নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১
মানালি শহরে আগের রাতে পৌঁছে তেমন আর ঘোরাঘুরি করা হয় নাই। সকালবেলা একটু দেরী করেই আজ ঘুম থেকে উঠলাম, আজ সাত-সকালে দৌড়ঝাঁপ করার হ্যাপা নেই। ফ্রেশ হয়ে রুমে তালা দিয়ে নীচের হোটেল রিসিপশনে নেমে দেখি দলের বাকীরা বসে আছে। আমি যেতেই ডাইনিং এ নাস্তা দিল, এর ফাঁকে হোটেলের ম্যানেজার জানাল গতকাল রাতে প্রথম পাহাড় চুড়োয় এবারের সিজনে বরফ পড়েছে এবং তা আমাদের হোটেলের সামনে হতে দেখা যাচ্ছে। আমি নাস্তার টেবিল থেকে উঠে বাইরে এলাম, হ্যাঁ ঐ তো হোটেলের রাস্তা ধরে দিগন্তে আকাশের কাছে যে পাহাড় চুড়ো, তার উপর সাদা বরফের চাদর বিছানো। যদিও সাইজে ছোট চাদর, তবুও বরফ তো পাওয়া গেল, হোক না দূরে। সেই কাশ্মীর থেকে দলের সবাই বরফ নিয়ে চিন্তিত। আমি তো মাঝে মাঝে ফাজলামো করে বলছিলাম, ঢাকায় গিয়ে ফ্রিজ খুলে যত ইচ্ছে বরফ দেখে নিয়েন। গুলমার্গ গণ্ডোলা করে আফারওয়াত পিকে গেলে বরফ পেতাম, কিন্তু আমরা যখন কাশ্মীরের গুলমার্গ গেলাম, তখন গণ্ডোলা তথা ক্যাবল কার বন্ধ, রিপেয়ার এন্ড মেইনটেনেন্স এর জন্য। যাই হোক, আমরা নাস্তা শেষ করতেই দেখি বিপিন (আমাদের ড্রাইভার কাম গাইড) তার গাড়ী নিয়ে হাজির। আমাদের আজকের গন্তব্য মানিকারান, কুলু ভ্যালী হয়ে মানিকারান যাব, উষ্ণ প্রস্রবণ ঘিরে গড়ে ওঠা একটা ধর্মীয় তীর্থক্ষেত্র দেখতে।
হোটেল থেকে বের হয়ে সেই মায়াবী পাহাড়ি পথে পড়ল আমাদের গাড়ী, মিনিট দশেকের মধ্যেই। মাঝখানে বিয়াস নদী রেখে আমরা এগিয়ে চললাম একপাশ দিয়ে পাহাড়ি উপত্যকার জেলা কুলু দিয়ে। পুরো কুলু থেকে মানিকারান পর্যন্ত রাস্তাটা এতো বেশী সুন্দর ছিল যে, আমি খুব উপভোগ করেছি এর সৌন্দর্য। অদ্ভুত সুন্দর, শান্ত, মায়াময়, কেমন একটা ঝিমুনি ধরে যায় তাকিয়ে থাকতে থাকতে। ও আচ্ছ, ভাল কথা বলে নেই, মানালি হতে মানিকারান যাওয়ার পথে আমরা কুলু ভ্যালীতে কিছুটা এডভেঞ্চার করে নিলাম, আধঘণ্টার একটা বোট রাফটিং, পাহাড়ি পাথুরে নদী বিয়াসের হিমশীতল জলে। সেই গল্প আগামী পর্বে না হয় করা যাবে। এখন চলেন এগিয়ে যাই মানিকারানের দিকে।
মানিকারান মূলত পার্বতী নদীর তিরে অবস্থিত পার্বতী নামক গ্রামে অবস্থিত একটি তীর্থকেন্দ্র যা মূলত গড়ে উঠেছে একটি উষ্ণ প্রস্রবণ’কে কেন্দ্র করে। হিমাচলের কুলু জেলার ভুনতার এলাকার উত্তর পূর্ব দিকে এটি অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ছয় হাজার ফিট উঁচুতে অবস্থিত ছোট্ট গ্রাম ভুনতার। মজার ব্যাপার হিমাচল প্রদেশে কিন্তু ভুনতার নামে একটা চেইন আউটলেট আছে আমাদের আড়ং টাইপের। চারিদিকে চিরহরিৎ বৃক্ষরাজিতে ঘেরা এই এলাকা শীতে শুভ্র বরফের চাদরে ঢেকে যায়। আর এই শান্ত প্রকৃতির মাঝে রয়েছে প্রকৃতির এক অপার বিস্ময়, শীতে কাবু এলাকায় সারাবছর প্রবাহমান এক উষ্ণ প্রস্রবণ। আর এই প্রস্রবণ’কে ঘিরে হিন্দু এবং শিখ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থ গড়ে উঠেছে।
