নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহারাণী\'র বৃষ্টি বিলাস... অতঃপর পানিবন্দী মহারাণী (মহারাণী\'র কেচ্ছা ০৫)

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৫





কয়েকদিনের অসহ্য গরমের পর গত দুইদিন ধরে সমানে বৃষ্টি হচ্ছে, চারিধারে এক শীতল অনুভব অনুভূত হচ্ছে। এই বৃষ্টির কল্যাণেই কি না জানি না, গত দুইদিন যাবত ঘুম ভাল হচ্ছে। কোন ঘুমের ঔষধের সাহায্য ছাড়াই চমৎকার ঘুম হচ্ছে। রাতে একটু আগে ঘুমিয়ে গেলেও বেশ বেলা করে ঘুম থেকে উঠি, বেশ আরামে আছি। কিন্তু আমার আরাম যেন পছন্দ হল না মহারাণীর, তাই এই সাত সকালে তার ফোন, মোবাইলের কর্কশ কণ্ঠের আওয়াজে ঘুম ভাঙ্গল। বেশ রোমান্টিক একটা রিংটোন ছিল, মহারাণীর বক্র কটাক্ষে বিরক্ত হয়ে সেটা পাল্টে এলার্ম টাইপের একটা রিংটোন সেট করেছিলাম। সেই কর্কশ শব্দে এই সাত সকালে মনে হল মোবাইলটা আছাড় দিয়ে ভেঙ্গে ফেলি। কিন্তু মাত্রই কয়েকদিন আগে বড় আপা ইতালি থেকে এই সেটটা আমাকে পাঠিয়েছে, এতো দামী সেট, আছাড় দিতে পারছি না। এর চাইতে আগের সেটই ভাল ছিল, যখন তখন ইচ্ছা আছাড় দেয়া যেত, আছাড় দিয়ে মনটা একটু শান্ত হত।

রাজ্যের আলস্য নিয়ে ফোনটা রিসিভ করলাম।

‘হ্যালো?’

‘কি, এখন মাত্র ঘুম থেকে উঠলে?’ মহারাণীর কণ্ঠ। কয়েকদিন আগে মহারাণীকে কথা দিয়েছি, রাতে আগে আগে শুয়ে পড়ব এবং সকালে খুব ভোরে উঠে হাঁটতে বের হব। আমার নাকি ভুঁড়ি বেড়ে যাচ্ছে।

‘না না, উঠেছি আগেই, একটু বিছানায় শুয়ে ছিলাম।’

‘শোন, তুমি আটটার মধ্যে সদরঘাটের পাশে আরেকটা ঘাট আছে, ওয়াইজঘাট, সেখানে চলে আসো’

‘ওয়াইজঘাট চিনি না, সদরঘাট চিনি। কিন্তু ঐসব ঘাটে তোমার কি কাজ?’

‘যা বলছি তা করবে, কি কাজ তা দিয়ে তোমার কোন কাজ নাই, বুঝছ?’

‘হু... বুঝছি। কিন্তু আকাশে কালো মেঘ ছেয়ে আছে, যে কোন সময় আবার বৃষ্টি শুরু হতে পারে’

‘এতো কথা বল কেন? যা বলছি, ঠিক আটটার মধ্যে ওয়াইজঘাট... মনে থাকে যেন...’

