নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১
ব্যাথায় রন্তু কুঁকড়ে উঠলো, হাঁটুর কাছটায় চামড়া ছড়ে গিয়ে হালকা রক্ত বেড়িয়েছে। রন্তু দৌড়চ্ছিল ঠিকই, কিন্তু কিসে যেন পা একটু আটকে গিয়ে মনে হল পেছন থেকে জোরে কেউ ধাক্কা দিয়ে তাকে ফেলে দিল। ভারসম্য হারিয়ে প্রায় তিনচারটা ডিগবাজী মত খাবার পর সে স্থির হল। প্রথমে ব্যাথার চেয়ে লজ্জা পাচ্ছিল বেশী, ব্যাথার তীব্রতা ধীরে ধীরে উপলব্ধি হওয়ার পরপরই তার চোখ মুখ কুঁকড়ে উঠলো। অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে পায়ে, রন্তু ভীষণ ভয় পেয়ে গেল। তার পা’টা না আবার ভেঙ্গে গেল, সে এই ভাঙ্গাটাঙ্গা খুব ভয় পায়। বছর খানেক আগে ছোট মামার পা ভেঙ্গেছিল, উফ... কি যে ভীষণ কষ্ট। রন্তু ভয়ে কেঁদে দিল। তার কান্না দেখে গেম টিচার ছুটে এল তার কাছে।
‘এই রন্তু, খুব বেশী ব্যাথা পেয়েছিস’
রন্তু মাথা নেড়ে জানালো হ্যাঁ।
‘ইস... চামড়া ছড়ে গেছে দেখি। দৌড়তে গিয়ে পড়ে গেলি কীভাবে?’
‘ম্যাডাম কে যেন পেছন থেকে মনে হল ধাক্কা দিয়েছিল’
‘আবার মিথ্যা কথা বলিস, গাধা কোথাকার। সবার শেষে ছিলি তুই, তোকে আবার কে ধাক্কা দিবে? আমিতো ভালো মতই সব দেখছিলাম।’
রন্তু কোন কথা বলল না, চুপচাপ চোখের জল ফেলতে লাগলো।
‘নে উঠে দাঁড়া এবার’
‘ম্যাডাম পারবো না, আমার পা ভেঙ্গে গেছে’
‘মানে! পা ভাঙলো কীভাবে? তুই দাঁড়া দেখি।’ ম্যাডাম হাত ধরে রন্তুকে দাঁড় করিয়ে দিলেন। রন্তু দাঁড়িয়ে কিছুটা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটার পর দেখল সে ঠিকঠাক হাঁটতে পারছে।
‘এই তো হাঁটতে পারছিস, পা ভাঙল কোথায়? ভীতুর ডিম কোথাকার, কিছু হলেই ভ্যা করে শুধু কান্না আসে?’
রন্তু কোন কথা বলল না, চুপচাপ হেঁটে হেঁটে মাঠের কিনারের দিককার ছাতিম গাছটার নীচে এসে বসল। সে নিজে কিন্তু কোন খেলায় অংশ নিতে চায় নাই। এইসব দৌড়ঝাঁপ তার ভালো লাগে না, কিন্তু বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় তাকে অংশগ্রহণ করতেই হবে। এমনটাই নাকি নিয়ম, স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে সবাইকে অংশগ্রহণ করতে হয়। তাই গেম টিচার জোর করে তার নাম দৌড় প্রতিযোগিতায় দিয়ে দিয়েছে। রন্তুর এসব খেলা মোটেও ভালো লাগে না, তার ভালো লাগে গান, কবিতা, গল্প বলা এসব। রন্তু সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় নাম দিয়েছে। তার ইচ্ছে ছিল সবকয়টায় নাম দেয়ার, কিন্তু একজন নাকি তিনটার বেশী বিষয়ে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তাই সে কবিতা আবৃত্তি, ছবি আঁকা আর গল্প লেখা এই তিনটায় নাম দিয়েছে। আজ সকালে সে তার নিজের লেখা গল্পটা জমা দিয়েছে। রন্তু, মা আর বাবা, এই তিনজনকে নিয়ে একটা গল্প, যেখানে তারা সবাই মিলে সাগর দেখতে গেছে। সেখানে গিয়ে রন্তু হঠাৎ হারিয়ে গেল ভিড়ের মাঝে, তারপর অনেক কষ্টে তার বাবা-মা তাকে খুঁজে পায়। এই নিয়ে লেখা গল্প, রন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে লিখেছে।
