নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন মনোযোগী পাঠকই পারে একজন সৃষ্টিশীল লেখকের উন্মেষ ঘটাতে

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩১



পাঠক হিসেবে আমার ব্যর্থতা – ‘পাঠক আমি, আমার কেমন ফড়িং চঞ্চল মন?’

লেখকের দায়িত্ব লিখে যাওয়া, নিজস্ব চিন্তার জগত থেকে, নিজস্ব যুক্তিবোধের আঙ্গিকে, নিজস্ব জ্ঞানের আলোকে। এরপর তা পাঠকের দায়িত্ব সেই সাগর সেঁচে মুক্তা আহরণ করা। একজন নিয়মিত এবং মনযোগী পাঠক যেন একজন রত্নসন্ধানী, তার কাজই হল প্রতিটি লেখা থেকে রত্ন খুঁজে বের করা। প্রতিটি লেখাই তার কাছে অমূল্য, প্রতিটি লেখাই একটি অপার সম্ভাবনার আঁধার, প্রতিটি লেখার মাঝে ডুব দিয়েই সে খুঁজে পেতে চাইবে মুক্তোখণ্ড। কিন্তু একটি জহুরী যে পরিমান সময় দিয়ে একটি হীরকখণ্ড’কে হীরেতে রূপান্তর করে তোলে, একজন পাঠক হিসেবে কি আমি সেই সময়টুকু যে কোন লেখাকে দিচ্ছি? আপনি বলতে পারেন, লেখক যদি ছাইপাশ লিখেন, তাহলে সেখানে রত্ন খুঁজে কি লাভ? আরে ভাই, কয়লাই কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় হীরকে রুপান্তরিত হয়। তাই, আমি মনে করি একজন যৌক্তিক আগ্রহী পাঠক হিসেবে প্রতিটি লেখাই একটি অমূল্য লেখা, কারণ প্রতিটি লেখার মাঝেই থাকে পাঠকের জন্য মুক্তো সন্ধানের সম্ভাবনা। এখন পাঠক হিসেবে আমার দায়িত্ব সেই মুক্তোটি খুঁজে বের করার জন্য পর্যাপ্ত সময় এবং চেষ্টা বিনিয়োগ করা। কিন্তু আদৌ কি আমি তা করছি এই পাঠ প্রক্রিয়ায়?

মনে পড়ে টিনএজ বয়সের শেষে যখন গল্প-উপন্যাস পড়াটা নেশার মত হয়ে গিয়েছিল সেই সময়টার কথা। এলাকার পঞ্চাশ বছরের পুরানো একটা গ্রন্থাগার ছিল, আমি ছিলাম তার আজীবন সদস্য, এখনও আছি। তখন একটা বই হুট করে ফুঁড়িয়ে যেত বলে আমি আমার ছোট ভাই আর একজন বন্ধুর নামে আরও দুটি সদস্যপদ নেই, যাতে করে একদিনে তিনটি বই বাসায় নিয়ে আসতে পারি। আর এখন ব্লগে ঢুকলে কিন্তু লেখার অভাব নেই, কেউ যদি চায়, তো সারাদিন পাঠ করেও লেখা শেষ করতে পারবে না, আমিও পারব না। কিন্তু সেই আগেরমত পড়া হয়ে ওঠে না, দেয়া হয় না সেই অখণ্ড মনোযোগ। কেন? সেই কথায় যাওয়ার আগে যে বিষয়টি বলতে চাই, তা হল লেখার মান ভাল না, এই যুক্তি দিয়ে পাঠক হিসেবে আমি ছাড় পেতে আগ্রহী নই মোটেও। তাই শুরুতেই অনেক কথা বলে নিয়েছি। এবার এর স্বপক্ষে একটা উদাহরণ দেই। দেশের স্বনামধন্য এবং ক্রিটিকসদের কাছে সস্তা জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদের একটি অখ্যাত উপন্যাস থেকে একটি অনুচ্ছেদের তিনটি ভিন্ন পাতার তিনটি ছোট প্যারা তুলে ধরছিঃ

১.ইমন ভেবেছিল প্রথম যখন সে তার বাবাকে দেখবে, চিনতে পারবে না। বাবার চেহারা তার মনে ছিল না। নিউ জার্সির বাড়িতে বাবার ছবি থাকলে সে ছবি দেখে চেহারা মনে করত। কিন্তু সেই বাড়িতে তাঁর কোন ছবি নেই। মা’র পুরনো অ্যালবামে হয়তো আছে, কিন্তু মা অ্যালবাম তালাবন্ধ করে রাখে। ফ্যামিলি রুমে ফায়ারপ্লেসের পাশে কিছু অ্যালবাম রাখা আছে। সেখানে সবই নতুন ছবি। পুরনো ছবি একটাও নেই।

২.বাবার আরেকটা জিনিস ইমনের খুবই ভালো লাগল। তাঁর মধ্যে ন্যাগিং ভাব নেই। সে যখন বলল, হাতের জিনিসটা দেয়া যাবে না, তখন বাবা এই নিয়ে কোন প্রশ্ন করেন নি। অন্য যে কেউ হলে বলত, কেন দেয়া যাবে না? মা শুধু এই প্রশ্ন করেই চুপ থাকত না। মা বলত, দেখি প্যাকেটটা খোল। আমি দেখতে চাই এমন কী মহার্ঘ বস্তু যা আমার হাতে দেয়া যাবে না।

৩.জীবনের প্রথম চা ইমন বানাল রাত ন’টায়। তাঁর কাছে মনে হলো, প্রথম কাপ চা বানিয়ে সে হঠাৎ অনেকখানি বড় হয়ে গেছে। শওকত চায়ে চুমুক দিয়ে বলল, প্রথম প্রচেষ্টা হিসেবে চলে। তবে তেমন ভালো হয় নি। দুধ বেশি হয়েছে। চিনিও বেশি হয়েছ।আমার ধারনা পরের বার থেকে ঠিক হয়ে যাবে। ইমন লক্ষ্য করল, তাঁর বাবার সঙ্গে তাঁর মায়ের একটা বড় ধরণের আমিল আছে। ইমনের বানানো প্রথম চা যত খারাপই হোক, মা চুমুক দিয়েই বলত- অসাধারণ হয়েছে। আমি আমার জীবনে এত ভালো চা খাই নি। বাবা সে-রকম বলে নি।

[যদিও সন্ধ্যা – হুমায়ূন আহমেদ; অন্যপ্রকাশ, পৃষ্ঠা ৪৬-৫৪]

চার-পাঁচ লাইনের প্রথম প্যারা, সাদামাটা বিবরণ, কিন্তু পাঠক হিসেবে আমার কাছে অনেক কিছু বলে গেছে, এখন আমার দায়িত্ব সেই না বলা কথাগুলো বুঝে নেয়া, উপলব্ধি করা। ইমন, ছোট একটি ছেলে যে মায়ের সাথে নিউ জার্সি থাকে, মায়ের দ্বিতীয় স্বামীর সাথে। ইমন একটি ব্রোকেন ফ্যামিলির সন্তান, যে বাবাকে মিস করে, কেননা বাসায় বাবার কোন ছবি নেই, এটি নিয়ে সে সজাগ, এ থেকেই বুঝা যায়। সে তাঁর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা দিয়ে লক্ষ্য করছে এখনকার সব ছবি থাকলেও আশেপাশে পুরানো ছবি নেই। সে এটাও জানে তা মায়ের কাছে তালাবদ্ধ অবস্থায় আছে। আবার একটু ভাবা যাক ইমনের মায়ের কথা, সে সচেষ্ট ছেলেকে নতুন পরিচয়ে, নতুন পরিবেশে অভ্যস্ত করাতে। তাই পুরানো স্মৃতি আড়াল করে রাখতে চেষ্টা করছে। একইভাবে সেই স্মৃতিসব নষ্ট করতে চাচ্ছে না, আগলে রাখছে সযত্নে, তালাবদ্ধ করে। এভাবে পাঠক হিসেবে আমার দায়িত্ব ছিল না বলা কথাগুলো খুঁজে ফেরা, কিন্তু তা কি খুঁজে ফিরি প্রতিটি পাঠে? আমার ‘কুঁড়িয়ে পাওয়া সাজা’ নামক একটি ছোট গল্পে শেষে নোট দিয়ে গল্পের কিছু সমাপ্তি ব্যাখ্যা করেছিলাম, অনেকেই এর সমালোচনা করেছিলেন, আমি সত্যি মুগ্ধ হয়েছিলাম। ব্লগার আরণ্যক রাখাল এর মন্তব্যটি তুলে ধরার লোভ সামলাতে পারছি না: শেষটা আরও ভালো হতে পারতো। আপনি সারসংক্ষেপের মতপ কিছু কথা লিখেছেন, যেটা আমার একটুও ভালো লাগেনি। আসলে আপনার কাজ গল্প লেখা, সেটা বুঝতে পারার দায়িত্ব পাঠকের, আর বঝাতে চাইলে সেটা গল্পের মাধ্যমেই বঝাতে হবে, নোট দিয়ে নয়।

আসলেই তো ঠিক কথা, এতটুকু দায়িত্ব কিন্তু পাঠক’কে নিতেই হবে। লেখক-পাঠক পারস্পরিক দায়িত্ব রয়েছে। আমি নিজেই অনেক অনেক গল্প-কবিতা পোস্টে গিয়ে একবার পড়েই কমেন্টে বলে আসি, বুঝি নাই। একটু ভদ্রতা করে বলি, হয়ত এটা আমার দুর্বলতা, অক্ষমতা। অথচ আমি দুবার, চারবার পড়ে বুঝার চেষ্টা কেন করলাম না? বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে বড় উপন্যাস, বিমল মিত্রের ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ আমি ছয়বার লাইব্রেরী থেকে তুলেছিলাম, সপ্তম্বারের চেষ্টায় পুরোটা পড়তে সক্ষম হয়েছিলাম। তাঁর আগে সর্বোচ্চ পঞ্চাশ পাতা পড়তে সক্ষম হয়েছিলাম। মজার ব্যাপার প্রথমবার পুরোটা পড়ার পর কিন্তু আরও তিন-চারবার পড়েছি এই উপন্যাস। তো কেন ছিল এই চেষ্টা? বিখ্যাত উপন্যাস, পড়তেই হবে। তো, ব্লগে কেন সহব্লগারের লেখাকে তেমনভাবে মুল্যায়ন করে সময় দিয়ে পড়া হয় না আমার? আমি পুরো লেখায় আমায় নিজেকে দোষারোপ করছি, আপনি চাইলে নিজেকে আমার জায়গায় ভেবে নিতে পারেন।

উল্লেখিত হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসের বাকী দুটি প্যারা নিয়ে কয়েক পাতা আমি লিখতে পারি, তাতে লেখার পরিধি বড় হয়ে যাবে বলে সেই পথ হাঁটছি না। যে কথা বলতে এসেছিলাম, পাঠক হিসেবে আমার ব্যর্থতা। আসলে এখন ব্লগিং হয় ফেসবুক স্টাইলে, আর ফেসবুকে চলে ব্লগিং। একটা মন্তব্য হওয়া উচিত বিশ্লেষণাত্মক, পাঠ শেষে আমার অনুভূতি, মতামত, অনুধাবন এর সাথে লেখার ভালো-মন্দ দিক নিয়ে কিছু মতামত। কিন্তু এতো সময় কোথায়? আমাকে যে রোজ শখানেক পোস্ট পড়তে হবে, নইলে আমার পোস্টে পাঠক পাবো না, মন্তব্য পাবো না। অথচ, একটি পরিপূর্ণ মন্তব্য, একটি পোস্টের চেয়ে কম মূল্যবান নয়। ব্লগে তিন বছর হতে চলল নিয়মিত এবং মোটামুটি একটিভ ছিলাম, অথচ তেমন মন্তব্য করতে দেখেছি খুব হাতে গোনা; আর নিজে কখনো করেছি কি না মনে পড়ে না। এখানে আরেকটা সমস্যা আছে, লেখক যেমন সমালোচনা সহ্য করেন না, মন্তব্যকারী’রাও কিন্তু লেখকের আত্মপক্ষ সমর্থন করে দেয়া উত্তর সহজভাবে নিতে পারেন না। একারনে ব্লগে এখন কার্টেসি মেইনটেইন করে মন্তব্য করা হয়, তাঁর প্রতিত্তর দেয়া হয়।

আরেকটা ব্যাপার হল ঘুরে ফিরে নির্দিষ্ট কিছু লেখক-পাঠকে আমরা বন্দী হয়ে থাকি বেশিরভাগ সময়। অনুসারিত আর নির্বাচিত পোস্টের বাইরে পোস্ট অনেক সময় পড়াই হয় না। আর সবমিলে যতগুলো পোস্ট পড়া হয়, তাঁর বেশিরভাগই ক্যাজুয়ালি, চোখ বুলিয়ে যাওয়া। সিরিয়াস পাঠকই সিরিয়াস লেখক তৈরি করে, তাই আমি যদি যেনতেন করে একটা পোস্ট পড়ে বেড়িয়ে আসি তাহলে কিন্তু আমি ঐ লেখককে আমার চাহিদা জানান দিতে ব্যর্থ হলাম। অথচ মনোযোগ দিয়ে পড়ে, ভালমন্দ উভয় দিক নিয়ে ছোট্ট করে একটা অভিমত রেখে আসি, তাহলে লেখক উপকৃত হবে, পাঠক হিসেবে আমার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে, সাথে অন্য পাঠকেরাও এতে অংশগ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ হবে। এরকম করে যদি শক্তিশালী শ’দুয়েক পাঠক এই ব্লগে পাওয়া যায়, তবে শক্তিমান শখানেক লেখক পাওয়া যাবে অতি শীঘ্রই। আর এরকম শখানেক লেখক যখন নিয়মিত লিখবে সামুর আঙ্গিনায়, তখন ভিজিটর এমনিতেই বাড়বে, বাড়তে বাধ্য। আমি নিজেই তখন আমার পরিচিতজনদের সেই লেখা পড়তে দিব। ব্লগার জাফরুল মবীন, বশর সিদ্দিকী’র বেশ কিছু পোস্ট আমি আমার কাজিন রিলেটিভদের পড়তে দিয়েছি, প্রিন্ট করে, মেইল করে, শেয়ার করে। নিয়মিত যখন ভালো লেখকদের লেখা প্রকাশ পাবে, পাঠক ঠিকই খুঁজে নেবে। আর সিরিয়াস টাইপ লেখার যখন মূল্যায়ন পাঠক হিসেবে আমি করব, আপনি করবেন, তখন আমরাই কিন্তু সচেষ্ট হব সিরিয়াস টাইপ পোস্ট করতে, লেখা লিখতে। এখন সবাই লিখি, সরি, বলি আমি লিখি, হিটের জন্য, আমার পোস্ট কতজন পড়ল, কতটি মন্তব্য পেলাম, পেলাম লাইক এই নিয়ে ভেবে মরি। ফলে পোস্ট নির্বাচন করার ক্ষেত্রে মাথায় থাকে পোস্ট হিট হবে কি না তা। শিরোনাম, পোস্ট প্রচ্ছদ আর প্রথম প্যারা এমন কিছু দিয়ে শুরু করতে হবে যেন পাঠক পড়তে আসে। কিন্তু কেন এমন হয়? কারণ পাঠক এগুলো তাদের চাহিদা হিসেবে লেখকের মনে তথ্য প্রদান করেছে সময়ে সময়ে।

ভ্রমণ সঙ্কলন করার সময় এমন অনেক ভালো পোস্ট দেখি যার পাঠক সংখ্যা দেখে লেখকের জন্য মায়া হয়, এতো ভাল লেখা, কিন্তু পাঠক পড়ল না। আবার অনেক ফাও পোস্টে হিট আর কমেন্টের ছড়াছড়ি। মোদ্দকথা হল, পাঠকই কিন্তু লেখার ধরন এবং লেখক’কে নিয়ন্ত্রণ করেন; পাঠকের রুচির চাহিদার পথ ধরে পরিবর্তিত হয় লেখকের লেখার গতিপ্রকৃতি। হুমায়ূন আহমেদের প্রথম পাঁচটি উপন্যাসের সাথে শেষের পঞ্চাশটা উপন্যাসের মিল পাবেন না। কারণ কি? কারণ ঐ একটাই, পাঠকের চাহিদা। তাই, আসুন একজন ভাল পাঠক হওয়ার চেষ্টা করি, তবেই আরও ভাল লেখা পাব সামহোয়্যার ইন ব্লগে। ভাল লেখা যত বাড়বে, ততই বাড়বে পাঠক সংখ্যা, ভিজিটর সংখ্যা। আর এভাবেই হয়ত একদিন আমাদের প্রিয় ব্লগের পাঠক সংখ্যা প্রতিদিন লাখ ছাড়িয়ে যাবে।