প্রচলিত মিথ অনুসারে, ভগবান শিব এবং পার্বতী, একদিন পাহাড়ঘেরা সবুজভূমি অতিক্রম করছিলেন। সেখানকার সৌন্দর্যে অভিভূত হয়ে তারা সেখানে কিছু সময় কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন। বিশ্বাস করা হয় যে, তারা এখানে প্রায় এগারো শত বছর অতিবাহিত করেছিলেন!!! যাই হোক, ঐ সময়ে পার্বতী তার কানের একটা দুলের মুক্তো, যা “মানি’ নামে পরিচিত, হারিয়ে ফেলেন এখানকার জলে। তিনি হতাশ হয়ে শিব’কে তা খুঁজে দিতে বললে, তিনি তার অধস্তনদের আদেশ দেন সেই “মানি” খুঁজে দিতে। যাই হোক, তারা ব্যর্থ হয় তা খুঁজে পেতে। শেষে শিষনাগ নামক দেবতা ঐ এলাকার পানিকে উদ্বেলিত করে তোলেন ফুটন্ত পানির ন্যায়। আর এই রূপকথা থেকে এই এলাকার নাম হয়েছে মানিকারান। বলা হয়ে থাকে, এখানে দর্শন দেয়ার পর আলাদা করে আর কারো কাশী দর্শন করার দরকার নেই। বিশ্বাস করা হয়, এখানকার পানির রয়েছে ঔষধি এবং রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা। এখানে দুটি মন্দির রয়েছে, একটি শিব মন্দির, অন্যটি রামচন্দ্র মন্দির।
শিখ ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস মতে, গুরু নানক দেব ১৫৭৪ বিক্রামি পঞ্চিকা বর্ষে মানিকারান আসেন, সাথে ছিলেন ভাই বালা এবং ভাই মারদানা। এই মানিকারান অতিক্রম করার সময় ভাই মারদানা তীব্র ক্ষুধার্ত হন, কিন্তু তাদের কাছে কোন খাবার ছিল না। গুরু নানক, ভাই মারদানা’কে স্থানীয় লঙ্গরখানার দিকে পাঠালেন। স্থানীয় লোকেরা তাদের আটা দান করলেন রুটি তৈরি করে খাবার জন্য। কিন্তু সমস্যা হল সেখানে কোন আগুন ছিল না রান্না করার জন্য। গুরু নানক দেব, তখন মারদানা’কে একটি পাথর ইশারা করে তা সরিয়ে ফেলতে বললেন। ভাই মারদানা সেটা সরাতেই সেখান দেখতে পেলেন একটা উষ্ণ পানির ধারা প্রবাহমান। মারদানা সেই উষ্ণ প্রস্রবনে আটার কাই দিয়ে তৈরি চাপাতির দলা সেখানে ধরলেন রুটি তৈরির জন্য। কিন্ত মারদানা অসাবধানতার কারনে সেই দলা সেখানে ডুবে গেল। তখন গুরু নানক দেব তাকে বললেন ভগবানের কাছে প্রার্থনা করতে বললেন যে, যদি চাপাতির দলা সেখান থেকে ভেসে উঠে, তবে একটা চাপাতি সে ভগবানের নামে উৎসর্গ করবে। মারদানা যথারীতি প্রার্থনা করল, এবং সত্যি সত্যি সেখানে সেই আটার চাপাতির দলা ভেসে উঠল। এই ঘটনা’কে কেন্দ্র করে মানিকারানে গড়ে উঠেছে একটি শিখ গুরুদুয়ারা।
