাম আগে,জানতাম আগে, কেডায় কি করে, কার কি কাহিনী। ;) পরে ডাক দিয়া প্রেজেনট্টেসান দিতাম যে আমি কি কি করতে চাই, সরকারের আয় থেকে যদি কোন প্রজেক্টে বরাদ্দ কম হয় বা ডেফিসিট থাকে তা হলে তাদের সাপোর্ট লাগবে। এ জন্য আমার সরকার তাদের কোন বেনেফিট রিটার্ন করবে না। তারা সহযোগীতা করবে দেশ প্রেম থেকে। সবার আগে আমার কাজ হবে বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়া আর পাকিস্তানী এ্যাম্বাসি বন্ধ করে দেয়া। দেশের মেইন পবলেম এই দুই আচোদা দেশ। ভাই তোরা তোগো দেশে যা গা, দেখি আমরা তোদের ছাড়া কিছু করতে পারি কিনা। কি হবে তাতে? ইন্ডিয়ার লগে বানিজ্যে এক্টা ভেজাল হবে। এটা শুনতে ভাড়ি শুনায়, আসলে কিছুই হবে না। একাত্তরের আগে আমাদের এ অন্চলের বানিজ্য কিভাবে হতো? কোন দেশের সাথে বানিজ্য হতো বেশী? এখন ভরতের সাথে এতো বানিজ্য ঘাটতি কেনো? পাকিগো লগে বেশি বানিজ্য ঘাটতি না হলেও আন্তর্জাতিক কূটনিতীতে এক্টু ডিসকমফোর্ট থাকবে। যাও হউক শুরুতে এক্টু এডজাস্ট করে আস্তে আস্তে এ দুদেশ ছাড়া আমরা বাচঁতে অভ্যস্ত হয়া যাব। বিশ্বে বহু দেশ আছে, এর চেয়েও বেশী আইসোলেটেড হয়া আত্মসন্মান নিয়া বেঁচে আছে। আমরাও পারবো। এ দুই আচোদা দেশ ছাড়া আমাদের লাভ কি আর ক্ষতি কি? এর জন্য দেশের জিনিয়াস পোলাপান দিয়া এক্টা কমিসন গঠন করে রিপোর্ট দিতে বলতাম। সোশাল মিডিয়ায় আইসা আমি পিনাকির মতো চাপাবাজি কইরা দেশের আপামর জনগনরে বুঝাইতাম আমি কি করতে চাই। জনমত তৈরী করতাম। ডিসিসান মেকিংয়ে অর্থশালীদের সম্পৃক্ত করতাম।

দ্বিতীয় কাজ হইতো, দেশের নদীর পাড়ে যত সিমেন্ট ফ্যাক্টরী আছে সবটিরে বন্ধ ঘোষনা করতাম।যা মুড়ী খা। নো ইফ নো বাট, আগে বন্ধ পরে দেখা যাবে কি হয়। কত হাজার কোটি লস, কত হাজার চাকরী লস এগুলি পরে হিসেব করতাম কারন এসব ইকোনমিকাল লস রেগেইনাবল। কিন্তু পরিবেশটা যেভাবে সমাজে এ্যফেক্ট করতাছে, তা অপূরনীয়। এফ ডি আই চলে গেলে তা জিডিপি স্লো করবে,আমরা কৃষি নির্ভর প্রোজেক্ট নিতাম যা জিডিপির স্লো গ্রোথ কাভার করবে। =p~

তৃতীয় কাজ হইতো খাদ্যে ভেজাল রোধ করা । আহা দেশে খাদ্যে ভেজাল ভ্য়াবহ।কিলিং সাইলেন্টলি। আমার স্ট্যান্ড থাকতো জিরো টলার‌্যান্স। অপরাধী ধরা পড়লে ফায়ারিং স্কোয়াডে খাড়া করায়া কানের কাছে গুলি করা,যেন ভবিষ্যতে আর না করে, মাঝে মাঝে দুই চাইরটারে মাইরা ফালানো।টিভিতে লাইভ সম্প্রচার করা। ব্যাবসায়ীদের বোঝানো লাভ কম কর দেশের মানুষ সুস্থ রাখ। রাষ্ট্রের কাজ মুনাফা সর্বোচ্চ করা নয়, জীবন রক্ষা করা।

