নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১
এইবার রোজায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক অভিযান এবং জেল-জরিমানা’র নিউজ প্রতিদিন খবরের কাগজে উঠে আসছে। ম্যাজিস্ট্রেট এবং সাথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা অভিযান চালাচ্ছে। এটা অবশ্যই সাধুবাদ প্রাপ্য, আমাদের ভোক্তা সংরক্ষণে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তাদের কর্মপদ্ধতি যথেষ্ট প্রশ্নের উদ্রেক করছে। প্রথমত তাদের যে নীতিমালা অবলম্বন করে তারা এই কার্যসম্পাদন করছেন, সেই নীতিমালা সম্পর্কে কয়জন ব্যবসায়ীকে কোন সরকারী সংস্থা নোটিশ দিয়েছেন, অবগত করেছেন এই এই নীতি অবলম্বন করতে হবে। এই অভিযানে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী এবং অস্থায়ীভাবে গড়ে ওঠা খাবারের দোকানগুলো। জানি আমার সাথে আপনি একমত হবেন না, তবু কষ্ট করে আমার লেখাটি পড়ে আমার বলা কথাগুলো একটু ভেবে দেখবেন।
প্রথমে আসি, খাদ্য পরিদর্শন দলের কথায়। যে দলটি এসব অভিযান পরিচালনা করছেন সেখানে কতজন রান্না এবং খাদ্য বিশেষজ্ঞ আছেন? আমার নিজ অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। নিউমার্কেট এক নম্বর গেটে যে বিখ্যাত ফাস্টফুড দোকান ছিল “ম্যাগডোনাল্ড” নামে (এখন তা ভাড়ায় অন্য মালিকানায় চলে), তার মালিক আমার খুব কাছের আত্মীয়। ২০০৪/২০০৫ এর ঘটনা, আমি সেদিন একটা ব্যক্তিগত কাজে উনার দোকানে গিয়েছি খুব সকাল বেলা। বেলা এগারোটার দিকে দোকান খুলছে তখন, এমন সময় ম্যাজিস্ট্রেট সদলবলে হাজির অভিযানে। দোকানে এটা ওটা চেক করে একপাশে দেখতে পায় একটা বড় গামলায় মোটা কাপড় দিয়ে ঢাকা কোন মিক্সচার। মজার ব্যাপার ওটা ছিল জিলাপির খামির, যারা জিলাপি তৈরির পদ্ধতি জানেন, তারা জানেন যে, জিলাপির খামির আগের রাতে করে রেখে দেয়া হয় গাঁজনের জন্য। আর বেলা বারোটা থেকে ভাজতে হবে বলে তা আগের রাতেই দোকান মালিকদের করে রাখতে হয়। ম্যাজিস্ট্রেট জিলাপির কারিগরকে জিজ্ঞাসা করল ঐটা কি? সে বলল, খামির। “খামির? এটা কি?”... “স্যার জিলাপির কেমিক্যাল...”!!! ব্যাস আর যায় কোথায়? নগদে দশ হাজার টাকা জরিমানা। আমি দাঁড়ানো সেখানে, আকাশ থেকে পড়লাম। সবাই যতই বুঝাবার চেষ্টা করল, কে শোনে কার কথা। সাথে থাকা পুলিশ ভাইদের হম্বিতম্বিতে মনে হচ্ছিল কোন নিষিদ্ধ মাদক অথবা চোরাচালান উদ্ধার করেছেন। আরও দুঃখের ঘটনা ঘটল একটু পরে, দোকানের ক্যাশে দশ হাজার টাকা নগদ রাখা ছিল না। ফলে দোকানের মালিককে পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে গেল! সাথে সাথে পাশের স্বর্ণের দোকানের মালিক দশহাজার টাকা নিয়ে উনাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। এই হচ্ছে বাস্তবতা, একজন রন্ধন বিশেষজ্ঞ কি এই দলে থাকবে না?
এবার আসি, পুরাতন ঢাকার বোম্বে সুইটস এর চানাচুর নাকি মবিলে ভাঁজা হয়! পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হল। মালিক বেচারা কারে কি বলবে? উনার কথা, ‘মবিলে যদি চানাচুর কেউ ভাঁজতে পারে তার দোকান লেইখা দিমু...’ কে শোনে কার কথা? আসল ঘটনা হচ্ছে পোড়া তেল। অনেক আইটেম আছে যা কাঁচা অর্থাৎ নতুন তেল থেকে রান্না করা তথা ভাঁজা যায় না। সেক্ষেত্রে পুরানো তেলের সাথে নতুন তেল মিশিয়ে তাতে ভাঁজা হয়। ফলে প্রতিবারের পুরাতন তেল রেখে দেয়া হয় যা ঘন এবং দেখতে অনেকটা কালো হয়, যা প্রথম দেখাতে মবিল মনে হতে পারে। কিন্তু রান্নার তেল আর মবিলের পার্থক্য করার মত কোন যন্ত্র কি তাদের সাথে থাকবে না?
এক্ষেত্রে আরকেটা কথা, তেলে ভাঁজা আইটেম যদি প্রতিবার ভাঁজার পর ব্যবহৃত তেল ফেলে দেয়া হত (বিশেষ করে ডুবো তেলে ভাঁজা আইটেম) তাহলে ঐ পণ্যের উৎপাদন খরচ কত হত? আর সেই পণ্যের বিক্রয়মূল্য কত হত? সেই মুল্যে আপনি আমি সেই পণ্য ক্রয় করতে কতটুকু আগ্রহী হতাম?
এই বছর আরেকটা জিনিষ দেখলাম, যেখানে সেখানে ইচ্ছামতন জরিমানা করা। চকবাজারে মাঠা বিক্রেতাকে বিশ হাজার টাকা জরিমানা! আরে ভাই ঐ বেচারাতো দিনে দশ হাজার টাকা বিক্রি পর্যন্ত করে না? তার মূলধন সর্বসাকুল্যে দশ হাজার টাকা হবে কি না সন্দেহ। আপনি বলতে পারেন খারাপ খাবার বিক্রি করছিল, তাই জরিমানা হয়েছে। এবার তাহলে কাজের কথায় আসি। “ল অফ কন্ট্রাক্ট” এ অফার এন্ড এক্সেপটেন্স বলে একটা ব্যাপার আছে। উনারা চকবাজারের খোলা রাস্তায় খোলা অবস্থায় খাবার সাজিয়ে রেখেছেন। এখানে অফার করাই হচ্ছে খাবার এই অবস্থায়, আপনি সেটা কিনছেন সব দেখে শুনে, এটা একসেপ্টেন্স। এখানে ব্রিচ অফ কন্টাক্ট কোথায় হচ্ছে? হ্যাঁ স্বাস্থ্য প্রশ্নে সরকারের ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপার আছে, কিন্তু সেটা প্রতি রমজান এলেই কেন হবে? ঈদের বোনাস আর বেতনে এতো খরচ তাহলে পোষায় না বলে? মজার ব্যাপার একই দিনে চট্টগ্রামে কয়েকশ টন ভেজাল খাবার তেল উদ্ধার করে জরিমানা করা হয়েছে আড়াই লাখ টাকা!!! সত্যি, বিচিত্র এই দেশ...