আমাকে আর কোন কথা বলতে না দেয়ার সুযোগ দিয়ে লাইন কেটে দিল। মহারাণীকে নিয়ে আর পারলাম না। দিন দিন ওর পাগলামো বেড়েই চলেছে, সামনে আরও কত যে হ্যাপা সহ্য করতে হবে আল্লাহই মালুম। আমি দ্রুত খাট থেকে নেমে পড়লাম, হাতে আছে এক ঘণ্টারও কম সময়, এই সময়ের মধ্যে সেই সদরঘাট পৌঁছতে হবে। ভাগ্য ভাল সকালবেলা, তার উপর আজ কিসের যেন ছুটি, তাই রাস্তাঘাট ফাঁকাই আছে। কয়েকদিন পরপরই ছুটি থাকে ইদানীং, যদিও আমার এসবের কোন হিসেব নেয়ার দরকার পড়ে না। ইদানীং ভার্সিটি যাওয়া হয় না নিয়মিত। মহারাণীর ডাক আসলে সেদিন বাধ্যতামূলকভাবে যেতে হয়। একটা রিকশা নিয়ে আটটা বাজার দশ মিনিট পর পৌঁছে গেলাম সদরঘাট। ওয়াইজঘাট খুঁজে পেতে আরও দশ মিনিট। কিন্তু ঘাটে গিয়ে কারো দেখা পেলাম না, এদিক সেদিক তাকিয়ে কোথাও মহারাণীর দেখা পেলাম না। দশ মিনিট খোঁজাখুঁজি করে যখন ভাবছি আবার বাসার দিকে ফিরে যাব কি না, তখন দেখি রাস্তার উপর রিকশা হতে মহারাণী নামছে। পড়নে ময়ূরকণ্ঠী নীল রঙের একটা শাড়ি, সাথে ম্যাচিং করা ফুলহাতা ব্লাউজ। মাথার দীঘল কালো কেশমালা মেলে দিয়েছে পিঠের উপর। বাতাসে কয়েকটি চুল এলোমেলো উড়ছে মৃদু ছন্দে। আমি মনে মনে গেয়ে উঠলাম,

দখিণা হাওয়া ঐ তোমার চুলে
ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় এলোমেলো করে
দুয়েকটি চুলে ঢেকে যায় তোমার একটি চোখ
আমি ভুলে যাই....

এতোটুকু গুণগুণ করে গেয়ে আমি থেমে যাই, কারণ এর পরের লাইনটা আমার জন্য প্রযোজ্য নয়। মহারাণী আমার, শুধুই আমার। আমার এই ভাবনার মাঝেই মহারাণী এসে আমার সামনে দাঁড়ালো। একবার ভাবলাম জিজ্ঞাসা করি, দেরীর কারণ কি? পরে ভাবলাম খাল কেটে কুমির আনার কোন কারণ নেই। কিন্তু মহারাণীর বেশভূষা দেখে নিজেকে কেমন বেমানান মনে হচ্ছিল। আমি তো ঘুম থেকে উঠে একটা সাধারণ ট্রাউজার আর টিশার্ট চাপিয়ে চলে এসেছি। কিন্তু মহারাণীর সাজসজ্জা দেখে মনে হচ্ছে আমরা কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছি। আমি হালকা স্বরে জিজ্ঞাসা করলাম,

‘এতো সাজসজ্জা? কোথায় যাচ্ছ?’

‘যাচ্ছ না, বল যাচ্ছি? তুমি আর আমি’ মহারাণী তার সেই হাসি হেসে বলল। যেই হাসি দেখলে বুকের বাম পাশটায় চিনচিনে ব্যাথা হয়।

‘কোথায় যাচ্ছি?’

‘বিয়েতে’

‘বিয়ে? কার বিয়ে?’

‘আমাদের...’ মহারাণীর চোখে দুষ্টুমির ছায়া দেখতে পাচ্ছি।

‘আমাদের বিয়ে মানে কি?’

‘আমরা আজ বিয়ে করতে যাচ্ছি’ দুষ্টুমিমাখা একটা হাসি দিয়ে বলল মহারাণী। আমার মনে হল কেউ যেন আমাকে মহাশূন্যে নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে, আমার কোন ওজন নেই, কোন অনুভূতি নেই। সব ফাঁকা ফাঁকা লাগতে লাগলো। আমার বিহবল অবস্থা দেখেই বুঝি মহারাণীর দয়া হল। খিলখিল করে হেসে উঠলো...