কথা দিচ্ছি, প্রতিবার লগইন করে একটি লেখা হলেও যত্ন সহকারে অতি মনোযোগ দিয়ে পড়ব, সুযোগ হলে প্রতিদিন। শিরোনামে বলা কথাটির প্রয়োগ ঘটাতে চাই, ‘একজন মনোযোগী পাঠকই পারে একজন সৃষ্টিশীল লেখকের উন্মেষ ঘটাতে’। একদিনে পঞ্চাশটি নয়, পাঁচটি পোস্ট পড়ি, পড়ার মত পড়ি, পড়ার পর ভাবনার জগতে বিচার বিশ্লেষণ করি, গঠনমূলক একটি মন্তব্য করে ব্লগীয় পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া অর্থবহ করে তুলি। নিজের পাঠক মনের খোরাক হোক প্রতিটি পাঠ, তৃপ্ত হোক মন। ব্লগ হোক মেধা-মনন উৎকর্ষতার স্থান, টাইম পাস বা গসিপিং এর নয়। আমি চেষ্টা করব আজ থেকে ধীরে ধীরে নিজের মধ্যে এটাকে বাস্তবায়ন করতে।

উৎসর্গঃ দেরীতে হলেও, এটাই রইল এবারের ‘ব্লগ ডে’ উপলক্ষ্যে সহব্লগারদের জন্য বোকা মানুষের উপহার। শুভ ব্লগিং।

মন্তব্য ৯৭ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৯৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬

প্রামানিক বলেছেন: ১ম হইছি চা দেন

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আগে পোস্ট পড়েন, তারপর চা খায়েন। দুপুরবেলা চা কিসের? ভাত খান পেট ভইরা, বুঝলেন মিয়া ভাই? :P

২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮

লেখোয়াড়. বলেছেন:
একজন মনোযোগী পাঠকই পারে একজন সৃষ্টিশীল লেখকের উন্মেষ ঘটাতে................ একমত।
তবে...............।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: তবে... কি? পুরো কথা বলে গেলেন না লেখোয়াড়. ভাই। বাকীটুকু জানতে চাই।

৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: এমন কিছু ব্লগার আছেন, যারা ব্লগ তেমন পোস্ট দেন না, কিন্তু শুধুমাত্র সৎ এবং বিশ্লেষণী কমেন্ট করেই সবার দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন। আবার এমনও অনেকে আছেন, যারা নিয়মিত পোস্ট দেন এবং পোস্টে মন্তব্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে অন্য সবার ব্লগে কমেন্ট করে থাকেন। এক্ষেত্রে তার লেখা যত বস্তাপচা-কপি-পেস্ট হোক না কেন তার পোস্টে পাঠকের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়। আবার কেউ কেউ সব ভালো লেখা পড়েন, কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে বিস্তৃত মন্তব্য করেন না। আসলে এত বিশাল এই ব্লগের পরিসর, ভালো ভালো সব লেখায় ভালো ভালো মন্তব্য করাটা অসম্ভব। সেক্ষেত্রে আপনার উপসংহারে বর্ণিত কথাটার চর্চা হলে ভালোই হয়।
তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে, ব্লগে সবাই লেখক হতে আসে না। গল্প, কবিতা, ফিচার এর না হয় বিশ্লেষণাত্মক মন্তব্য করা গেলো। কিন্তু যে ব্লগার তার যাপিত জীবনের রোজনামচা, টুকরো ভাবনা শেয়ার করেন ব্লগে এসে, সেখানে চা-সিঙ্গারা সহযোগে গসিপিং চলতেই পারে। এটা ব্লগ কালচারেরই একটা অংশ।
শুভ ব্লগিং।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে একমত। কিন্তু সমস্যা হল ব্লগের সার্বিক মানোন্নয়নের জন্য সর্বপ্রথম দরকার পরিবর্তন। অনেকদিন ধরে চলে আসা সকল রীতি যে আঁকড়ে ধরে থাকতে হবে এমনটা জরুরী নয়। একটা জিনিস লক্ষণীয়, তা হল আমার ব্লগিং মোটিভ কি? পাঠক নিশ্চিত করা, জনপ্রিয় হওয়া, নাকি লেখক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা; পাঠক হিসেবে চিন্তাশীল, রুচিশীল হওয়া। আমি জানি, আমি পাণ্ডিত্য টাইপের কথা বলছি, কিন্তু এগুলো আমার নিজের একান্ত ভাবনা। একজন নতুন ব্লগার হিসেবে যখন একজন সামু'র আঙ্গিনায় আসবে, সে কি ফলো করবে? এখানে যা চর্চা হবে তাই তো? আমি যখন সামুতে ব্লগিং শুরু করি, আপনার, মামুন ভাই, সোনা ভাই, সকাল ভাই সহ ভালো ভালো গল্পকারদের লেখা পড়ে পড়ে উদ্বুদ্ধ হই গল্প লেখায়। এখনও গল্প লেখাটা শিখতে পারি নাই, কিন্তু স্বপ্ন দেখি দেশের অন্যতম একজন গল্পকার হব। আমি ব্যক্তিগত জীবনে একজন প্রফেশনাল একাউণ্টেণ্ট, অথচ স্বপ্ন দেখি গল্পকারের, এতে অনুঘটক হলেন আপনারা। কেন? ঐ সময় গল্প সঙ্কলন নিয়মিত হত, ফলে চর্চা ছিল সেরকম।

ব্লগে সবাই একই মোটিভ নিয়ে আসে না, এটা সত্য। কিন্তু প্ল্যাটফর্মের পরিবেশ অনেকসময় এটাকে পরিবর্তন করে দেয়। যে কোন গণ্ডিতেই, যার চর্চা হয়, তারই প্রসার ঘটে। এখন কথা হল কিসের চর্চাকে প্রাধান্য দেয়া হবে, তা নিয়ে। আমার এই পোস্টের মূল বক্তব্য একটাই, ভাল লেখা পেতে হলে ভাল পাঠক জরুরী। কেননা, যেখানে গুণের কদর নেই, সেখানে গুণী জন্মে না কথাটার মতই বলি, যেখানে পাঠক যেমন, লেখাও তেমনই আসবে। চাহিদা মাফিক যোগান।

যাপিত জীবনের রোজনামচা, টুকরো ভাবনা শেয়ার করেন ব্লগে এসে, সেখানে চা-সিঙ্গারা সহযোগে গসিপিং নিয়ে আমার কোন সমস্যা নাই। কিন্তু ব্লগিং এর একটা লক্ষ্য অবশ্যই থাকা উচিত। জীবনের মূল্যবান প্রতিটি সময়, সেই সময় এখানে বিনিয়োগ হচ্ছে, আমার, আপনার, সবার। আজকের পোস্ট মুলত নিজের নিজেকে বলা, আমি নিজেই বড় বাজে একজন পাঠক।

ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই, ভালো থাকুন সবসময়। শুভ হোক প্রতিটি দিন।

৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭

লেখোয়াড়. বলেছেন:
আমি বলেছিলোম..........একজন মনোযোগী পাঠকই পারে একজন সৃষ্টিশীল লেখকের উন্মেষ ঘটাতে................ একমত।
তবে...............। তবে বলে থেমেছিলাম।

হ্যাঁ বাকিটুকু হাসান মাহবুব বলে দিয়েছেন।
সেজন্য তাকে ধন্যবাদ।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হুমম! আপনাদের কথার সাথে আমিও একমত। আর আমার কথাও হাসান মাহবুব ভাইয়ের কমেন্টের উত্তরে বলেছি। আমি চাই, মান সম্মত লেখা হোক বেশী বেশী, পাঠক বৃদ্ধি পাক, গঠনমূলক মননশীল মন্তব্যে ভরে থাকুক প্রতিটি পোস্ট।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা ভাই, ভালো কাটুক প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ।

৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: কথা দিচ্ছি, প্রতিবার লগইন করে একটি লেখা হলেও যত্ন সহকারে অতি মনোযোগ দিয়ে পড়ব, সুযোগ হলে প্রতিদিন।

ধন্যবাদ বোকা মানুষ।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় রাজপুত্র সাহেব। প্রতিবার লগইন করে একটি লেখা হলেও যত্ন সহকারে অতি মনোযোগ দিয়ে পড়ব কথাটির কিন্তু আরেকটা আবেদন আছে। অনেকেই অফলাইনে লেখা পড়েন নিয়মিত, তাদের প্রতি অনুরোধ কষ্ট করে লগইন করে নিজের উপস্থিতি প্রিয় ব্লগারদের জানান দেয়ার জন্য। অনেক প্রিয় ব্লগারের উপস্থিতি অনেকের জন্য অনুপ্রেরনাদায়ক।

ভালো থাকুন সবসময়।

৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ব্লগে একজন ভাল পাঠক যেমন একজন লেখককে অনুপ্রাণিত করতে পারে, তেমনি মনোযোগী পাঠ তার নিজের প্রতিভা বিকাশেও সাহায্য করে। তবে শুধু কম্যূইউনিটি ব্লগিং এর চাদর গায়ে জড়িয়ে ব্লগিং মিথস্ক্রিয়াকে দায়ী করলেই চলবে না। অনেকেই আছেন যারা ব্লগিং মিথস্ক্রিয়ায় পারঙ্গম নয় কিন্তু ভাল লেখেন। তারা ভোগেন চরম পাঠক খরায়। এইটা আমি মনে করি আমরা যারা ব্লগিং মিথস্ক্রিয়ায় পারঙ্গম তাদের ব্যর্থতা।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভালো বলেছেন কান্ডারি অথর্ব, অনেকেই আছেন যারা ব্লগিং মিথস্ক্রিয়ায় পারঙ্গম নয় কিন্তু ভাল লেখেন। তারা ভোগেন চরম পাঠক খরায়। এইটা আমি মনে করি আমরা যারা ব্লগিং মিথস্ক্রিয়ায় পারঙ্গম তাদের ব্যর্থতা। মনে আছে, আমি প্রথম দিকে অনেক কম কমেন্টের রিপ্লাই দিতাম, নতুন ছিলাম বলে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া'র ব্যাপারটা তখনো বুঝে উঠি নাই। একদিন আপনি আমার পোস্টে মন্তব্যের প্রতিত্তরে এটা জেনে, আমাকে উপদেশ দিলেন, যার জন্য আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব আপনার নিকট।


আসলে নিজের দোষটুকু খুঁজে নিলে পরিবর্তনটা অনেক সহজ হয়ে যায়।

ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার, ভালো থাকুন সবসময়।

৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯

প্রামানিক বলেছেন: তখন সময় ছিল না যে কারণে পোষ্ট না পড়েই চা চেয়ে হাজিরা দিয়েছিলাম। এখন সময় নিয়ে খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। আপনি পাঠক হিসাবে পাঠকদের উদ্দেশ্যে যা লিখেছেন তা পুরোটাই বাস্তবতার সাথে মিল আছে। আপনার কথাগুলো মনে হলো এ যেন আমার মনের কথাই বলেছেন। পাঠক হিসাবে আমিও পুরোপুরি সব পোষ্ট পড়ি না তবে অনেক পোষ্টেই চোখ বুলিয়ে যাই। আবার কিছু পোষ্ট পড়ার ইচছা থাকলেও সময় পাই না। আবার কোন পোষ্ট ভাল লাগলে দু'দিন পরে হলেও পড়ে থাকি। তবে যাই হোক শুধু হাজিরা মন্তব্য না দিয়ে পোষ্টগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়া দরকার। আপনার পোষ্ট পড়ে ভাল লাগল। মাঝে মাঝে এরকম লেখা চাই। ধন্যবাদ

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই, পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য। আমিও মনে করি পুরো পোস্ট পড়া উচিত মনোযোগ দিয়ে; যদি লেখাটি আমাকে না টানে, পাঠক হিসেবে ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, তবে আমি ঐ পোস্ট না পড়ে বের হয়ে আসি। এটাই উচিত, আরও ভালো হয় মন্তব্যে ব্যাপারটা লেখককে অবহিত করতে পারলে। হয়ত লেখক ভাল ভাবে নিবেন কি না, এটা ভেবে আমরা এড়িয়ে যাই। কিন্তু ধীরে ধীরে এই কালচার গড়ে তুললে, একদিন সবাই উপকৃত হবে। আমি প্রিয় বন্ধু, সুমন কর এর কথা বলতে পারি, ও অকপটে ভাল না লাগলে জানাতে দ্বিধা করে না। এরকম প্র্যাকটিস সবাই করলে সবার লেখনী যেমন উন্নত হবে, তেমনি উপকৃত হবে আমাদের ব্লগ।

ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার, অনেক অনেক শুভকামনা। :)

৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২

কল্লোল পথিক বলেছেন: একজন ভাল পাঠকই পারে একজন সৃষ্টিশীল লেখকের উন্মেষ ঘটাতে।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ কল্লোল পথিক। যুগে যুগে চাহিদার কারনেই যোগান এসেছে। পাঠক যদি লেখা নিয়ে ভাবে, ভালোমন্দ বিশ্লেষণ করে দু'চারটি কথা বলে যায় কমেন্টে; তাহলে লেখক নিজের লেখা সম্পর্কে পাঠকের চিন্তাধারা সম্পর্কে ধারনা পান। অনেক সময় নিজের ত্রুটিগুলো নিজের কাছ ধরা পড়ে না, কিন্তু অন্যর চোখে তা দেখা যায়। ফলে পাঠকের অখণ্ড মনোযোগ এবং বিচারিক দৃষ্টিভঙ্গী লেখকের জন্য সহায়ক হয় নিজের লেখার মানোন্নয়নে। তাই, আসুন চেষ্টা করি, আদর্শ পাঠক হতে, নিজের জন্য, নিজেদের জন্য।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০১

শ্রীঅভিজিৎ দাস বলেছেন: পোষ্টটি পরে অনেক ভাল লাগল, সত্যিই অনেক ভাল লেখাই পাঠক পায়না আর অনেক হিজি বিজি লেখায় চলে আসে মন্তব্যের বন্যা । ধন্যবাদ ।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলে হিজিবিজি লেখা বা ভাল লেখা যাই হোক, পাঠক হিসেবে দায়িত্ব লেখা মনোযোগ দিয়ে পড়া। তারপর কেন সেটি ভাল বা মন্দ তা লেখককে যুক্তিপূর্ণভাবে বুঝিয়ে বলা। হিজিবিজি লেখা ইদানীং বেশী হচ্ছে কারণ এখন এটাই ট্রেন্ড হয়ে গেছে, সবাই পাঠের চাইতে পোস্ট করছি বেশী, আগ্রহ বেশী পোস্ট করাতে, তা যেনতেন প্রকারের একটি হলেই হল। আমি নিজেও এর বাইরে নই, তবে এখন থেকে চেষ্টা থাকবে নিজেকে সংযত করে ভালো লেখা উপহার দিতে। সাথে অন্যদের লেখা মনোযোগ সহকারে নিয়মিত পড়তে।

ধন্যবাদ আপনাকে, পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৮

প্রামানিক বলেছেন: আরেকটি কথা বলার জন্য ফিরে এলাম। সামু ব্লগে অসুবিধা হলো, বিষয় ভিত্তিক লেখা নির্ধারণ করার কোন পদ্ধতি নাই। মডারেটরদের ইচ্ছা অনুযায়ী কিছু লেখা নির্ধারণ করা হয়। যে কারণে অনেক ভাল লেখা সময়ের অভাবে পড়তে না পারলে পরবর্তীতে খুঁজে পাওয়া অনেক কষ্টকর হয়। যদি সামু ব্লগ কর্তৃপক্ষ লেখার ক্যাটাগরী অনুযায়ী ব্লগের মেনু বারে মেনু তৈরী করতো আর পোষ্ট করার সময় ব্লগাররা তাদের লেখা ক্যাটাগরী অনুযায়ী সিলেক্ট করতে পারতো তাহলে ভাল ভাল লেখাগুলো এক মাস পরে হলেও পাঠক পড়তে পারতো। এ কারণেও অনেক ভাল লেখা লেখক পোষ্ট করার পরও পাঠক থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

উদাহারণ স্বরুপ বলতে হয়, আমার কোন একটি লেখা প্রথম আলো ব্লগে পোষ্ট করার পর পাঠক পেয়েছিলাম মাত্র তিন শ'র মত। কিন্তু দুই বছর পর প্রথম আলো ব্লগ বন্ধ হওয়ার পূর্বমুহুর্তে সেই লেখা দুই হাজার পাঠক ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এ থেকেই বোঝা যায় অনেক পাঠক আছেন যারা তাদের ক্যাটাগরী অনুযায়ী পছন্দের লেখা অফলাইনে পড়ে থাকেন। পাঠকদের লেখা পাঠের বিষয়টি বিবেচনা করে ব্লগের মেনুবার তৈরী করা প্রয়োজন। যাতে পাঠক তার পছন্দমত লেখা যে কোন সময় পড়তে সক্ষম হয়।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনার কথার সাথে একমত, বিভাগ ভিত্তিক পোস্ট থাকলে অনেক বেশী লেখা প্রমোট হত। এই সীমাবদ্ধতার জন্যই কিন্তু শুরু করেছিলাম ভ্রমণ পোস্ট সংকলন। সামুর ওয়েব স্টাইল যদি চেঞ্জ করে মুভিং স্ক্রল আকারে নির্বাচিত পোস্ট, বিষয় ভিত্তিক পোস্ট এগুলো প্রথম পেইজে সংযুক্ত করা যেত, তাহলে অনেক বেশী লেখা প্রমোটিং করা যেত। এমন কি আগে যে বিষয় ভিত্তিক নিজের পোস্ট এর একটা লিঙ্ক তৈরি করে রাখা যেত, এখন সেই অপশনটাও নেই। :( এটা অনেক মিস করি। তবে আপনার দ্বিতীয় প্যারার প্রেক্ষিতে বলতে চাই, এটি কিন্তু সামু ব্লগেও ঘটে। চকবাজারের ইফতার - ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে একটা পোস্ট করেছিলাম বছর দুয়েক আগে, গত রমজানের আগের রমজানে। ঐ রমজানে সেটি এক হাজার বারের মত পঠিত হলেও গেল রমজানে সেই পোস্ট এর পঠন সংখ্যা গিয়ে পৌঁছে ছয় হাজার বারে। এরকম আমার নিজের অনেকগুলো পুরনো পোস্টের ক্ষেত্রে ঘটেছে।