এবার দেখুন ভালো কিছু রেস্তোরায় জরিমানা করেছে গত পরশু, তালিকায় আছেঃ স্টার কাবাব, মালঞ্চ, ঘরোয়া, অষ্টব্যাঞ্জন। এদের মধ্যে এক রেস্টুরেন্টকে জরিমানা করেছে এক লক্ষ টাকা, কারণ খাবার উন্মুক্ত ছিল, গ্লাভস পরিহিত সেলসম্যান ছিল না আর মূল্য তালিকা ছিল না। রমজানের ইফতার সারা জীবন এভাবেই বিক্রয় হয়ে এসেছে, তাই নয় কি? আচ্ছা একটা প্রশ্ন, রমজানের ইফতার বিক্রির জন্য মূল্য তালিকা কবে থেকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে খুব জানতে মুঞ্চায় । এমন কি সারা বছর সাধারণ মানের সকল খাবারের হোটেলগুলো এভাবেই খাবার বিক্রয় করছে। ঢাকা শহরেই বুঝি লক্ষাধিক এমন খাবার দোকান রয়েছে। তখন এসব তদারকি কোথায় যায়? আরেকটা জিনিশ দেখুন, যখন প্রতিষ্ঠিত খাবার প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো ভেজাল খাবার, বিষাক্ত খাবার বিক্রয় করছে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা কি নেয়া হচ্ছে। প্রাণের জুস ১০০% পবিত্র এবং বিশুদ্ধ পানীয়, তাই তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। পাশের দেশে যেখানে ম্যাগি নুডুলস নিষিদ্ধ হচ্ছে, আমাদের এখানে আগ বাড়িয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে বলা হচ্ছে ম্যাগি নুডুলস সম্পূর্ণ নিরাপদ। হায়রে দুনিয়া, বড়ই আজীব!!!
এখন আসুন মূল কথায়, উন্নত বিশ্বে খাবারের দোকানগুলোতে নিয়মিত পরিদর্শন করা হয়। তাদের হাইজিন এন্ড সেফটি ট্রেনিং নেয়া লোক থাকে প্রতি রেস্টুরেন্টে, কমপক্ষে সার্টিফিকেটধারী একজন কর্মী সব দোকানে এটাচড থাকে। সরকারের তরফ থেকে একটা গাইডলাইন থাকে খাদ্য পণ্য প্রস্তুত থেকে শুরু করে বিপনন হয়ে বিক্রয় পর্যায় পর্যন্ত। কিন্তু আমাদের এখানে কি আছে? ঐ চকবাজারের রাস্তার উপরের মাঠা, দইবড়া থেকে শুরু করে আলুচপ, কাবাব বিক্রেতা তাদের কি জানানো হয়েছে এভাবে বিক্রয় করা যাবে না। রাস্তাতো সিটি কর্পোরেশনের, সেখানে দোকান বসছে, তাহলে সিটি কর্পোরেশন থেকে একটা গাইড লাইন দেয়া কি জরুরী না? কিন্তু এসব দেখার কেউ নেই, অভিযানের নামে চাঁদাবাজি স্টাইলে জরিমানা করেই খালাস। নিন্দুকেরা বলেন, পরিদর্শক দল পঞ্চাশ শতাংশ কমিশন পায় মোট জরিমানা থেকে।
শেষে একটা মজার গল্প দিয়ে শেষ করি, পুরোটা আমার শোনা, নিজের দেখা নয়। জনৈক সেলিব্রেটি পরিদর্শক ঢাকা কলেজ অথবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন হলের ক্যান্টিন পরিদর্শনে গেছেন। হাত ধোঁয়ার পানির মত ডালের গামলার দিকে ইশারা করে জিজ্ঞাসা করলেন “এটা কি?”। ফাজিল টাইপের একটা ছেলে ভিড়ের মাঝ থেকে বলে উঠলো, “এইটা খায়া পাশ কইরা ম্যাজিস্ট্রেট হইছেন, আর এহন কন এইটা কি?”
পরিশিষ্টঃ অনেকে মনে করতে পারেন আমি ভেজাল খাদ্য ব্যবসায়ীদের পক্ষে বলছি। কিন্তু না, আমি বলছি সিস্টেমের কথা। হুট করে রমজান আসলেই যেখানে সেখানে অভিযান চালাবেন, আর ইচ্ছামত জরিমানার টাকা আদায় করবেন এটা কোন সিস্টেম হতে পারে না। সবার আগে খাদ্য সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরি করুন, সেটা সকল পর্যায়ের খাদ্য ব্যবসায়ীদের জন্য শ্রেণীকরণ করুন, এক্ষেত্রে ব্যবসায়ী এবং এক্সপার্ট অপিনিয়ন নিয়ে নীতিমালা তৈরি করুন। সেই নীতিমালা যেন বাস্তবসম্মত হয় এবং প্রয়োগ করা সম্ভব হয়। কাগজে কলমে অনেক কিছুই সম্ভব, কিন্তু বাস্তবে তা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। পুরাতন ঢাকার বিরিয়ানির দোকান (হাজী, নান্না, হানিফ, রয়েল) যাদের গড়ে এক/দুই প্যাকেট প্রতি মিনিটে বিক্রয় করতে হয় সেখানে আপনি গ্লাভস আর খাবার ঢেকে রাখার কথা বলতে পারেন না। তাই বাস্তবসম্মত নীতিমালা হতে হবে। সেই নীতিমালা সকল ব্যবসায়ীদের হাতে পৌঁছে দিতে হবে, তাদের উপযুক্ত সার্টিফিকেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়মিত রুটিন পরিদর্শন অব্যাহত রাখতে হবে। তারপর না হয় এই রমজানের মত পিক মৌসুমে অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানা করবেন। আর নাহলে থামেন, এইসব বন্ধ করেন। পারলে নেসলে’র ম্যাগি, প্রাণের জুস এসব সমূলে উৎপাটন করুন, এরকম আরও ভয়ংকর ক্ষতিকারক খাদ্য দ্রব্য প্রস্তুতকারক, আমদানি কারক, বিক্রেতা এদের বিরুদ্ধে আগে ব্যবস্থা নেন। পচা গম আমদানি করে জনগণকে খাইয়ে দিবেন সেক্ষেত্রে কোথায় থাকে অভিযান। শেষে একটা কথাই বলি, মনে রাখবেন রমজান সংযমের মাস, ইবাদতের মাস, চাঁদাবাজি আর ধান্দাবাজি’র মাস না।