‘ভয় পেয়ে গেলে, বিয়ের কথা শুনে মনে হল আকাশ থেকে পড়লে। থাক আজ বিয়ে বাদ, আজ ডেকেছি... নৌকা করে সারাদিন বুড়িগঙ্গায় ঘুরে বেড়াবো। অন্যসময় তো নোংরা পানিতে টেকা দায়, এই বর্ষায় যা একটু নদীটা নিজের রূপ ফিরে পায়... তাই না’ আমি অল্পসময়ের জন্য কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম। মহারাণীর স্পর্শের ঝাঁকুনিতে সম্বিৎ ফিরে পেলাম যেন। একটু পড়ে একটা নৌকা ভাড়া করা হল, নৌকার ছইয়ের নীচে সুন্দর পাটি পাতা আছে, বয়স্ক মাঝি নৌকা ছাড়তেই মহারাণী আয়েশ করে ছইয়ের ভেতর হাত পা ছড়িয়ে বসে পড়ল। আমি ভেতরে ঢুকতে নিতেই আমাকে ইশারায় নৌকার গুলইয়ের দিকে দেখাল। মানে! আমার ছইয়ের ভেতর প্রবেশ নিষেধ, নৌকার এক মাথায় বসে মাঝি ভাই বৈঠা বাইছে, অন্য মাথায় আমি একবার মহারাণীকে, একবার মাঝি ভাইকে, আর বাকী সময় চারিধারে দেখতে লাগলাম।

নৌকা ঘণ্টাখানেক চলার পর শুরু হল বৃষ্টি, কিন্তু সাথে তেমন বাতাস না থাকায় মাঝি নৌকা বাইতে লাগলো। আমি এই বৃষ্টির মাঝেও ছইয়ের ভেতর জায়গা পেলাম না, বৃষ্টিতে ভিজতে লাগলাম।

... ... ...

দুইদিন পরের ঘটনা, দুপুরের দিকে মহারাণীর ফোন।

‘হ্যালো কোথায় তুমি?’

‘আমি তো গ্রামের বাড়িতে’ মিথ্যা বললাম। সেদিন বৃষ্টিতে ভিজে আমার একশ তিন ডিগ্রী জ্বর।

‘মানে? গ্রামের বাড়ি হুট করে?’

‘হঠাৎ বাসা থেকে ফোন এল, জরুরী কাজে চলে আসতে হল।’

‘অ... ঠিক আছে। ফিরবে কবে?’

‘দেখি, এখনো জানি না। আগামীকালও ফিরতে পারি আবার এক সপ্তাহ পরেও ফিরতে পারি। তুমি এখন কি কর?’

‘আমি সোবহানবাগ মসজিদের কাছে, পানির মাঝে আটকে আছি।’

‘মানে? কলাবাগান লেকে?’

‘আরে গাধা, না... বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে গেছে। আমি ছিলাম বাসে, পানির মাঝে এসে বাস নষ্ট হয়ে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেছে। বাস থেকে নেমে যেতেও পারছি না... রাস্তায় কোমর সমান পানি’

‘আহালে... আমার পাখীটা...’

‘এই ঢং করবা না, আমি পানিতে আটকে আছি, আর তুমি এখানে আহ্লাদি করতে আসছ?’

‘না না... আমি তো এমনি...’

‘চুপ, আর একটা কথা বলবা না। স্টুপিড কোথাকার...’ বলে মহারাণী লাইন কেটে দিল। আমি মনে মনে হাসলাম। আমারে বৃষ্টিতে ভিজায়া জ্বর বাঁধাইছো, এখন নিজেও একটু কষ্ট পাও... একটা কবিতা লিখার সাধ জাগল, হাতের কাছে কাগজ কলম টেনে নিলাম। কবিতার নাম, ‘পানি বন্দী মহারাণী!’

মহারাণী'র কেচ্ছা সিরিজের আগের পর্বগুলোঃ
অর্থহীন অভিমান (মহারাণীর কেচ্ছা - ০৪)
আহা রঙ, আহারে জীবন (মহারাণী’র কেচ্ছা - ০৩)
ক্যানে পিরীতি বাড়াইলিরে... (মহারাণী’র কেচ্ছা - ০২)
মহারাণীর কেচ্ছা - ১ (ছোট গল্প)

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার কপালে দু:খ আছে, হয়তো।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভ্রাতা ইহা আমার গল্প নয়, ইহা একটি কাল্পনিক দুটি চরিত্র নিয়ে রচিত হালকা টাইপের মিষ্টি প্রেমের গল্প। আমি ভার্সিটি গেছি এক যুগেরও বেশী সময় আগে।

ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই, আমার ব্লগে স্বাগতম আপনাকে। ভালো থাকুন সবসময়।

