![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীতে যুগে যুগে একটা পরিবর্তন আসে । আকস্মিক এমন কিছু প্রাণি বা ভাইরাস বা অনুজীব আসে অথবা এমন কোন প্রাকৃতিক পরিবর্তন হয় যার কারনে বদলে যায় পৃথিবীর প্রাকৃতিক বৈচিত্র । আজ থেকে ৬ কোটি বছর পূর্বে পৃথিবীতে ছিল ডায়নোসর নামক এক প্রাণী। বিজ্ঞানীদের মতে তাদের অনেক প্রজাতিই ছিল কিন্তু বাকী সব হেরে গেল, শুধু টিকে গেল একটি প্রজাতি । আজকের যে পাখি দেখা যায় তা ডায়নোসরের একটি প্রজাতি ।
বাকী প্রজাতিগুলো কেন টিকতে পারেনি ? পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে টিকে থাকার জন্য যে প্রস্তুতি দরকার ছিল তা বাকী প্রজাতির ছিল না।
আজকের পৃথিবীতে আমরা মানুষ রাজত্ব করছি। আবার যদি এমন কোন প্রাকৃতিক পরিবর্তন আসে মানুষ কি টিকে থাকতে পারবে? এর উত্তরটা আসলে জানা নেই। কারন সেই পরিবর্তনের সাথে মানুষ যদি খাপ খাইয়ে নিতে পারে তবেই সে টিকে থাকতে পারবে। ডারউইনের একটি মতবাদ আছে, “যোগ্যতমের জয়” । ডারউইনের মতে, যে সমস্ত প্রকরণ বা ভেদ জীবের জীবন সংগ্রামের পক্ষে সহায়ক এবং পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজনমূলক, তারাই কেবল বেঁচে থাকবে এবং তাদের বংশবৃদ্ধি ঘটবে । অন্যরা কালক্রমে পৃথিবী থেকে অবলুপ্ত হবে ।
ডায়নোসর তো বিলুপ্ত হল। ডায়নোসরের একটি প্রজাতি টিকে গেল। সেখান থেকে পাখি আসল। মানুষ ভুল বুঝবে , ডায়নোসর থেকে কিভাবে পাখি এল? আসলে ডাইনোসর থেকে পাখি বলতে বুঝায়, যে প্রজাতিটি বর্তমানে পাখি হিসেবে আছে তখনও সেটি পাখিই ছিল। হয়তো বর্তমানের পাখির মত না। প্রাকৃতিক নির্বাচন মতবাদে বলা আছে, “পৃথিবীতে যে-কোনও দুটি জীব কখনই অবিকল একই রকমের হতে পারে না । অর্থাৎ জীবের মধ্যে কিছু না কিছু পার্থক্য বা ভেদ থাকবেই । ডারউইনের ধারণা অনুসারে ছোটো ছোটো ধারাবাহিক পরিবর্তনই হল নতুন প্রজাতির জীবের উত্পত্তির জন্য দায়ী ।“সেই ছোট ছোট পরিবর্তনের হাত ধরে আজকের পাখিদের এই বৈচিত্র । আমার কথা হল, যে টিকে থাকতে পেরেছিল সেই টিকে গেল। কেন সে টিকলো? কারন প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার মত ব্যবস্থা পাখির ছিল। কেমন সেটা ? পাখিদের দেহের দিকে তাকালে বুঝা যায় পালক আবৃত দেহ ও উড়তে পারার সক্ষমতা । অতীত রেকর্ড ঘাটলে দেখা যায়, হঠাত করে পৃথিবিতে এক সময় তুষার যুগ শুরু হয়। তখন পাখি আকৃতির ডায়নোসর পালকের কারনে আর স্থান বদল করতে পারার কারনে টিকে যায়। তারপর মিউটেশনের কারনে দেহের মধ্যে ছোট ছোট ধারাবাহিক পরিবর্তনের রুপ হল আজকের ৯ হাজার প্রজাতির পাখি।
মানুষের পরিবর্তনটাও ঠিক এমনই । আমি মানুষের পরিবর্তনের ইতিহাস বলব না। আমি বলতে চাচ্ছি , এমন পরিবর্তনের সূত্রপাত কি আবার ঘটতে পারে ? উত্তর – হুম পারে। মানুষসহ সকল প্রাণি , সকল অনুজীব সর্বদাই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে টিকে থাকার জন্য। এই টিকে থাকার লড়াইয়ে যে জয়ী হয় সেই টিকে থাকে। মানুষ এতকাল লড়াই করে এসেছে । আজও করছে। করোনা নামক ভাইরাসের সাথে । মানুষের পরিবর্তন হচ্ছে। সকল প্রাণির পরিবর্তন হচ্ছে। তবে সেগুলো আকস্মিক , হঠাত্ , দৈব পরিবর্তন । বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই রেডিয়েশনের কারণে, ট্রান্সক্রিপশন কিংবা কোষ বিভাজনের সময়ে রেপ্লিকেশনের ফলে জীবের বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন হয়, জীব মারা যায়, বিকলাঙ্গ হয়। মাতৃ জননকোষে মিয়োসিস কোষ বিভাজনের সময় [প্রোফেজ-১] ক্রসিং ওভার ঘটে। অপত্য কোষের ক্রোমোসোমের কিছু অংশে জেনেটিক পরিবর্তন হয়। পরিবর্তনটা কীরকম হবে, আগে থেকে বলা সম্ভব না। কারণ এটি একটি দৈব পরিবর্তন। এই দৈব (এবং অপ্রত্যাশিত) পরিবর্তনটাই মিউটেশন। এই মিউটেশন ঘটছে H IV ভাইরাসে প্রতিনিয়ত । সেজন্য সেটা মানুষের নিয়ন্ত্রনের বাহিরে। একই রকম বিজ্ঞানিদের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে কোভিড ১৯ কিছুটা মিটেটেড। আর যদি তেমনই হয় তবে পৃথিবীর জন্য তা হুমকি স্বরুপ। আমার এই লেখা পর্যন্ত পৃথিবিতে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৯০ হাজার। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৩ লাখের বেশি । বিজ্ঞানীরা স্পষ্ট করে বলেই দিয়েছে যাদের ইমিউনিটি ( রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ) বেশি তারাই কেবল বাঁচতে পারবে । লক্ষণীয় বিষয়ও কিন্তু তাই। বিশেষ করে যাদের বয়স বেশি বা যারা শারিরীকভাবে দুর্বল তারাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এই ভাইরাসে। ধ্বংশ হবে মানুষ। যে মানুষগুলো বেঁচে যাবে তারা তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী হবে । এই বেঁচে যাওয়া মানুষগুলোর জিন, ক্রোমোজম, DNA, RNA , বংশগতীয় উপাদান ও কোষীয় সকল বস্তু তুলনামূলক উন্নত হবে। কারন তারা জয়ী হয়েছেছিল একটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় । পরবর্তীতে এই উন্নত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন মানুষগুলো থেকে যখন প্রজনন সম্পন্ন হবে তখন একটি নতুন ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষ তৈরি হবে। এরাও Homo sapience গোত্রভুক্ত হবে। কিন্তু বিগত কিছুদিনের মানুষের থেকে কিছুটা পার্থক্য সৃষ্টি হবে। আর এভাবে যখন লক্ষ্য বছর পার হবে , আরও প্রতিকূল পরিবেশ পাড়ি দিবে মানুষ তখন ধীরে ধীরে আরও শক্তিশালী ও একটু ভিন্ন হিসেবে তারা রুপান্তরিত হবে। আর যদি কদাচিত প্রতিকূল পরিবেশের সাথে হেরে যায় তবে মানুষও বিলুপ্ত হবে । কিন্তু মানুষ এতটা দুর্বল না। তারা সব সময় শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলে প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে। এটাও প্রকৃতি থেকে সম্পন্ন হয়। আবার প্রকৃতি এতটাই শক্তিশালী ইচ্ছে করলে মানুষকে ধ্বংশও করে দিতে পারে। তখন হয়তো জিতে যাবে অন্য কেউ, অন্য কোন প্রজাতি। ধীরে ধীরে বিস্তার করবে সারা পৃথিবীতে । রাজত্ব করবে পুরো পৃথিবীময়। আর এটাই প্রাকৃতিক নির্বাচন মতবাদ ।
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: প্রকৃতির ইচ্ছায় মানুষ কখনো বিলুপ্ত হতে পারেনা। হলে নিজেদের বোকামির জন্য হবে।
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: হিসাব আছে। সব কিছুর একটা হিসাব আছে।
যে যার হিসাব বুঝে নিতে চায়।
একজনের হিসাবে যখন আরেকজন হস্তক্ষেপ করে তখনই ঝামেলা শুরু হয়।
৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জীনের মনে হয় করোনা ভাইরাস কোনও ক্ষতি করতে পারেনা। জীন অনেক সময় মানুষকে তাদের দেশে নিয়ে যায়। এখন যদি কেউ জীনের দেশে জেতে পারে তবে বেচে যাবে।
৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: মানুষকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য প্রকৃতি চেষ্টা করবে, মানুষও অনেক ক্ষেত্রে প্রকৃতিকে হারিয়ে দেয়। ভ্যাকসিন আবিষ্কারের মাধ্যমে এবারও হারিয়ে দিতে পারে প্রকৃতিকে। তবে মানুষের পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। মানুষ খুব অল্প সময়ে খাদ্যস্তরের দ্বিতীয় অবস্থান থেকে প্রথম স্তরের চলে আসে। বাস্তুসংস্থান উলটপালট করে দেয় মানুষ। এটাকে ব্যালেন্স করার জন্য প্রকৃতি আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২২
বিভ্রান্ত পাঠক বলেছেন: ম্যালথাসের জনসংখ্যা তত্ত্ব এর "প্রাকৃতিক নিরোধ" অংশ।।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: ওমর সাহিত্যিক,
লেখা ভালো হয়েছে।
দেখা যাক প্রকৃতিক নির্বাচন আগামীতে কাকে নির্বাচিত করে!
লেখাটি দু'বার এসেছে। একটি মুছে দিন।