২৮ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমিও সেটাই বলতে চেয়েছি, প্রান্তিক বিক্রেতাদের লক্ষ্য করে এরকম ভেজাল অভিযান চালানো আসলেই কতটা যুক্তিযুক্ত। যেখানে কাঁচামাল প্রস্তুতকারী এবং আমদানিকারী গোঁড়ায় বসে দেদারসে ভেজাল পণ্য সরবরাহ করে যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রন করছে তাদের বিরুদ্ধে কোন কিছু হচ্ছে না। যত হম্বিতম্বি ঐ ফুটপাথের দোকানদারের উপর যে হয়ত নিজেও ঠিকমত বুঝে না তার পণ্যটি ঠিক কোন কারণে দোষী বলে সাব্যস্ত হচ্ছে।
তাই আমি মন করি অভিযানের আগে একটি যথাযথ নীতিমালা তৈরি হোক, সেটা সর্বক্ষেত্রে প্রারম্ভিক থেকে প্রান্তিক প্রতিটি ব্যবসায়ী যে খাদ্যদ্রব্য ব্যবসার সাথে কোন না কোনভাবে জড়িত সবার কাছে তুলে ধরে সতর্ক ওরা হোক, তারপর নিয়মিত মনিটরিং হোক। তখন যে না মানবে তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। কোন ধরণের কারিগরি সহায়তা ছাড়া একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কিছু আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী সদস্য নিয়ে অভিযান হতে পারে না। এজন্য অতি অবশ্যই এক্সপার্টদের সাথে রাখা দরকার।
ভালো থাকুন প্রিয় প্রবাসী পাঠক, অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
২| ২৮ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৩০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই পোস্টে আলোচনার সুযোগ আছে। আপাতত একটা কথাই বলছি, পুরানো তেল দিয়ে বার বার রান্না করে দাম কমানোর চাইতে নতুন তেল দিয়ে ভালো ভাবে যদি কোন খাদ্য প্রস্তুত করা হয়, সেটা মানুষ বেশি দাম দিয়ে হলেও কিনে খাবে- অন্তত যাদের সামর্থ আছে। সমস্যা হচ্ছে মানুষ টাকাও দিচ্ছে বেশি, জিনিসও পাচ্ছে না আসল।
আর আমাদের দেশের রেস্টুরেন্টগুলোর রসুঁই ঘর এমনিতেই নোংরা থাকে। এটাকে পরিষ্কার করার খুব একটা প্রচলন অন্তত এই দেশে জাতিগত ভাবেই নেই। তারপরও রেস্টুরেন্ট বা খাবারের দোকান চালালে অন্তত কিছুটা সর্তকতা অবলম্ভন করা উচিত। খাবারের দোকানে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে অবশ্যই একজন খাদ্য বিশেষজ্ঞ থাকা উচিত।
আর এই খাবারের ভেজাল দেয়ার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যু দন্ড করা উচিত। কেউ হয়ত গুলি করে খুন করে। সেটার মৃত্যু তাৎক্ষনিক। আর যারা ভেজাল খাওয়াইয়া মানুষকে তিলে তিলে মারে, তাদের শাস্তি অবশ্যই মৃত্যূদন্ডই হওয়া উচিত।
২৮ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: দেখুন কা_ভা, পুরানো তেল হিসেবে কোন তেল বা তেলের কতটুকু ব্যবহারের পর তা পুরানো বলে গণ্য হবে এটার একটা সঠিক মানদণ্ড থাকা অতি জরুরী। মনে করেন কোন সাধারণ খাবার হোটেলে যে কড়াইয়ে করে পুরি, আলুচপ, পেয়াজু, বেগুনী ভাঁজা হয় সেগুলোতে কমপক্ষে পাঁচ থেকে দশ কেজি তেল ঢেলে তারপর সেগুলো ভাঁজতে হয়। প্রতি ব্যাচে যদি ৫০টা করেও ভাঁজে তবে দশ ব্যাচে সর্বোচ্চ পাঁচশ পিস ভাঁজা হল, যার বাজার মূল্য দোকানভেদে ১৫০০-২৫০০ টাকা। এরপর কি এই তেল ফেলে দিবে? এই তেলের বাজার মুল্যই যেখানে ৫০০-১০০০ টাকা ছিল। একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর জন্য এটা কতটুকু যৌক্তিক। এই অভিজানও কিন্তু একটা অডিট। আমরা যখন কোন ফাইন্যান্সিয়াল অডিট করতে যাই কোন কোম্পানিতে, অডিটিং স্ট্যান্ডার্ড সাজেস্ট করে যে, প্রথমে আপনার তিনটি কাজ করতে হবে, (১) ফ্যামিলিয়ার উইথ দ্যা ইন্ডাস্ট্রি, (২) ফ্যামিলিয়ার উইথ দ্যা কোম্পানি (৩) ফ্যামিলিয়ার উইথ দ্যা প্রসেস। কারণ, এই তিনটা ক্ষেত্রে আপনি পরিপূর্ণ নলেজ না রাখলে আপনি কিসের অডিট করবেন। কিন্তু একজন অডিটর কয়টা ভিন্ন ভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে এক্সপার্টাইজ হবে। তাই অডিটিং স্ট্যান্ডার্ড সাজেস্ট করে যে, থার্ড পার্টি এক্সপার্ট এর সহায়তা নিতে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট ইন্ডাস্ট্রির জন্য কোন বাইরের অভিজ্ঞ কারো শরণাপন্ন হওয়া, সাহায্য নেয়া। আর তাই একজন ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষে মাছ, মাংস, ফল থেকে শুরু করে খাবার হোটেল, বেকারি, ফাস্টফুড হয়ে একেবারে বড় বড় খাবারজাত পণ্য প্রস্তুতকারক সবাইকে অডিট করাটা কতটা যুক্তিযুক্ত? আমার কাছে খুবই হাস্যকর মনে হয়।
আমাদের দেশের রেস্টুরেন্টের রসুঁই ঘর কেন, বাসাবাড়ির রসুঁই ঘরও নোংরা থাকে। আমাদের পথঘাট থেকে শুরু করে সবজায়গায় এর ছড়াছড়ি। এর জন্য জেল-জরিমানা থেকে বেশী জরুরী সচেতনতা। বাইরের দেশে দেখেন, খাবার দোকানের পারমিট বজায় রাখতে হেলথ এন্ড হাইজিন ফ্যাক্টরগুলো কঠিনভাবে মেনে চলতে হয়, অন্যথায় লাইসেন্স বাতিল হয়ে যায়। আমাদের দেশেত হাজার পাঁচেক টাকা খরচ করলে যে কোন ব্যবসার লাইসেন্স পাওয়া যায়, ক্ষেত্রবিশেষে দু'একটা ছাড়া। তাহলে, মুখ্য দোষী কে? এইসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা, নাকি আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রের সিস্টেম। কোন খাবার দোকান দিতে এই দেশে কোন অনুমতি লাগে বলে তো মনে হয় না।