তবে পোস্ট ক্যাটাগরির মেনুবার আসলে সময়ের দাবী, আশা করি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভেবে দেখবেন।

১১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১০

কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: আমার মনে হয় ব্লগিং এর বেলায় পোস্টের চেয়ে পাঠ করা এবং মন খুলে কমেন্ট করা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। যাদের হিট সিকিং টেন্ডেন্সী থাকে, না পড়েই কমেন্ট করে, তাদের মানসিক দৈন্যতা আছে। ব্লগের মত বাস্তবব্জীবনেও এরা ভালো না। আইদার তেলবাজ, হিংসুক কিংবা ফাঁকিবাজ। আমি ব্যক্তিগতভাবে একগাদা দায়সারা কিংবা গসিপ টাইপ কমেন্টের চেয়ে বিস্লেষনী কমেন্ট পছন্দ করি, এবং অন্যের ব্লগেও তেমন কমেন্টগুলো আগ্রহ নিয়ে পড়ি। আর সেটাই অন্যের ব্লগে কমেন্ট করি যা নিজে বুঝি এবং বিশ্বাস করি। ভালোলাগা খারাপ লাগায় আমার কিছু আসে যায় না, যেটা নামী ব্লগারই হোক কিংবা নবীশ ব্লগারই হোক। কারন ব্লগার কারো সাথে আমার ব্যক্তিগত লেনদেনের সম্পর্ক নাই যে খুশী করা কিংবা খুশী হওয়ার জন্য কিছু বলতে হবে। ব্লগটা জীবনের অংশ, কিন্তু ব্লগটাই জীবন না। আর যাদের সাথে মতের মিল হয় না, কিংবা কিছুটা হলেও কথায় অন্য সুর পাই, হয় তাদের এড়াই কিংবা ধারেকাছেই যাই না। পড়বার কিংবা ইন্টার‍্যাকশনের জন্য ব্লগ আর ব্লগারের অভাব্ ব্লগে আরো অনেকদিন হবে না আশা করি।

যদিও ইদানিং ভালো পোস্ট আসে কম, আগে সব পোস্ট পড়ে শেষ করা যতো না, এখন যে কারনে ব্লগে আসা সেই ধরনের পোস্ট কম দেখি খুব। নতুন বগার যারা আসে তাদেরও বুঝতে হবে ব্লগটা ফেসবুকের মত লাইক কমেন্টের জায়গা না। এটা গ্রুমিং এর জায়গা, নিজেকে ঝালাই করে নেবার জায়গা, পরিনত হবার একটা পারফেক্ট প্লেস, আর সেটা তখনই সম্ভব যখন নিজেও সেভাবে ব্লগিং করবে। নাহলে হিটের বন্যায় ভাসলেও একসময় ওরা সময়ের নিয়মে ঝরে যাবে। আর পুরো সময়টাই হয়ে যাবে পন্ডশ্রম দেয়ার মত যদি কিছু নিয়ে না যেতে পারে। ব্লগটা সাহিত্য, রাজনীতি, সমাজ, ইতিহাস সবকিছুর ব্যাপারে নিজেকে আরো পরিনত করবার একটা অসাধারন প্লাটফর্ম। আমাদের দেশের মতন এমন ওপেন আর ইন্টার‍্যাকটিভ প্লাটফর্ম আর কথাও নেই, এটার সদব্যবহার করা উচিত সবারই।

পোস্টে ভালোলাগা রইলো। :)

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমার মনে হয় ব্লগিং এর বেলায় পোস্টের চেয়ে পাঠ করা এবং মন খুলে কমেন্ট করা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।+++

অন্যের ব্লগে কমেন্ট করি যা নিজে বুঝি এবং বিশ্বাস করি। ভালোলাগা খারাপ লাগায় আমার কিছু আসে যায় না, যেটা নামী ব্লগারই হোক কিংবা নবীশ ব্লগারই হোক। কারন ব্লগার কারো সাথে আমার ব্যক্তিগত লেনদেনের সম্পর্ক নাই যে খুশী করা কিংবা খুশী হওয়ার জন্য কিছু বলতে হবে। ব্লগটা জীবনের অংশ, কিন্তু ব্লগটাই জীবন না। আর যাদের সাথে মতের মিল হয় না, কিংবা কিছুটা হলেও কথায় অন্য সুর পাই, হয় তাদের এড়াই কিংবা ধারেকাছেই যাই না। এক্কেবারে আমার মনের কথা।

এটা গ্রুমিং এর জায়গা, নিজেকে ঝালাই করে নেবার জায়গা, পরিনত হবার একটা পারফেক্ট প্লেস, আর সেটা তখনই সম্ভব যখন নিজেও সেভাবে ব্লগিং করবে। এটা সবার উপলব্ধি করা উচিত।

ব্লগটা সাহিত্য, রাজনীতি, সমাজ, ইতিহাস সবকিছুর ব্যাপারে নিজেকে আরো পরিনত করবার একটা অসাধারন প্লাটফর্ম। আমাদের দেশের মতন এমন ওপেন আর ইন্টার‍্যাকটিভ প্লাটফর্ম আর কথাও নেই, এটার সদব্যবহার করা উচিত সবারই। এখানেই দুঃখ, আমরা হেলায় এটিকে নষ্ট করছি, গুলিয়ে ফেলছি অন্যন্য সামাজিক যোগাযোগের সাইটের সাথে। তাই এখনই সময় এই প্ল্যাটফর্মের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া এবং নিজের পঠন-লেখনে যত্নবান হওয়া।

হ্যাপি ব্লগিং।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা নিরন্তর।

১২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১১

স্পর্শিয়া বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে এই লেখা। হাসান মাহবুব আর লেখকের কথপোকথনও গুরুত্বপূর্ণ।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ স্পর্শিয়া, নিয়মিত ব্লগে আপনার পদচারনা দেখতে চাই। বেশী বেশী লেখা চাই। ভালো থাকুন সবসময়, শুভ ব্লগিং।

১৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১২

অগ্নি সারথি বলেছেন: আমার সব চেয়ে বিরক্ত লাগে কখন জানেন, যখন কিছু পাঠক শুধু ভদ্রতার খাতিরে লেখাটি না পড়েই, কমন কিছু মন্তব্য করে বসেন। ভাল হইছে, পোস্টে ভাললাগা ইত্যাদি টাইপ। কি দরকার মন্তব্য করার? না পড়লে চুপচাপ সরে পড়েন না ভাই। একজন লেখকের স্বার্থকতা হল পাঠ, কমেন্ট নয়।
আপনার পুড়ো লেখাটির সাথে সহমত পোষন করে গেলাম। শুভ ব্লগিং।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমারও সেটাই বিরক্তলাগে, পোস্ট না পড়ে মন্তব্য বুঝা যায়। আর আমি মনে করি শতাধিক লাইনের একটা পোস্ট পড়ে যদি দু'লাইনের ভালোমন্দ না বলা যায়, তাহলে অফলাইনে পড়াটাই তো বেটার, তাই না?

একজন লেখকের স্বার্থকতা হল পাঠ, কমেন্ট নয়। +++ জটিল একখান কথা বলেছেন।

ভালো থাকুন সতত, শুভ ব্লগিং।

১৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭

ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: ঠিক কথা সত্যি কথা তবে কোন কোন লেখা পড়া শুরু করতেই বিরক্তি এসে যায় এক্ষেত্রে অনুরোধে ঢেঁকি গেলা সম্ভব নয় । কিছু লেখা আসে যা পড়তে শুরু করলে শেষ না করে কোনক্রমেই ছাড়া যায় না,তখন কারো উপদেশ বা অনুরোধের দরকার হয় না ।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ঠিক বলেছেন, লেখক হিসেবে আমার অন্যায়গুলো, দুর্বলতাগুলো নিয়ে একটা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে আছে পরবর্তীতে। আসলে লেখকের একটি দায়বদ্ধতা আছে লেখক ধরে রাখার মত গতিশীল, প্রাঞ্জল ভাষায় লেখনী দিয়ে লেখা শুরু করা এবং ধারাবাহিকতা রক্ষা করে লেখাকে সমাপ্তির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। পাঠক হিসেবে আমি সবচেয়ে ভুগেছি এই সমস্যায়। আমি সাধারণত যেদিন ফ্রি থাকি, তখন সময় নিয়ে একে একে অনুসারিত, নির্বাচিত, আলোচিত ইত্যাদি পোস্ট হতে একে একে পড়া শুরু করি, ঠিক যেই তারিখে শেষ এভাবে পড়েছিলাম। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পোস্ট শেষ পর্যন্ত পড়ার ধৈর্য রাখা দায় হয়ে যায় লেখকের লেখনীর যন্ত্রণায়। আবার এমন হয়েছে, কোন লেখকের একটা লেখা পড়ে এতো ভালো লাগলো যে, ঐ সিরিজের বা আগের অন্য পোস্টগুলো একসাথে সব কয়টা পড়ে শেষ করেছি। ঠিক আপনি যেমন বলেছেন, 'কিছু লেখা আসে যা পড়তে শুরু করলে শেষ না করে কোনক্রমেই ছাড়া যায় না'। আমি নিজে লেখার সময় চেষ্টা করি এই যন্ত্রণা থেকে লেখককে মুক্ত রাখতে, শুধুমাত্র ভ্রমণ সংকলনের ক্ষেত্রে কিছুটা একগেয়েমি চলে আসে, কিছু করার নেই সেখেত্রে।

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, বোকা মানুষের ব্লগে স্বাগতম আপনাকে।

১৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩২

নেক্সাস বলেছেন: দারুন একটা বিষয়ের অবতারণা করেছেন। এই বিষয়টা ভাবছিলাম গত কয়েকদিন ধরে। ব্লগ একটা ভিন্নমাত্রিক প্লাটফর্ম। মূলত ব্লগ হল সমাজ সচেতন শিক্ষিত ও চিন্তাশীল মানুষের চিন্তা ভাবনা ও সৃজনশীলতা তুলে ধরার এক ব্যাতিক্রমি উপস্থাপনা। আমাদের বাংলাদেশে ব্লগ সংস্কৃতি ১ যুগ ছুঁই ছুঁই করলেও ব্লগের মূল উদদেশ্যের জায়গাটায় এখনো পৌঁছুতে পারেনি। এগুলো নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। আমি মনে করি ব্লগ শুধু মাত্র লিখার জায়গা নয় এটা ইন্টারএক্ট্যেরও জায়গা। এখানে কথা হবে, কথার পিঠে কথা আসবে মৌলিক, বিশ্লেষনাত্মক ও গঠমূলক। ব্লগ কোন মতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নয় যে এখানে রিলেশান বিল্ড করা একটা মুখ্য উদ্দেশ্য হবে। ব্লগ হচ্ছে সামাজিক বিকল্প মিডিয়া। যেখানে বিল্ড আপ করতে হবে যুক্তি ও তত্ত্ব।

এখানে অনেকের ধারনা হতে পারে যে তাহলে ব্লগিং মানে হল নিবন্ধ বা প্রবন্ধ লিখা । গল্প কবিতা ব্লগের বিষয় হতে পারেনা। আমি সেটা মনে করিনা। আমি মনে করি আলবৎ গল্প কবিতা ব্লগিং বিষয়। গল্প মানেই যে অত্‌ঃপর তাহারা সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল। কিংবা কবিতা মনেই যে আমি তোমাকে ভালবাসি তা নয়। গল্প কবিতাও কিন্তু সমাজের রক্তক্ষরণ কে ধারণ করে। সমাজ পরিবর্তনের তাগিদ ধারণ করে। দ্রোহ ধারণ করে। গল্প কবিতা মানবতা কে হাইলাইট করে সবসময়। এভাবে ছবিও ব্লগের বিষয় হতে পারে যদি সেটা সৃজনশীল কিছু হয়। কিন্তু আপনি আমারে তেল মাইরা কবিতা লিখলেন, আরেকজনের কবিতা ওমুক কবির প্রিয় কবিতা পোষ্ট মেরে দিলেন, নিজের জন্মদিনের ছবি আইনা টাংগাইয়া দিলেন। আবার আরেকজন আইসা ভাল হইছে। পিলাস লন, পত্তুম হইলাম, পরে পড়বো এসব কমেন্ট করে গেল। এটাও ব্লগিং? কেমতে কি? আমি এটা কে ফ্লাডিং হিসেবে দেখি। এসব পোষ্টের কারণে অনেক ভাল পোষ্ট হারিয়ে যায়।

আবারো বলছি ব্লগ হল যে কোন চিন্তাশীল মানুষের সৃষ্টিশীল কর্ম যা সমাজ পরিবর্তনের জন্য কূপমন্ডুকতা, অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে কথা বলে এবং সমাজে একটা ইতিবাচক প্রভাব রেখে যেতে সক্ষম।

কালকে এই বিষয়ে আমি আর বিদগ্ধ ব্লগার অপর্ণা মন্ময় ফেইসবুকে আলাপ করছিলাম। আমার গতকালকের ফেইসবুক স্ট্যাটাস টা তুলে দিয়ে শেষ করলাম।

"ব্লগ নিয়ে বেশ আশাবাদি আমিও। ইদানিং ব্লগ নিয়ে বেশ কিছু পড়াশুনা করছি । কিন্তু ফেইসবুকিং আর ব্লগিং মাঝে তফাৎটা যেদিন বাংলার শব্দ যোদ্ধারা বুঝতে না পারবে ততদিন ব্লগ থেকে সমাজ পরিবর্তনের কাংখিত আউটপুটা টা পাওয়া যাবেনা।"

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমি মনে করি ব্লগের অন্যতম একটা সীমাবদ্ধতা হল যারা ব্লগার নয় অথবা নিবন্ধিত নয়, ভিজিটর হিসেবে তারা কোন মন্তব্য করতে পারে না। ফলে মন্তব্য প্রাপ্তি, লাইক বা প্রিয়তে, এগুলোর জন্য একজন ব্লগার অন্যজনের উপর নির্ভরশীল। আর শুরু থেকেই হিট, লাইক, কমেন্টস এগুলো নিয়ে সবাই খুব কনসার্ন থাকে। আর মানুষ মাত্রই জনপ্রিয়তার প্রতি দুর্বলতা, তার সাথে সকলে চায় তার লেখা অন্যজন পড়ুক, মতামত জানান দিক। কিন্তু মজার ব্যাপার হল খুব কম সংখ্যক ব্লগারই এই ব্যাপারে উদার। ব্যাপারটা হয়ে যায়, গিভ এন্ড টেক টাইপের। এটা আমার ব্যক্তিগত অবজারভেশন। এই একটি পয়েন্টে অনেক কিছু আটকে আছে। তাই ভিজিটরদের মন্তব্য করতে দেয়া যায় কি না, তা ভেবে দেখা যেতে পারে। সেখানেও হবে নানা কাণ্ড। একবার একটা কবিতা দেখেছিলাম সকল পোস্ট দেখতে দেখতে (ভ্রমণ সংকলনের কাজে); সাতশত বার পঠিত, মন্তব্য নেই, একটা লাইক। এখন বলেন এটা কিভাবে সম্ভব। আসলে, ব্লগটা এখন আসলেই শুধু লেখক-পাঠকের মিলনমেলা নয়, হয়ে গেছে আরও অনেক কিছুর স্থান। আমিই নিজে এক বছরের মত ব্লগস্পটে ব্লগিং করেছি, সর্বসাকুল্যে একটা মন্তব্য পেয়েছিলাম, তাও ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত একেজনের কাছ থেকে। কিন্তু আমার লেখা থেমে থাকে নাই, নিয়মিত লিখতাম, তবে হ্যাঁ কতজন দেখল এটা খেয়াল করলাম। সামু ব্লগে এসে তাই, পাঠক সংখ্যা বা লাইক নিয়ে চিন্তা করতে হয় নাই। ছয়মাসের মাথায় একদিন আমার পোস্ট নির্বাচিত পাতায় দেখে খুব খুশী হয়েছিলাম। আসলে, স্টুডেন্ট লাইফে লেখালেখি করার অভ্যেস ছিল, প্রকাশের মাধ্যম ছিল একমাত্র যায় যায় দিনের পাঠক সংখ্যা, কেননা অন্য কোন পত্রপত্রিকায় পরিচিত কেউ ছিল না। ফলে ব্লগের মত বিশাল প্ল্যাটফর্ম আমার মত যারা লেখালেখি করতে ভালবাসে তাদের জন্য স্বর্গ। তাই এই প্ল্যাটফর্ম নিয়ে এতোকিছু বলা। আসলে প্রতিটি কাজে মোটিভ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। সমস্যা এই জায়গাতে, একেকজনের উদ্দেশ্য বিধেয় একেক রকম। ফলে আজকের ব্লগের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য থেকে অনেক অনেক পিছিয়ে পড়া।

ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার, ভালো থাকুন সবসময়। শুভ হোক ব্লগীয় পথচলা।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে প্রাসঙ্গিক কিছু বলতে চাই। আপনি বলেছেন, ব্লগ একটা ভিন্নমাত্রিক প্লাটফর্ম। মূলত ব্লগ হল সমাজ সচেতন শিক্ষিত ও চিন্তাশীল মানুষের চিন্তা ভাবনা ও সৃজনশীলতা তুলে ধরার এক ব্যাতিক্রমি উপস্থাপনা। এই জায়গায় এখনো ব্লগ পিছিয়ে আছে, সৃজনশীল এবং ব্যতিক্রমি উপস্থাপনা পোস্টগুলোতে চোখে পড়ে কম। আমার নিজের পোস্টের ক্ষেত্রেই আমি বলি, মাথায় ঘুরপাক খায় পোস্টখানি কতক্ষণে করা হবে সেইটা। ব্লগ যদি জাস্ট টাইম পাসিং না হত, তাহলে এটা নিয়ে আরও বেশী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হত, আসত লেখনী ও বিষয়বস্তুতে ভিন্নতা, উৎকর্ষতা। আজ যেহেতু পোস্টের বিষয় পাঠক হিসেবে নিজের আত্মসমালোচনা, তাই পাঠ এর সুত্র ধরে বলি, পাঠক যদি সেই লেভেলের ম্যাচুরিটি না অর্জন করে, সেই লেভেলের পোস্ট কিভাবে আশা করা যায়? আমি ভ্রমণ সঙ্কলনে মাঝে কয়েক পর্বে কিছু সেরা পোস্টের ছোট ছোট রিভিউ লিখে পৃথক ব্যানার হেড পিকচার দিয়ে সুন্দর সজ্জায় ভ্রমণ সঙ্কলনগুলো সাজিয়েছিলাম। কিন্তু কোন পর্বেই পাঠক প্রতিক্রিয়ায় মনে হয় নাই এই বিষয়গুলো কারো নজর কেড়েছে; রিভিউগুলো কেউ গুরুত্ব দিয়ে পড়েছে। অথচ একটা ভ্রমণ সঙ্কলন পোস্ট তৈরি করতে টানা চারদিনও কাজ করতে হয়েছে, সারাক্ষণ। এখন কথা হল, পাঠক যদি এগুলোর মূল্যায়ন না করে, তাহলে লেখক কেন কষ্ট করে মানসম্মত পোস্ট তৈরি করবেন? তাই পাঠক এবং তার পাঠ প্রকৃতি, ধরন যতক্ষণ না বদলাবে, ততক্ষণ ভালো পোস্টের সংখ্যা বাড়বে না, বরং কমবে।

১৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি গতকাল থেকে ভাবছিলাম ব্লগ সংক্রান্ত একটা পোস্ট লিখবো। যা লিখতে চেয়েছিলাম তার কাছাকাছি কথাগুলো আপনি ইতোমধ্যে লিখে ফেলেছেন।
১। রোজনামচা, আড্ডা পোস্ট ছাড়া অন্য পোস্টে কি কমেন্ট ফ্লাডিং হয় না? যথেষ্ট বিরক্তি তৈরি করার মতো কিছু ব্লগারের কাজকর্ম চোখে পড়ে। এসব নিয়ে বলতে গেলে অহেতুক অপ্রীতিকর অবস্থা তৈরি হবে বলে আমি আমার কমফোর্ট জোনেই থাকি।

২। ব্লগে যেমন কেউ লেখক হতে আসে না আবার ব্লগ থেকেই কারো কারো লেখা এবং পাঠঅভ্যাস তৈরি হয়। উদাহরণ - আমি। কৌতূহল থেকে ব্লগে এসেছিলাম। প্রথম বাংলায় লিখে নতুন হাঁটতে শেখা বাচ্চাদের মতো আনন্দ হয়েছিলো। লিখতাম কবিতা ( খুব উচ্চামানের না ) কিন্তু গল্পে ভালো লাগা তৈরি হয়েছে কিছু সহব্লগারকে দেখে।

৩। এটা ঠিক আমি আগে অনুসারিত ব্লগ দেখতে গিয়ে ভালো মানের লেখা মিস করে যেতাম। পরিচিতদের কমেন্ট দিতে এবং পেতে ভালো লাগতো। এখন অভ্যাস বদলাবার চেষ্টা করছি। কিন্তু এ কোথাও সত্য কোনো পোস্ট মন দিয়ে পড়ে যখন কমেন্ট করতে যাচ্ছি সেখানে কিছু তেলবাজি কমেন্ট পড়ে, অহেতুক হাহাহিহি টাইপ প্রশংসা শুনে মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়। এই তেলবাজি কালচারটা আই হেইট মোস্ট।

৪। না পড়ে কমেন্ট করা। যুক্তি -- তাহলে ঐ লেখকও তার পোস্টে আসবে। কতিপয় ব্লগারের কমেন্ট পড়েই বোঝা যায় না পড়ে অপ্রাসঙ্গিক বা মুখস্থ কিছু বলে গেছে।

৫। হিট সিকিং মানসিকতা দূর করা দরকার। কারণ এ মানসিকতা থাকলে কমেন্ট বাড়বে।

গতকালই একজনের সাথে ফেসবুকে কথা হচ্ছিলো এরকম বিষয় নিয়ে। তারও কেমন দুঃখ বোধ দেখলাম ব্লগারদের এ ধরণের আচরণ নিয়ে।

সবচেয়ে বড় কথা কিছু বোধ থাকে বা থাকা উচিত যা একান্ত ভেতরের। সেটাই বলে দেয় আমি কি হতে চাই বা হবো। আমি যদি পাঠক হতে চাই বা লেখক হতে চাই, মনোযোগ , নিজের আচরণ দিয়েই আরেকজনকে উৎসাহিত করতে পারি।
ঠিক মতো হয়তো গুছিয়ে লিখতে পারলাম না আরো যা যা বলতে চেয়েছিলাম।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার। আপনার প্রতিটি পয়েন্ট একেবারে আমার মনের কথাটি বলল যেন। তবে অস্বীকার করছি না যে, আমার মাঝেও এই দোষগুলো'র ছিটেফোঁটাটি নেই। কিন্তু আমি সে বিসয়ে ওয়াকিবহাল, চেষ্টা করি এগুলো থেকে বেড়িয়ে আসার। এই বোধটুকু সকল ব্ললগারের মাঝে থাকা উচিত। আপনার মত অভিজ্ঞতা আমারও হয়েছে, কোন পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়ে বাহুল্য আলোচনার জোয়ার দেখে মন্তব্য করার ইচ্ছেটাই চলে যায়। অনেকে প্রশংসা আর তেলবাজি'র মাঝের সূক্ষ্ম পার্থক্যটুকু বুঝে বলে মনে হয় না। আর না পড়ে কমেন্ট করা প্রসঙ্গে বলি, আমি ব্যক্তিগতভাবে এই ব্যাপারটায় খুব কষ্ট পাই। কারণ, পোস্ট করেছিলাম প্রথমত পাঠের জন্য,মন্তব্যের জন্য নয়; এটা সেকেন্ডারি ম্যাটার। মনে হয় আমার লেখাটিকে অপমান করা হল পরোক্ষভাবে।

শেষের কথাটুকু সুন্দর বলেছেন, সবচেয়ে বড় কথা কিছু বোধ থাকে বা থাকা উচিত যা একান্ত ভেতরের। সেটাই বলে দেয় আমি কি হতে চাই বা হবো। আমি যদি পাঠক হতে চাই বা লেখক হতে চাই, মনোযোগ , নিজের আচরণ দিয়েই আরেকজনকে উৎসাহিত করতে পারি। +++

১৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২

লেখোয়াড়. বলেছেন:
ভাল আলোচনা চলছে।
দেখতে ও শুনতে ভাল লাগছে, সমৃদ্ধ হচ্ছি।

সকলকে ধন্যবাদ, চলুক।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমার ক্ষেত্রেও তাই, সবার মতামত নিজের চিন্তাধারাকে নতুন করে বিচার করার সুযোগ করে দিচ্ছে। আমিও চাই আলোচনা চলুক।

১৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বোমা ভাই!
প্রথমেই আপনার এই বিশ্লেষণাত্মক লেখাটির জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আপনি যে কোয়ালিটির ব্লগারদের কথা বলছেন বাস্তবে কয়জন আছে এই কোয়ালিটি মেইনটেই করে সেটা ভাবার বিষয়।
আমি নিজেও মনে করি না যে সবাই ভাল/বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্যই করবে। সবার মধ্যে এই গুণও যে রয়েছে সেটাও ভাবা যায় না। এটা যদি হয় তবে স্রেফ একটি অঘটন হবে এবং টিকে থাকার কথা না। কারণ মানুষের টেন্টেন্সিই যে এইরকম। নিয়ম/শৃংখলা ভাঙার সূযোগ পেলে সেটাই করতে হবে তাকে।
আমাদের দুর্ভাগ্য যে, মোট ১০০ ব্লগারের মধ্যে আদর্শ ব্লগিংয়ের সাথে নিজেকে হাতেগোনা ১৫-২০ জন ব্লগার থাকেন। যেটা আমি, আপনি, আমরা আশা করি। হামা ভাইকে করা প্রতিউত্তরের একটা অংশে বলেছেন-

যাপিত জীবনের রোজনামচা, টুকরো ভাবনা শেয়ার করেন ব্লগে এসে, সেখানে চা-সিঙ্গারা সহযোগে গসিপিং নিয়ে আমার কোন সমস্যা নাই। কিন্তু ব্লগিং এর একটা লক্ষ্য অবশ্যই থাকা উচিত। জীবনের মূল্যবান প্রতিটি সময়, সেই সময় এখানে বিনিয়োগ হচ্ছে, আমার, আপনার, সবার। আজকের পোস্ট মুলত নিজের নিজেকে বলা, আমি নিজেই বড় বাজে একজন পাঠক।

ব্লগারদের নিজেদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। অন্তত ৪০-৬০% ব্লগারের উচিত প্রকৃত ব্লগিংয়ের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়া।
তবে ফানধর্মী কমেন্ট এর ক্ষেত্রে আমি বলব, (যেমন ১ম কমেন্টে চা খাওয়ার মন্তব্য) এই সব কমেন্ট ব্লগারদের মধ্যে একটা মিথস্ক্রিয়ায় সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য কাজ করে। এটা ভাল।
একজন ব্লগার সব পোস্টেই যে গুরুগম্ভীর মন্তব্য করে নিজেকে আদর্শ ব্লগার হিসেবে উপস্থাপন করবেন আমি মোটেও তেমনটি মনে করি না। বরং যদি কোন পোস্টে আগেই উনার বলা কথাগুলো উঠে আসে তবে সেটা কিন্তু যথেষ্ট এবং অবশ্যই একই কথা দুইবার বলার দরকার নেই।
আবার কোন ব্লগার যদি সব পোস্টে দায়সারা মন্তব্য করেন তবে কিন্তু তিনি সহব্লগারদের কাছে নিজের একটা নেগেটিভ রিপুটেশন তৈরি করে চলছেন নিজের অজান্তেই। এটা বুদ্ধিমান কোন ব্লগার অবশ্যই খেয়াল রাখেন।
এছাড়া কতিপয় ব্লগার রয়েছেন যারা ব্লগে নিজেরা নিজেরা আড্ডা ও মজা করেন। আমি মনে করি এতে ব্লগের জমজমাট ভাবটা আরো চোখে পড়ে। অন্য অনেক ব্লগার এইরকম মিথস্ক্রিয়ায় জড়িয়ে পড়তে চান। ব্লগে নিজেকে নিযুক্ত রাখতে সচেষ্ট হন। তাই ব্লগ প্রাণবন্ত থাকে আরো বেশি।
তবে কারো কারো চোখে ব্যাপারটা অপছন্দনীয় এবং নিজেদের দুরেও রাখেন এইসব ক্ষেত্রে। এটা হতেই পারে কারণ প্রত্যেকের দৃষ্টিভংগি ভিন্ন ভিন্ন। তবে ইর্ষান্বিত হলেই ব্যাপারটা দৃষ্টিকটু।
কিছু কমেন্ট আসে যেগুলো নিয়মিত ব্লগারদের জন্য দৃষ্টিকটু। (ভাল হয়েছে, প্লাস+)
এইসব কমেন্ট যে কেবল দায়সার কমেন্ট আমি তা মনে করি না। কিছু পোস্টে এমনও হয় যে কমেন্টে বেশি কিছু বলার থাকে না। আমি অবশ্যই এক্ষেত্রে কমেন্ট একেবারে না করাটা অপেক্ষা কিছু বলাকেই প্রাধান্য দেব।
কারণ কমেন্ট করতে করতে একসময় উনারা প্রয়োজন অনুভব করবেন যে এইভাবে দায়সারা কমেন্ট আমার ইমেজ নষ্ট করে দিচ্ছে। এবং আশা করা যায় একসময় সঠিক ভাবনাই ভাবতে থাকবেন।

অনেক কথাই বলে ফেললাম বোমা ভাই। যেকোন ভুলক্রটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। :)

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমার এই পোস্টের মূল কথা হল, পাঠক হিসেবে লেখাটি প্রকৃত অর্থেই মনোযোগ দিয়ে পড়া, তারপর মন্তব্য করা। এর মানে এই নয় মন্তব্য বিশ্লেষণধর্মী হতে হবে, উচ্চমানের হতে হবে। মন্তব্যে পাঠকের পাঠ প্রতিক্রিয়া প্রতিফলিত হতে হবে। মন্তব্য শুধু কয়েকটি শব্দ নয়; এটা অনেকটা এককথায় অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ হতে হবে। এখন আপনার অনুভূতি আপনি কয় লাইনে, কোন শব্দে, কিভাবে ব্যক্ত করেন, তা পাঠক হিসেবে আপনার স্বাধীনতা। কিন্তু মন্তব্য যেন পাঠ প্রতিক্রিয়ার ফিডব্যাক হয়, আমি মনে করি এটা জরুরি।

গসিপিং টাইপ পোস্টে গসিপ চলতেই পারে, থাকবে ফান। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এটা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, যা দৃষ্টিকটু দেখায়। তারপরও আমি মনে করি এটা লেখক-পাঠকের স্বাধীনতা, এটা নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই। অভিযোগ হল, ভালো ভালো পোস্টে পাঠক নেই, মন্তব্য নেই; অথচ একই সময়ে অতি সাধারণ একটা পোস্টে চলছে ফ্ল্যাডিং। মনে রাখতে হবে, ব্লগ একটা উন্মুক্ত মঞ্চ, কিন্তু সীমিত আমাদের ব্লগারদের মাঝে। এখন যদি, ফেসবুক বা মেসেঞ্জারের মত কালচার এখানে ডেভেলপ করা হয়, তাহলে সেটা কতটুকু কাম্য।

পাঠক হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে পারছি না বলেই আজকের পোস্ট। আমি যদি আমার গণ্ডির বাইরে গিয়ে প্রতিদিন পাঁচটা পোস্টও পড়ি, সততার সাথে, তারপর সেখানে যদি সম্ভব হয় দু'লাইনের একটা অর্থবহ পাঠপ্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আসি; তাহলে নতুন নতুন ব্লগারের সাথে আমাদের ইন্টারেকশন হবে, বাড়বে ব্লগের কলেবর। কিন্তু সবসময়, একটা নির্দিষ্ট গণ্ডীতে সবাই আঁটকে যাচ্ছি পাঠক হিসেবে। এটাই আমাকে কষ্ট দেয়।

ধন্যবাদ।

১৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭

নেক্সাস বলেছেন: আলোচনার স্বার্থে এই পোষ্ট টি ষ্টিকি করে দেওয়ার জন্য বিণীত আবেদন জানাবো।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার। :)

২০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪০

আমি ইহতিব বলেছেন: হাজিরা দিয়ে যাচ্ছি যেন এই পোস্টটা মিস না হয়। সময় করে আবার আসছি ভাইয়া।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, ফ্রি হয়ে এসে পড়ে আপনার মতামত জানিয়ে যাবেন আশা করি।

ভালো থাকুন সবসময়।

২১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৮

সুমন কর বলেছেন: একদিনে পঞ্চাশটি নয়, পাঁচটি পোস্ট পড়ি, পড়ার মত পড়ি, পড়ার পর ভাবনার জগতে বিচার বিশ্লেষণ করি, গঠনমূলক একটি মন্তব্য করে ব্লগীয় পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া অর্থবহ করে তুলি। নিজের পাঠক মনের খোরাক হোক প্রতিটি পাঠ, তৃপ্ত হোক মন। ব্লগ হোক মেধা-মনন উৎকর্ষতার স্থান, টাইম পাস বা গসিপিং এর নয়। আমি চেষ্টা করব আজ থেকে ধীরে ধীরে নিজের মধ্যে এটাকে বাস্তবায়ন করতে।

বন্ধু, চমৎকার একটি পোস্ট হয়েছে। পূর্ণ সহমত।

আমি চেষ্টা করি প্রতিটি পোস্টে চোখ বুলিয়ে যেতে (নাম দেখে নয়) এবং যেগুলো ভালো লাগে, পড়ি ও সেগুলোতে মন্তব্য করি। আজকাল কিছু ব্লগার শুধু পোস্ট দেয় আর দেয় !! তারা কোন মন্তব্য করে না। এটার কোন মানে, আমি খুঁজে পাইনা।

আবার কিছু ব্লগার পোস্ট বির্হিভূত ফাউ কথা দিয়ে ফেবুর মতো চ্যাটিং চালিয়ে যায়। এর কারণ কি, মন্তব্য বেশী করা নাকি হিট করানো !! X(( X( কথা অবশ্যই হতে পারে, ১টি কিংবা ২টি। অহেতুক ভালো দেখায় না !!

