![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা মানুষ হয়ে জন্মাই না, জন্মের পর একটু একটু করে মানুষ হই । । ।
আমি খুব অবাক হই ভেবে যে স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুধু ধর্মের কারনে একটা বিভেদ তৈরি করা হয়ে আসছে।
এখানে অধ্যয়নরত মুসলমান ছাড়া বাকি সব ধর্মের ছাত্রদের একটি হলে (জগন্নাথ হল) সিট বরাদ্দ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় জন্মের সময় রাজনৈতিক বা ঐতিহাসিক নানা কারনে জগন্নাথ হলকে আলাদাভাবে গড়ে তোলা হলেও স্বাধীন বাংলাদেশে এরকম বিভেদ মানায় না, এবং সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়। বরং সব ছাত্রদের যদি ধর্ম বিবেচনা না করে অনির্দিষ্টভাবে (randomly) বিভিন্ন হলে সিট দেয়া হয় আমি মনে করি সেটাই বিভিন্ন ধর্মের ছেলেদের মাঝে পারস্পারিক বোঝাপড়া (mutual understanding) এবং বন্ধুত্ব (friendship) বৃদ্ধি করবে। যা পরিণতিতে অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল দেশ গঠনকে ত্বরান্বিত করবে।
যদি কেও যুক্তি দেখান তাতে ধর্ম পালনে সমস্যা হবে, আমি তাদের বলব একটু পাশেই তাকাতে। মেয়েদের হলে এরকম কোন বিভেদ নেই, অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই এরকম ব্যবস্থা নেই। যেকোনো হলে যেকোনো ধর্মের কেও থাকতে পারে। সেখানেত সমস্যা হচ্ছেনা। আর আমি নিশ্চিত ঐসব হলে আমার বোনরা কিংবা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইরা অবশ্যই ধার্মিকতায় পিছিয়ে নেই ।
তাছাড়া আমি বিশ্বাস করি আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেরা এত নিচু মানের বা নিচু মনের নয় যে নিজের বা পাশের রুমে একজন ভিন্ন ধর্মের কেও থাকলে তাদের জাত চলে যাবে বলে এর প্রতিবাদ জানাবে। বরং ঢাবি’র ছাত্রদের এই বিভেদই এক ধরনের দূরত্ব ও colonialism mentality তৈরিতে ভূমিকা রাখছে। উদাহরণ দেয়া আর প্রয়োজন মনে করছি না।
আমি আরও অবাক হই ভেবে যে এত বড় একটা গুরুত্বহীন বিভাজন এতদিন ধরে চলে আসছে, অথচ আমাদের অসাম্প্রদায়িকতার বুলি আওড়ানো বুদ্ধিজীবী এবং সরকারগুলো এর সমাধান এখনো করেনি কেন ??!
২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৪
শাহ আজিজ বলেছেন: আপনার কথায় যুক্তি আছে। মেয়েরা থাকতে পারলে ছেলেরা পারবেনা কেন? আসলে উভয় ধর্মে খাদ্য ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যা আছে আর তাই এই বন্দোবস্ত। মুসলিম হলে গরু রান্না হলে হিন্দুদের সমস্যা আবার হিন্দু হলে শুকর রান্না হলে মুসলিমদের জন্য সমস্যা হয়। আবার এই উভয় দল ইউরোপে গেলে একই হলে এবং ডাইনিঙে গরু শুকর পাশাপাশি বসেই খাচ্ছে। আলাপ টানলে অনেক দূরে পৌঁছান যাবে কিন্তু ওই ইউরোপ আমেরিকার উদাহরন দিয়ে সব দন্ধ বন্ধ হবে।
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২২
প্রফেসর মরিয়ার্টি বলেছেন: তাছাড়া আমি যতদূর জানি যে, অবকাঠামোগত ও ডাইনিং-এর দিক থেকে সবচেয়ে বাজে অবস্থা জগন্নাথ হলের।
৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২৭
এম. এস. এম. বলেছেন: //অবকাঠামোগত ও ডাইনিং-এর দিক থেকে সবচেয়ে বাজে অবস্থা জগন্নাথ হলের। // আপনার জানা তথ্য সত্য নয়।
৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২৯
পামাআেল বলেছেন: সবচেয়ে বাজে অবস্থা কি-না তা জানিনা। তবে বহু বছর আগে কোন এক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে একবার বিভিন্ন হলে পরিবেশিত ডালের ঘনত্ব প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। সে প্রতিযোগিতায় ডালের ঘনত্বের বিবেচনায় সবার নীচে ছিল জগন্নাথ হল আর সবার উপরে ছিল রোকেয়া হ‘ল। সেটি নিয়ে পত্রিকায় নিউজও করা হয়েছিল।
৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৩৪
কলাবাগান১ বলেছেন: এই কথা টাই আমি তুলেছিলাম ২০১২ সনে..... তখনও তমুল আলোচনা হয়েছিল.... আমি আপনার মত অবস্হানেই দাড়িয়েই বলছি
"২০১২ সালে এসে এখনও দেশে শুধু হিন্দু ছাত্রদের জন্য আলাদা ভাবে হলের কি কোন দরকার আছে??? আমরা বাংলাদেশে সামাজিক সম্প্রতির একটা উদাহরন হয়ে কেন এখনও এই ভাবে আলাদা হয়ে থাকবো??? "
বিস্তারিত এখানে
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০৭
দিনমণি বলেছেন: আপনার লেখাটি পড়লাম, ভালো লেগেছে।
তবে মূল কথা হচ্ছে এসব নিয়ে আমরা চিল্লায়ে হয়ত এখন কোন সমাধান করতে পারবনা...
৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩০
আমিনুর রহমান বলেছেন:
প্রার্থনা স্থান আর ক্যান্টিনে আলাদা করে খাবারে ব্যবস্থা হতে পারে। আলাদা করে ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের জন্য ভিন্ন ভিন্ন হলের প্রয়োজনীয়তা দেখি না।
পোষ্টের সাথে সহমত।
৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৩
আহনাফ রেহমান বলেছেন: It should be change.
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪৩
কালীদাস বলেছেন: ঐতিহ্য, সম্ভবত এটাই কারণ। যে কারণে এখনও ছেলেমেয়ের কথা বলার শাস্তি হিসাবে ২৫পয়সা জরিমানার আইন বলবত রয়েছে ক্যাম্পাসে
বাইদ্যাওয়ে, পাওয়ারে যেই দলই থাকুক, আর্মস স্টোর করা আর বুয়েটের সাথে ট্রাফিকিং করার মেজর ট্রানজিট পয়েন্ট হিসাবে জগন্নাথ হলের আলাদা একটা গুরুত্ব আছে লিডারদের কাছে।