আর শাস্তি প্রসঙ্গে বলি, সকল অপরাধ আর অপরাধের ধরন এক পাল্লায় মাপলে কি হবে? চকবাজারে যে দইবড়া বা মাঠা বিক্রেতাকে জরিমানা করা হল বিশ হাজার টাকা, তার পণ্য শুঁকে বলে দিয়েছে এটা বাসী খাবার। দইবড়া বা মাঠা টক স্বাদযুক্ত খাবার, এটা নাকে ধরলে আপনার টক গন্ধই আসবে। নাকে শুঁকে ভেজাল উপাধি দিলে কি হবে? আর এজন্য বিশ হাজার টাকা জরিমানা। ঐ লোকের পুঁজি নেই বিশ হাজার টাকা। তাই ভেজালের গোঁড়ায় ধরতে হবে। কয়েক হাজার টন ভেজাল তেল ধরা পড়ার পর দুই/তিন লাখ টাকা জরিমানা করে দিলেই কি কাজ শেষ। এই তেল যে ইম্পোর্টার এনেছে তার ট্রেড লাইসেন্স্, ইম্পোর্ট লাইসেন্স, ট্যাক্স-ভ্যাট নিবন্ধন সব একসাথে বাতিল করে গ্রেফতার এবং দীর্ঘ মেয়াদে সাজা কি প্রাপ্য ছিল না? একই কথা শুধু তেল নয়, গম-চাল-চিনি-লবন সবকয়টা ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। ঘনচিনি, ফরমালিন এসব ব্যবহারকারীদের চাইতে যারা ইম্পোর্ট করে এবং বিক্রি করে তাদের ধরাটা বেশী দরকার ছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরে কয়বার শুনেছেন এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে? প্রান্তিক মাছ আর ফল ব্যবসায়ীদের মণ মণ, টন টন পণ্য নষ্ট করে শাস্তি দেয়া হয়েছে। কিন্তু যারা এদের এসব কেমিক্যাল ব্যবহারে প্রলুব্ধ করেছে তারা রয়ে গেছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
শেষে আপনার কথার সাথে সহমত, কেউ হয়ত গুলি করে খুন করে। সেটার মৃত্যু তাৎক্ষনিক। আর যারা ভেজাল খাওয়াইয়া মানুষকে তিলে তিলে মারে, তাদের শাস্তি অবশ্যই মৃত্যূদন্ডই হওয়া উচিত। তবে অবশ্যই প্রকৃত দোষী কারা সেটা যথাযথভাবে নির্ণয় করা জরুরী। নইলে কয়েক লিটার ভেজাল মাঠা বিক্রেতা ফাঁসিতে ঝুলবে, আর হাজার হাজার টন পচা গম আমদানীকারক ঈদের ছুটিতে ইউরোপের কোন সমুদ্র সৈকতে জলকেলিতে মত্ত থাকবে।
৩| ২৮ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৪১
রিকি বলেছেন: ভাই এগুলো হচ্ছে উৎসবের পরবি তোলার অভিযান---- সারা বছর ভেজাল দেখতে পায়না, আর এই সময় হাওয়াতেও মানুষ শুঁকে শুঁকে ভেজাল খুঁজে বেড়ায়--- পেয়েও যায়... আমরা সত্যি অনেক ভালো জাতি ভাই... অন্তত দর্শক হিসেবে, আর সহ্যক্ষমতার দিক দিয়ে।
২৮ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলে সবই হল আইওয়াশ, লোক দেখানো সাথে কিছু টাকা ইনকাম করা। সারা বছর পাবলিকরে যা খুশী তা খাওয়ানোর সুযোগ করে দিয়ে রমজান আসলে উনাদের দরদ উথলে উঠে। আপনার এই কথাটা একেবারে কারেক্ট, 'হাওয়াতেও মানুষ শুঁকে শুঁকে ভেজাল খুঁজে বেড়ায়--- পেয়েও যায়...'। যার এরকম অভিযান প্রত্যক্ষ করার অভিজ্ঞতা আছে তারা জানেন। যে দোকানে উনারা গেছেন কোন না কোন একটা ত্রুটি বের করবেনই। আসলেই, আমরা সত্যি অনেক ভালো জাতি ভাই... অন্তত দর্শক হিসেবে, আর সহ্যক্ষমতার দিক দিয়ে।
৪| ২৮ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
ডি মুন বলেছেন: হ্যাঁ স্বাস্থ্য প্রশ্নে সরকারের ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপার আছে, কিন্তু সেটা প্রতি রমজান এলেই কেন হবে? ঈদের বোনাস আর বেতনে এতো খরচ তাহলে পোষায় না বলে?
--- প্রশ্নটা আমারো। ভেজাল বিরোধী এই কর্মতৎপরতা সারাবছর ব্যাপি থাকা উচিত। আর তা যথাযথ নিয়ম মেনে করা উচিত। সেক্ষেত্রে আপনার পোস্টের শেষ প্যারায় যে প্রস্তাবনা আছে, তা এড়িয়ে যাবার কোনো সুযোগ নেই।
শুভকামনা রইলো
২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:০২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমার মনে হয়ে ভেজাল হয় শুধু রোজার মাসে, টাকা পয়সার হিসেবের ভেজাল
রাঘব বোয়াল সব অবাধে কাটে সাঁতার টাকার সাগরে,
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সব পেরেশান ভেজাল অভিযানের ফাপরে।
৫| ২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:১১
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনি যেগুলোর অজুহাত দিলেন, বিদেশে এর যেকোনো দুটি একত্রে পেলে রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেয় না হলে দুদিনের নোটিশ দেয়। আমার মনে হয় এই ২০১৫ সালে এরকম অস্বাস্থ্যকর ব্যাবস্থা কিভাবে ছাড় দেয় বুঝি না!
