বন্ধু ভয়ংকর.......

০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫৫

বন্ধু, শত্রু বাংলা ভাষায় দুটো শব্দ। শব্দের মানে সকলেই জানি। কিন্তু সম্ভবত সময় এসেছে নষ্ট ও দুর্ণীতির রাজনীতির কারনে শব্দ দুটোর নুতন মানে খোজার। আপনি যে সব সময় শত্রুর দ্বারাই ক্ষতিগ্রস্হ হবেন এমন কথা নেই, বন্ধুর দ্বারাও ভয়ংকরভাবে ক্ষতিগ্রস্হ হতে পারেন। বন্ধুর প্রয়োজনে আপনাকে জীবন বিলিয়ে দিতে হতে পারে, তবে শত্রুর হাতে নয়, বন্ধুর হাতেই, বন্ধুর প্রয়োজনে। বন্ধু বলে কথা। আবার বন্ধুই যে আপনার বন্ধু, তা নাও হতে পারে। আসুন গল্পটা শুরু করি।

সত্তর ও আশির দশকে রাজবাড়ীতে দুটো দলের খুব দাপট ছিল। জাসদ, তার গোপন সংগঠন গনবাহিনী, ছাত্রলীগ আর টিপু বিশ্বাষের দল গনফ্রন্ট, যার অংগ সংগঠন ছিল জাতীয় ছাত্র দল। দুটো দলের ক্রমাগত রেষারেষি চলছিল। এরা একটা মারেতো ওরা একটা ফেলে দেয়। চলছিল আধিপত্য বিস্তারের লড়াই, যার অন্যতম ছিল রাজবাড়ী কলেজ দখলে রাখা।

তো একদিন কলেজে পরীক্ষা চলছিল। স্যারেরা পরীক্ষার হল পাহারা দিচ্ছেন। জাসদের একটা ছেলে নকল করছিল লুকিয়ে লুকিয়ে। হঠাত কোন এক স্যারের নজরে পরে। তিনি দৌড়ে গিয়ে নকল ধরে ফেলেন আর ওই নকলবাজ জাসদ ছাত্রলীগের ছেলেটাকে সাথে সাথে হল ছেড়ে চলে যেতে বলেন। ছেলেটা রাগে গজগজ করতে করতে হল ছেড়ে চলে যান, তবে যাবার আগে প্রকাশ্যে স্যারকে শাষিয়ে যান। চোখ রাঙিয়ে স্যারকে বলেন, আপনাকে দেখে নেব!

ঘটনাটা হলের মধ্যে প্রতিপক্ষের জাতীয় ছাত্রদলের ছেলেরা খেয়াল করে। পরের দিন শোনা যায়, কে বা কারা ওই স্যারের বাড়ীতে গিয়ে রাতের অন্ধকারে প্রচন্ড মারধর করেছে, মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।
ফলাফল, পরদিন পুলিশ সোজা গিয়ে আগের দিন পরীক্ষার হলে স্যারকে সকলের সামনে থ্রেট করা জাসদের ছেলেটাকে গ্রেফতার করেন।
কিছুদিন পরে জানা যায় আসল ঘটনা। .............

সাবেক ইউএনও ফরহাদ রহমানের সেই বিখ্যাত উক্তি আবারও স্মরণ করি, 'কে পি কে এম ডি এ' !!!!! '................................সব কিছুই আসলে '...........ধুলায় অন্ধকার'!

০ টি +০/-০