নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যখনই নিজের সম্পর্কে কিছু লিখতে বা বলতে বলা হয় তখন চুপ মেরে যাই আমি। আসলে আমি যেটা জানি বা বুঝি সেটা হল, আমি খুব সাধারণ। কেয়ে , পড়ে জীবন চলাই আমার কাজ। তবে ঘুড়তে ভালোবাসি অসম্ভব। নির্জন জায়গা আমার অত্যন্ত প্রিয়।

ওমর সাহিত্যিক

সো্বজ

ওমর সাহিত্যিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবার্ট ক্লাইভ ও বাঙালী

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১৩

"নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে যখন গ্রেফতার করে টেনে হিচঁড়ে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন অসংখ্য মানুষ হা করে নিরব দর্শকের মতো সেই দৃশ্য উপভোগ করেছিলো। শুধু তাই নয়, পিঠে ছুরিকাঘাত করার পূর্বে নবাবকে কাটাওয়ালা সিংহাসন ও ছেড়া জুতা দিয়ে যখন অপমান করা হচ্ছিলো, তখন শত শত মানুষ সেই কৌতুকে ব্যাপক বিনোদিত হয়েছিলো! মাস সাইকোলজিটা একটু খেয়াল করে দেখুন, এই জাতি দুইশো বছরের গোলামী সাদরে গ্রহণ করেছিলো ওভাবেই।
একটি মজার তথ্য দেই। লর্ড ক্লাইভ তার ব্যক্তিগত ডায়েরীতে লিখেছিল নবাব কে যখন ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল অপমান করতে করতে, তখন দাঁড়িয়ে থেকে যারা এসব প্রত্যক্ষ করেছিল তারা যদি একটি করেও ঢিল ছুড়ত তবে ক্লাইভ কে করুন পরাজয় বরন করতে হতো। আরো চমকপ্রদ তথ্য হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার অশ্বারোহী, ৩০ হাজার পদাতিক এবং অসংখ্য কামান-গোলাবারুদসহ বিশাল সুসজ্জিত সৈন্যবাহিনী নিয়েই পলাশীর ময়দানে এসেছিলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা। কিন্তু তার বিপরীতে রবার্ট ক্লাইভের সৈন্যসংখ্যা ছিলো মাত্র ৩ হাজার, যার মধ্যে ৯শ জনই ছিলো হাতে পায়ে ধরে নিয়ে আসা ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর শৌখিন অফিসিয়াল সদস্য যাদের অধিকাংশেরই তলোয়ার ধরার মতো সুপ্রশিক্ষণ ছিলো না, কোন দিন যুদ্ধ করেনি।
এতো কিছু জেনেও রবার্ট ক্লাইভ যুদ্ধে নেমেছিলো এবং জিতবে জেনেই নেমেছিলো। কারণ, রবার্ট ক্লাইভ খুব ভালো করেই জানতেন একটি হীনমন্য ব্যক্তিস্বার্থলোভী দ্বিধাগ্রস্ত জাতিকে পরাস্ত করতে খুব বেশি আয়োজনের প্রয়োজন নেই ; রক্ত-যুদ্ধ এইসব এদের জন্য মশা মারতে কামান দাগার মতো অবস্থা। যাদেরকে সামান্য দাবার চালেই মাত করে দেয়া যায়, তাদের জন্য হাজার হাজার সৈন্যের জীবনের ঝুকি তিনি কেনো নিবেন ? এছাড়াও, মীরজাফরকে যখন নবাবীর টোপ গেলানো হয়, রবার্ট ক্লাইভ তখনো জানতো যে, সিরাজকে পরাজিত করার পর এই বদমাশটিসহ বাকিগুলোর পাছায়ও লাথি দেয়া হবে এবং হয়েছেও তাই। মীরজাফর, উমিচাঁদ, রায়বল্লভ, ঘষেটি বেগম সহ সবগুলোরই করুণ মৃত্যু হয়েছিলো।
রবার্ট ক্লাইভ মীরজাফরের বেইমানীর উপর ভরসা করে যুদ্ধে আসেনি। সে যুদ্ধে এসেছিলো বাঙালীর মানসিকতা ও ভূত-ভবিষ্যতসহ বহুদূর পর্যন্ত নিখুঁতভাবে আন্দাজ করে। সে জানতো, মীরজাফরকে টোপ দিলে গিলবে এবং কাজ শেষ হলে লাথি দিবে। সে জানতো, যুদ্ধশেষে জনসম্মুখে নবাবের পাছায় লাথি দিলেও এই জাতি বিনোদনে দাঁত কেলাবে, অথবা হা করে সব চেয়ে চেয়ে দেখবে। বিনা দ্বিধায়ই সার্টিফিকেট দেয়া যায়, বাঙালী জাতির কদাকার মানসিকতা সবচেয়ে নিখুঁতভাবে মাপতে পারা ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তিটির নাম রবার্ট ক্লাইভ .
আসলে আমাদের রক্ত দূষিত, সমাজে ভাল লোকের সংখ্যাই বেশি ।
খারাপ মানুষ খুব অল্প, তারপরও আমরা পুরা জাতি এই গুটিকয়েক খারাপ মামুষের কাছে জিম্মি ।
কারন একটাই, আমাদের প্রতিবাদ করার মত সৎ সাহস নেই।"