আগামী পরশু স্কুল মাঠে মূল অনুষ্ঠান, আজ শেষ দিনের বাছাই চলছিল। রন্তুর ইচ্ছা ছিল যেমন খুশী তেমন সাজো প্রতিযোগিতায়ও অংশ নেয়ার। এখন আর কিছুই ভালো লাগছে না, ইচ্ছে হচ্ছে কবিতা, আর ছবি আঁকাটাও বাদ দিয়ে দিতে। কিচ্ছু ভালো লাগছে না। খুব কান্না পাচ্ছে, বাবাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। আজ কতদিন হয়ে গেল বাবাকে দেখেনা। কয়মাস? রন্তু হিসেব করে ভাবতে পারছে না। তার খুব কান্না পাচ্ছে, এই কান্নাটা এত্ত পচা না, যখন তখন চোখের কোণে এসে হাজির হয়।
দুইদিন পর, আজ স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। গতকাল সকল স্পোর্টস ইভেন্টের ফাইনাল হয়ে গেছে। আজ রন্তু তার মা শায়লার সাথে স্কুলে এসেছে। আজ রন্তুর দুটো ইভেন্ট রয়েছে, একটা ছবি আঁকা আর একটা হল কবিতা আবৃত্তি। রন্তু এখন বড় হলঘরটায় ছবি আঁকায় ব্যস্ত। এক ঘণ্টা সময়ে একটা বড় আর্ট পেপারে জলরঙ্গ দিয়ে ছবি আঁকা, রন্তু আঁকছে ‘আমাদের পরিবার’ নামের একটা ছবি। যেখানে একটা পরিবারে একটা ছেলে তার বাবা-মা তিনজন তিনটা ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে আছে। বাবা মা দুজনই বাইরে আকাশের দিকে তাকিয়ে। আর ছেলেটা একটা ঘরের দরজায় মাথা নিচু করে বসে আছে। রন্তু কি কারণে এই ছবিটা আঁকছে তা হয়ত সে নিজেও জানে না। কিন্তু তার পারিপারিক জটিলতাই তার শিশু মনে এই ছবি এঁকে দিয়েছে।
(পূর্ব ঘটনা প্রবাহঃ রন্তু, শায়লা আর জাভেদের একমাত্র সন্তান। জাভেদের সাথে শায়লার প্রনয় থেকে পরিণয়, পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে। কিন্তু বিয়ের পর শায়লা ধীরে ধীরে বুঝতে পারে জাভেদ ভয়ঙ্কর রকমের মানসিকভাবে অসুস্থ। এক সময় মানিয়ে নিতে না পেরে ছোট্ট শিশু রন্তুকে নিয়ে মায়ের বাসায় চলে আসে। তাদের মিউচুয়ালি ডিভোর্স হয়ে গেছে। মা-বাবার এই টানাপোড়নে শিশু রন্তুর মানসিক জগতের গল্প, সাথে তার নিত্যদিনকার প্যাচালি, এই হল এই গল্পের উপজীব্য। কয়েক মাস আগ পর্যন্ত জাভেদ রন্তুকে স্কুলের গেটে মাসে এক-দুইবার দেখা করতে আসতো, গত মাস দুয়েক আগে শেষবারের মত ছেলেকে দেখতে এসেছে। মানসিক সমস্যাগ্রস্থ জাভেদ পরিবার, আত্মীয় পরিজন হতে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে একাকী জীবন পথে হেঁটে চলেছে। অপর দিকে রন্তুর মা শায়লা এক প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরী করছে, যেখানে তার এক সিনিয়র পোস্টের সহকর্মী ইরফানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে যাচ্ছে প্রণয়ের দিকে। ইদানীং রন্তুর মাঝে একটি মানসিক সমস্যা দেখা যাচ্ছে, সে বাবা-মা সহ নিজেদের একটি পরিবার খুব মিস করে। আর সেই অপ্রাপ্তি থেকে সে নিজের মনে একা একা এক কাল্পনিক জগতে বিচরন করে। পিতামাতা’র সম্পর্কের এই টানাপোড়নের সাথে তার শিশু মনের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া’য় কেমন চলছে আমাদের রন্তুর জগত তা জানার জন্য আসুন এবার আবার শুরু করা যাক)
শায়লা স্টেজের সামনে অভিভাবকদের জন্য যে চেয়ারপাতা নির্দিষ্ট স্থান আছে সেখানে একেবারে শেষের দিকে একটা চেয়ারে বসে আছে অনেকক্ষণ। আজ সকালবেলাই সে রন্তুর সাথে স্কুলে এসেছে। ছেলেটা গত পরশু দৌড়তে গিয়ে পা ছিলে ফেলেছে, সেই ব্যাথায় রাতে এল জ্বর। ছেলেটার যে কি হল খোদাই জানে, একটু কিছু হলেই জ্বর চলে আসে। আজ বলতে গেলে শায়লা জোর করে ধরে নিয়ে এসেছে, ছেলেতো আসতেই রাজী না। বলে, ‘আমি এসব কম্পিটিশনে যাব না’। শেষে শায়লার ধমকে রাজী হল, আজ রন্তুর ছবি আঁকা আর কবিতা আবৃত্তি করার কথা। ছবি আঁকা পর্ব শেষ, এখন চলছে কবিতা আবৃত্তি, একটা ছোট মেয়ে স্টেজে কি চমৎকার করে তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে... কবিতাটি আবৃত্তি করছে। এক পায়ে কথাটি বলার সময় সে একটা পা উঁচু করে রাখছে, সাথে মুখের অভিব্যক্তি মিলে খুব সুন্দর দেখাচ্ছিল। ডায়াসে দাঁড়ানো ম্যাডাম রন্তুর নাম ধরে বলতেই শায়লা নড়েচড়ে বসল। গুটি গুটি পায়ে রন্তু স্টেজে এসে দাঁড়াল, মাইক যখন এডজাস্ট করার জন্য টেকনিশিয়ান ব্যস্ত তখন শায়লা চমকে উঠলো। রন্তু’র মাঝে অবিকল জাভেদের প্রতিচ্ছবি, দাঁড়ানোর ভঙ্গী, ঘাড় একটু কাত করে মাথা নিচু করে কি যেন ভাবছে। ঠিক জাভেদের কপি যেন। শায়লা নির্বাক বসে রইল।
হঠাৎ করে মাইকে চমৎকার একটা কণ্ঠে আবৃত্তি শুরু হতেই শায়লা দেখতে পেল রন্তু কবিতা আবৃত্তি শুরু করেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বীরপুরুষ’।
মনে করো, যেন বিদেশ ঘুরে
মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে।
তুমি যাচ্ছ পালকিতে, মা, চ’ড়ে
দরজা দুটো একটুকু ফাঁক করে,
আমি যাচ্ছি রাঙা ঘোড়ার ‘পরে
টগবগিয়ে তোমার পাশে পাশে।
রাস্তা থেকে ঘোড়ার খুরে খুরে
রাঙা ধুলোয় মেঘ উড়িয়ে আসে।।
সন্ধে হল, সূর্য নামে পাটে,
এলেম যেন জোড়াদিঘির মাঠে।
ধূ ধূ করে যে দিক-পানে চাই,
কোনখানে জনমানব নাই,
তুমি যেন আপন-মনে তাই
ভয় পেয়েছ – ভাবছ, ‘এলেম কোথা।’
আমি বলছি, ‘ভয় কোরো না মাগো,
ওই দেখা যায় মরা নদীর সোঁতা।’
আমরা কোথায় যাচ্ছি কে তা জানে -
অন্ধকারে দেখা যায় না ভাল।
তুমি যেন বললে আমায় ডেকে,
‘দিঘির ধারে ওই-যে কিসের আলো!’
এমন সময় ‘হাঁ রে রে রে রে’
ওই-যে কারা আসতেছে ডাক ছেড়ে!
তুমি ভয়ে পালকিতে এক কোণে
ঠাকুর-দেবতা স্মরণ করছ মনে...
