![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনি কেন ঘরে থাকবেন?
সহজ করে বলি।
বেশিরভাগ ভাইরাসের বংশবৃদ্ধি করার জন্য একটি পোষক দেহের ( আরেকজনের শরীর) প্রয়োজন হয়। যেমন মুরগীতে যে ভাইরাস আক্রমণ করে তার নাম- এভিয়ান প্যারামিক্সোভাইরাস ১ । এটি মুরগীর দেহে এসে বিস্তার লাভ করে। কারন মুরগী , কবুতর, টার্কির দেহের তাপমাত্রা ও পরিবেশ এই ভাইরাস বহন ও বংশবিস্তারের উপযোগী। এমন আরও অনেক ভাইরাস আছে যারা সবাই পরজীবি।
ঠিক একই রকমভাবে কোভিড ১৯ বা করোনা ভাইরাসের পোষক দেহ হল মানুষ। মানুষের দেহের মাধ্যমে এদের বিস্তার ঘটে। আশার কথা হল, সকল ভাইরাসেরই নির্দিষ্ট পোষকে নির্দিষ্ট একটি জীবনসীমা আছে। অর্থাৎ তাদের আয়ূ খুব বেশিদিন না। এজন্য আমরা যদি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারি, আক্রান্ত মানুষগুলোকে যদি আইসোলেটেড ( পৃথক ) করে রাখতে পারি , আমরা যদি নতুন করে কারোও থেকে আক্রান্ত না হই তবে ভাইরাসগুলো যেখানে আছে সেখানে থেকেই নির্দিষ্ট সময় পর মারা যাবে।
আর আমরা যদি সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখি তবে একজনের থেকে আরেকজনের দেহতে ছড়ানোর সে সুযোগ পায়। ফলে সে দীর্ঘ সময় ধরে নির্দিষ্ট এলাকায় থাকার সুযোগ পাচ্ছে। আর একে একে জীবন নাশ করবে। একদিন ভাইরাস বিদায় (তার নির্দিষ্ট আয়ূ শেষ করে ) হবে, কিন্তু ততদিনে অনেক মানুষকে আমাদের হারাতে হবে। আমরা নিয়ম না মেনে তার আয়ূ বৃদ্ধি করে দিচ্ছি।
কোরনা ভাইরাস মিউটেটেড ভাইরাস। অর্থাৎ পরিবর্তনশীল । বার বার পরিবর্তন করে সে মিজেকে উন্নত করে। যখন যেখানে যেমন দরকার তখন সে সেখানে তেমন রুপ ধারণ করছে । HIV ভাইরাস আরও বেশি মিউটেটেড। ১৯৮১ সালে এটি আবিষ্কৃত হয়। শুধুমাত্র অতিরিক্ত মিউটেশনের কারনে আজ পর্যন্ত এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা সম্ভব হয় নি। কোভিড ১৯ এর ক্ষেত্রে এমনটা নিশ্চই হবে না। কিন্তু হলে আমাদের জন্য সেটি দুঃখজনক। আরও বেশি দুঃখজনক হল, আমরা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ প্রাণি হয়েও নিজেদের ভালো নিজেরা বুঝি না।
লেখকঃ আমির হামজা
বায়োলজি ডিপার্টমেন্ট
শিক্ষক, আল-আমিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ, চাঁদপুর।
ই-মেইলঃ [email protected]
২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: ঘরেই আছি/।
৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:০৭
সাইন বোর্ড বলেছেন: যুক্তিপূর্ণ কথা, ভাল লাগল ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: Stay home