নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যখনই নিজের সম্পর্কে কিছু লিখতে বা বলতে বলা হয় তখন চুপ মেরে যাই আমি। আসলে আমি যেটা জানি বা বুঝি সেটা হল, আমি খুব সাধারণ। কেয়ে , পড়ে জীবন চলাই আমার কাজ। তবে ঘুড়তে ভালোবাসি অসম্ভব। নির্জন জায়গা আমার অত্যন্ত প্রিয়।

ওমর সাহিত্যিক

সো্বজ

ওমর সাহিত্যিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন শিক্ষককে ধরে নিয়ে যাচ্ছে

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৫

একজন শিক্ষককে ধরে নিয়ে যাচ্ছে।তার অপরাধ কি?

তার অপরাধ তিনি একদল ছাত্রদের বিদ্যা শিখাচ্ছিলেন।বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রতি ক্লাসে ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যা ৬০ জন করে ।এই ৬০ জন ছাত্রের পরিবার কি একই রকম শিক্ষিত? কেউ ব্যস্ত কর্মে ,কেউ ব্যস্ত বিভিন্ন পেশায় ,কেউ থাকেন বিদেশ । আর কারোও কারোও মা অক্ষর জ্ঞানহীন। আমার কাছে প্রায়ই বিভিন্ন অভিভাবক আসেন যারা বলেন, স্যার আমি নানা কাজে বাহিরে ব্যস্ত থাকি ।ওর মা তো বেশি পড়া জানে না। তাছাড়া ওর মাকে ভয় পায় কম। তাই আপনার কাছে ছাত্রটা কে দিয়ে গেলাম । এমন পরিস্থিতে শিক্ষক কি করবে?

ক্লাসে সকল শিক্ষকই পাঠদান করেন। কিন্তু সকল ছাত্রই কি সমান মেধা সম্পন্ন? সবাই কি সমান মনোযোগী? সবাই কি একই রকম শান্ত? কতজন পড়াটা গ্রহণ করতে পেরেছে? ৩০ জন হলে বাকী ৩০ এর কি হবে? ক্লাসে কি অতিরিক্ত সময় আছে? বা উন্নত দেশের মত আমাদের দেশের সকল বিদ্যালয় কি আধুনিক হয়েছে? পরীক্ষা শেষে সরকার থেকে শুরু করে অভিভাবক সকলেই শুনতে চায় পাশ করল কিনা? ফেলের দায় কেউ নিতে রাজি না। শিক্ষক কেন সেই দায় নিবে? ছাত্ররা / অভিভাবকরা নিজেরা যদি এসে শিক্ষককে ছাত্রের দ্বায়িত্ব নিতে বলে শিক্ষক তখন কি করবে?

একজন দৈনিক মজুর ৫০০ করে মাসে ১৫০০০ টাকা পায়। একজন শিক্ষক মাস্টার্স কমপ্লিট করে মাসে কত পায়? ১২৫০০ । একজন সরকারী অফিসের পিয়ন পায় ২০০০০ টকা। শিক্ষক কি পায় ? আর যদি হয় বেসরকারি শিক্ষক ...
ক্ষমতা থাকলেই শিক্ষকের হাতে হাতকড়া পড়ানোর আগে একটু ভাবা দরকার আমিও ছাত্র ছিলাম। ঠিক এভাবেই আমিও পড়ে এসেছিলাম। প্রমাণ ছাড়া প্রশ্ন ফাঁসের সাথে শিক্ষককে জড়ানো ঠিক না। আর যদিও কেউ জড়িত থাকে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। একজনকে দিয়ে গোটা শিক্ষককে অবজ্ঞা করা যায় না।
(লেখকঃ আমির হামজা
সহকারী শিক্ষক
আল-আমিন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজ)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


বেশীরভাগ শিক্ষক ক্লাশে পরাচ্ছে না, এই অভিযোগটা সত্য

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৭

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আপনারা জাতির মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিয়েছেন। আপনার না পোষালে শিক্ষকতা পেশায় আসবেন না । আরও কঠোর কথা চাইলে বলতে পারতাম, কিন্তু বললাম না।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৪

ওমর সাহিত্যিক বলেছেন: কেন কঠোর কথা বলবেন? শিক্ষক জাতির মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিচ্ছে বলছেন, তাহলে গড়ে দিচ্ছে কে? আজ থেকে রাস্তায় বসুন প্রতিবাদ লিপি নিয়ে, "দেশের সকল স্কুল কলেজ বন্ধ চাই। তারা মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিচ্ছে। "

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৮

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: বিষয়টা কি? ঐ শিক্ষক কোন ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত? সেইট বেশী গুরুত্বপূর্ন।

সম্ভবত তিনি অবৈধভাবে কোচিং করাচ্ছিলেন। এটা নিষিদ্ধের পেছনে যথেষ্ঠ যুক্তি সংগত কারন রয়েছে। আজকে শিক্ষা ব্যবস্থার এমন বেহাল অবস্থার পেছনে পাইকারী হারে নিয়ম নীতি বিহীন কোচিং গজানোই দায়ী। স্কুল না করে বাচ্চারা কোচিং ক্লাশ করতে যায়! এর দায় সবাইকে নিতে হবে।

আফটার স্কুল টিউটরিং সম্ভবত এখনও নিষিদ্ধ হয় নি। শিক্ষক সাহেব সেইদিকে চলতে পারেন।

চিন্তা করবেন না। কিছুদিন পরেই তাকে ছেড়ে দেবে।

৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.