(Courtesy Asad Reja)

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সব যুগেই এটা হয়। ১৯৭৫ সালেও বাংলাদেশে এমন দেখা গেছে।

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২১

রাকু হাসান বলেছেন: আমরা পরিবর্তন হয়নি .....একটি অজানা ইতিহাস জানলাম । শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ নিবেন..পোস্ট ++

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৬

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: এসব স্বভাব বাঙ্গালীর ইগুতে সেট হয়ে গিরা পড়ে গেছে-যেগুলো কখনও বুঝে উঠতে পারবেনা এরা।

৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০৩

তাওহিদ হিমু বলেছেন: "আসলে আমাদের রক্ত দূষিত" ঠিক বলেছেন। বাঙালির রক্ত ঠিক নেই। সে-তুলনায় দরিদ্র অশিক্ষিত আফগানরাও অনেক ভাল

৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫৪

কল্পদ্রুম বলেছেন: সাধারণ মানুষের কেন নবাবের প্রতি সহানুভূতি ছিলো না?নবাব কি বাঙ্গালি ছিলেন?জানার জন্যেই জিজ্ঞেস করছি।অন্যভাবে না নেওয়ার অনুরোধ রইলো।

৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১:২৪

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: সেই থেকে গোলামীর অভ্যাস আর গেল না।

৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: অন্য ভাষায় মন্তব্য করলাম। আশা করি রাগ করবেন না।

おはようございます!
今朝の根室は朝6時の気温17度ながら、昨夜から雨が降り続き終日雨予報!サッカー敗退の涙雨です。原口、乾のスーパーゴールもむなしく悪夢のような幕切れ3対2で敗戦。悔しい、悲しい、残念、サムライジャパンお疲れさまでした。夢を見せていただきました。ありがとうございました。
それでは今日も元気で行きましょう。

৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০০

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন।

৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২

ওমর সাহিত্যিক বলেছেন: অন্য ভাষারর মন্তব্যে কি লিখা আছে?

১০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২৭

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: নবাব সিরাজউদ্দৌলার আমলে সাধারণ মানুষ খুব সুখে ছিল না। একটা ভুল ধারণা প্রচলিত আছে যে নবাব প্রজা দরদী ছিলেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি পানাহার ও জলসা ঘরেই দীর্ঘ সময় কাটাতেন। খুব বদরাগী ছিলেন তিনি। রাজ্যকাজে তাঁর ঔদাসীন্যে বাংলার ব্যবসা বাণিজ্যের অবস্থা পড়তির দিকে ছিল। তাঁর আশেপাশে অসৎ লোকে ভরপুর ছিল। তাই সাধারণ মানুষের কোন ভালোবাসাই নবাবের জন্য ছিল না। কিন্তু তাই বলে নবাব বাংলাকে মোটেই বিকিয়ে দিতে চাননি। অনিবার্য যুদ্ধের সময় তিনি সত্যি দেশপ্রেমিক হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। বিচক্ষণতা আর দূরদর্শিতার অভাবে তিনি শত্রু-মিত্র চিনতে পারেননি। সাধারণ মানুষ কখনোই ক্ষমতার মারপ্যাঁচে যেতে চায় না। তারা তাদের জীবনমানের উন্নয়ন চায়। যেহেতু নবাবের রাজ্যে তারা ভালো ছিলেন না এবং নবাবের প্রতি তাদের ভালবাসাও ছিল না তাই ক্ষমতা কে দখল করলো এটা নিয়ে খুব বেশি মাথা ব্যাথা তাদের ছিল না। পাশাপাশি এটাই সত্যি অশিক্ষিত, ধর্মান্ধ এবং অদূরদর্শী বাঙ্গালী জাতির রাজনৈতিক ভালোমন্দ বোঝার ক্ষমতা তখন ছিলনা। তাই তারা হয়তো নতুন ক্ষমতায় ভালো কিছুই আশা করেছিল। রবার্ট ক্লাইভ বাঙ্গালীদের মানসিকতা যথার্থই বুঝেছিলেন এবং ঠিক সময়মত কাজেও লাগিয়েছিলেন। আর বাঙ্গালী জাতি সামন্ত প্রভুর শাসন-শোষণ থেকে সাম্রাজ্যবাদীদের শাসন-শোষণে প্রবেশ করে, কিন্তু তাদের ভাগ্যাকাশে সূর্য ওঠে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.