নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

চকবাজারের ঈদমেলা – হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি’র ডালা

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬



ছোট বেলায় দুই ঈদে চকবাজারের মেলা ছিল আমার কাছে খুবই চিত্তাকর্ষক, সে দুই যুগেরও বেশী সময়ের অতীত। আজ দুপুরে আগামাসি লেন থেকে ফেরার সময় চকবাজার হয়ে এলাম। মনে পড়ে গেল সেই জমজমাট মেলার স্মৃতি। আজকেও মেলার মত করে আচার, মাষের বড়া, খেজুর পিঠা, মিরচি-মুরালি সহ বেশকিছু মুখরোচক হালকা খাবারের দোকান দেখতে পেলাম, মূলত মেলা বলতে এখন এগুলোই রয়েছে, সাথে ছোট সাইজের দু’তিনটা নাগরদোলা। অথচ একসময় কি জমজমাট ছিল এই চকের মেলা (স্থানীয়দের কাছে এই নামেই পরিচিত)।

চকবাজার পুরোন ঢাকার লালবাগে অবস্থিত ঢাকার পুরানো বাজারগুলির মধ্যে অন্যতম। ১৬০২ সালে মুঘল আমলে সেনাপতি মানসিংহ পূর্ববঙ্গে বিদ্রোহ দমন করতে এসে ভাওয়াল থেকে সদর দফতর স্থানান্তর করেছিলেন বর্তমান কেন্দ্রীয় কারাগারের জায়গায়। সেখানেই মুঘল দুর্গ স্থাপিত হয়েছিল, যার পাশেই গড়ে উঠে চকবাজার। তবে একসময় এই চকবাজারকে বহুলোক চৌক বন্দর নামে ডাকতেন। মানসিংহের আমল থেকে চকবাজার যাত্রা শুরু করলেও এটি পূর্ণতা লাভ করেছিল মুর্শীদকুলি খাঁর সময়ে। মুর্শিদ কুলি খাঁর পর ওয়াল্টার সাহেব নতুন করে চকবাজার তৈরি করেন। সে সময় তিনি কোমর পর্যন্ত উচু দেওয়াল দিয়ে চকবাজার ঘিরে দিয়েছিলেন এবং বাজারে প্রবেশের জন্য ১৬ টি গেট করে দিয়েছিলেন।

ইংরেজ শাসনের শুরু হতে পিছিয়ে যেতে থাকা মুসলমান সংস্কৃতি, ইংরেজ শাসনের কবল থেকে যখন একটু একটু করে মুক্ত হচ্ছিল উপমহাদেশ, সেই সময়ে আবার আরও বিস্তৃত পরিসরে ব্যাপ্তি পেতে থাকে। সেই উনবিংশ শতকের শেষ দিকে ধানমন্ডি ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ শেষে বসা শুরু করে ঢাকা শহরের ঈদের মেলা। পরবর্তীতে বিংশ শতকের শুরুর দিকেই চকবাজারে ঈদের মেলা বসতে আরম্ভ করে। সেই হিসেবে চকবাজারের ঈদের মেলার ঐতিহ্য শত বছরের, যা নীরবে হারিয়ে যাচ্ছে। হয়ত পাঁচ অথবা দশ বছর, এর বেশী নয়, এই সময়ের ভেতরেই হারিয়ে যাবে পুরাতন ঢাকার চক বাজারের ঈদের মেলা।