২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:৩০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: প্রথম কথা হল আমি কোন অজুহাত দেই নাই। এরপরের কথা, বিদেশের সাথে তুলনা করার আগে আমার লেখাটা আরেকবার ভাল মত পড়ে দেখবেন। আমি যে জিনিশটায় ফোকাস করেছি সেটা হল একটা সঠিক দিক নির্দেশনা, তারপর এসব অভিযান আর জরিমানা। আর বিদেশের সাথে তুলনা করার আগে আমাদের ইনফ্রাস্ত্রাকচার দেখেন, আমাদের সামগ্রিক জীবনব্যাবস্থা দেখেন। সুন্দরবন হোটেলের মত তারকা চিহ্নিত হোটেলের কিচেনের অবস্থা দেখলে মাথা নষ্ট হয়ে যায়। যে দেশে মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য পণ্য নিয়মিত আমদানি করা হচ্ছে, সেখানে আপনি খাবার খোলা কেন বিক্রি করা হচ্ছে তার কৈফিয়ত চাইলে ব্যাপারটা কেমন হাস্যকর হয়ে যায় না? উন্নত বিশ্বের সাথে তুলনা করতে গেলে আমাদের আগে উন্নত বিশ্বের সমপর্যায়ের জীবনমান অর্জন করতে হবে। তবেই আপনি তাদেরকে বেঞ্চমার্ক হিসেবে সামনে আনতে পারবেন। অন্যথায়, এটা ঘোরতর অন্যায়। আর ঐ যে হোস্টেলের কথা বললাম, সেটা আমার আপনার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অলিগলিতে ব্যাঙের ছাতার মত যত খাবার দোকান ঢাকা শহরে আছে, তাদের স্ট্যান্ডার্ড গত দুই তিন দশকে যেমন আছে, তা কি চাহিদা-যোগানের ভারসম্যের কারণে না। গুলশান বনানী'র মত এলাকায় একশত থেকে দেড়শত টাকায় লাঞ্চ করতে গেলে আপনি হেলথ এন্ড হাইজিন সম্পন্ন রেস্টুরেন্ট কোথায় পাবেন? আমি খাবার টেবিলে অবাধে তেলাপোকা ঘুরতে দেখেছি অনেক রেস্টুরেন্টে, কমপ্লেইন করতে গেলে বলে ভাই রোজ তো তেলাপোকা মারার ঔষধ দেই। আমার প্রশ্ন হল সারা বছর এইসব পরিদর্শক দল কোথায় থাকে।
আর পেছন দিয়ে হাতি চলে গেলে দেখেও না দেখার ভান করে, অন্যদিকে সামনে দিয়ে সুঁই পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে এরা। প্রতিদিন ভেজাল ভোজ্য তেল, পচা গম, ভেজাল ঔষধ, শিশুখাদ্য, ফরমালিন, ঘনচিনি এগুলো দেশে আমদানি হচ্ছে অথবা প্রস্তুত হচ্ছে, সেখানে কোন একশন নেই, একশন আছে প্রান্তিক বিক্রেতার দোকানে। কারণ তাদের দৌড় খুবই সীমিত, তারা রাঘব বোয়াল না।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিষয়টিকে বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ রইল।
পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবনে। ভালো থাকুন সবসময়, অনেক অনেক শুভকামনা।
৬| ২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:৪১
ঢাকাবাসী বলেছেন: এসব অভিযান ঠভিটান তো আসলে টাকা বানাবার বা ঈদেের খরচ তোলার একটা অছিলা্ । জরিমানায় ভেজাল বন্ধ হয়? চীনে কোরিয়াতে মৃত্যুদন্ড আছে সেটা করতে পারবেন এই হননতন্ত্রের দেশে!
২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:২৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কি আর বলব ঢাকাবাসী ভাই, এইমাত্র টেলিভিশনে সংবাদে শুনলাম খুব গর্ব ভরে বলা হচ্ছে এই অভিযান সারা মাস ব্যাপী চলবে। ঈদের আগে আগে সারাদেশ সয়লাব হয়ে যাবে লাচ্ছা সেমাই, কাঁচা সেমাই দিয়ে। রমজানের আগে হঠাৎ লাচ্ছা সেমাই খেতে মন চাইল, সজিবের লাচ্ছা সেমাইয়ের প্যাকেট, দুধে ভিজিয়ে মুখে দিতেই বুঝলাম সামথিং ইজ রং। কিন্তু এই রং আমি আমার জিহবার স্বাদ দিয়ে না হয় বুঝলাম, কিন্তু কি রং তা চিহ্নিত করবে ল্যাবরেটরি তাই না? এসিআই, স্কয়ার, সজীব কর্পোরেশন, কল্লোল ব্রাদার্স, সানোয়ারা কর্পোরেশন এসব বড় বড় খাদ্য পণ্য নির্মাতাদের বিরুদ্ধে পারলে অভিযান চালাক। আর মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির কথা না হয় বাদই দিলাম, তাদের হয়ে সাফাই গায় স্বয়ং বিএসটিআই আর খাদ্য মন্ত্রণালয়। জরিমানায় ভেজাল বন্ধ হবে কীভাবে? জরিমানা তো বন্ধের জন্য করা হয় না। ফুড প্রোডাকশনের রেজিস্ট্রেশন (যা অনলাইন ভেরিফিকেশন করা যাবে) করে লাইসেন্স দেয়ার বিধান থাকলে ভেজাল পাওয়া গেলে লাইসেন্স বাতিল করে শাস্তির আয়ত্তে আনা যেত। হাজার টন ভেজাল খাবার তেল পাওয়ার পর লাখ দুই/তিন টাকা জরিমানা করেই খালাস। যে পর্যন্ত প্রপার সিস্টেমের আন্ডারে সবাইকে আনা না যাবে, এইসব চলতেই থাকবে। কোন সাজা দিয়েই কোন লাভ হবে না।
ভালো থাকুন সুপ্রিয় ঢাকাবাসী, শুভকামনা রইল। পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা।
৭| ২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:৪৬
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কি বলবো ভাই! বাংলাদেশ যত ভালো কাজই করুক তার পেছনে অসৎ উদ্দেশ্য থাকেই। আসলে যখন তাদের টাকার প্রয়োজন তারা টাকা নেবেই আর সে টাকার ভাগ মন্ত্রী পর্যায়ে যায়
এসব মেনেই ব্যাবসা করতে হবে।
লেখালেখি করলেও লাভ নাই আগে নেতাদের চক্ষু লজ্জা ছিলো এখনতো সেটাও নাই
২৯ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:১৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হুমম...ধন্যবাদ, ভালো থাকুন সবসময়।
৮| ২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:৫০
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: যেইখান থাইকা বেশি মুল্যে মানুষ জিনিস কিনে ওইগুলারে ধরুক। ফুটপাতের এদের ধইরা লাভ নাই। হাতে গ্লাভস, মাথায় পলিথিন এইগুলা আমাদের দেশের সাথে মিলেনা। মুল্য নির্ধারিত না কইরা দিলে তালিকা ঝুলাইয়াই বা লাভ কি? অভিযান চলা উচিত সারাবছর ঘোষনা ছাড়াই, ঘোষনা দিয়া অভিযান একটা তামাশার মতন।