আর সবাই লেখক হতেই চায়, পাঠক না !! এটাও একটা বিরাট সমস্যা।

শুভ সন্ধ্যা।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমি পাঠক হতে চাই, খুব মনোযোগী পাঠক, ইদানীং সেই মনোযোগটাই দিতে পারছি না। আমি সাধারণত ভ্রমণ সংকলনের কাজ করার সময় যখন পুরো মাসের পোস্ট এক এক করে চেক করে যাই, তখন যে পোস্ট ভাল লাগে, সেটা পড়ি, মন্তব্য করার খুব ইচ্ছে থাকে, অনেক সময় পোস্টের লেখনী আর বিষয়বস্তু তা রহিত করে দেয়। তারপরও চোখ রাখি, ভাল কোন লেখা চোখে পড়লে পড়ে নেই। তবে হ্যাঁ, এমনিতে অনুসারিত পোস্ট ধরে বেশীরভাগ পোস্ট পড়া হয় আর সাম্প্রতিক মন্তব্যে কোন লেখা চোখে পড়লে সেটাও পড়া হয়।

ব্লগ বহির্ভূত ফাউ কমেন্ট প্রসঙ্গে কিছু বলার নাই, বললে অনেকে মনঃক্ষুণ্ণ হবে। এটাকে প্রতিনিয়ত সযত্নে লালন করা হয়েছে, হচ্ছে এবং হবে। এতেই হয়ত ব্লগিং এর উৎকর্ষতা নিহিত আছে। বোকা মানুষ, বুঝি কম, বলি বেশী, এখন বলতে ভয় হচ্ছে ;)

আর শেষের কথার উত্তরে কি বলব, আমি নিজেই তো লেখক হতে চাই। :P

শুভ মধ্যাহ্ন, নাকি অপরাহ্ণ? :-B

২২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩

বনজ্যোৎস্নার কাব্য বলেছেন: গঠনমূলক পোস্ট, কমেন্টও সেরকম আসছে এবং আশা করি আসবে।
কোনো পোস্টের লেখা পড়তে গেলে আমার একটা প্রিয় কাজ হচ্ছে কমেন্ট পড়া সে পোস্টের। এতে আন্তরিকতা বাড়ে, লেখার জেনর বা কমেন্টের মাধ্যমে ব্লগারের মানসিকতা সম্পর্কে কিছুটা আঁচ পাওয়া যায় যা ব্লগিং এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এটা ঠিক, অনেক সময় দেখা যায়, পোস্টের চাইতে কমেন্টগুলো বেশী ভাল লাগছে। কমেন্টের মাধ্যমে ব্লগারের মানসিকতার যে কথাটি বললেন, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কমেন্টে কিন্তু ব্লগারের একটা পরিচয় বেড়িয়ে আসে, আর তাই আমি কিন্তু আমার পোস্টে বলেছি, অনেকগুলো মন্তব্যের প্রতিত্তরেও বলছি, অর্থবহ প্রাসঙ্গিক মন্তব্যের কথা। একটি মন্তব্য অনেক সময় অনেক বড় কিছু হয়ে ধরা দেয়। আমার একটি ছোটগল্পে ব্লগার মশিকুর ভাই বলেছিলেন একটি ছোট্ট কথা, 'আপনার ভেতর লেখক আছে'। ছোট্ট একটি কথা, কিন্তু কতটা আলোড়ন তুলেছিলে আমার মাঝে বোঝাতে পারবো না; এখনো আমাকে অনুপ্রাণিত করে। মন্তব্যটি কিন্তু কোন তেল মারা ধরণের ছিল না, ছিল আমার ঐ গল্পের সমালোচনাও। কিন্তু কি চমৎকার একটি মন্তব্য! মনে দাগ কেটে যায়।

ধন্যবাদ বনজ্যোৎস্নার কাব্য, ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা।

২৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: একজন মনোযোগী পাঠকই পারে একজন সৃষ্টিশীল লেখকের উন্মেষ ঘটাতে
একমত । আজকাল পাঠক - লেখক কেউ হয়ত যোগী B-) হতে পারছে না / তাই এত সমস্যা ।
ভাল থাকবেন বোমা ভাই ।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই। যোগী কেম্নে হয় জাতি জানতে চায়, সাথে আমিও। ;)

২৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
‘বোকা মানুষ বলতে চায়’ কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই, তিনি প্রকৃত কথাগুলো অকপটে বলার যুক্তিসিদ্ধ চেষ্টা করেছেন। যদিও লেখাটিতে ভাসমান সমস্যার কথা হালকাচালে উঠে এসেছে। এটা লেখকেরর দোষ না, দোষটা পারিপার্শ্বিকতার। এবং আমাদের সকলের...

লেখালেখি করার জন্য আরও নির্ভরযোগ্য বিশাল মাধ্যম বা মিডিয়া আছে। যা দিয়ে লাখ লাখ পাঠক/অডিয়েস্নের কাছে পৌঁছানো সম্ভব এখন। সামহোয়্যারইন...ব্লগে, লেখক হ’তে বা লেখক পরিচয় জাহির করতে আসি নে। আসি আপনাদের মত রুচিশীল-জ্ঞানপিপাসু-পড়ুয়া ব্যক্তিত্বের সাথে দুটো কথা বলতে ও শুনতে।

যদিও আমার হাতে সময় থাকে নে, তবুও যথাসম্ভব উপযুক্ত মন্তব্যটি রেখে যাই। ব্লগে করা আমার প্রতিটি মন্তব্যে তার নজির রয়েছে। লেখক হতে হ’লে আগে পাঠক হতে হয়, যা-তা লিখে ব্লগ-ফেসবুকে সাময়িক বাহবা পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু সেগুলো মজবুত নয়। বহুকে লফং-যফং করতে দেখেছি, দিনশেষে ওসব হারিয়ে গেছে/যাচ্ছে।

টাইম পাস বা গসিপিং করতে আসা অনলাইনের-অতিথিরা পাসিংয়েই থেকে যায়; এখানে কোনও কথা নেই। আর যারা নিজের লেখালেখি-ব্লগিং-মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে নিজের ও সমাজের, দেশ-জাতির, উন্নয়ন-সমৃদ্ধি ঘটাতে চান, তাঁদের প্রতি আমার অনুরোধ দয়া করে সস্তা জনপ্রিয়তায় নিলীন হবেন না। প্রচুর পড়ুন ও বিজ্ঞানমনস্ক হোন।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ অন্ধবিন্দু, আমি কিন্তু ব্লগে লিখি লেখক হওয়ার জন্য, কারণ আমার লেখালেখির জন্য অন্য কোন মাধ্যম নেই, আর সামু ব্লগে লিখতে ভালোলাগে তাই লিখি। আমি একজন পাঠক হতে চাই, মনোযোগী পাঠক, কারণ ব্লগে প্রচুর ভালো লেখা আসে, নিজের সীমাবদ্ধতার কারণে এগুলোর পাঠসুধা হতে নিজে বঞ্চিত হচ্ছি। অন্য কারো প্রতি আমার কিছু বলা নয়, বলছি নিজেকে। কারণ, অন্যকে আমি বদলাতে পারবো না, পারবো নিজেকে। :)

২৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: অফলাইনেই পড়েছিলাম লেখাটা।
প্রতিটা মানুষ ভিন্ন, ভিন্ন তাদের পছন্দ, অপছন্দ। একজনের কাছে যে লেখা ভাল লাগবে আরেকজনের কাছে তা নাও ভাল লাগতে পারে।

অনেকরকম পোস্ট থেকে যার যেটা ভাল লাগছে সে সেটা পড়বে আর যা ভাল লাগবেনা তা এড়িয়ে যাবে।
তবে পোস্ট না পড়ে মন্তব্য যারা করে তাদের মন্তব্য দেখলেই বুঝা যায়।

পোস্ট পড়ে এক লাইনের একটি মন্তব্যও পোস্টদাতাকে অনেক উৎসাহিত করে।

যারা কবিতা লিখেন, যখন কবিতা পোস্ট করেন তিনি তো কি চিন্তা করে, কিসের প্রেক্ষিতে এই কবিতা লিখেছেন তা ভাল করেই জানেন। এখন সেই কবিতা পড়ে পাঠককে যে এই কবিতার সারমর্ম বের করতে হবে, তাতো না।
কবিতা পড়ে ভাল লাগলে অবশ্যই পোস্টদাতাকে পাঠকের ভাল লাগাটা জানানো উচিত।
আর যারা কবিতার সারমর্ম বের করেন তাও ভাল।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনার কথা ঠিক, যার যে পোস্ট ভালো লাগবে সেটা পড়বে। সাথে আমার কথা মনোযোগ আর আন্তরিকতার সাথে পাঠ এবং মন্তব্যে নিজস্ব মতামত প্রদান যা লেখার সাথে প্রাসঙ্গিক। পোস্ট ভাল না লাগলে জোর করে পড়ার কিছু নাই।

মন্তব্য একলাইনের হবে না দশ লাইনের, সেটা মুখ্য নয়; মুখ্য হল মন্তব্যের সার কথাখানি।

আমি তো বলি নাই কোন গল্প বা কবিতার সারমর্ম বা প্রেক্ষাপট মন্তব্যে তুলে ধরতে হবে। মূল বক্তব্য হচ্ছে সততার সাথে নিজের অনুভূতিটুকু লেখককে জানিয়ে দেয়া, এতে লেখক-পাঠক উভয়ই উপকৃত হবে।

মনে হয় আমার পোস্টের বক্তব্য আমি আপনাকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি। আমি কাউকে পাঠ এবং মন্তব্যের দিকনির্দেশনা দিতে চাই নাই; আমি বলতে চেয়েছি পাঠ হওয়া উচিত সততার সাথে, পর্যাপ্ত মনোযোগ এবং আগ্রহের সাথে, কোন ভদ্রতা বা সম্পর্ক রক্ষার জন্য নয়। আমি নিজেই আমার পাঠক সত্ত্বাকে কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছি।

ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য, ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা জানবেন।

২৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১০

কিরমানী লিটন বলেছেন: ‘একজন মনোযোগী পাঠকই পারে একজন সৃষ্টিশীল লেখকের উন্মেষ ঘটাতে'

একদিনে পঞ্চাশটি নয়, পাঁচটি পোস্ট পড়ি, পড়ার মত পড়ি, পড়ার পর ভাবনার জগতে বিচার বিশ্লেষণ করি, গঠনমূলক একটি মন্তব্য করে ব্লগীয় পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া অর্থবহ করে তুলি। নিজের পাঠক মনের খোরাক হোক প্রতিটি পাঠ, তৃপ্ত হোক মন। ব্লগ হোক মেধা-মনন উৎকর্ষতার স্থান, টাইম পাস বা গসিপিং এর নয়। আমি চেষ্টা করব আজ থেকে ধীরে ধীরে নিজের মধ্যে এটাকে বাস্তবায়ন করতে।

কথা দিচ্ছি, প্রতিবার লগইন করে একটি লেখা হলেও যত্ন সহকারে অতি মনোযোগ দিয়ে পড়ব, সুযোগ হলে প্রতিদিন।

গভীর ভাবনার অনবদ্য খোরাক, অনেক অভিবাদন সত্যকে সুন্দরের মোড়কে কার্যকর ভাবে পাঠকের সামনে তুলে ধরার জন্য ।অনেক শুভকামনা প্রিয় বোকা মানুষ বলতে চায় ...।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই। বোকা মানুষের বোকা ভাবনা। :)

আসলে নিজেকেই নিজের বলা; আমি নিজেই নিজের পাঠ অভ্যাস এবং ধরন দেখে কিছুটা বিরক্ত, কিছুটা শঙ্কিত। সেই তাড়না থেকেই লেখা। আমি মনে করি লেখা এবং পাঠ, দুটোতেই সৃষ্টিশীলতা নিহিত আছে, লেখায় হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসের একটি অনুচ্ছেদের খণ্ডাংশ দিয়ে সেই উদাহরণটি দেয়ার চেষ্টা করেছি। হয়ত আমি সঠিকভাবে তা বুঝাতে পারি নাই, কেননা এতোগুলো মন্তব্যে এইদিকটা নিয়ে কোন কথা দেখলাম না। বেশীরভাগ কথা মন্তব্য আর হিট নিয়ে বলা প্যারাকে ঘিরে। :(

ভালো থাকুন ভাই, শুভকামনা রইল।

২৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪০

সকাল রয় বলেছেন: এখন অনেক বেশী অনিয়মিত। অনেকদিন কারো লেখা পড়া হয়ে উঠেনি। আগে লেখা রিড ইট এ রেখে অফলাইনে বসে বসে পড়তাম তারপর মন্তব্য করতাম। অনেকদিন এখন আর সে অভ্যেসটা নেই। আগে পড়া বলতে যা হতো ব্লগেই। মন্তব্য সেই সাথে বিশ্লেষণ তবে এখন সেটা নেই। আমি সময় নিয়ে পড়তে ভালোবাসি বলেই খুব কম মন্তব্যই দেয়া হয়।
যতটুকু পারি পড়ি, আর পোস্ট দেয়া সে এখন সময়ই হয়না।

আপনার বিশ্লেষণ চমৎকার

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ সকাল ভাই, আপনাকে ব্লগে মিস করি খুব। ব্যস্ততা একটু কমিয়ে ব্লগে আবার নিয়মিত হবেন এই কামনা রইল। :)

২৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

প্রিয় বোকা মানুষ! নিজেকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে উচিত কথা বেশ কয়েকটা শুনিয়ে দিলেন। ভালো লেগেছে। দৃষ্টান্তগুলোও একদম মানানসই হয়েছে। মূলত আপনার প্রতিটি লেখায় পেয়েছি পরিপক্কতার পরিচয়।

গল্পকারদ্বয় হাসান মাহবুব ও অপর্ণা মম্ময় আমার অনেক কথা বলে দিয়েছেন।



ব্লগ পড়া, ব্লগ লেখা এবং সর্বোপরি মন্তব্য দেওয়া নিয়ে অন্তত ১০টি পোস্ট দিয়েছি সামুতে।
<প্রতিটিতে বিস্তার ব্লগার সমাগম হয়েছে।
<তারা বিস্তর মন্তব্য দিয়েছেন।
<অনেক মন্তব্য আমার পোস্টের চেয়েও ভারি ছিল।
<তাদের মন্তব্য নিয়ে আমি আবার পোস্ট কদিতে বাধ্য হয়েছিলাম।
<কেউ কেউ অবশ্য সত্য কথাটি বলে দিয়েছিলেন।

সত্য কথাটি হলো, পড়া ও মন্তব্য প্রদান নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করে কোন লাভ হবে না। যেই লাউ সেই কদুতে রূপান্তরিত হবে। কিন্তু আমার মনে হয়, সমগ্র দেশেই পাঠক কম, ব্লগে পাঠক আসবে কোথা থেকে?


এই হাতুড়ে লেখক তারপর অনেক বিষয় নিয়ে পোস্ট দেবার চেষ্টা করেছে: কর্মসংস্থান, লেখার গঠন, ভাষার শুদ্ধতা, বিশেষ ব্যক্তিত্ব, আত্ম উন্নয়ন.... ইত্যাদি। এই পরিক্রমায় লেখক হিসেবে যেমন অমূল্য অভিজ্ঞতা পেয়েছি, তেমনি পেয়েছি পাঠকের মন্তব্য সম্পর্কে অভিজ্ঞতা। এটিও মজার। ব্লগে না আসলে হয়তো এই অভিজ্ঞতা অধরাই থেকে যেতো।

ব্লগের পাঠক সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা...
১. পাঠক সাধারণত চিন্তাশীল। এবং মন্তব্যে আন্তরিক ও অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন।
২. অন্যরা না পড়েই মন্তব্য করেন। সব লেখকই সেটি বুঝতে পারেন।
৩. কেউ কেউ অন্যের মন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে মন্তব্য লেখেন। এটিও লেখক বুঝতে পারেন।
৪. কেউবা শিরোনাম/মন্তব্য দেখে মন্তব্য করেন। ফলে লেখার মূল ভাব তাদের হাতছাড়া থাকে। সেটি মন্তব্যে ধরা পড়ে!
৫. আরেকটি হতাশাজনক শ্রেণী আছে, তারা পড়েন না, মন্তব্যও দেন না। তারা প্লাস/ইমো/শুভেচ্ছা দিয়ে চলে যান।

ওপরের ক্রমিক নম্বরের দিকেও যদি তাকান, তবে দেখবেন এখানে মাত্র ২০% পাঠক পড়েন।
বলতে চাই, এটিও কম কিসের :/
তবু ব্লগে ব্লগার থাকুক। এই শুধু কামনা :)


দুঃখ লাগে যখন দেখি, মূল্যবান একটি লেখায় কোন মন্তব্য নেই। অথবা কম সংখ্যক মন্তব্য। কারণ কী? কারণ হলো অনেকটা এরকম...