চকবাজার মূলত একটি বর্গাকার স্থাপনাকে ঘিরে আবর্তিত, যার ভেতরে বেশ কিছু মার্কেট রয়েছে যেখানে কয়েক হাজার দোকান রয়েছে। শাহবাগ থেকে বকশীবাজার হয়ে উর্দুরোড দিয়ে চকবাজার থানা হয়ে যে সড়ক সংযোগ মুখ রয়েছে একে যদি চার প্রান্তের প্রথমটি ধরা হয় তবে হাতের ডান দিক দিয়ে এগিয়ে গিয়ে চকবাজার শাহী মসজিদ হয়ে আরেক সংযোগ মুখ যা এসেছে পোস্তা হয়ে (কুরবানির ঈদে চামড়ার আড়ত হিসেবে যা মেইন নিউজে আসে)। অপর দিকে হাতে বাম দিক দিয়ে এগিয়ে গেলে যে সড়ক সংযোগ মুখ রয়েছে তা মূলত এসেছে ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগার হতে। আর ঠিক বিপরীতের শেষ সড়ক সংযোগ মুখ যা সদরঘাট হতে পাটুয়াটুলি, বাবুবাজার, ইমামগঞ্জ হয়ে চকে এসে মিশেছে। এই চার সড়ক সংযোগ মুখকে সংযোগকারী সড়ক জুড়েই মূল চকবাজার বিস্তৃত। চকবাজারের ইফতার বাজার বসে মূলত চকবাজার থানা’র সামনে হতে যে রাস্তা চকবাজার শাহী মসজিদের দিকে গেছে, সেই সড়কে। কিন্তু চকের মেলা বসতো এই চার সড়কের পুরোটা জুড়ে। সাথে তা একদিকে জেলখানা রোডে এবং অপরদিকে সদরঘাট রোডে বিস্তৃত হত। আর এখন চারটি রাস্তাই ফাঁকা, শুধু দুটি রাস্তার কিছু অংশে ফুটপাথ ঘেঁষে কিছু খাবার দোকান আর দুয়েকটি খেলনার দোকান হয়ত খুঁজে পেতে দেখা যাবে।

তো কি কি দেখেছি, সিকি শতক আগেকার চকবাজারের ঈদমেলা’য়? থানা থেকে জেলখানা অভিমুখের সড়কের পুরোটা জুড়ে থাকতে সারিসারি আচারের দোকান রাস্তার মাঝখান দিয়ে, আর ফুতপাথ ঘেঁষে খেলনার দোকান। থানা থেকে শাহী মসজিদের সড়কেও একই অবস্থা থাকত, তবে সেখানে আচারের জায়গায় পাওয়া যেত মিরচি-মুরালি, মাষের বড়া, খেজুর পিঠা, গজা, মিষ্টান্ন প্রভৃতি। জেলখানা রোড হতে চকবাজার হয়ে সদরঘাট যাওয়ার রাস্তা, যেখানে বিখ্যাত “নূরানি কোল্ড ড্রিংকস” এর দোকান রয়েছে, সেই সড়কে বসত খেলনার দোকান সব সাথে নিত্য ব্যাবহারের জিনিষপত্র। বাকী সড়কটি একটু ফাঁকা থাকলেও সেখানে নানান বস্তুর দেখা মিলত। তবে ছোটদের কাছে প্রিয় ছিল জেলখানাগামী রাস্তার মুখের অংশ।

সেই জায়গায় মেলা শুরুর সপ্তাহখানেক আগে কোথা হতে যেন আগমন ঘটতো মাটির খোলে মাটির চাকার টমটম গাড়ী’র প্রস্তুতকারকদের। সারাদিন ধরে রাশি রাশি সেই খেলনা তারা বানিয়ে যেত। পরবর্তীতে সেখানে যোগ হয় লাঠির হাতলযুক্ত টিনের পাখি, প্লেন এগুলো। সেইখানটার একটু দূরে, এখন যেখানে সিটি কর্পোরেশন মার্কেট হয়েছে, সেখানটায় পাবলিক টয়লেট ছিল যার সম্মুখটা ছিল ফাঁকা। সেই ফাঁকা জায়গায় বসত দুই/তিন’তলা উচ্চতার নাগরদোলা, একসাথে লাইন দিয়ে চার চারটি। সেই নাগরদোলার ক্লান্তিহীন ছন্দময় ক্যাঁচরম্যাচর শব্দে মুখর থাকতো পুরো মেলা প্রাঙ্গন। আমরা ছেলেপুলের দল লাইন দিয়ে উঠতাম সেই নাগরদোলায়, হাতে থাকতে কোন একটা খাবারের ঠোঙ্গা যা হয়ত কিছুক্ষণ আগে এই মেলা হতেই কেনা। আহ, আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম!!!

