নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
.... ছেলেবেলার দুরন্ত শৈশব কেটেছে নেত্রকোনায়। আর সবচেয়ে মধুর সময় ছিল সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার দিনগুলি। আর এখন কাজ করছি সুবিধাবন্চিত শিশুদের জন্য একটি স্পানিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায়।
আমার বাবার লেখা আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা 'জীবনবৃত্তে' বেরিয়েছিল নান্দনিক থেকে ২০১৩ একুশে বইমেলায়। দীর্ঘ বিরতির পর লেখা শেষ হলো 'জীবনবৃত্তে'র দ্বিতীয় খণ্ড। এ বছর 'জীবনবৃত্তে'র দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশে আগ্রহী।
'জীবনবৃত্তে’ প্রথম খণ্ড মূলত লেখকের স্মৃতিকথা। স্মৃতির আঁধারেই বিধৃত হয়েছে ইতিহাস। শব্দের শৈলীতে জীবনের যে জলছবি এঁকেছেন তা সময়ের দর্পনে তিনি ধরে রাখতে চেয়েছেন জীবনবোধের মনোগ্রাহী বিশ্লেষণের মাধ্যমে। আর সে অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে বিগত কয়েক দশকের সমাজ চিত্র, সোনালী শৈশবের হারানো দিন, বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্য-পুথি সাহিত্য, চৈত্র-সংক্রান্তির সংস্কৃতি ও লেখকের বাবার দিনলিপির খেরোখাতা। তাতে উঠে এসেছে মানুষের জীবনবোধ ও মনোলোকের পরিশীলিত ইতিহাস। লেখনীতে তুলে ধরেছেন মুক্তিযুদ্ধ ও নেত্রকোনা জেলার কিছু কিংবদন্তীতুল্য ও আলোকিত মানুষের গল্প গাঁথা। তাদের নিয়ে লেখকের সহজ-সরল, সাবলীল স্মৃতিচারণ বইটিকে আরো তথ্যসমৃদ্ধ করেছে।
কবি নির্মলেন্দু গুণ এই বই সম্পর্কে তাই যথার্থই বলেছেন-
তিনি স্মরণ করিয়ে দিলেন আমাদের জীবনের অতিক্রান্ত অভিন্ন স্মৃতিকে। মনে পড়লো, আমরা দু’জনই প্রায় সমানবয়সী। ১৯৬০-১৯৬৫-র দিকে, গ্রামে থাকাকালে, নেত্রকোনা থেকে প্রকাশিত এবং সুসাহিত্যিক খালেকদাদ চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ‘উত্তর আকাশ’ পত্রিকার মধ্য দিয়েই সাহিত্যজগতে আমাদের ভীরু পায়ের কর্দমাক্ত রথযাত্রা শুরু হয়েছিলো। আমরা দু’জন একই পত্রিকার লেখকই নই, একই সাহিত্যগুরুর শিষ্যও বটে। হামিদুর রহমানের ‘জীবনবৃত্তে’ বন্দী হয়েছে আমাদের পেছনে ফেলে-আসা শতবর্ষের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংগ্রামের ষ্ফটিকস্বচ্ছ জলছবি।
হাসান ইকবাল
২১ নভেম্বর ২০১৮, ঢাকা।
২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আশাকরি "জীবনবৃত্তে"র বিক্রয় এখনো চলছে।
আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা পড়তে আমার ভাল লাগে।
"জীবনবৃত্তে"র দ্বিতীয় খন্ডের সাফল্য কামনা করছি।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২১
রাজীব নুর বলেছেন: আফসোস লাগে কত -কত বই আজও পড়া হয়নি।