হিন্দুদের শিব মন্দির আর শিখদের গুরুদুয়ারা, একেবারে গায়ে গায়ে লাগানো। উষ্ণ প্রস্রবণের উপর স্থাপনা দুটি অবস্থিত। জুতো খুলে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়ে বলে, যারা ভেতরে গেছে, তারা টের পেয়েছে কি প্রচণ্ড উত্তাপ সেই জলধারার। ভেতরে পবিত্র জল পান করার ব্যবস্থা আছে, আছে বিশ্রাম, পুজো, আহারের ব্যবস্থাও। আমি আর ভেতরে না গিয়ে আশেপাশে খোঁজ করতেই দেখি, গাড়ী যেখানে পার্ক করা হয়েছে, সেটি একটি পাঁচতলা ভবন। দিলাম ভোঁ দৌড়, উপরে উঠে অসাম ভিউ পেলাম, অনেক ছবি তুললাম, আর সেই সব ছবি গেল জলে।
মানিকারান পৌঁছে আমরা যে যার মত ঘুরে দেখতে লাগলাম। আমি যথারীতি চারিদিকের ভিডিও করছিলাম, একফাঁকে আমাদের ড্রাইভার বিপিনের মজাদার সাক্ষাৎকারও ভিডিও করলাম... সবই আজ ইতিহাস, আর দীর্ঘশ্বাস। বিপিন ঐ জায়গার একটা বিল্ডিং দেখিয়ে বলল, একদিন রাতের বেলা পাহাড় হতে একটা বিশাল পাথর ধসে পড়ে এই বিল্ডিং এর উপর এবং বিল্ডিং ভেদ করে বের হয়ে এসে পড়ে প্রবাহমান জলধারার উপর। এই দুর্ঘটনায় সাতজন মারা যায়। নীচের ছবিতে দেখুন বিদ্ধস্ত বাড়ীটি। দ্বিতীয় ছবিতে প্রবাহমান সাদা পানির মাঝে কালো মতন ঐ বড় পাথরটি দেখা যাচ্ছে।
মানিকারান যাওয়ার পথে বিয়াস নদীর অপর পাশে একটা তিব্বতীয় মনস্ট্রি দেখতে পেয়েছিলাম। বিপিন’কে বললাম, আমরা কি ওখানে যাব? ও বলল, সেটা আমাদের শিডিউলে নাই। আমরা দেখব মানালি’র তিব্বতীয় মনস্ট্রি, এটা হল কুলু তিব্বতীয় মনস্ট্রি। আমি ওকে, জিজ্ঞাসা করলাম, কোনটা বেশী সুন্দর? সে বলল, অবশ্যই এটা। আমি ওকে বললাম, আমি এই কুলু তিব্বতীয় মনস্ট্রি দেখতে চাই। ও বলল, ওটা অন্য পথে, ঘুরে যেতে হবে। ফেরার সময় যাওয়া যেতে পারে, কিন্তু প্রায় দশ-বারো কিলোমিটার বেশী ঘুরতে হবে। আমি হেসে শুধু বললাম, “আরে ইয়ার, এয়স্যা কিউ কারতা, লেকে চালো না উহা...”। তো মানিকারানে ঘণ্টা দেড়েকের মত সময় কাটিয়ে আমরা ফিরতি পথে যাত্রা করলাম, পথে একটা রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করে এবার যাত্রা সেই তিব্বতীয় মনস্ট্রি’র উদ্দেশ্যে। আগামী পর্বে সকালের বোট রাফটিং আর বিকেলের এই তিব্বতীয় মনস্ট্রি ভ্রমণের গল্প থাকবে।
আগের পর্বগুলোঃ
সিমলা - ফ্রম শ্রীনগর ভায়া দিল্লী (সিমলা-মানালি-রোহটাং পাস ভ্রমণ ২০১৫)
সিমলা - কুফরি-ফাগু ((সিমলা-মানালি-রোহটাং পাস ভ্রমণ ২০১৫)
সিমলা শহর দর্শন (সিমলা-মানালি-রোহটাং পাস ভ্রমণ ২০১৫)
সিমলা টু মানালি ভায়া পানদোহ লেক (সিমলা-মানালি-রোহটাং পাস ভ্রমণ ২০১৫)
২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অবশ্যই যাওয়া উচিত, সিজন শেষ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু। এপ্রিলের পর থেকে পাহাড়ের বরফ সব গলা শুরু করবে। মানালি গেলে অক্টোবরে যাবেন, বেস্ট টাইম।
ধন্যবাদ, ভালো থাকুন সবসময়।
২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি হাজার পুণ্য করে থাকলেও মরার পর দোজখে যাবেন। কেন বলেন তো?