বি.দ্র.। উপরে শিরোনামে ব্যাবহার করা ছবিগুলো চকবাজারের মেলার নয় আর ছবি চারটি এই লিংকগুলো হতে নেয়াঃ

http://www.priyo.com/2014/07/29/89380.html
http://bn.wikipedia.org/wiki/চকবাজার
http://archive.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDRfMjNfMTNfNF8xNF8xXzM1NDU5
http://bn.bdfish.org/2012/02/পোড়াদহ-মাছের-মেলা/

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫১

জাফরুল মবীন বলেছেন: চমৎকার তথ্যমূলক পোস্ট!

এখনও ঈদ মেলা ওখানে বসে ছোট্ট পরিসরে।গত বছরের আগের বছর ঈদের পরের দিন একজনের বাসায় যাওয়ার পথে মেলা দেখে নেমে পড়েছিলাম চক বাজার শাহী মসজিদের সামনে।

আরেকটাও মেলা বসত আজিমপুর রোডে অনেক আগে আশুরা উপলক্ষে।এতে গ্রামীণ মেলার ঐতিহ্য অনুভব করা যেত।

ঈদ শুভেচ্ছা জানবেন।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:১৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ জাম ভাই। এখনো বসে, কিন্তু সেই আগের মত করে নয়। কোন মতে কাজ সারা। আর আজিমপুরের সেই আশুরার মেলা অনেক দিন হল বন্ধ হয়ে গেছে, যেটা বসতো লিটল এঞ্জেলস স্কুলের সামনের মাঠটায়।

ঈদের দিনগুলো আনন্দমুখর হয়ে উঠুক।

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: খুব ভালো লাগলো!

আমার প্রিয় মেলা

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আমি ময়ূরাক্ষী আপু। আপনার বাসাও কি পুরাতন ঢাকায়? আমারও খুব প্রিয় ছিল এই মেলা একসময়। কোথায় হারিয়ে গেল সেই প্রিয় মেলা, আজ শুধু কঙ্কালটুকু পাওয়া যায়, কোন একদিন হয়ত তাও থাকবে না।

ঈদের দিনগুলো ভালো কাটুক প্রিয়জনদের সাথে।

৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৩৯

আলাপচারী বলেছেন: ভালো লিখেছেন। সিরিয়াস লিখেছেন।

শুধু চক মেলা কেন, চকের সবই অপসৃয়মান হয়ে যাচ্ছে উনির্বায ভাবে।

কারন:

চকে আর চকের স্থানীয়রা ব্যবসা করে না। তারা এখন ভাড়া / উপভাড়া দিয়ে বসে বসে খায়।

চকের মেলায় আগে সহ্য করার মতো দামে খেলনা পাওয়া যেতো, এখন আপনার সাথে বাচ্চাটি পর্যন্ত অনুভব করে ডাকাতি দাম চাচ্ছে।

শুধু মাত্র মেলায় আগে যা পাওয়া যেতো তা এখন সারা বছর অর্ধেক দামে পাওয়া যায়।

দোকানিদের ব্যবহার সহ্যের বাইরে।

পণ্যের কোয়ালিটি অকহতব্য।

ইফতার বাজার যতটুকু ভেজাল মেশানো / অবিশ্বাস্য দাম তার তুলনা শুধু চক বাজারই।

চকের ফলের বাজার থেকে উমদা ফল দামে ও মানে চক বাদে অন্য কোথাও ভূড়ি ভূড়ি পাওয়া যায়।

এসবই অস্থানীয়রা রাজত্ব করায়। তারা তাদের বিনিয়োগ দ্রুত তুলে নেয়ার জন্য যত রকম অনৈতিক কাজ সম্ভব তাই-ই করে।

