![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাল মিথ্যা বা খারাপ সত্য বলে পৃথিবীতে কিছু নেই। হয় সেটা মিথ্যা, না হলে সত্য। ঠিক তেমনি ভাল বা খারাপ ইলেকশন বলেও কিছু নেই। হয় সেটা ইলেকশন না হলে ইলেকশন নয়। ইলেকশন মানে ইলেকশন। ইলেকশনের নামে যদি অন্য কিছু হয়ে থাকে তাহলে সেটাকে কোনভাবেই ইলেকশন বলার প্রশ্নই উঠে না। একটা উদাহরন দেই। ধরুন, একটা ইলেকশন চলাকালে কোন কেন্দ্রের ব্যালট আগেই ভরে রাখা হলো, কিংবা কিছু সংখ্যক লোক জোর করে ঢুকে ইচ্ছেমত সিল মারলো। তারপরও কেউ যদি গা'য়ের জোরে সেটাকে ইলেকশন বলে চালিয়ে দিতে চায়, সেটা আর যাই হোক সভ্য সমাজ মেনে নিতে পারে না।
একটা ঘটন বলি। একজন খুব নাম করা দইওয়ালা ছিল দেশে। একদিন সেই দই বিক্রেতা সারা রাত দুধ জ্বালিয়ে সকালে সেগুলো ক্যাথা কাপড় দিয়ে খুব করে ঢেকে রাখলো যাতে কিছুক্ষনের মধ্যে দইটা জমে যেতে পারে। ঘন্টা কয়েক পরে যখন ঐ ক্যাথা কাপড়গুলো সরিয়ে খুটিগুলো বাজারে নিয়ে যাবে বিক্রি করতে, দেখলো দই এর খুটিগুলোর মুখের উপর হলুদ হলুদ কি যেন পরে আছে। ভালো করে তাকিয়ে দেখে, যে কাপড়গুলো দিয়ে ঢাকা হয়েছিল সেগুলো তার ছোট্ট শিশুর হাগামুতার কাপর যেগুলো তার স্ত্রী ভোরের দিকে বিছানার একপাশে সরিয়ে রেখেছিল ওয়াশ করার জন্য।
দইওয়ালা সেই কাপড়গুলো দিয়েই দইয়ের বাটিগুলো ঢাকাতে বাচ্চা শিশুর রাতে পরিত্যাগ করা মলমুত্রগুলো দইয়ের উপর ভাসছিল। এত টাকার দুধ কিনে সারা রাত জেগে পরিশ্রম করে দই বানিয়েছেন দইওয়ালা, এখন তার মাথায় হাত। এগুলো ফেলে দিলে তার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। একটুক্ষণ ভেবে নিলেন। তারপর একটা বড় চামচ নিয়ে দইয়ের খুটিগুলোর মধ্যে এমন ভাবে ঘুটা দিলেন যাতে আর বোঝা না যায়। দই আর বর্জ্য মিলে মিশে একাকার। রঙও প্রায় এক। কেউ বুঝতে পারলো না।
তারপর সেই দই যাদেরকে খাওয়ানো হলো, তারা কি প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল জানি না, তবে একথা জোর দিয়ে বলতে পারি, আর যাই হোক ঐ ঘটনার পর দইওয়ালা যে খুটিগুলো বিক্রি করেছিলেন সেটা দইয়ের নামে বিক্রি করে দইয়ের দাম পেলেও সেটা আর যাই হোক 'দই' ছিল না।
সেটা ছিল দই আর মলমুত্রের সংমিশ্রনে অন্য একটা পদার্থ। তো পদার্থ খেয়ে বা পেয়ে যদি কেউ সেটাকে বলেন, দইটা একটু টক টক লাগলেও একেবারে মন্দ নয়! ভাল মিষ্টি দই না পেলেও এ্যাট লিষ্ট কিছু টক টক হলুদ হলুদ 'দই'তো খাওয়া গ্যাছে!
©somewhere in net ltd.