এতোটুকু আবৃত্তি করে রন্তু থেমে গেল। শেষের দিকে তার গলা ধরে আসছিল, কান্না জড়ানো কণ্ঠে আবৃত্তি করতে করতে হঠাৎ থেমে গেল। শায়লা ততক্ষণে চেয়ার ছেড়ে উঠে স্টেজের দিকে এগিয়ে গেছে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করছিলেন যে শিক্ষক তিনি এগিয়ে গিয়ে রন্তুকে ধরে স্টেজ থেকে নামিয়ে আনলেন। শায়লা গিয়ে ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে একপাশের চেয়ারে নিয়ে গিয়ে বসিয়ে দিল। রন্তু বেশ কিছুক্ষণ ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে গেল, একসময় একটু ধাতস্ত হয়ে এলে শায়লা তাকে জিজ্ঞাসা করল, কি হয়েছিল? কবিতা কি ভুলে গিয়েছিল? নাকি ভয় পেয়েছিল? রন্তু কোন কথা না বলে শুধু ঘাড় নেড়ে জানিয়ে দিল, না এমন কিছু নয়।
কিন্তু রন্তু যে কথাটা মা’কে বলতে পারে নাই, তা হল... সে যখন কবিতা পাঠ করছিল বারবার তার বাবার কথা মনে হচ্ছিল। চারিদিকে বাবার মুখটা খুঁজতে খুঁজতে কবিতা আবৃত্তি করে যাচ্ছিল। আবৃত্তি করতে করতে যখন “এমন সময় ‘হাঁ রে রে রে রে’
ওই-যে কারা আসতেছে ডাক ছেড়ে!” এই অংশটা আবৃত্তি করছিল, তখন সে যেন দেখতে পেল বাবা ডাকাতের পোশাক পড়ে রন্তুদের দিকে তলোয়ার উচিয়ে হাঁ রে রে ডাক ছুঁড়ে এগিয়ে আসছিল। রক্তাক্ত চোখের বাবাকে দেখে রন্তুর খুব ভয় হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল পুরোটা কবিতা পড়তে পড়তে সত্যি বাবা ডাকাতের বেশে এসে রন্তু আর মাকে মেরে ফেলবে। বাবার এই রূপ রন্তুর মনে কেন এল রন্তু নিজেও জানে না। কিন্তু রন্তু বড় ভয় পেয়েছে, তারচেয়ে বড় কথা ভীষণ আঘাত পেয়েছে মনে। এমন কল্পনা রন্তুর মনোজগতে যে ঝড় তুলেছিল তা কেউ জানতে পারবে না, কক্ষনো না।
রন্তু'র কালো আকাশ - ১
রন্তু'র কালো আকাশ - ২
রন্তু'র কালো আকাশ - ৩
রন্তু'র কালো আকাশ - ৪
রন্তুর কালো আকাশ - (১-৫)
রন্তু'র কালো আকাশ - ৬
রন্তু'র কালো আকাশ - ৭
রন্তু'র কালো আকাশ - ৮
রন্তু'র কালো আকাশ - ৯
রন্তু'র কালো আকাশ - ১০
রন্তু'র কালো আকাশ - ১১
রন্তু'র কালো আকাশ - ১২
রন্তু'র কালো আকাশ - ১৩
১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:০৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ হ্যাপী ভাই, দীর্ঘ বিরতির পর আবার দেখা (দেখা বলতে ভালো লাগে, না দেখেও আমরা ব্লগের মানুষগুলো অনেক কাছের হয়ে যাই কি না...)। চমৎকার বিশ্লেষণাত্মক মন্তব্যে অনেক অনেক ভালোলাগা।
আমিও কিন্তু গল্পকার নই, সাধ জাগে, তাই মাঝে মাঝে গল্প লেখার অপপ্রয়াস চালাই আর কি। তবে রন্তু সিরিজের গল্প লিখতে আমার ভালো লাগে, সিরিজ গল্পে লেখায় একটা মজা আছে। তা হল যে চরিত্রকে ঘিরে গল্পটা গড়ে ওঠে সেই চরিত্রটা কিন্তু লেখকের মনের মাঝে বসবাস করতে শুরু করে। লেখক প্রায়ই বিভিন্ন দৃশ্যপটে, বিভিন্ন আঙ্গিকে উপলব্ধি করেন। কোন সিচুয়েশনে চরিত্রটি কেমন আচরণ করবে, কীভাবে কথা বলবে, কি কথা বলবে এসব কল্পনা এসে খেলা করে নিজের অজান্তেই লেখকের মনে। তাই ধারাবাহিক গল্প/উপন্যাস লেখার মজাই আলাদা।
ভালো থাকা হোক প্রতিটি সময়... শুভকামনা।
২| ০৩ রা জুন, ২০১৫ রাত ৯:৪১
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: একটা কথা না বললেই নয়, পাঠক ধরে রাখার অসাধারণ ক্ষমতা আপনার !!!