ক) ব্লগার নতুন
খ) ব্লগার অন্যের লেখা পড়েন না
গ) ব্লগার পুরাতনই, তবে যোগাযোগ কম
ঘ) পড়লেও মন্তব্য দেন না
ঙ) লেখাটি নির্বাচিত হয় নি
.... এই যদি কারণ হয়, তবে পাঠক হিসেবে আমি কোন্ পর্যায়ে গিয়ে পড়ি, ভেবে দেখুন।


আপনি বলেছেন, ফেইসবুক চলে এসেছে ব্লগে আর ব্লগিং চলে গেছে ফেইসবুকে। দুঃখজনক হলেও এটি অনেকটাই ঠিক।


এত কিছুর পরও বলতে চাই, বর্তমান সময়ে ব্লগই লেখালেখি চর্চার জন্য সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম। আমার লেখায় একটি মন্তব্যও যদি 'আন্তরিক' এবং জেনুইন পাই, তবে মন্তব্যের আকার যা-ই হোক, নিজেকে ধন্য মনে করি।

শেষে বলি, সাহিত্য আলোচনা অথবা লেখা নিয়ে আলোচনা করার মতো সেরকম পাঠকও তো আগে হতে হবে। সেটি আগে হয়ে নিই।


একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা উসকে দেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ :)
শুভ ব্লগিং!!!

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সত্যি বলেছেন, আমাদের দেশেই পাঠক কম। শুধু তা নয়, ব্যাপারটা এমন, 'লিডার বেশী, ফলোয়ার কম; সবাই শেখাতে চায়, কেউ শিখতে চায় না। সবাই বলতে চায়, কেউ শুনতে চায়। প্ল্যানিং অনেক হয়, এক্সিকিউটর পাওয়া দুস্কর।' আর ব্লগেও এটার ব্যতিক্রম না হওয়াটাই স্বাভাবিক।

বর্তমান সময়ে ব্লগই লেখালেখি চর্চার জন্য সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম।
একেবারে আমার মনের কথা বলেছেন। আমি নিজেকে খুঁজে ফিরছি এই ব্লগের মাঝেই, কিছুটা সুফলও পেতে শুরু করেছি। ইদানীং ফিল হচ্ছিল, পাঠে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে, তাই ভাবছি লেখালেখি কমিয়ে পাঠে মনোযোগ দিব, বিশেষ করে ব্লগে। নতুন করে নিজেকে গড়তে চাইছি আরেকবার। জানি না পারবো কি না, দেখা যাক।

আর শেষে বলব, আমি কিন্তু আলোচনা উস্কে দেই নাই, কেম্নে জানি উস্কে গেছে। মজার ব্যাপার আমার লেখার প্রথম অর্ধাংশ নিয়ে কথা কম হয়েছে, শেষাংশ নিয়ে হয়েছে যত কথা। কিন্তু ভেবে দেখেন, একটা ছোট্ট লেখা'র পেছনে কত না বলা কথা থাকতে পারে। আমরা কি সেভাবে চিন্তা করি আমাদের সহ-ব্লগারদের লেখাগুলো নিয়ে। দায়সারাভাবে পাঠ এবং একটি মন্তব্যে করে শেষ করে দেই, আমার নিজের কথা বলছি, বাকীদের কথা জানি না। কিন্তু এই পোস্টেই দেখুন, প্রথম অর্ধাংশে যা বলতে চেয়েছি, সেদিকে কারো মনোযোগ আকৃষ্ট হয় নাই, হয়েছে হিট, কমেন্ট, লাইক নিয়ে বলা পরের অর্ধাংশ নিয়ে। কারণ, এই ব্যাপারগুলোর সাথে কিছুটা হলেও প্রতিটি ব্লগার সরাসরি সম্পৃক্ত। এই লেখার মূল বক্তব্য আমি তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছি বলেই মনে হচ্ছে।

অনেক ধন্যবাদ মইনুল ভাই, অনেক অনেক ভালো থাকা হোক, প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ। শুভ ব্লগিং। :)

২৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৬

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: একজন মনোযোগী পাঠকই পারে একজন সৃষ্টিশীল লেখকের উন্মেষ ঘটাতে!! --------১০০% সহমত!

আবার এভাবেও বলা যায়, লিখতে চাইলে প্রচুর পড়তে হবে।

আপনার লেখা, লেখায় মন্তব্য -প্রতিমন্তব্য প্রশংসার দাবিদার।ধন্যবাদ সব্বাইকে!!!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনার কথা ঠিক, লিখতে হলে প্রচুর পড়তে হবে; কিন্তু সেই পঠন হতে হবে মনোযোগ, একাগ্রতা এবং সততার সাথে। আজকাল যান্ত্রিক নাগরিক জীবনে এমনতর পাঠকের বড় অভাব, যা এই ব্লগেও পরিলক্ষিত হয়।

ধন্যবাদ আপু আপনাকেও এই আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য। শুভ ব্লগিং।

৩০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৩

সুলতানা রহমান বলেছেন: আপনার লিখায় আমার নিজেরওও একটা কথা মনে পড়ছে। আমি ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী থেকে বই নিতাম, সেখানে ও একইরকম ছিল। তিন বোনের নামে সদস্যপদ নিয়ে বই নিতাম।
এখানে দু থেকে তিনদিন আগেও একটা কমেন্ট এ প্রতিউত্তরে লেখক বাজে ভাবে উত্তর দিয়েছে, কারণ কমেন্ট লেখককে সন্তুষ্টি করতে পারেনি।
আমি নিজেও এখন বুঝতে পারছি একটা যুক্তিপূর্ণ কমেন্ট লেখককে কতটা প্রভাবিত করতে পারে!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ সুলতানা রহমান আপু। আসলে অনেকেই মন্তব্যে সমালোচনা নিতে পারেন না; আবার আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি প্রতিত্তরে লেখকের ডিফেন্সও অনেক পাঠক নিতে পারেন না। মুল সমস্যা হল ব্লগার হিসেবে আমাদের ম্যাচুরিটি ততটা ডেভেলপড হয়ত নয়। বাস্তব জীবনেও আমরা সমালোচনা এবং নিজ মতের বিরুদ্ধ কিছু মেনে নিতে পারি না। এখানেই আমাদের ব্যর্থতা।

একটা যুক্তিপূর্ণ কমেন্ট লেখককে অনেকটাই প্রভাবিত করতে পারে! - চমৎকার একটি কথা, যা আমার পোস্টের সামারি লাইনও বলা যেতে পারে।

৩১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: লিখাটি পড়লাম ।
একজন মনোযোগী পাঠকই পারে একজন সৃষ্টিশীল লেখকের উন্মেষ ঘটাতে সুন্দর বলেছেন !
চমৎকার কিছু কমেন্ট এসেছে । ভাল লাগলো ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই, ভালো থাকুন সবসময়।

৩২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৭

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট, প্রাণচঞ্চল লেখা, অনেক ধন্যবাদ প্রিয় লেখক :)

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ তামান্না, ভালো কাটুক প্রতিটি মুহূর্ত।

৩৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৪

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: খুব ইচ্ছে করে ভালো লেখা লিখতে , জানিনা ভালো লিখতে পারবো কি না । পড়তে ও খুব ভালো লাগে ।


ব্লগে আমার একটা বদঅভ্যাস হচ্ছে আমি বিস্তারিত মন্তব্য খুব কম দেই , পুরো লেখা পড়ার পরেও দেখা যায় অল্প ভাষায় মন্তব্য দেই ! ! ! !

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এটাই মনে হয় সবচেয়ে বড় মন্তব্য লিখলাম :) :) :) :)

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনি কিন্তু নিয়মিতই ভালো লিখেন, আরও ভালো লেখা আমাদের উপহার দিবেন এই কামনা করি।

আর মন্তব্য কিন্তু সংক্ষিপ্ত বা বিস্তারিত হল কি না, এটা মুখ্য নয়। মুখ্য হল প্রাসঙ্গিকতা, পাঠ পরবর্তী প্রতিক্রিয়া মন্তব্যে তুলে ধরা, সেটা পজেটিভ বা নেগেটিভ যাই হোক। এই প্রকৃত ফিডব্যাক লেখকের কাছে পৌঁছে দেয়াটাই আমি মনে করি মুখ্য ব্যাপার মন্তব্যের প্রসঙ্গে।

সবচেয়ে বড় মন্তব্য লেখার জন্য আবারো ধন্যবাদ।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

৩৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মূল ব্লগের সাথে মন্তব্যগুলোও অবশ্যপাঠ্য হয়ে গেছে| একটা সুন্দর জিনিস লক্ষ করছি, সেটা হল সামুতে পোস্টের সংখ্যা কমে গেছে| এটা ভাল ব্যাপার| আগে এত বেশি পোস্ট আসত যে হারিয়ে যেত অনেক ভাল পোস্ট| এখন সেটা হওয়ার প্রব্যাবলিটি কম|
কমেন্টের ব্যাপারে গেম চেন্জারের সাথে অনেকটা একমত| সবসময় মন্তব্য করার মানসিকতা থাকে না, আবার অনেকসময় বলার কিছু থাকে না| গত কয়েকদিন আগে একটা গল্প পড়ে এই মুগ্ধ হয়েছিলাম যে ভাল লেগেছে বলা ছাড়া আর কিছুই বলা হয়নি| তবে কিছু মন্তব্য দেখলেই বোঝা যায় যে সেগুলো রেডিমেট|
লেখাটা ভাল লেগেছে| পাঠক খুব ইমপর্টেন্ট| ব্লগার কেন অনেক ভাল ভাল লেখকও এর অভাবে হারিয়ে যায়

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ আরণ্যক রাখাল। পোস্ট সংখ্যা কমে যাওয়াটা আমার কাছে নেগেটিভ মনে হয়, বেশী পোস্ট মানেই বেশী সম্ভাবনা, বেশী লেখক সৃষ্টির পথ, ব্লগ জমজমাট হওয়ার ক্ষেত্র।

মন্তব্য করার ব্যাপারে আমার অভিমত তো পোস্টেই বলেছি। আমার মুড না থাকলে পোস্টগুলো আমি উইন্ডোতে নিউ ট্যাবে ওপেন করে রেখে দেই। এমনও হয়েছে তিনদিন ওপেন থাকার পর পোস্টটি পড়েছি। তবে হ্যা, আমার মন্তব্যও অনেক হালকা চালের, গতানুগতিক সবার মত। আমি চাইছি এই বৃত্ত থেকে বের হতে; লেখক হিসেবে নিজে যেমন মন্তব্য নিজের পোস্টে আশা করি, তেমনটা কি আমি নিজে সব পোস্ট পাঠ করার পর করি? উত্তর বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই 'না'। তাই এই পোস্টের অবতারণা।

তবে, যে কোন ইস্যুতেই প্রত্যেকের নিজস্ব চিন্তা, সে মোতাবেক অভিমত থাকে; আমি এই পোস্টে পাওয়া প্রতিটি অভিমত'কে মনোযোগ দিয়ে মেমরাইজড করার চেষ্টা করেছি। আমি মনে করি এই অভিমতগুলো আমাকে ভবিষ্যতে ভালো মানের পোস্ট লিখতে সহায়তা করবে।

৩৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার এই পোস্টের জন্য প্রথমেই লেখক বোকা ভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই! পোস্ট সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে এর আগে অনেকেই অনেক ভাবে তাদের মতামতকে উপস্থাপন করেছেন! আমিও আমারটা করলাম। আমার মতামতটা হয়তো অন্যদের সাথে খাপ খাবে না, তার পরেও মন্তব্যটাকে আন্তরিকতার সহিত নেবেন সেই আশাটা করতেই পারি.......!!

পোস্ট পঠিত সংখ্যাঃ- দেখুন যে যত ভাবেই বুঝাকনা কেন, আমার সাম্প্রতিক পোস্ট পঠিত সংখ্যাই আমার আগামী পোস্টের প্রেরণার একটা উৎস বলে আমি মনে করি! আমি অনেক কষ্ট করে একটা সুন্দর পোস্ট করার পরেও যখন সেটাতে পাঠক সংকুলান দেখা দেয়, তখন আস্তে আস্তে এমন ভাল পোস্ট করার মনোবল হারিয়ে ফেলি! অবশ্য সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র পাঠক নয়, লেখকও অনেকাংশে দ্বায়ী বলে আমি মনে করি! সাম্প্রতিক সামুর প্রতিযোগিতায় যে লেখা গুলো বিজয়ী হয়েছে, তার পরিসংখ্যান দেখলেই আপনি স্পষ্ট বুঝতে পারবেন! বাংলায় একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে যে, তুমি যদি আমার হও; আমিও তোমার হবো। এখন কথা হলো আপনি যদি আমার বাড়িতে না যান তাহলে আমিও আপনার বাড়িতে যাবনা এটাই স্বাভাবিক! আর সেকারণেই দেখা যায়, অনেক ভাল পোস্টের পাঠক সংখ্যা মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন। অথচ একটা জাম্বু মার্কা পোস্টে পাঠকের সয়লাব! আর সেজন্যই আমাদেরকে শুধু পোস্ট করেই বসে থাকলে চলবে না, বরং পোস্ট করার থেকে অন্যের পোস্টে যাওয়া, মন্তব্য করা, তাকে উৎসাহিত করাটাও জরুরি......!!

মন্তব্যঃ- আমি এই সাত মাস ব্লগিং জীবনে অন্তত এটা বুঝতে পেরেছি যে, মন্তব্যই হলো একটা পোস্টের সব থেকে বড় স্বার্থকতা। তবে হ্যাঁ, মেজরিটি পারসেন্ট পোস্টে প্রথম মন্তব্যটাই সাধারণত পোস্ট সংশ্লিষ্ট হয়, আর বাদ বাকি গুলো হলো ফাও প্যাচাল! তবে ব্লগে এই ফাও প্যাচালেরও দরকার আছে! অনেক পাঠক আছেন যারা সব সময় দৌঁড়ের উপরে থাকেন। তাদের কাজ হলো, দশদিন পর ব্লগে এসে সব থেকে পঠিত সংখ্যায় বেশি যে পোস্ট, মন্তব্যে বেশি যে পোস্ট, নির্বাচিত পোস্ট এবং আলোচিত ব্লগটা পড়েই ফুড়ুৎ! পোস্টের মূল ব্যাপার হলো প্রথম মন্তব্যটা হয় পোস্ট সংশ্লিষ্ট আর বাকি মন্তব্য গুলো হয় মন্তব্য সংশ্লিষ্ট! মানে আমার মন্তব্যে আপনি ঠিক কি উত্তর দিচ্ছেন তার উপরে ভিত্তি করেই আমার পরবর্তি মন্তব্যটা প্রসব লাভ করে। এখন পরবর্তি মন্তব্য গুলো যদি পোস্ট সংশ্লিষ্ট না হয়, তাতে সমস্যাটা কি? উক্ত মন্তব্যকারীরা যদি নিজেদেরকে নিয়ে পোস্টে ঠাট্টা/রসিকতা করে তাতে তো আমি কোন সমস্যা দেখি না? বরং আমি মনে করি এটার মাধ্যমে অন্যরাও মন্তব্য করার উৎসাহ পান! উদাহরণ হিসাবে বলা যায় আপনার একটা পোস্টে বিথীপুর এবং আমার মন্তব্য গুলো দেখছেন! একটা বাদে আর মন্তব্যগুলো কিন্তু সব ফাও ছিল? কিন্তু তারপরেও আমার মতে উক্ত মন্তব্যগুলার দরকারও ছিল। কারণ আমি যদি ঐখানে মন্তব্য না করতাম তাহলে বিথীপু কিংবা আপনি হয়তো আমাকে অহংকারী ভাবতেন (উদাঃ হিসাবে বলছি, কিছু মনে নেবেন না)! আবার মন্তব্য যদি পোস্ট সংশ্লিষ্ট না হয় তাহলেও সমস্যা! তাহলে এখন আমার কি করা উচিত.......?? এটাতো সেই সাপের ছুঁচো গেলা মত অবস্থা! গিলতেও পারছে না, আবার উগরাতেও পারছে না!

এছাড়াও বর্তমান সময়ে দেখছি, অনেকে মন্তব্যের প্রতি উত্তর করেন না, যেটা ব্লগারের জন্য একটা অপমান জনক! আমার মতে, দেরিতে হলেও সব গুলো মন্তব্যের প্রতিউত্তর করা উচিত! তাছাড়া কিছু ব্লগার আছেন, যারা নাম দেখে দেখে মন্তব্যের প্রতি উত্তর করেন! দেখা যায়, একটা মন্তব্য এখান থেকে দশ ঘন্টা আগে করা হলেও সেটার উত্তর না করে বর্তমান করা মন্তব্যেরই উত্তর করেন! কারণ আগের মন্তব্যকারী ব্যক্তির থেকে বর্তমান জন উনার কাছে বেশি প্রিয় তাই! কথায় আছে, তুমি যাকে ভালবাস তাকে বিয়ে না করে, বরং তোমাকে যে ভালবাসে তাকেই বিয়ে কর! তাহলেই তোমার দাম্পত্য জীবন সুখের হবে! কিন্তু আমরা সেই জিনিসটাই ভুলে যাই!