কারণ আপনি জীবিত অবস্থাতেই বেহেশতের রূপ দেইখা ফালাইসেন।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হাসান মাহবুব ভাই, আপনি তো এক ঐতিহাসিক কমেন্ট করে ফেললেন। কমেন্টে মজা পেলাম। কিন্তু আল্লাহ্ না করুক, যত গুনাহই করি তার রহমতে, দয়ায় নিশ্চয়ই আমাদের ক্ষমা করে দিবেন। তবে আল্লাহ্র অশেষ মেহেরবানী, আমার মত অধম'কে এমন সৌন্দর্য দেখার সৌভাগ্য দিয়েছেন বলে।
ভালো থাকুন সবসময়, অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর
২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, ভালো থাকুন সবসময়।
৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮
ফয়সাল রকি বলেছেন: ঢাকায় গিয়ে ফ্রিজ খুলে যত ইচ্ছে বরফ দেখে নিয়েন--- বরফ দেখতে মঞ্চায় তো
চমৎকার ফটোব্লগ। +++
২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ফয়সাল রকি, ভালো থাকুন সবসময়।
৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি হাজার পুণ্য করে থাকলেও মরার পর দোজখে যাবেন। কেন বলেন তো?
কারণ আপনি জীবিত অবস্থাতেই বেহেশতের রূপ দেইখা ফালাইসেন।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বড় ভাই, মগা লন ক্যান? আপনারা সবাই মিলে আমারে দোজখে পাঠাইতে চান? এই ছিল আমার কপালে?
৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬
কল্লোল আবেদীন বলেছেন: চমৎকার ছবিওবর্ণনা।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবয়াদ কল্লোল আবেদীন ভাই। ভালো থাকুন সবসময়।
৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: ছবিগুলো আর বর্ণনা সব খুবই সুন্দর।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী ভাই, কেমন আছেন? আশা করি ভালই আছেন। দোয়াও রইবে সবসময় ভালো থাকুন, অনেক অনেক শুভকামনা।
৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪১
প্রামানিক বলেছেন: আমি আর ভেতরে না গিয়ে আশেপাশে খোঁজ করতেই দেখি, গাড়ী যেখানে পার্ক করা হয়েছে, সেটি একটি পাঁচতলা ভবন। দিলাম ভোঁ দৌড়, উপরে উঠে অসাম ভিউ পেলাম, অনেক ছবি তুললাম, আর সেই সব ছবি গেল জলে।
আপনার ছবি দেইখাই তো বেদিশা হয়ে গেলাম। এখন খালি যাইতে মন চায়।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হারানো ছবিগুলো দেখলে বিদিশা (এরশাদের না) হয়ে যাইতেন কেন যে হারায় সবকিছু...
ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই, ভাল থাকুন সবসময়।
৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বরাবরের মতোই অসাধারন!!!!
“আরে ইয়ার, এয়স্যা কিউ কারতা, লেকে চালো না উহা...”।
পাহাড়ি পাথুরে নদী বিয়াসের হিমশীতল জলে বোট রাফটিং এর গল্পের অপেক্ষায়
২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু ভাই, ভালো থাকুন সবসময়।
১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০১
সোহানী বলেছেন: ধুর, আপনার লিখার ছবি আর দেখবোই না... কারন দেখলে মনে হয় ব্যাগ গুছায়ে দৈাড় দেই..............
তারপর ও রাগে ++++++++++++++
২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনাদের আর কষ্ট দিতাম না... আর মাত্র দশ-বারোটা সিরিজ আছে এই সিরিজ পোস্ট করার পর, তারপর আর দিতাম না।
১১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৬
মুসাফির নামা বলেছেন: সত্যিই অপূর্ব।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ঠিক তাই, ধন্যবাদ মুসাফির ভাই। ভালো থাকুন সবসময়।
১২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০২
আলভী রহমান শোভন বলেছেন: চমৎকার সব ছবি, সুন্দর লেখনী। সব মিলিয়ে অসাধারণ পোস্ট।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ আলভী রহমান শোভন, পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভালো থাকুন সবসময়।
১৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:২১
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: হামা এবং কাভার মন্তব্য বলছি, আবার ফজিলত বর্ননার কথাও আছে।।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন:
১৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৪০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অসাধারণ ছবির সাথে পেলাম চাপাতি রুটি আর নানকের গল্প।
আমরা ছবি দেখি, আপনি ছবির বিষয় দেখেন.... এই হলো ব্লগের পাঠক আর ব্লগারের মধ্যে পার্থক্য
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মইনুল ভাই। এমন মন্তব্যে আমার জন্য দারুন একটা কমপ্লিমেন্ট অবশ্যই। চেষ্টা করছি ভ্রমণ পোস্টগুলোকে শুধু ভ্রমণের গল্পে না রেখে একটু তথ্য ইতিহাস খোঁজ করে সংযুক্ত করতে আর কি, এর বেশী কিছু নয়। আমি নিজে ইতিহাসে একেবারেই অজ্ঞ।
ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা সতত রইবে।
১৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: হিন্দুদের শিব মন্দির আর শিখদের গুরুদুয়ারা, একেবারে গায়ে গায়ে লাগানো। উষ্ণ প্রস্রবণের উপর স্থাপনা দুটি অবস্থিত। জুতো খুলে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়ে বলে, যারা ভেতরে গেছে, তারা টের পেয়েছে কি প্রচণ্ড উত্তাপ সেই জলধারার। ভেতরে পবিত্র জল পান করার ব্যবস্থা আছে, আছে বিশ্রাম, পুজো, আহারের ব্যবস্থাও। ----------
ভগবান শিব এবং পার্বতীর মুক্তো খোঁজা আর গুরু নানকের চাপাতি রুটির গল্প, জেনে ভাল লাগল !!!