রন্তু-র ছোট্ট মন জুড়ে আছে ওর বাবা।
ভাল হোক আর মন্দই হোক, বাবার স্মৃতি ওর ছোট্ট মনকে আচ্ছন্ন করে রাখে, তাই সব কিছুতেই বাবার ছায়া দেখতে পায়।
এটি আমার ভাবনা, আপনার ভাবনা আরো যে সুদূর প্রসারী, তা'কি আর বলতে!!!
অনেক অনেক ভাললাগা !!!!
১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১:১২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনি যতটা বলছেন, ততটা ভালো আমি মোটেও লিখতে পারি না আপু, আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশী হলাম। রন্তুকে আপনার মূল্যায়ন শতভাগ সত্য, রন্তু আসলেই বাবাকে খুব মিস করে, চেতনে বা অবচেতনে, সারাক্ষণ।
অনেক অনেক ভালো থাকুন, শুভকামনা জানবনে।
৩| ১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১:০৫
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সবাই কিন্তু লেখার আগে তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করে থাকে।। আমি-আপনিও ব্যাতিক্রম নই।।
আর বিশেষ করে যারা গল্প লিখেন।। তাদের মাথায়তো লেখাগল্পের প্লটই সারাদিন গিজগিজ করে।।নূতন চরিত্র,পুরানো চরিত্রকে ঢেলে সাজানো,ইত্যাদি কতকিছুই না।।
তবে সবচেয়ে ভাল লেগেছে আপনার কথাটি,না দেখেও আমরা ব্লগের মানুষগুলো অনেক কাছের হয়ে যাই কি না..।। মনছুয়ে যাওয়া।। অনেক ধন্যবাদ।।
১৩ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলেই মাথায় এতো এতো প্লট গিজগিজ করে যে বলার নয়। ভালো লিখতে পারি না বলে গল্প তেমন লেখা হয় না। কিন্তু প্লটগুলো খুব যন্ত্রণা দেয়।
ধন্যবাদ, অনেক অনেক ভালো কাটুক প্রতিটি সময়।
৪| ১৩ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৫০
কম্পমান বলেছেন: আপনার পরের পর্বের অপক্ষায় দিন গুনছি।। সময় তো কাটছে না।।।।।।।।
১৩ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এই সপ্তাহেই পেয়ে যাবেন পরবর্তী পর্ব। একটু অপেক্ষা করুন কম্পমান...
৫| ১৬ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:৫৪
কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার সব আবেগ অনুভূতি ধীরে ধীরে নিয়ে আসছেন উপন্যাসে । ভাল লাগছেন অনেক বোমা ভাই । চলুক এইভাবে ।
শুভ কামনা রইলো ।
১৭ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:২৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ককাশে, এরই মধ্যে এই সিরিজের একটা রিপোস্ট দেয়া হয়ে গেল, আপনার মন্তব্য এবং প্রতিত্তরও। হঠাৎ এখন চোখে পড়ল এই মন্তব্যের প্রতিত্তর দেয়া হয় নাই। বুঝেন অবস্থা!!
আপনাদের উৎসাহ, প্রেরণা আর ভালবাসায় এগিয়ে যাচ্ছে রন্তুর এই উপাখ্যান। এর জন্য এই উপাখ্যানের রচয়িতা হিসেবে আমি আপনাদের সকলের নিকট কৃতজ্ঞ।
অনেক অনেক ভালো থাকুন, সবসময়, প্রতিটি ক্ষণ।
৬| ১৮ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪
কম্পমান বলেছেন: লেখক বলেছেন: এই সপ্তাহেই পেয়ে যাবেন পরবর্তী পর্ব। একটু অপেক্ষা করুন কম্পমান..