আমি স্থানীয় হয়েও চকের মেলার জিনিষ মেলা শেষে দোকান থেকে কিনি প্রতি বছর । মেলায় যাই ঠিকই বাচ্চাকে নিয়ে।

চকের থেকে ফল কিনিনা ১ যুগ হয়ে গেলো।

চকের দোকানীদের ব্যবসা হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে দেখে যাচ্ছি ৩০ বছর ধরে।


০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:১০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। চকবাজারের ইফতার, ঐতিহ্য-বাস্তবতা-অপপ্রচার এবং কিছু প্রাসঙ্গিক আলোচনা। লেখায় ঠিক আপনার বলা কথাগুলোই কমেন্টে বলেছিলেন ব্লগার অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট ।

কিছু বলার নাই, পুরাতন ঢাকার আদি বাসিন্দা হিসেবে শুধু দঃখ পাওয়া ছাড়া।

ঈদের শুভেচ্ছা রইল।

৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২৮

রোদেলা বলেছেন: ছেলেবেলা থেকে ঘুরে এলাম।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৪৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: যাক, মন্দের ভালো... কাউকে এই পোস্ট দিয়ে ছেলেবেলা থেকে ঘুড়িয়ে আনতে পারলাম।

অনেক ধন্যবাদ রোদেলা। ঈদের শুভেচ্ছা রইল, অনেক ভালো থাকা হোক।

৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:১৫

কলমের কালি শেষ বলেছেন: দুঃখজনক । সব হারিয়ে যাচ্ছে ।

পুষ্টে ভাললাগা রইল ।

ঈদ মোবারক । :)

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:০৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কলমের কালি শেষ। ভালো থাকবেন, ঈদের শুভেচ্ছা রইলো।

৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২

আলম দীপ্র বলেছেন: তথ্যমূলক , কষ্টকর পোস্ট ভাই । +++++
ভাই আপনার ফেবু লিঙ্কটা তো দিলেন না ?

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:২২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যুবাদ প্রিয় আলম দীপ্র। আসলে আমরা যারা পুরাতন ঢাকায় বেড়ে উঠেছি তাদের জন্য এই ঐতিহ্যগুলো হারিয়ে যেতে দেখে খুব খারাপ লাগে। কি আর করা, সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছুইতো হারিয়ে যায়।

আর, আসলে "বোকা মানুষ বলতে চায়" নামে কোন ফেবু আইডি খুলি নাই। আর আমার অরিজিনাল নামে খোলা ফেবু আইডি আসলে ব্লগে শেয়ার করতে চাই না। ছদ্মনামে বোকা মানুষ, ভার্চুয়ালই না হয় থাকুক। হয়ত সত্যিকারের মানুষটা কারো পছন্দ হবে না।

অনেক ভালো থাকা হোক, সবসময়।

৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৪৫

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ২য় ভালোলাগা ভ্রাতা ++++++++

পোস্টখানা সকালেই অফলাইনে পড়েছি , মন্তব্য করা হয় নি :)

ঈদের শুভেচ্ছা রইল :)

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় অপূর্ণ রায়হান, সময় করে আবার অনলাইনে মন্তব্যের জন্য।

ঈদের সময়গুলো ভালো কাটছে নিশ্চয়ই, এই আশা করি। ভালো থাকা হোক সবসময়।

৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:০৯

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: চক সম্পর্কে জানলাম। বছর খানিক বকসী বাজার ছিলাম। প্রায়ই যাওয়া হতো ওদিকে। আমার উনি একবার রাগ করে তার চুড়ির বক্স ধরে আছাড় মেরেছিল। পরে রাগ পড়লে তাকে চক থেকে একসাথে বিশ ডর্জন চুড়ি কিনে দিয়েছিলাম।

আরো অনেক স্মৃতি আছে ঐ এলাকার্।

আপনার লেখা পড়ে ভালো লাগল।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৩৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ হা হা হা, একেবারে ঠিক কাজ করেছেন। ক্রোকারিজ ভাঙলে ইমামগঞ্জ নিয়ে যাবেন। তবে মানিব্যাগ যেন ফুললি লোডেড থাকে। ;)

আপনার পুরাতন ঢাকার স্মৃতি নিয়ে লেখা চাই। আর ভ্রমণ নিয়ে লেখা কমলো কেন? আমি মাইন্ড খাইছি কিন্তু :(

৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:০২

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আপনার সেপ্টেম্বর মাসের ট্রাভেল ডায়েরি কই???