এছাড়াও অনেকেই আছেন যারা অনেক ব্লগারের পোস্টে মন্তব্যই করেন না, তাই পোস্ট যত ভালই হোক না কেন! কারণটা হলো আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে ওর সাথে আমার ঠুনোঠুনি বাধছিল তাই! আরে ভাই, এখানে আমরা সবাই ব্লগার! অনেক জনম জনম শত্রুও বন্ধুতে পরিণত হয়, আর ব্লগারতো সামান্য ব্যাপার মাত্র! অথচ ভাবটা এমন যে, তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মও যদি কখনো ব্লগে আইডি খোলে তাহলে তাকে সাবধান করে দেবে, খবদ্দার ওর কোন পেস্টে যাবি না! কারণ আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে ওর দাদার সাথে আমার বাঁধছিল.........!!

হিটঃ- আমি মনে করি, এই হিট ব্যাপারটার জন্য নতুনদের থেকে পুরানোরাই সব থেকে বহুলাংশে দ্বায়ী! কারণ যারা নতুন তারা হিট কি (?) অনেক সময় সেটাই জানেনা! অথচ পুরানোরা চুলকিয়ে ঘা করার মত এই জিনিসটাই নতুনদের সামনে তুলে ধরে! তাছাড়া হিটটাও ব্লগের একটা অংশ বলে আমি মনে করি! অন্তত নতুনরা যদি এই হিট সম্পর্কে ভাল বোঝে, তাহলে সবাই মরিয়া হয়ে যাবে নিজের হিট বাড়ানোর জন্য! আর সামুও আগের মত প্রাণোবন্ত হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই! একসময় জনপ্রিয় ব্লগার নাফিস ইফতেখার ভাইয়ের একটা পোস্ট পড়ছিলাম, 'কৌশিক তুমি সরে দাঁড়াও, আসছে আমার পাগলা ঘোড়া' টাইপের একটা পোস্ট! দেখেন বিচার বিশ্লেষণ করলে তখনকার সামু এতটা জনপ্রিয় থাকার একটা অন্যতম প্রধান কারণ হলো এই হিট বলে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি!

এখন আপনি হিট হলেন না বলে অন্যকেও হিট হতে দেবেন না, এটা কেমন কথা? তাছাড়া যারা এই হিট নিয়ে কথা বলে তারাই মূলত হিটের জন্য আফসোস করে! এইটা হলো আঙ্গুর ফল টক জাতীয়! নিজে খাইতে পারলাম না তো অন্যকেও খেতে দেবো না! আমাদের কে এই মন মানুষিকতা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত.....!! তাছাড়া আমি পুরানো ব্লগার বলে যা বলবো তাই ঠিক, আর নতুনরা যা বলবে তা সব ভুল এটা ভাবা ঠিক না!

তাছাড়া কিছু খারাপ পোস্টের ব্যাপারে বলতে গেলে বলতে হয়, আমি সবার সামনে সুন্দর মিষ্টি পরিবেশন করার পরেও যদি টক দেখে কারো জিভে পানি চলে আসে তখন আমাকে সবার সামনে উক্ত টক পরিবেশন করা জরুরি নয় কি......?


ভাই সম্ভাবত মহাভারতের ক্ষুদ্র সংষ্করণ রচনা করে ফেললাম! তবে অনুগ্রহ করে আপনি পড়লে হয়.......! শুভ কামনা জানবেন!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাহসী সন্তান। আপনার মন্তব্যের সাথে ব্যালেন্স করতে, আর কিছু বলছি না। পোস্ট এবং মন্তব্যগুলোর প্রতিত্তরে অনেক কিছুই তো বললাম।

প্রতিত্তর উপরেই শেষ। এখন মনে করেন, আপনার মন্তব্যের উত্তর হিসেবে এর গ্রহণযোগ্যতা। সেখেত্রে আমার পূর্বকার পোস্টগুলোতে করা মন্তব্যের প্রতিত্তর এবং এই পোস্টের অন্যান্য মন্তব্যের প্রতিত্তর কিন্তু বলে দিবে, এই মন্তব্যের প্রতিত্তর সম্পর্কে। একইভাবে, কোন পোস্টে কোন পাঠকের এক, দুই লাইনের মন্তব্যও অনেক অর্থবহ হতে পারে; যেটা হতে লেখক বুঝতে পারেন পাঠকের আন্তরিকতা।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

৩৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৬

আহসানের ব্লগ বলেছেন: কি মতামত দিব বুঝতে পারছিনা । তবে আমি একমত । :|

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হা হা হা, অনেকেরই অনেক পোস্টে অনেকসময় এমনটা হয়ে থাকে :)

ধন্যবাদ আহসান ভাই, ভালো থাকুন সবসময়।

৩৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫

নমো-শুদ্র বলেছেন: সুন্দর।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২

কালীদাস বলেছেন: এই ব্লগ একটা ভাল এক্সাম্পল আপনার পোস্টের কনটেন্টের। ২০১১ এবং এরপরে আসা ম্যাক্সিমাম নতুন ব্লগারই জাস্ট রাইটার, রিডার নেই বলতে গেলে। আর ইন্টারএকশন হয় কেবল যার যার গন্ডির মধ্যে, ব্যাপক ম্যানিপুলেটেড, আর্টিফিশিয়াল চেহারায়। এর ফল হচ্ছে প্রথম পাতায় গারবেজের ছড়াছড়ি, রিপোস্টের ট্রেন্ড (এটা নেই, তবে ব্যাপক সংঘর্ষের বিনিময়ে)।

যাউকগা, আমার কি! ম্যারি ক্রিসমাস :)

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা, ভালু বলেছেন, যাউকগা, আমার কি! :)

আগত নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল।

৩৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫০

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: ‘একজন মনোযোগী পাঠকই পারে একজন সৃষ্টিশীল লেখকের উন্মেষ ঘটাতে'- সহমত!
লেখা ভালো হয়েছে :) :)
বেশ প্রাণবন্ত আলোচনা চলছে, এটাও বেশ উপভোগ্য !!!!!!!!!!!!!!!!!

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ নান্দনিক নন্দিনী, ভালো থাকুন সবসময়।

৪০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকা মানুষ বলতে চায় ,


অনেক কিছুই বলা যেতে পারে এমন একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন । অনেকে তা বলেওছেন । সহব্লগার হাসান মাহবুব , মাঈনউদ্দিন মইনুল , গেম চেঞ্জার , অপর্ণা মম্ময় , অন্ধবিন্দু, নেক্সাস এবং আরও অনেকে যে সব কথা তুলে ধরেছেন তার সাথে সহমত জানিয়ে বলি -- এ সবই ব্লগের হালচাল নিয়ে আলোচনা যা ব্যক্তিগত আঙিকে লেখা ।
কিন্তু মূল প্রতিপাদ্য " একজন মনোযোগী পাঠকই পারে একজন সৃষ্টিশীল লেখকের উন্মেষ ঘটাতে " এটার "কি" -"কেন" - "কিভাবে" ইত্যাদি আলোচিত হয়নি মনে হয় । এ প্রসঙ্গে "অন্ধবিন্দু" বলেছেন - " সামহোয়্যারইন...ব্লগে, লেখক হ’তে বা লেখক পরিচয় জাহির করতে আসি নে। " এটা যেমন ঠিক তেমনি ঠিক "হাসান মাহবুব" এর কথা - "এমনও অনেকে আছেন, যারা নিয়মিত পোস্ট দেন এবং পোস্টে মন্তব্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে অন্য সবার ব্লগে কমেন্ট করে থাকেন।"

কারটা রেখে কার কথা বলবো ?

শিরোনামের বক্তব্য প্রসঙ্গে শুধু একটুখানি বলি - পাঠক যে লেখককে সৃষ্টিশীল করে তুলবেন তেমন সৃষ্টিশীল হতে চাওয়া লেখক এখানে খুব একটা দেখিনে । কেউ কারো ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিতে চেষ্টা করলেও প্রায় সব লেখকের মানসিকতা এটা মেনেই নিতে পারেনা । হাতে গোনা কয়েকজন আছেন যারা সমালোচনাকে ( ভালো ও মন্দ দু'টোই ) সহজ ভাবে নিয়ে থাকেন । বাকীরা এতে রেগে যান এবং ক্ষেত্র বিশেষে কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়িতে মেতে উঠতেও দ্বিধা করেন না । এমন মানসিকতার লেখককে আপনি কিভাবে সৃষ্টশীল হতে অনুপ্রেরনা দেবেন ? ওটা আসতে হবে ভেতর থেকে । নিজেকে শুদ্ধ করে তোলার গরজ থেকে ।
সেটার বড়ই অভাব এখানে । সকল মন্তব্যকারীই বলেছেন " হিট " খোঁজার কথা । সবাই ছুটছেন যখন হিটের পেছনে সেখানে তেমন একজন পাঠক সৃষ্টিশীল লেখকের উন্মেষ ঘটাবেন কি করে ?

তাই আপনার এই আন্তরিক ইচ্ছেটা সুফল বয়ে আনবে কিনা এমন সন্দেহ থেকেই গেল ......

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: " একজন মনোযোগী পাঠকই পারে একজন সৃষ্টিশীল লেখকের উন্মেষ ঘটাতে " এটার "কি" -"কেন" - "কিভাবে" ইত্যাদি নিয়ে ভবিষ্যতে একটা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে আছে।

এটা ভাল বলেছেন, 'কারটা রেখে কার কথা বলবো'। আসলেই পোস্টে পাওয়া কমেন্টগুলো থেকে অনেক ভাবনার খোরাক মিলল আমার জন্য।

সৃষ্টিশীল লেখনী প্রসঙ্গে বলব, যারা পরিকল্পনা করে লেখালেখি শুরু করেন, তাদের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। কিন্তু ব্লগে যারা জাস্ট ব্লগিং করতে করতে লেখক হিসেবে একদিন নিজেকে আবিষ্কৃত করেন, তারা কিন্তু মনযোগী পাঠকের যথাযথ ফিডব্যাক হতে যথেষ্ট উপকৃত হবেন। এটা আমার ব্যক্তিগত উপলব্ধি।

এটা সত্য, ব্লগে প্রায় পচানব্বই শতাংশ লেখক যেমন সমালোচনা মেনে নিতে পারেন না, আবার তেমনি, লেখকের পক্ষ হতে সমালোচনা খণ্ডন করে দেয়া কোন প্রতিত্তরও কিন্তু পাঠক মেনে নিতে পারে না। আমার এমন অনেকবার অভিজ্ঞতা হয়েছে। তবে একজন সৃষ্টিশীল মানুষ হিসেবে লেখক-পাঠক কারো উচিত না ক্ষিপ্ত হওয়া বা বিবাদে জড়িয়ে পড়া।

সবার শেষে বলব, একজন লেখকের সৃষ্টিশীলতা অবশ্যই তার অভ্যন্তরীণ একটি বৈশিষ্ট্য। আর একজন মনযোগী পাঠক এই সৃষ্টিশীলতার উন্মেষ ঘটাতে অণুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারেন তার চিন্তাশীল, যুক্তিযুক্ত, সৎ ও গঠনমূলক মন্তব্য'র মাধ্যমে।

হয়ত, পুরো লেখাই সময়ের শেষে একটি অহেতুক কথকথন হয় রয়ে যাব। কিন্তু আমার যা মনের ভাবনা তাই বলার চেষ্টা করেছি পাঠক হিসেবে নিজেকে কাঠগড়ায় রেখে।

ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার, শুভকামনা নিরন্তর।

৪১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: Agreed with GS vaiand mainul vai

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমি সকল পাঠকের মতামতের সাথে একমত। :)

৪২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
বোকা মানুষ বলতে চায়,
উত্তরে বলেছেন- আমি কিন্তু ব্লগে লিখি লেখক হওয়ার জন্য আচ্ছা, আপনি তো হুমায়ুন পড়েছেন, তার সাক্ষাৎকার দেখেছেন হয়তো। হুমায়ুন আমাদেরও কাছের মানুষ। তিনি কিন্তু লেখক হওয়ার জন্য লেখালেখি শুরু করেন নি। যারা নতুন লেভালেখিতে আসছেন তাঁদেরও এই এ্যাপ্রচটা বদলাতে হবে আগে। আপনি যদি মনোযোগী পাঠক হ’তে চান, পুরনো ক্লাসিক লেখাগুলো আগে পড়ুন, ভাষা বিজ্ঞানে নিজের পাণ্ডিত্য বাড়ান। পাঠের জন্য নিরিবিলি পরিবেশ খুঁজুন, সমালোচনা-গ্রন্থগুলোতে চোখ রাখুন তবে না মনোযোগী পাঠক হয়া সম্ভব। আর যদি ব্লগ-পাঠক বিষয়টি ইঙ্গিত করে থাকেন। এটা অনেক ছোট আঙিনা হয়ে গেছে। নিজেকে এখানে কতোটা বদলাতে পারবেন। তাই ভাবছি।

আশাকরি আমার কথাগুলো সু-প্রসন্ন দৃষ্টিতে ভেবে দেখবেন।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কথাটা একটু ব্যাখ্যা করে বলি, আমি লিখতে পছন্দ করি। কিন্তু যে কোন সৃষ্টিশীল কর্মই কিন্তু স্বীকৃতি চায়। কোন গানের স্বীকৃতি আসে শ্রোতার কাছ থেকে, নাটক-সিনেমা'র আসে দর্শকের কাছ থেকে, আর পাঠকের কাছ থেকে আসে লেখকের লেখার। আগে লিখতাম নিজের গণ্ডিতে, ছিল না কোন পাঠক; সামু ব্লগে খোঁজ পেয়ে লেখা শুরু করলাম, কারণ পাঠক। অপ্রিয় হলেও সত্যি। হ্যাঁ, আমি জানি আমি লেখক হিসেবে একেবারেই কাঁচা, কিন্তু স্বপ্ন দেখতে দোষ কোথায়? আর সত্য গত দশ বছর অনেক কম পড়া হয়েছে, আগে পড়েছি, যতটুকু পেড়েছি। নতুন করে আবার পড়ার অভ্যেসটা গড়ে তুলতে চাই। খুব খুব করে বইয়ের মাঝে ডুব দিতে চাই, দেখা যাক কি হয়।

এটা সত্য, ব্লগ-পাঠক অনেক ছোট আঙ্গিনা, কিন্তু যার এর চেয়ে বড় কোন পরিসর নেই, তাকে তো এই গণ্ডি নিয়েই ভাবতে হবে, তাই না?

অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি। ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা, সুচিন্তিত সুন্দর মন্তব্যটির জন্য। :)

৪৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৩

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: প্রথমত শিরোনামের সাথেই সহমত , কেননা আমার মনে হয় একজন লেখকের লেখায় যদি পাঠক সৎভাবে মন্তব্য করেন তাহলে পরিস্কারভাবে লেখকের সমৃদ্ধি ঘটে , ভালো মন্দ বেরিয়ে আসে , কখনো নতুন একটা ভাবনার জগত খুলে যাওয়ার সুযোগ থাকে ।


ব্লগিং কালচারে কমেন্ট ফ্লাডিং সিরিয়াস বাজে একটা ব্যাপার আমার মনে হয় , এতে অনেক সময় পোষ্ট আর মন্তব্যের গতিবিধি একই জায়গায় স্থির থাকেনা , অপ্রাসঙ্গিক কোন জায়গায় গিয়ে ঠেকে , যেটা কখনোই কাম্য নয় ।
আর আমি একজনের পোষ্টে মন্তব্য করলে , সেও আমার পোষ্টে আসবে এই ধারণা যেমন সত্য তেমন শতভাগ কার্যকর ও নয় , একজন আমার পোষ্টে আসলে নিয়মিত আমি আগ্রহ থেকে হলেও তার পোষ্ট পেলে পড়তে যাবো , তার লেখা যদি আমার ভালো লাগে তাহলে আমি এরপর থেকে অবশ্যই যাবো , নিয়মিত পাঠক হয়ে যাবো , কিন্তু পরপর কয়েকদিন গিয়ে হতাশ হলে , সময় নষ্ট মনে হলে আমি আর যাবোনা , পরিস্কারভাবে ব্লগে সবাই যার যার কাজ সেরে , কষ্ট করে সময় বের করেই আসে , আমি চাই আমার এই সময়টার সঠিক মূল্যায়ন হোক , এই জায়গায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে কেউ যদি আমার পোষ্টে বিস্তারিত , কিংবা বিস্তারিত না কিন্তু সৎভাবে মন্তব্য করে সেটা আমাকে আকর্ষিত করে , আমিও চেষ্টা করি তার ব্লগে পজিটিভ কিছু রেখে আসতে ।
পাঠক হিসেবে সৎ হয়ে যাবার এই কালচার টা চালু হলে সবার জন্যই মঙ্গল , এই প্লাটফর্ম টার জন্য ও । প্রতিটা পোষ্ট শুধু তার লিখাটা নিয়ে না মন্তব্যের অংশটাও মহাগুরুত্বপূর্ণ অংশ !

আমরা সবাই সৎ পাঠক হয়ে উঠলে আসলেই চমৎকার হয় !
আলোচনা আর একটা পজিটিভ মুভমেন্ট এর স্বার্থে পোষ্টটাকে স্টিকি করা যেতেই পারে ,এই যে স্টিকি করার কথা উঠছে এটাতেও আপনার সাথে এই পোষ্টের পাঠক আর মন্তব্যকারীদের অবদান আছে !

ভালোলাগা জানবেন !