আর তো পারিনা ভাই.......... অপেক্ষা থেকে মৃত্যু শ্রেয়।।
১৮ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ছিঃ ছিঃ ভাই এভাবে বইলেন না। ১-১৪ তম পর্ব নিয়ে একটা রিপোস্ট দিয়েছি। আসলে এই মাসের ভ্রমণ সংকলন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় রন্তু সিরিজের পরবর্তী পর্ব লিখতে পারছি না। আগামীকালের মধ্যে ভ্রমণ সংকলন পোস্ট করতে পারবো আশা করি। পরশু লিখে তারপর দিন রন্তু'র কালো আকাশ - পর্ব ১৫ পোস্ট করতে পারবো বলে আশা রাখি।
অনিচ্ছাকৃত এই দেরীর জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সাথে থাকুন, পাশে থাকুন। ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।
৭| ২০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯
ডি মুন বলেছেন: সুন্দর একটা পর্ব।
ছোটবেলায় স্কুলে যেমন খুশি তেমন সাজো -এর ছেলেমেয়েদের দেখে খুব আনন্দ পেতাম। নিজে অবশ্য কোনোদিন অংশ নেইনি।
রন্তুর আবৃত্তি করা 'বীরপুরুষ' কবিতাটাও খুব পছন্দের। কিন্তু ডাকাতের বেশে তলোয়ার হাতে ওর বাবার মূর্তি ভেসে ওঠা কেমন যেন একটা অশুভ ইঙ্গিত দিচ্ছে। দেখা যাক কি ঘটে পরবর্তীতে। !
সিরিজ সচল থাকুক। শুভকামনা রইলো।
২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ডি মুন। কোথায় ছিলেন এই কয়দিন? কোন খোঁজ খবর নাই... সিরিজের নামেই কিন্তু অশুভ কিছুর ইঙ্গিত ছিল, "রন্তু'র কালো আকাশ"! সিরিজ চলবে ইনশাল্লাহ, সাথে তো আছেনই, তবে হুটহাট ডুব দিয়ে গায়েব হয়ে যাবেন না প্লিজ, বুঝছেন?
ভালো থাকুন সবসময়, রমজানের দিনগুলো ভালো কাটুক।
৮| ২৪ শে জুন, ২০১৫ রাত ১:৩৮
ডি মুন বলেছেন: হা হা হা
বেশ দীর্ঘ বিরতি হয়ে গেল আমার।
সামুর এই নতুন ভার্সন [যদিও অনেকদিন হয়ে গেল] আমাকে খুব একটা টানে না।
অভ্যস্ত হতে সময় লাগবে মনে হচ্ছে।
তাছাড়া সহব্লগার আরো অনেকেই অনিয়মিত হয়ে গেছেন, যাদের সাথে খুব সখ্যতা গড়ে উঠেছিল। এজন্যেই বোধহয় ব্লগে আসলে এখন কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগে। আনন্দ পাই না তেমন।
যাহোক, আবার নিয়মিত হবার চেষ্টা করব। না হলে অনেককিছু মিস হয়ে যাচ্ছে।
রন্তু সিরিজের জন্যে শুভকামনা।
চালিয়ে যাচ্ছেন দেখে আনন্দিত।
২৫ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:০২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হুমম... বুঝতে পারছি... প্রিয় মানুষগুলো ব্লগ খুব ফাঁকা ফাঁকা লাগে তাই না? নতুন ভার্সন প্রথম কয়েকদিন সবাইকেই অস্বস্তিতে ফেলেছে, পরে এডজাস্ট হয়ে যায়।
আর আমি তো ভার্চুয়াল ক্যারেক্টার, তাই আমার সাথে সহজে কারো সখ্যতা গড়ে ওঠে না মজার ব্যাপার আমি এজন্যই ভার্চুয়াল থাকতে চাই, যাতে করে দীর্ঘকাল সামু ব্লগের আঙ্গিনায় লিখে যেতে পারি। রিয়েলি, এজন্য ভার্চুয়াল থাকাটাই শ্রেয়। নাহলে সম্পর্কগুলো অদ্ভুত মায়ার জালে জড়িয়ে ফেলে...
ভালো থাকুন সবসময়, অনেক অনেক শুভকামনা। আর দোয়া করি, আবার আগের মত ফিরে আসুন ব্লগ আঙ্গিনায়।
৯| ২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:৫৭
ডি মুন বলেছেন: আর আমি তো ভার্চুয়াল ক্যারেক্টার, তাই আমার সাথে সহজে কারো সখ্যতা গড়ে ওঠে না - কথাটা কি পুরোপুরি সত্যি !!!