প্রবাহমান জলধারা উত্তপ্ত, সত্যিই অবাক করা !!!
ছবিগুলো আসলেই স্বর্গীয় সুন্দর !!!
এ পর্ব ১০০ তে ২০০!!
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ওয়াও!!! ১০০ তে ২০০!!! থ্যাঙ্কু দাদীমনি। নাতী'কে উৎসাহ দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ, প্রতিটি... সব সব সব। অকে?
শুভকামনা।
১৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২২
সুমন কর বলেছেন: আপাততঃ ছবিগুলো দেখে গেলাম। সুন্দর !
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ। এভাবে ছবি দেখে চলে গেলে কি হবে বন্ধু? আরও কিছুটা সময় হবে কি বন্ধু, আরও কিছু কথা হবে?
১৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকা মানুষ বলতে চায় ,
সহ-ব্লগার হাসান মাহবুব এর মন্তব্যে হা...............হা...........হা...............
সুন্দর হে সুন্দর ...............
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন:
সুন্দল তো সুন্দলই, কিন্তু আফনিও হা_মা ভাইয়ের সাথে যোগ দিলেন?
১৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:০২
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
"সোহানী বলেছেন: ধুর, আপনার লিখার ছবি আর দেখবোই না... কারন দেখলে মনে হয় ব্যাগ গুছায়ে দৈাড় দেই.............."
কবে যে ডোনাল্ড থ্রাম্পের মতো একটা ব্যক্তিগত বিমান বান্ধা থাকবো বিমান বন্দরে আর ফি হপ্তায় বোকা মানুষের ব্লগ পইড়া পরের দিন সকালে বিমানে উইডা পড়ুম
শুধু জায়গার ছবি ও বর্ণনা দিলে হইবে হোটেলে থাকা ও খাওয়ার খরচটাও যোগ করে দিয়েন পরের পোষ্ট থাকে অল্প করে হলেও। আমি কোথাও গেলে ঐ এলাকার খাওয়ার বৈশিষ্ট খোজার চেষ্টা করি। সেই সাথে চেষ্টা করি একেক দিন একেক ধরনের রেষ্টুরেন্টে খেতে। ঐ সকল এলাকায় কি খেলেন সেটাও একটু জানাইয়েন অনুগ্র পূর্বক। তাহলে অন্যদের ভ্রমন পরিকল্পনা করতে সুবিধা হবে।
আবারও ধইন্যা পাতা দিয়া গেলাম
১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:০৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ পলাশ ভাই। ইচ্ছে আছে কাশ্মীর ভ্রমণ পরিকল্পনার মত একটা পোস্ট দেয়ার। আর দুই/তিন'টা পোস্ট দিলেই এই সিরিজ শেষ হয়ে যাবে, তখন একটা ডিটেইল প্ল্যানিং উইথ কস্ট নিয়ে একটা পোস্ট দিব। সাথে থাকুন, পাশে থাকুন।
পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা রইল।
১৯| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ রাত ১২:৪৩
একেবিশ্বাস ( আব্দুল কুদ্দুস বিশ্বাস) বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা ও ছবি
১২ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:১৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, ভাল থাকুন সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪
আহলান বলেছেন: ছবি দেখেই তো ফিদা হয়া গেলাম ...আমর তো তাইলে যাওয়াই লাগে দেখতাছি .....