চতুর্থ কাজ হইতো শব্দ দূষন কমানো। ইহা নীরব ঘাতক। শব্দ দূষণ নিয়ে আমাদের কারো কোন বিকার নাই।হর্ন, মাইক, জেনারেটরের শব্দের কারণে মানুষের মেজাজ তিরিক্ষ হয়া থাকে,তারা নিজেরাও জানে না।আমি কঠোরভাবেন অপ্রয়োজনীয় হর্ন নিষিদ্ধ করতাম, আবাসিক এলাকায় মাইক ও উচ্চ শব্দে গান বন্ধ করতাম। শব্দ দূষণকে হেল্থ ক্রাইম হিসেবে আইন গঠন করতাম। শব্দ শুধু কানে লাগে না—এটা মানুষের মন, ঘুম, স্মৃতি আর ধৈর্য নষ্ট করে।

পন্চম কাজ হইতো ঢাকা থেকে লোকসংখা কমানো। অফিস আদালত, ডিসেন্ট্রালাইজ করে দিতাম মানে ঢাকার বাইরে স্থানান্তরিত করে দিতাম। যত নিম্ন আয়ের লোক আছে, বস্তিবাসী, ফুটপাট ব্যাবসায়ী, রিক্সা ভ্যান চালক, সবটিরে ডাটা বেইজে ঢুকায়া বাকি সব জেলায় প্রোপোর্শনেন্টলি রিলোকেট করতাম। কৃযি, মৎস বা ফার্মের ব্যাবস্তা করে দিতাম। প্রফিট ম্যাক্সিমাইজেসান না বরং ব্যালেন্ন্সিং প্রফিট টার্গেট নিতাম।

আমার ওভারল মিশন থাকবে দেশের সবাই যেন মিনিমালিজম এ অভ্যস্ত হয়, টার্গেট শান্তিতে স্বষ্তিতে থাকা। এতো খাই খাই না করা, এতো লোভ না করা, আমার এটা চাই আমার ঐটা চাই। তোর এ্যাকঊন্টে একশো কোটি টাকা কেনো?এক্টা ফ্যামিলি বাঁচতে কয় টেকা লাগে?

আমি ব্যার্থ হইলে পদত্যাগ করতাম। কোন আইন ভাংলে বিচারের মুখোমুখী হইতাম।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার জন্য শুভকামনা ।

২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫৩

অপু তানভীর বলেছেন: ৫টা কাজের একটা কাজও করতে পারতেন বলে মনে হয় না।
দ্বিতীয় আর তৃতীয় কাজটা করা সম্ভব যদি সত্যিই সরকারের আন্তরিকতা থাকে। তবে এতে অনেক বড় এবং শক্তিশালী গ্রুপকে অখুশি করতে হবে। চার নম্বর কাজটাও করা সম্ভব। ৫ নম্বর কাজ করতে গেলে যুদ্ধ বেঁধে যাবে দেশে।
এক নম্বর কাজ করার মত অর্থনৈতিক সক্ষমতা আমাদের নেই।

৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৪৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাংলাদেশের মূল সমস্যা হলো অতিরিক্ত জনসংখ্যা এবং পর্যাপ্ত/প্রয়োজনীয় দেশজ সম্পদের অভাব। অধিক জনসংখ্যাকে শক্তিতে রূপান্তরকরণ - সবচাইতে ফাঁপা বুলি এটা। কোনো কালেই বাংলাদেশে এটা সম্ভব হবে না।

বাংলাদেশে কোনো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই কোনোদিন সফল হতে পারেন নাই, আগামীতেও সফল হবার সম্ভাবনা কম। তবে, সাফল্য পাওয়ার জন্য তারা ভয়ানক হয়ে উঠতে পারেন, যা আমরা গত রেজিমে দেখেছি। কোনো ফেরেশতার পক্ষেও এ দেশের আইন শৃঙ্খলা দীর্ঘস্থায়ীভাবে স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। তার কারণও উপরে যা বলেছি, ও-দুটোই মনে হয়।

তো, আপনি যদি প্রধানমন্ত্রী হইয়া আপনার ৫টা কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারেন, আপনাকে সারাজীবনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বানাইয়া রাখবো। এমন দেশ শুধু স্বপ্নেই পাওয়া যায়, আপনি তো সেই স্বপ্নটাকেই বাস্তব বানাইয়া ফালাইবেন, আপনাকে আজীবন প্রধানমন্ত্রী না বানাইয়া উপায় আছে?


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.