এতদিন তো ভাবতাম আপনার সাথে আমার কিছুটা হলেও সখ্যতা গড়ে উঠেছে। এখন দ্বিধায় তো পড়ে গেলাম !!!
আসলে অনেকেই ভার্চুয়াল থেকে রিয়েলিটিতে এসে কল্পনার [পারফেক্ট] মানুষ আর বাস্তবের[দোষে-গুণে সীমাবদ্ধ] মানুষের মধ্যে ঠিক মেলাতে পারেন না; হোঁচট খান। এছাড়া অনেক অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতাও হয় অনেকের। এজন্য কেউ কেউ ভার্চুয়ালি থাকাটাই শ্রেয় মনে করেন। এটা খারাপ কিছু নয়।
তবে ভার্চুয়ালি হোক আর রিয়েলিটিতে হোক সব সম্পর্কেই বোধহয় মায়া কাজ করে। আর মায়া কাজ করে বলেই সম্পর্কগুলো সুন্দর।
যদিও জানি, 'সবকিছু একদিন ভেঙ্গে যায়' - তবুও যতদিন তা অটুট থাকে ততদিন তার সৌন্দর্য। সেটুকু উপভোগ করতে ক্ষতি কি!!! আমি ভার্চুয়ালি অনেক মানুষের সাথে পরিচিত হয়েছি, যারা এখন রিয়েলিটিতে আমার খুব কাছের বন্ধু, বড়ভাই। আমি তাদের আগের মতই ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি আর সাথে সাথে এটাও মনে রাখি যে, তারা রক্ত-মাংসের দোষে-গুণে মানুষ [পারফেক্ট মানুষ বলে কিছু নেই ]।
যাহোক, আবোলতাবোল অনেক বলা হল। আশাকরি, ব্লগে আবার নিয়মিত হব।
আপনার সিরিজ চলুক আপন গতিতে।
শুভকামনা রইলো।
২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ১:৪৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সরি, সরি, সরি... ভুল হয়েছে ক্ষমা চাই। আসলে ডি মুন, সুমন কর, সোহানী, সচেতনহ্যাপী এমন নামগুলো মনে হয় কতদিনের চেনা। আমি যে অর্থে ভার্চুয়াল বলেছি, তা হল রক্তমাংসের প্রকৃত মানুষটাকে না জানার ব্যাপারটা।
আসলে অনেকেই ভার্চুয়াল থেকে রিয়েলিটিতে এসে কল্পনার [পারফেক্ট] মানুষ আর বাস্তবের[দোষে-গুণে সীমাবদ্ধ] মানুষের মধ্যে ঠিক মেলাতে পারেন না; হোঁচট খান। এছাড়া অনেক অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতাও হয় অনেকের। এজন্য কেউ কেউ ভার্চুয়ালি থাকাটাই শ্রেয় মনে করেন। একজ্যাক্টলি। আমার ক্ষেত্রে এটা আরও বেশী প্রযোজ্য, আমায় প্রথম দেখায় যে কেউ অপছন্দ করতে বাধ্য হবে ।
মায়া কাজ করে বলেই সম্পর্কগুলো সুন্দর। সত্যি তাই। কোন ব্লগার নিয়মিত না হলে হঠাৎ যখন খেয়াল হয় তখন খুব অস্থির লাগে, খোঁজ নিতে ইচ্ছে করে কি হয়েছে, কোথায় তিনি, নিয়মিত নন কেন? এইমুহূর্তে যেমন মামুন রশিদ ভাই, অপূর্ণ রায়হান, সোহানী, আদনান শাহরিয়ার এরকম বেশ কয়েকজনের কথা মনে পড়ল।
সবশেষে বলি, শর্ট লিস্টে যদি রাখি (সামু ব্লগের) তবে প্রথম তিনজনে অবশ্যই ডি মুন থাকবে। আমিও আবোলতাবোল অনেক কিছু বললাম। সিরিজ চলবে, আরও অনেকদিন, নতুন একটা চিন্তা আছে রন্তু সিরিজ নিয়ে। হাতে যদি একটু সময় থাকে, তবে Click This Link এই পোস্টে মুশিকুর ভাইয়ের মন্তব্যের প্রতিত্তরের কথাগুলো একটু পড়ে দেখবেন।