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩২

রিকি বলেছেন: মহারাণীর থেকে ঘুমের বড়ি না খেয়ে ঘুমানো মহাশয়কে মহারাজা বলে মনে হল...ওরে খেয়েছে ভাবসসসসস! মহারাজা, ব্যাঙের ভাজা একলা বসে খাও <<< মহারাণীর ভাবতো দেখি, তোমার কাছে ফাও! ;) ;) ;)

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মহারাজা না ঘোড়ার ডিম। এই সিরিজ বুঝতে হলে সিরিজের আগের চারটি গল্প পড়তে হবে রিকিমনি। নইলে এই পর্বের মর্মার্থ বুঝতে পারবেন না। বুইজছেন নি? /:)

আগের পর্বগুলোতে সব পাঠক মহারাজ রে কত কিছু বইল্যা যে গালাগালি করছে। গাধা, ভেড়ুয়া, মেরুদণ্ডহীন আরও কত্তকিছু। আগের পর্বে বলেছিলাম, আগামীতে মহারানীকে একটু টাইট দেয়া হবে, তাই একটু ভাবসসসসস! চলে আসছে মহারাজার চরিত্রে।

ধন্যবাদ রিকিমনি। ভালো থাকুন সবসময়।

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমারে বৃষ্টিতে ভিজায়া জ্বর বাঁধাইছো, এখন নিজেও একটু কষ্ট পাও... একটা কবিতা লিখার সাধ জাগল, হাতের কাছে কাগজ কলম টেনে নিলাম। কবিতার নাম, ‘পানি বন্দী মহারানী!’

কোবতে খানা কুই!!!!!!

খুজে পাস্সিনেতো!! !! ;) ++++

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কোবতে খানা যে কাগজে লেখা হইছিল, সেই কাগজ দিয়া নৌকা বানায়া উঠোনের জলে গড়া নদীতে ভাসাইয়া দেয়া হইছিল ;)

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: জ্যান্থিপি মহারাণী আর বোকা মহারাজার প্রেমাক্ষান পড়ে বরই তৃপ্তি পেলুম ভ্রাতঃ ।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হা হা হা... ধন্যবাদ লিটন ভাই, তৃপ্তি দিতে পেরেছি জেনে আমিও আনন্দিত হলাম। :)

৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৩

এহসান সাবির বলেছেন: ওয়াইজঘাট আমিও চিনি না.....

সোয়ারি ঘাট চিনি......

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সোয়ারি ঘাটে কি কাজ? ঘটনা তো সুবিধার মনে হচ্ছে না ;)

আহসান মঞ্জিলের সামনে যে ঘাট, সেটির নাম ওয়াইজঘাট। আর বামদিকে গেলে পাবেন সদরঘাট। সোয়ারিঘাট হল ওয়াইজ ঘাট থকে হাতের ডানদিকে ১৫-২০ মিনিটের হাঁটা পথ।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা।

৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২০

প্রামানিক বলেছেন: পঁচা পানিতে মহারানীকে আটকাইয়া রাইখা নিজে তৃপ্ত হইলেন এইটা কি একটা ভাল কাজ হইল। তাড়াতাড়ি দৌড়দিয়া যান মহারানীরে ঘাড়ে কইরা পানি পাড় কইরা আপাতত উদ্ধার করেন তইলে বুঝুম আপনি মহারাজা ঠিক আছেন। ধন্যবাদ

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গত পর্বে বলেছিলাম মহারানীকে টাইট দেয়া হবে, তাই এই পর্বে পানিতে ছাইড়া দিছি, একটু নাকানি চুবানি খাক। আগামী পর্বে নাহয় উনারে একটু আপ্যায়ন করা হবে। ;)

৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকা মানুষ বলতে চায় ,




ইশশশশশশশ. . একটা বালতি নিয়ে তাড়াতাড়ি দৌড় দেন । সাথে একপাতা প্যারাসিটামল নিতে ভুলবেন না । সোবাহান আল্লা বলে রাস্তার পানি সেচে ধানমন্ডি লেকে ফেলুন । পানি একটু কমলে মহারানীকে মহাদর্পে পাঁজা কোলা করে কোলে তুলে নিন । মহারানীর কি ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল আছে ? আপনার টা তো বোনের দেয়া ইতালীর । নিজেরটা তো আবার আছাড় দেয়া যায় এমন মোবাইল । মহারানীরটা তাহলে কি তারচে ভালো কিছু হবে ? সন্দেহ হয় ! যদি মোবাইলে ক্যামেরা থাকে মহারানীকে এর একটা সেলফি তুলতে বলুন । তারপর ????? ফেবু ষ্ট্যাটাস । মার মার কাট কাট লাইকের বন্যা । :P