২৯ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:২৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কথা হচ্ছে সবাইরে ধরুক, কোন প্রবলেম নাই। কিন্তু পরীক্ষা নেয়ার আগে ক্লাস করাইতে হইবে তো, ভালোমত সাবজেক্ট বুঝাইতে হবে না? যেসব ম্যাজিস্ট্রেট এসব অভিযান পরিচালনা করেন উনারা কতটুকু যোগ্যতা রাখেন এই ব্যাপারে সেই বিষয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আপনার মন্তব্যের প্রসঙ্গে বলি, সুপার চেইনশপগুলোতে এই অভিযান হচ্ছে না কেন? কারণ এগুলো প্রতিটিই বড় বড় কর্পোরেট হাউসের, মিনা বাজার কাজী শাহেদ আহমেদের "কাজী এন্ড কাজী" গ্রুপের, আগোরা হল "রহিম আফরোজ" গ্রুপের, স্বপ্ন "এসিআই" গ্রুপের। সো এসব জায়গায় এগুলো করা হবে না। মজার ব্যাপার বলি, এই রমজানে ক্রাফটেড ফ্রুট ড্রিঙ্কস পণ্য ট্যাং, ফসটার ক্লার্ক এরা বিশেষ ছাড় দিছে এসব চেইন শপে। প্রায় ২০% ছাড় ৭৫০ গ্রাম জারে। একটা কিনে এনে খাওয়ার পর স্বাদ কেমন যেন তিতকুটে মনে হল, নরমালের চেয়ে একটু অন্যরকম। আমি নিশ্চিত সেই পণ্যে কোন সমস্যা আছে, আর তাই সেগুলো এই চেইনশপের মাধ্যমে ক্লিয়ার করা হচ্ছে। এগুলো উনারা দেখবেন না, উনারা খুঁজেন পাড়া মহল্লার হোটেল রেস্তোরা। ভেজাল সেমাই শুধু কামরাঙ্গির চর, ইসলামবাগ, হাজারীবাগ এর ছোট ছোট কারখানায় না, বড় বড় কোম্পানির ফ্যাক্টরিতেও হচ্ছে দেদারসে সেগুলো একটু দেখার জন্য এরা তৎপর হয় না। কারণ, উপর থেকে ফোন আসতে পারে, সেই ফোনের ভার এদের বহন করা দুরূহ কি না...
হাতে গ্লাভস, মাথায় পলিথিন বাইন্দা বিষ মিশায়া খাবার বেচলে মনে হয় এরা খুশী থাকবে, আজব!!! আর মূল্য তালিকা... কিছু কইলাম না। অভিযান না, পরিদর্শন হওয়া উচিত সারা বছর, একটা নির্দিষ্ট নিয়মনীতি প্রণয়ন করে। তবেই দেখবেন সব কিছু ঠিক হবে। ব্যবসায়ীরা তখন একসময় সেই সিস্টেমের ভেতর আসতে বাধ্য হবে। কিন্তু প্রশ্ন হল সেই সিস্টেম কে তৈরি করবে?
৯| ২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:২৩
মায়াবী রূপকথা বলেছেন: পোস্টের কথাগুলো ভালো লেগেছে
২৯ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ মায়াবী রূপকথা, ভাইরে... বর্তমানে ভালো কথার ভাত নাই। অরণ্যে রোদনের মত বৃথাই সব বলে যাওয়া।
ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা নিরন্তর।
১০| ২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:৫৮
হামিদ আহসান বলেছেন: কিছু বাস্তব তথ্য তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ৷
২৯ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:২২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ হামিদ ভাই, আসলে বিষয়টি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হল তাই লিখলাম। গত কয়েকদিন ধরে এই ভেজাল অভিযানের মুদ্রার অন্যদিকটি নিয়ে কাছের কিছু মানুষের কাছ থেকে শুনে মনে হল এটা নিয়ে লেখাটা জরুরী।
ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা জানবনে।
১১| ২৯ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:২১
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার যুক্তির মাধ্যমে পুরো বিষয়টি তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ।
শুধু এ মাসে অভিযান না চালিয়ে সরকার যদি সারা বছর নিয়ম মতো তা করতো, তাহলে তারা একটু বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন করত। সব সময় একই তেলে ভাজা কিংবা পুরোনো+নতুন তেল মিশিয়ে ভাজা হয়। রেস্টুরেন্টগুলোর ভিতরের পরিবেশ পরিষ্কার রাখা উচিত। বাসি খাবার + ক্যামিকেল মেশানো বন্ধ করতে হবে।
অভিযান চলুক সারা বছর।
২৯ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:১১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর। আসলে তেলের ব্যাপারে একটা কথা বলি, এটা যে কেউ বাসার মহিলাদের জিজ্ঞাসা করলেও জানতে পারবেন। ডুবো তেলে কোন ভাঁজা-পোড়া আইটেম করার পর অবশিষ্ট তেল কে কোন একটা পাত্রে থিতু হওয়ার জন্য রেখে দেয়া হয়, পরবর্তীতে সেই তেল স্থিরাবস্থায় তেলের সাথে মিশে থাকা পোড়া খাদ্যদ্রব্য তলায় জমা হলে উপরের পরিস্কার তেল আলাদা করে নেয়া হয়, যদিও এই তেল নতুন কাঁচা তেলের চেয়ে রঙে একটু লালচে হয়, কিন্তু এটা ব্যবহার্য। এটা সব বাসাতেই করা হয়, কারণ এতোগুলো তেল ফেলে দেয়া যায় না। একই কাজ কিন্তু রেস্তোরা ব্যবসায়ীরাও করেন, পুরানো তেল থিতু করে নীচের জমা কালো গাদা (ওদের ভাষায়) ফেলে দিয়ে উপরিভাগের ভালো তেলটুকু পুনরায় ব্যবহার করা হয়। আর ঐ কালো বর্জ্য অংশ সমেত তেল ব্যবহার করলে তা খাবারের মধ্যে কালো দাগসহ বিশ্রী একটা গন্ধ তৈরি করে যা ঐ খাবারের মূল গন্ধ ও স্বাদ নষ্ট করে দিবে। ফলে বেশীরভাগ রেস্তোরা ইচ্ছে করলেও তা ব্যবহার করে না। এটাই বাস্তবতা। বিশ্বাস না হলে যে কোন রেস্তোরায় সরেজমিনে দুয়েক দিন থেকে দেখতে পারে আমাদের বিজ্ঞ অভিযান পরিচালনাকারীর দল। ক্যামিকাল মেশান হয় বেশীরভাগ ক্ষেত্রে অজ্ঞতার কারণে, যতটা না ইচ্ছাকৃত। একটা জিনিষ খেয়াল করেছেন, ঢাকা শহরে এখন লালা রঙের জিলাপি পাওয়া যায় না, কারণ বিক্রেতারা বুঝতে পেরেছে এই রং না দিয়ে তৈরি জিলাপি জনগণ কিনবে, কিনছে। তবে হ্যাঁ, বাসী খাবার প্রায় সব রেস্তোরায় দেখা যায়, এটা সম্পূর্ণ পরিহার করতে হবে। প্রয়োজনে মূল্য কিছুটা বাড়িয়ে হলেও। উন্নত বিশ্বে খাবারে মূল্য নির্ধারণ করা হয় সকল খরচ এমন কি স্টাফ সেলারি যোগ করে তার উপর প্রায় শতভাগ প্রফিট মার্জিন এড করে। কারণ, অবিক্রিত খাবার তাদের ফেলে দেয়া হয়, সেটার মূল্য এই মার্জিন থেকে কভার করা হয়। আমাদের দেশে কবে এমন হবে? দুইশত টাকার উপরে মূল্য পড়ে যে মুরগীর সেই মুরগীর গ্রিল আমরা ২৮০ টাকায় খেতে চাই। ফলে আগের দিনের বেঁচে যাওয়া মুরগী পরের দিন না বেঁচে উপায় কি বলেন?