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ সুপ্রিয় অভি, পোস্ট, মন্তব্যের প্রতিত্তরে অনেক কথা বলা হল। নিজের মনে যা ভাবনা তাই বলেছি, হয়ত সঠিক, হয়ত ভুল। আপনার কথার সুরে বলতে চাই, আমরা সবাই সৎ পাঠক হয়ে উঠলে আসলেই চমৎকার হয় ! আমি নিজেও যেন এমন পাঠক হতে পারি এমনই চেষ্টা রইবে।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

৪৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অামি যা-ই পড়ি, মোটামুটি গঠনমূলক মন্তব্য দিতে চেষ্টা করি । বাণানে সমস্যা কিনা, কাহিনী কেমন হয়েছে অথবা কেমন হতে পারতো । অনেকসময় রুঢ় মন্তব্যও করেছি । সমালোচনায় অনেকে রাগ করেছেন, অাবার বেশিরভাগই সুন্দরভাবে নিয়েছেন । তেলবাজি, কমন কিছু মন্তব্য খুব বিরক্ত লাগে । সিনিয়র, জুনিয়র বিবেচনা করিনা, যা ঠিক মনে হয় তাই বলে অাসি ।
অাপনার পোস্টটা খুব গুরুত্বপূর্ণ । কয়েকটা মন্তব্য অসাধারণ! অামার মনের কথাগুলোই প্রতিভাত হয়েছে অনেকের কথায় । ব্লগে মনোযোগী পাঠক তৈরি হোক । ধন্যবাদ ।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ব্লগে মনোযোগী পাঠক তৈরি হোক। এই কামনা রইল নতুন বছরে। ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল, ভালো কাটুক সারাটি বছর।

৪৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২২

মানবী বলেছেন: "আরেকটা ব্যাপার হল ঘুরে ফিরে নির্দিষ্ট কিছু লেখক-পাঠকে আমরা বন্দী হয়ে থাকি বেশিরভাগ সময়। অনুসারিত আর নির্বাচিত পোস্টের বাইরে পোস্ট অনেক সময় পড়াই হয় না।"

- এই বিষয়টা কখনও ঘটেনি আমার ক্ষেত্রে। কাউকে অণুসরন করা হয়নি এখনও, র‍্যানডোমলি লেখা পড়ি।
কোন লেখা ৩-৪ লাইন পড়ার পর ভালো লাগলে পুরোটা পড়ে মন্তব্যে জানিয়ে যাই আর কোনটা ভালো না লাগলে পড়া শেষ যেমন হয়না মন্তব্যও করা হয়না। নিজের পোস্টের মন্তব্য পড়ে তাঁদের অনেকের পোস্ট ঘুরে আসা হয়, অনেকেরটা হয়না। আমি যেহেতু ব্লগে খুব নিয়মিত নই, দীর্ঘ বিরতির পর নিজের নতুন পোস্টের মন্তব্য থেকে অনেক সময় নতুন ব্লগারদের জানা হয়।

আবার অনেক ভালো লেখক, কোন অদ্ভুত কারনে মন্তব্যের জবাব দেননা যে কারনে তাঁর পরবর্তী লেখার পাঠখ সংখ্যা কমে যায়।

মন্তব্য সংখ্যা কখনও একটি লেখার স্বার্থকতার সূচক নয়। অসাধারণ সুন্দর ও উন্নতানের লেখা অনেক সময় প্রায় মন্তব্যহীন থেকে যায় আবার নিতান্ত মানহীন বা নিম্নমানের পোস্টে শতাধিক মন্তব্য হয়। আর সে কারনেই, সর্বাধিক পঠিত পোস্ট, সর্বাধিক মন্তব্য প্রাপ্ত পোস্ট টাইপের পরিসংখ্যান জাতীয় পোস্টগুলো বিরক্তিকর মনে হয়। একধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করা, কিছু ব্লগারকে অণুৎসাহিত করা এবং কিছু এ্যাটেনশনসিসকিং ব্লগারদের মন্তব্যের ঘরে চ্যাটরুম খুলে বসা ছাড়া এসব পরিসংখ্যান কোন কাজ করেনা।



হাসান মাহবুব, কেউ নেই কোথাও, মাঈনউদ্দিন মইনুল ও নেক্সাসের মন্তব্য ও জবাবের আলোচনা ভালো লেগেছে।
সুন্দর বিশ্লেষনী পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ মানবী, আপনাদের সবার স্বতঃস্ফূর্ত আলোচনা আমারও খুব ভালো লেগেছে, ভালো থাকুন সবসময়।

৪৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: প্রতিবার লগইন করে একটি লেখা হলেও যত্ন সহকারে অতি মনোযোগ দিয়ে পড়ব, সুযোগ হলে প্রতিদিন। শিরোনামে বলা কথাটির প্রয়োগ ঘটাতে চাই, ‘একজন মনোযোগী পাঠকই পারে একজন সৃষ্টিশীল লেখকের উন্মেষ ঘটাতে’। একদিনে পঞ্চাশটি নয়, পাঁচটি পোস্ট পড়ি, পড়ার মত পড়ি, পড়ার পর ভাবনার জগতে বিচার বিশ্লেষণ করি, গঠনমূলক একটি মন্তব্য করে ব্লগীয় পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া অর্থবহ করে তুলি। নিজের পাঠক মনের খোরাক হোক প্রতিটি পাঠ, তৃপ্ত হোক মন। ব্লগ হোক মেধা-মনন উৎকর্ষতার স্থান, টাইম পাস বা গসিপিং এর নয়। আমি চেষ্টা করব আজ থেকে ধীরে ধীরে নিজের মধ্যে এটাকে বাস্তবায়ন করতে।

আমি এইবার ঢুকে আপনার পোষ্টটাই খুব ভাল করে পড়লাম! মন্তব্যগুলোও মনোযোগ দিয়ে পড়তে চাইছিলাম। কিন্তু মাথায় ঝিঝি লাগায় পড়তে পারলাম না। আমি আবার এক নাগাড়ে বেশিক্ষণ স্ক্রিনের লেখা পড়তে পারিনা। চোখ ব্যাথা করে।

পাঠক হিসেবে নিজের অবস্থান তুলে ধরি আগে ---
আমি কিন্তু সামু বলেন বা ফেসবুকের লেখার কথাই বলেন - আমি দীর্ঘদিন পাঠক হিসেবেই ছিলাম। নিয়মিত লেখা পড়েছি অন্যদের। মনোযোগ দিয়ে, যুক্তিখণ্ডন করে পড়েছি। পড়ার পর ঐগুলো নিয়ে আলাদা ভাবে ভেবেছিও।

এমন কী যখন বই পড়া শুরু করলাম - তখন আমার বই পড়তে অনেক লম্বা সময় লাগতো। আস্তেধীরে পড়তাম। আস্তেধীরে বলতে - প্রতিটা বাক্য বুঝে বুঝে পড়তাম। যেই কারণে ফ্রেন্ডদের কাছে আমি মূর্খ উপাধিও পেয়েছিলাম। ১৫০ পৃষ্ঠার বই পড়তে কারো তিনদিন লাগে নাকি? এইটা তো এক সন্ধ্যায়ই শেষ করা যায়। হ্যা, শেষ করা যায়। কিন্তু তখন আমি পড়তাম ক্লাস সিক্সে। ঐসময় সব কিছু বুঝতে আমার বেশ সময়ই লাগতো। আর না বুঝে পড়লে তো পড়ার দরকারই নেই। বইটাকে কিনে ব্যাগের ভিতর রেখে দিয়ে ভাব নিলেই হত।

এখন ঐ বন্ধুগুলোর কারোরই বই পড়ার অভ্যাস নেই। সময়ই নাকি হয় না। সময়ের অসুবিধা আমারও। কিন্তু দেখা যায়, মাসে ঠিকই পাঁচ-ছয়টা বই কেনা হয় এখনো। পড়াও হয় প্রতি সপ্তাহে একটা।

ঐ আস্তে আস্তে পড়ার কারণেই এখনো রয়ে গেছে অভ্যাসটা। পাঠক হিসেবে ভাল ও মনোযোগী হলে - অনেক সময় লাগবে, কিন্তু এই সু-অভ্যাসটা থেকে যাবে আজীবন। যেইটা আস্তে আস্তে স্থানান্তরিত হবে পরবর্তীদের মাঝেও।

ফেসবুক ও সামু দুটোতেই প্রথমে এইরকম পাঠক হিসেবেই ছিলাম। যেইটা দেখলাম, এইখানে লেখক প্রচুর। সম্ভাবনা আছে অল্প কয়েকজনের কিন্তু লেখে আরো বেশি মানুষ। তাদের মাঝে সম্ভাবনা কম - কিন্তু ভুল শুধরে ভাল ভাবে চেষ্টা করলে, তাদেরও প্রবল সম্ভাবনা আছে। তাই, আমি তখন থেকেই তাদের ভুলগুলো ইন্ডিকেট করে দিতাম - যেন আস্তে আস্তে তাদের লেখাগুলো পরিণত হয়। সত্যি বলতে, প্রায় ৮৫ ভাগ মানুষই আমার এই কাজের বিরুদ্ধে ছিল। তাদের দাবি - সে তো লিখেছে, ভাল লিখুক আর খারাপ লিখুক - সেইটাকে ভালোই বলতে হবে। এত শত ভুল ধরতে পারলে আমি কেন লিখি না। সেই সূত্রেই আমার লেখালেখির জগতে পদার্পণ। এরপর থেকে আমার মনোযোগ সহকারে পড়ার পর মন্তব্যগুলো (যেইটাকে সমালোচনা বলা হয়) বেশ সমাদৃত হত। মূলত, ভালভাবে গল্প সম্পর্কে নিজের মত জানানোর জন্যই আমি লেখালেখিতে আছি। এছাড়া আমার অন্য কোন কারণ নেই।

কিন্তু ইদানিং লেখকরা ভাল ছাড়া খারাপটা শুনতেই চায় না। কেউ কেউ তো আবার ক্ষেপে গিয়ে বংশের পূর্বপুরুষদের নিয়েও গালিগালজ করে।

তাই এখন আর এতটা ভাল করে পড়িও না। মন্তব্যও ভাল লিখেছেন, ভাল লিখেছেন বলেই শেষ করে দেই। আর ইচ্ছা নেই - ভাল ভাবে কারো লেখাটা পড়েও তার এবং তার সাগরেদদের গালি খাওয়ার। তাই ভাল করে পড়িও না। কারণ, ভাল করে পড়লে আমি শুধু দুই শব্দের মন্তব্য করে থামতে পারবো না।

কয়েকদিন আগে, সামুর একটা লেখকের কথাই বলি। লেখকের নিক আমি জানতাম না। লেখাটা সামনে পড়লো চোখের, তাই পড়লাম। পড়ার পর মন্তব্যে গিয়ে দেখি - সবাই ভাল লিখেছেন, চমৎকার - এইসব ছোটখাটো মন্তব্য করেছে।
আমি লেখাটায় হালকা একটা অসঙ্গতি পেয়েছিলাম। তাই ঐটা ভালভাবে ব্যাখ্যাসহ মন্তব্যে দিলাম। শেষে বলেছিলাম, লেখনী সুন্দর আপনার, চেষ্টা করে যান।
এরপর আসলে টের পেয়েছি উনি অনেক বড় লেখকই। উনার পাঁচ-ছয়টা বই ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে।
ভেবেছিলাম, আমার মন্তব্যটাকে উনি আলাদাভাবে দেখবেন - উনার মত বড় লেখকের লেখায় অসঙ্গতি বের করেছি - এরজন্য প্রশংসিতও করবেন। কিন্তু কিসের কী? উনি উনার গল্পের সবগুলো মন্তব্যের প্রতিউত্তর করলেও - আমার মন্তব্যের কোন প্রতি উত্তর করেনি।

তাহলে বলেন, মনোযোগী পাঠক হয়েই লাভটা কী? যার লেখার মনোযোগী পাঠক - তারই তো এইটা সবচেয়ে খারাপ লাগে।

ভাল লিখেছেন, চমৎকার - এই শব্দগুলো শোনার জন্যেই অধিকাংশরা লিখে। ভদ্রতার খাতিরেই এখন আমারও ঐ শব্দগুলোই নিয়মিত ব্যবহার করতে হচ্ছে।
আমার লেখাতেও আমি সবসময়ই বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্য কামনা করি। কিন্তু পাই খুব কম। বিশ্লেষণ করে কেউ লেখাকে ভাল বললে যতটা আনন্দ পাওয়া যায়। শুধু ভাল লিখেছেন বললে ঐ আনন্দটা থাকে না। এইরকম মোটিভেশনের লেখক খুব কম। এরকম লেখক আগে বাড়ানো দরকার। তারপর পাঠকেরা আসবে।

লেখকের মনোভাব আগে পালটানো দরকার - শুধু হিট পেতেই নয়, শুধু ভাল শুনতেই নয় - নিজের ভুলে বকা খেতেও রাজি - এমন লেখক বাড়লে - মনোযোগী পাঠক জ্যামিতিক হারে বাড়তে শুরু করবে।

ভাল লেখকেরা কিন্তু মনোযোগী পাঠকদেরই পছন্দ করে। তেলবাজদের নয়। এইটা ভেবে পাঠকদেরও বদলানো দরকার তাদের খোলস।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রক্তিম দিগন্ত, আপনার সুচিন্তিত চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
লেখকের মনোভাব আগে পালটানো দরকার - শুধু হিট পেতেই নয়, শুধু ভাল শুনতেই নয় - নিজের ভুলে বকা খেতেও রাজি - এমন লেখক বাড়লে - মনোযোগী পাঠক জ্যামিতিক হারে বাড়তে শুরু করবে।

ভাল লেখকেরা কিন্তু মনোযোগী পাঠকদেরই পছন্দ করে। তেলবাজদের নয়। এইটা ভেবে পাঠকদেরও বদলানো দরকার তাদের খোলস।


ভালো বলেছেন +++

নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল, ভালো থাকুন সারাটি বছর জুড়ে।

৪৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩

এহসান সাবির বলেছেন: আমি অফ লাইনে বেশি পড়ি, লগ ইন হলে মন্তব্য গুলো দিয়ে আসি। মোবাইলে মন্তব্য করতে পারি না বলে পোস্ট পড়েই মন্তব্য করা হয় না। পরে অবশ্য ভুলেও যাই কি লিখতে চেয়েছিলাম।

আপনার এই পোস্ট টি চমৎকার।

যাই হোক ভাই মাই ওয়ার্ড ইস মাই বন্ড..... কথা দিয়েছি আপনাকে নেক্সট পোস্ট হবে আমার ভ্রমন পোস্ট, যতদিন ভ্রমন পোস্ট রেডি হচ্ছে না ততদিন অন্য কোন পোস্ট দেব না তা ৫ মাস লাগুক আর ৫ বছর লাগুক........!!

শুভ কামনা।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনি মিয়া মহা ফাঁকিবাজ হই গেছেন। এখন আবার বলেন, মাই ওয়ার্ড ইস মাই বন্ড..... কথা দিয়েছি আপনাকে নেক্সট পোস্ট হবে আমার ভ্রমন পোস্ট, যতদিন ভ্রমন পোস্ট রেডি হচ্ছে না ততদিন অন্য কোন পোস্ট দেব না তা ৫ মাস লাগুক আর ৫ বছর লাগুক........!!

৪৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনার পোস্টের শিরোনামের সাথে আমি পুরোপুরি একমত নই -
//একজন মনোযোগী পাঠকই পারে একজন সৃষ্টিশীল লেখকের উন্মেষ ঘটাতে//

সৃষ্টিশীল লেখক হওয়াটা আমি মনে করি কেউ নিজের ইচ্ছেয় হতে পারে না, তার জন্য স্রষ্টার অপার মহিমার প্রয়োজন পড়ে। এটা ঠিক, পাঠকের/সমালোচকের সুনজরে পড়লে জীবদ্দশাতেই লেখক তার সুফল হাতে-নাতে পেতে পারে। যেমন-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম, শরৎ চন্দ্র ....... । আর পাঠকের নজর এড়িয়ে গেলে মরণোত্তর স্বীকৃতি। যেমন-জীবনানন্দ দাস, শেক্স পিয়ার, .......।

আমি মনে করি, গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে আপনি কোন লেখকের ব্যাসিক ভুলটা শুধরে দিতে পারেন। এই যেমন কান্ডারী ভাই আপনাকে গল্পের শেষে নোট দেওয়া থেকে বিরত করেছিল। আপনার লেখার স্টাইল কিন্তু একান্তই আপনার, সেটা পরম করুনাময় প্রদত্ত দান। সেই দানকে আরো সমৃদ্ধ করতে চাই নিরন্তর লেখা, কেউ পড়ুক আর না পড়ুক। লেখকের ভিতর প্রতিভা থাকলে তা প্রকাশিত হবেই।

ভাল থাকুন। সবসময়।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই, কিছু গুণ আল্লাহ প্রদত্ত হয়। কিন্তু এই সত্ত্বার বিকাশ, উৎকর্ষতা কিন্তু আমাদের হাতে। একজন লেখক আরও বেশী উৎকর্ষতা পেতে পারেন যদি তার কিছু মনযোগী পাঠক থাকে, যারা লেখা সম্পর্কে সঠিক এবং যৌক্তিক ফিডব্যাক লেখককে দিতে পারবেন।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল। শুভ ইংরেজি নববর্ষ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.