বেশ লাগলো ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কমেন্টে কইস্যা পিলাচ ভাইজান। মহারানীরে কোলে নেয়া সম্ভব না, কারণ মহারাজ তালপাতার সেপাই, বাতাসে নড়েচড়ে। ;)

ধন্যবাদ, মন্তব্যে অনেক অনেক মজা পেলাম। +++

৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৮

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: মহারানীর ছবি ঘোলা কেন ? নীরব প্রতিবাদ জানায়া গেলাম । গল্পে ভালোলাগা

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মহারানী'র যেন নজর না লাগে, তাই ঘোলা করা :P

ধন্যবাদ অভি, ভালো থাকুন সবসময়।

৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৪

মোঃমোজাম হক বলেছেন: ভাল লাগলো,সময় করে আগেরগুলোও পড়বো :)

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ মোঃমোজাম হক ভাই, মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকুন সবসময়। :)

১০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৫

আমি তুমি আমরা বলেছেন: দিন দিন ওর পাগলামো বেড়েই চলেছে, সামনে আরও কত যে হ্যাপা সহ্য করতে হবে আল্লহই মালুম।

বানানটা ভুল এসেছে। এডিট করে নিন।

গল্পে ভাল লাগা রইল :)

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ আমি তুমি আমরা ভাইজান, অনেকদিন পর দেখা পেলাম। আছেন কেমন? :)

ভালো থাকুন সবসময়, অনেক শুভকামনা রইল।

১১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৬

জুন বলেছেন: ‘চুপ, আর একটা কথা বলবা না। স্টুপিড কোথাকার...’
বলেন কি :-& এই অবস্থা নাকি ! কপালে ম্যালা দুঃখ আছে দেখছি ।
ভালোলাগলো আপনার মহারানী রচনাচরিত ।
+

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপু। এইটা কিন্তু প্রথম পুরুষে লেখা একটি ধারাবাহিক অনুগল্প সিরিজ। গল্পের আমি কিন্তু বোকা মানুষ আমি নই, আর এই মহারানীও কিন্তু বোকা মানুষের মহারানী নয়। সবাই এই সিরিজের গল্পে এই ভুলটা করে। :(

ভালো থাকুন আপু। :)

১২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭

জেন রসি বলেছেন: গল্প ভালোই লাগছে!!

ঘাটের নাম ওয়াইজ কেন??

ফুলঘাটও হইতে পারত!!! ;)

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কথা মন্দ বলেন নাই, ফুলঘাট গুড অপশন। তবে বুড়িগঙ্গার ঐ প্রান্ত হতে বেশ কয়েকটি ঘাট ছিল (কিছু এখনও আছে)ঃ সদরঘাট, ওয়াইজঘাট, বাদামতলী ঘাট, সোয়ারিঘাট, চাঁদনীঘাট, শশ্মানঘাট ইত্যাদি।

অনিচ্ছাকৃত বিলম্ব প্রতিত্তরের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ভালো থাকুন সবসময়।

১৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৮

নবাব চৌধুরী বলেছেন: আমার একটা মহারানী ছিলো,এরকম করেই স্বুপ্ন বুনতাম প্রতিনিয়ত,অথচ নিয়তির কী নিয়ম!সকল স্বপ্ন সত্য হয়ে আসেনা।আর আমার স্বপ্নগুলো শুধু অপূর্ণই থাকে।
ভ্রাতা গল্পটা বেশ এক ভালো লেগেছে।আপনার জন্য শুভ কামনা থাকলো।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: তবে, সবার জীবনেই একবারের জন্য হলেও মহারানীদের আগমন দরকার, নাহলে জীবনটাই পানসে হয়ে যায় :(

অনিচ্ছাকৃত বিলম্ব প্রতিত্তরের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ভালো থাকুন সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.