১২| ২৯ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:১০
বাংলার জামিনদার বলেছেন: বড় কোম্পানিকে ধরেনা, কারন তাহলে ঐ ম্যাজিষ্ট্রেট ধরা খেয়ে যাবে। আর ফুটপাতের দোকানদার তো সামান্য কনষ্টেবলের ফাপড়েই টিকতে পারেনা, ম্যাজিষ্ট্রেট তো অনেক বড় ব্যাপার।
২৯ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলে সব বড় কোম্পানি যে মানসম্মত পণ্য উৎপাদন করছে না, তা কিন্তু নয়। এই কয়েকদিন আগেই স্কয়ার আর বেক্সিমকো ফার্মা আমেরিকাতে পণ্য রপ্তানির সনদ পেয়েছে। কিন্তু কথা হল খাদ্যজাত প্রস্তুতকারক, বিপনন এবং বাজারজাতকরণ থেকে শুরু করে বিক্রয় পর্যন্ত জড়িত প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, ছোট বড় নির্বিশেষে সবার জন্য একটি যুগোপযোগী, কার্যকর, বাস্তবসম্মত এবং বিজ্ঞানভিত্তিক নীতিমালা প্রণয়ন করাটা সবচেয়ে জরুরী। এরপর এই নীতিমালা যথাযথভাবে মানা হচ্ছে কি না সেটার জন্য দরকার নিয়মিত পরিদর্শন এবং সার্টিফিকেশনের ব্যাবস্থা। অভিযান বলতেই মনে হয় অন্যায় বা নিষিদ্ধ কিছু উদ্ঘাটন, তাই না? আসলে যখন বাংলাদেশে যেটা একবার হিট হয় সেটা চলতেই থাকে। এই ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভেজাল অভিযান এখন হট কেক, তাই তারা ফলাও করে যেটা বলবে সেটাই মেনে নিতে হবে। ফরমালিনযুক্ত আমবিক্রেতার সব আম জব্দ করে জরিমানা করা হয়, অথচ এই ফরমালিন আমদানি এবং খোলা বাজারে বিক্রির সাথে জড়িত কাউকে আজ পর্যন্ত গ্রেপ্তারের খবর কিন্তু শুনতে পাই নাই।
পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভালো থাকুন সবসময়।
১৩| ২৯ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৪০
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: এক্ষেত্রে আরকেটা কথা, তেলে ভাঁজা আইটেম যদি প্রতিবার ভাঁজার পর ব্যবহৃত তেল ফেলে দেয়া হত (বিশেষ করে ডুবো তেলে ভাঁজা আইটেম) তাহলে ঐ পণ্যের উৎপাদন খরচ কত হত? আর সেই পণ্যের বিক্রয়মূল্য কত হত? সেই মুল্যে আপনি আমি সেই পণ্য ক্রয় করতে কতটুকু আগ্রহী হতাম? -----
১০০% সহমত!! এদিকটা দেখার চিন্তা ভাবনাই এদের নেই!!
ভালো কিছু রেস্তোরায় জরিমানা করেছে গত পরশু, তালিকায় আছেঃ স্টার কাবাব, মালঞ্চ, ঘরোয়া, অষ্টব্যাঞ্জন। এদের মধ্যে এক রেস্টুরেন্টকে জরিমানা করেছে এক লক্ষ টাকা, কারণ খাবার উন্মুক্ত ছিল, গ্লাভস পরিহিত সেলসম্যান ছিল না আর মূল্য তালিকা ছিল না। ------
এই সব রেস্তোরায় ইফতারের সময় মানুষ দাঁড়ানোর জায়গা হয় না!! ২০০ টাকা প্লেটের দাম ২৫০ টাকা হলেও ভিড় একটুও কমবে না। রেস্তোরার মালিকদের জরিমানার টাকা তুলতে কত দিন সময় লাগবে? আর টাকাটা ই বা গেল কার পকেট থেকে?!
ঘুরেফিরে মরে বেচারা আমজনতা!!
২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:১০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সেইটাই আপু, পারলে বুকে হাত দিয়ে বলুক, কয়টা বাসায় ভাঁজা পোড়া রান্না করার পর বাকী সবতেল ফেলে দেয়া হয়? আসলে বলার সময় সবাই বলতে পারে, কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আসলেই এদিকটা দেখার চিন্তা ভাবনাই এদের নেই।
সেইটাই, আসলে দরকার হল এদের রসুঁই ঘরের পুরো একটা পরিবর্তন, সিস্টেমে পরিবর্তন; সেগুলোতে কোন উৎসাহ নাই কর্তৃপক্ষের, আছে আইওয়াশ এর সুতীব্র আকাঙ্ক্ষা।
এখনো শুনিনি খাবার দাম বেশী রাখার জন্য জরিমানা করছে কোন রেস্তোরাকে। কারণ টাকা যায় পাবলিকের পকেটের....