১০| ২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ৩:১২
ডি মুন বলেছেন: লিংকে গিয়ে মশিকুর ভাইয়ের মন্তব্য ও প্রত্যুত্তর আবার পড়ে আসলাম।
উনার মত আমিও আশাকরি ট্রিলজী আপনি শেষ করতে পারবেন। ধারাবাহিক কোনো কিছু লিখতে যে দক্ষতা লাগে, আমি নিশ্চিত আপনার তা আছে। কারণ জীবনের অলি-গলিতে ঘুরে বেড়ানো, পথ-হাটা, হোঁচট খেয়ে পড়া, ভালো-মন্দ, আনন্দ-বেদনার মিশ্র অভিজ্ঞতা একজন লেখকের জন্যে বিরাট সম্পদ। আপনি সে ঐশ্বর্যে ঐশ্বর্যবান।
আর হ্যাঁ, ব্লগ থেকে এখন পরিচিত ও প্রিয় অনেকেই দূরে আছেন। কেউবা প্রবল ব্যস্ততার ফাঁদে পড়ে, কেউবা সাময়িক অনীহায় অথবা অন্যকিছু - 'অজানা কোনো কারণে' । আশাকরি তারা আবার ফিরে আসবেন। আবার মাতিয়ে রাখবেন এই প্লাটফর্ম। মন্তব্যে, আনন্দে, সমালোচনায়।
আপনার জন্যে অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয় বোকা মানুষ ভাই।
আমার প্রতি এতটা আন্তরিক হবার জন্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা
সিরিজ চলুক। রন্তুর সাথে সাথে আমরাও তার জীবনের বাঁকগুলি ঘুরে আসি।
শুভরাত্রি।
২৮ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধারাবাহিক কোনো কিছু লিখতে যে দক্ষতা লাগে, আমি নিশ্চিত আপনার তা আছে। কারণ জীবনের অলি-গলিতে ঘুরে বেড়ানো, পথ-হাটা, হোঁচট খেয়ে পড়া, ভালো-মন্দ, আনন্দ-বেদনার মিশ্র অভিজ্ঞতা একজন লেখকের জন্যে বিরাট সম্পদ। আপনি সে ঐশ্বর্যে ঐশ্বর্যবান। মিয়া ভাই আপনে জানলেন কেম্নে? আমি তো ভয় পাইছি, আমার পেছনে কি গোয়েন্দা লাগানো হয়েছে নাকি!
আমিও আশা করি পুরানো সকল ব্লগার আবার সামুর আঙ্গিনায় ফিরে আসবনে। আশাকরি তারা আবার ফিরে আসবেনই। আবার মাতিয়ে রাখবেন এই প্লাটফর্ম। মন্তব্যে, আনন্দে, সমালোচনায়। অপেক্ষা আর অনুরোধ এই দুটো ছাড়া আমাদের আর কিইবা করার আছে।
ইনশাল্লাহ, রন্তু সিরিজ চলবে, যতদিন আপনারা সবাই সাথে আছেন। রন্তুর সাথে সাথে আমরাও তার জীবনের বাঁকগুলো ঘুরে ঘুরে দেখতে পাবো সামনে।
ভালো থাকুন সবসময়, অনেক অনেক শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জুন, ২০১৫ রাত ১২:৩৯
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: রন্তু আসলেও বাবাকে খুব ভালবাসে।। মানুষের স্বাভাবিক ধর্মই হলো প্রিয়জনের মাঝে যেকাছে নেই,তার প্রতিই বেশী আকর্ষিত হওয়া।। কিন্তু শেষ অংশে এসে মনে হলো ওর কচিমনে মা'র ছায়াটাও একটু আছে।।
আর ছবির অংশে মনে হলো বাবা-মা ভবিষ্যতের নিশানা খুজছে,যা তাদের শিশুটির মাঝে নেই,বিন্দুমাত্রও।।
আমি গল্পকার বা সমালোচকও নই।। তবে গল্পটি পড়ার পর তাৎক্ষনিক ভাবে যা মনে এসেছে,তাই বললাম।।
ভাললাগার সাথে প্রিয় একজনের লেখায় মন্তব্য করতে আরো ভাললাগা।।
শুভকামনায়।।