আপনার ডায়েরিরে না ঢুকতে পারলে ভ্রমণব্লগ লেখার উৎসাহ পাই না। :-B :-B

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৫১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ১০ তারিখে পাবেন ইনশাল্লাহ, কাজ চলছে। আর ২টা দিন ধৈর্য ধরুন ভ্রাতা :-B :-B :-B

১০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

আর কোয়েন না ভাই, অহন মাষের বড়া মনে হয় আটা দিয়ে বানায় X(( X(( X(( X(( এরা মনে হয় বেশীর ভাগই মাষ্কালাইয়ের ডাইল চিনে না X(( X(( X((

আর কি তেল দিয়াযে ভাঝে আল্লাহই জানে !!!!!!

ঈদ মুবারাক

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ঠিক কথা, মুখে দিলে কেমন যেন লাগে... গেল গেল, সব গেল।

ঈদের শুভেচ্ছা রইল, ভালো থাকুন সবসময়।

১১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সুমন কর বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম। স্মৃতিজড়িত পোস্টে ৪র্থ +।

মাষের বড়া কি?

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সুমন কর। আসলেই অনেক স্মৃতিবিজড়িত এই চকের মেলা, পুরাতন ঢাকার চকবাজার এবং এর আশেপাশের এলাকাগুলোতে বড় হওয়া প্রতিটি ছেলে মেয়ের কাছে।

মাষের বড়া হচ্ছে মাষকলাইয়ের ডাল দিয়ে তৈরি বড় বড় ফুচকার মত দেখতে ডুবো তেলে ভাঁজা খাদ্য বিশেষ। আপনি চকবাজার শাহী মসজিদের রোডে যে কোন শুক্রবার আসলে দেখতে পাবেন বড় বড় কড়াইয়ে ভাঁজা হচ্ছে এই বড়া।

শুভকামনা রইল।

১২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৭

সোহানী বলেছেন: গতবছর খুব শখ করে এ মেলা দেখতে গেছিলাম বাট একরাশ হতাশা নিয়ে ফেরত এলাম..... এত্তো ছোট্ পরিসরে মেলা যে মানুষের ভীড়ে হাটার অবস্থা নেই....

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সুপ্রিয় বন্ধু ব্লগার, আপনি ভুল সময়ে গিয়েছেন। আরও এক যুগ আগে গেলে সেই বিশাল মেলা দেখতে পেতেন। এখন যেটা বসে, তাকে আমি মেল বলতে নারাজ। :(

ঈদ কেমন কাটলো? আশা করি ভালো। ভালো কাটুক প্রতিটিক্ষণ।

১৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৩৫

সোহানী বলেছেন: এক যুগ আগে !!!!! আরেকটু কম বললে হতো না :#) :#) :#) :#) :#) :#) :#)

ঈদ দারুন কেটেছে। এবার ঈদের পরদিন ফ্রি মেড়িকেল ক্যাম্পের আয়োজন করেছিলাম আমরা কয় ভাইবোন..... প্রায় ৩০০ রোগীর চিকিতসা সহ মেড়িসিনের ব্যবস্থা করেছিলাম আমরা.... খুবই ভালো লাগছিল.....

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৫৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ওয়াও!!! শুনে খুব ভালো লাগলো, আল্লাহ্‌ আপনাদের ভাইবোনদের উত্তম প্রতিদান দান করুন।


ভালো থাকুন সবসময় এই কামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.