ধন্যবাদ আপু, চমৎকার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকা হোক সবসময়।
১৪| ২৯ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:০২
কাবিল বলেছেন: দুই সপ্তাহ আগে আমি একটা হোটেলে খেতে গেছি। হোটেলের কিছু অস্বাস্থ্যকর অবস্থা দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করছিলনা। এক প্রকার অনিচ্ছা থাকা সত্তেও খেতে বসলাম । কিছুক্ষন পর এক জন ম্যাজিস্ট্রেড ৬/৭ জন পুলিশ সহ হোটেলে প্রবেশ করলেন। ভালই লাগছিল আমি নিশ্চিত ছিলাম জরিমানা হবেই। কিন্তু পেছন থেকে একটা পুলিশ আস্তে আস্তে বললেন, স্যার আমরা এ হোটেলেই খায় কোনও সমস্যা নেই। ম্যাজিস্ট্রেড আর কোনও কিছু খেয়াল না করেই বেরিয়ে গেলেন। পেছন থেকে হোটেল ম্যানেজার একটা পুলিশকে ডেকে ফিশ ফিশ করে বললেন- স্যার একটু দ্যাখবেন।
এই হল আমার স্বচক্ষে দেখা অভিজান।
আপনার যুক্তিতে আমি একমত, গাছের শুধু ডাল কাটলেই হবেনা গাছ সহ উপড়ে দিতে হবে।
৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১২:১৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এইটাই হল সার কথা। উদ্দেশ্য হল মূল কথা, এই তথাকথিত ভেজাল অভিযান আইওয়াশ ছাড়া কিছুই নয়। আগে দরকার সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট, তার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিতকরণ এবং নিয়মিত মনিটরিং। আর জরিমানা বা অন্য কোন সাজা হতে হবে যৌক্তিক। তবেই সম্ভব ভেজাল এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার উৎপাদন, বিপনন এবং বিক্রয়।
ধন্যবাদ কাবিল, ভালো থাকুন সবসময়।
১৫| ২৯ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫
কলমের কালি শেষ বলেছেন: সবকিছুই একটা সঙ্গতিপূর্ণ নীতির উপরে চললে সেটার ফল অবশ্যই ভাল হয়। কিন্তু আমাদের দেশে তো কেউ নীতির ধার ধারে না । যাকে যেখানে পাচ্ছে তাকেই কোপ দিচ্ছে, সচেতনে হোক আর অচেতনে হোক ।
আপনার লেখায় সুস্পষ্ট অনেক কিছুই উঠে এসেছে । ভাল লাগলো অনেক ।
ভাল থাকুন ।
৩০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: যাকে যেখানে পাচ্ছে তাকেই কোপ দিচ্ছে, সচেতনে হোক আর অচেতনে হোক । পুরাই কোপা সামশু অবস্থা
নীতিকথা আজ জাদুঘরের কাঁচের বাক্সে বন্দী
ধন্যবাদ ককাশে, ভালো থাকুন সবসময়।
১৬| ২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৪০
এহসান সাবির বলেছেন: পুরাতন ঢাকার বোম্বে সুইটস এর চানাচুর নাকি মবিলে ভাঁজা হয়!
ওটাই আমার প্রিয় চানাচুর।
৩০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: প্রথম কথা হল, চকবাজারের বোম্বে সুইটস আর বোম্বে পটেটো চিপস খ্যাত বোম্বে সুইটস কিন্তু ভিন্ন দুটি প্রতিষ্ঠান। চকবাজারে এলে বোম্বে সুইটমিটস এবং তার পাশেই বোম্বে কনফেকশনারি এন্ড চানাচুরের দোকান পাবেন। এই দোকানকেই কয়েকবছর আগে তাদের ফ্যাক্টরিতে মোবাইল কোর্ট মবিল দিয়ে চানাচুর ভাঁজা হয় বলে অভিযুক্ত করেছিল, যা নিতান্তই হাস্যকর ছিল। যদি সুযোগ পান, বোম্বে কনফেকশনারির সমুচা, কাচুরি আর জিলাপি নিয়ে গিয়ে ইফতার করে দেখবেন, সেইরকম স্বাদ। আর সুইটমিটের কাঁচা ছানা আর আফলাতুন, সাথে মাও্য়ার লাড্ডু আর সন্দেশ, উহম...
১৭| ৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১২:৫৩
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: সবই ঠিক হইতে পারে যদি দুইটা জায়গা ঠিক করা যায়। বিচার ব্যাবস্থা আর পুলিশের চরিত্র। কিন্তু এইগুলা জীবনেও এইদেশে ঠিক হবে নাকি কে জানে। স্বাধীনতার পরে সবকিছুতেই পাকিস্তানের চেয়ে আমাদের উন্নতি বেশি হইছে, কিংবা সাপেক্ষে উন্নতি বেশিই হইছে। কিন্তু বিচার বিভাগের বেলায় হয়নাই। এইজন্যই ওদের সুপ্রিমকোর্ট প্রধানমন্ত্রীরে অবৈধ ঘোষনা করতে পারে কিন্তু এইদেশে সব সরকারই বিচার বিভাগ নিজের আজ্ঞাবহ হিসেবে পাইছে। পুলিশের কিথা আর কি কমু, কিন্তু আইন প্রয়োগের কাজটাতো আসলে এদেরই...
৩০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এসব নিয়ে কথা বলতে ভয় পাই, কি কি আইন আর কি কি ধারা যেন আছে.... কিছু কইলেই ধইরা নিয়া যাইব
১৮| ৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ৩:১৩
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: হাতি খেলে কিছু হয় না কিন্তু মশা খেলে অনেক বিপর্যয়।। বিচিত্র এই দেশ।। মূল বাদ দিয়ে শুধু আগা ছাটছে!!
৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:২২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ঠিক কথা বলেছেন হ্যাপী ভাই। সংসদে দাঁড়াইয়া পচা গমের সাফাই গাওয়া হয়, সার্টিফিকেট দেয়া হয়, আর গ্লাভস ছাড়া ইফতার আইটেম বিক্রি করল কেন? ইফতার আইটেমের মূল্যতালিকা নাই কেন? এসবের জন্য জরিমানা করা হয়। বড়ই বিচিত্র এই দেশ।
একটা জিনিষ নিশ্চয়ই জানেন, আগা ছাঁটলে গাছ দ্রুত বড় হয়... তাইতো এতো দ্রুত ..... বুঝে নেন।
ভালো থাকা হোক সবসময়।
১৯| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫
রূপা কর বলেছেন: আপনার সাথে একমত। ঈদের বোনাসে বৌ পোলাপানের আবদার মিটেনা । নইলে সারা বছর অভিযান চালাইতো । ++++
০১ লা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ রূপা কর, ভালো বলেছেন।
ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ১:৩১
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোষ্টটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
রমজান মাস এলেই জোরেশোরে শুরু হয়ে যায় ভেজাল বিরুধি অভিযান। কিন্তু এই অভিযানের লক্ষ্য থাকে প্রান্তিক ব্যবসায়ী। কিন্তু ভেজালটা মূলত যেখান থেকে শুরু হয় তা থেকে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে। নির্দিষ্ট একটা গাইডলাইন তৈরি করে এই অভিযান চালালে তা ফলপ্রসূ হতে পারত।