![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা সবাই , দেশ যখন কোন দুর্যোগে পড়ে তখন দেশের অভাবগুলো বুঝতে পারি। যখন আগুন লাগে , তখন ফায়ার সার্ভিসের প্রয়জোনীয় সরঞ্জাদি ও দক্ষ মানুষের অভাব বোধ করি। তখন আমরা অপরিকল্পিত নগরায়নের সমস্যার কথা বুঝতে পারি।
আজ যখন দেশ করোনা ভাইরসের মুখে পড়ে হতভম্ব তখন আমরা পুরো জাতিও আসলে হতভম্ব হয়ে নির্বিকারের মত তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। বিশ্বের অন্যান্য দেশ যখন ভ্যাকসিন আবিষ্কারের নেশায় মত্ত তখন আমরা অপেক্ষা করছি কবে তারা সফল হবে? আমাদের নিজেদের কিছুই করার থাকে না। দেশের গুটি কয়েক বিজ্ঞানী হয়তো নিজেদের সাধ্যমত চেষ্টা করছেন। তাদের দোষ দিব না, বাহবা দিব। কারন, অপ্রতুল সরঞ্জাদি নিয়ে , অপ্রতুল বাজেট নিয়ে তারা যা করছেন তা অনেক বিশাল কিছু। আমেরিকার মত বা জাপানের মত বাজেট যদি তারা গবেষণায় পেতেন তবে অবশ্যই এদেশে গবেষণা হত। অবশ্যই এদেশে গবেষক তৈরি হত। অবশ্যই এদেশেও ভ্যাকসিন তৈরি হতে পারতো।
এদেশের ক্রিকেটারদের পেছনে যে পরিমান টাকা, বেতন, ভাতা খরচ করা হয় তা যদি একজন গবেষকের পেছনে খরচ হত তবে পৃথিবী এই বাংগালি জাতিকেও চিনতে পারতো । একজন ক্রিকেটারের বেতন মাসে ৫ লাখ টাকা, । একজন বিজ্ঞানীর বেতন কত? একজন শিক্ষক যিনি সাইন্স পড়ান ( প্র্যাক্টিক্যাল করান) তার বেতন কত ? আপনারা জানেন ?
বাংলাদেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়গুলতে সাইন্স পড়ানো হয়, কিন্তু প্র্যাক্টিক্যাল করানো হয় না। যদি কিছু বিদ্যালয়ে ব্যবহারিক ক্লাস করানো হয় কিন্তু সেটা নামমাত্র। শেখানো ও শেখার থেকে কোন রকম দ্বায়িত্ব শেষ করাই মূখ্য বিষয় । প্রায় প্রতিবার এস, এস, সি পরীক্ষায় যখন ব্যবহারিক পরীক্ষা নিতে যাই তখন নিজেকে শুধু গালি দেই । শুধুমাত্র নাম ডেকে ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করতে হয়। ২৫ নম্বরের মধ্যে ২৪ দিলেও জাবাবদিহি করতে হয়। কিন্তু কোন ছাত্রই যে পরিপূর্ণ ব্যবহারিক পরীক্ষা দিল না সে জবাবদিহি তো কেউ করল না ???
মাধ্যমিকের পরে উচ্চ মাধ্যমিক, তারপর সম্মান, স্নাতোকত্তর সব স্তরেই একই অবস্থা। সম্মান ও স্নাতোকত্তর পর্যায়ে আরও ভয়াবহ অবস্থা। সেখানে শুধু টাকা দিলেই নম্বর পাওয়া যায় । সরোজমিনে খোঁজ নিলেই জানা যাবে বাংলাদেশের বিজ্ঞানের ও বিজ্ঞান শিক্ষায় কত দুর্বলতা । এক সময় যখন ছাত্র ছিলাম আর এখন যখন পরীক্ষক , উভয় অবস্থাতেই এই দুররদশার চিত্র দেখতে দেখতে সময় যাচ্ছে। আগেও আফসোস ছিল, এখনও । শুধুমাত্র সময় খারাপ বলেই লিখতে বাধ্য হলাম। জানি এই অবস্থার সহসা উন্নতি হবে না। একটি দেশকে উন্নত করতে, ডিজিটাল করতে বিজ্ঞানের উপর মাঠ পর্যায় থেকে , প্রাথমিক লেভেল থেকে যদি গুরুত্ব না দেয়া হয় তবে আধমরা জাতি হিসেবেই আমাদের পরে থাকতে হবে।
ভগ্নিপতি থাকে দক্ষিণ কোরিয়া। এক আংকেল থাকে আমেরিকা। তাদের কাছ থেকে শুনেছিলাম তারা ৮০% গুরুত্ব দেয় ব্যবহারিকের উপর। সেটার সুফল তারা পাচ্ছে। আমরা কি পাচ্ছি? এখনও কি আমাদের সময় হয়নি নিজেদের সংশোধন করবার?
পৃথিবীর বয়স হয়েছে। এখন পৃথিবিকে জরাজীর্ণতা আঁকড়ে ধরবে । এরকম আরও ভাইরাস , রোগবালাই অপেক্ষা করছে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য। আমাদেরকেও প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের ছেলেমেয়েদের গড়ে তুলতে হবে পুরাতন আধুনিক পৃথিবীর জন্য। আমাদের বিজ্ঞানীদের মুল্যায়ন করতে হবে । বিজ্ঞান শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে নতুন বিজ্ঞানী গড়ে তুলতে হবে। বিজ্ঞানের পেছনে প্রচুর ইনভেস্ট করতে হবে ।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে তিনি বিভিন্ন ধরণের প্রনোদনা ভাতা দিয়ে ডাক্তার ,ব্যাংকার , শ্রমিকদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। আশা করব, সকল পেশাজীবিদের বিভিন্ন ভাতা দিয়ে উৎসাহ সৃষ্টি করতে আপনি স্বমর্থ হবেন। সেই সাথে বিজ্ঞান বিষয়ে আপনি যথেষ্ট গুরুত্ব দিবেন। আমরা একটি সুশৃংখল কাঠামোবদ্ধ দেশে পরিণত হতে চাই।
২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: Good post
৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের চুরি লুটপাট দূর্নীতি বন্ধ না হলে কোনো উন্নতি হবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১৮
বিজন রয় বলেছেন: সবকিছুতে আমরা এখনো অনেক পিছনে।
হয়তো একদিন সে দিন আসবে।
১০০/২০০ বছর পরে!