নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেরালা ব্যাকওয়াটার হাউজবোটে একদিন - (ট্রিপ টু কেরালা ২০১৬) (পর্ব ১৩)

২৭ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২০



আগের রাতে ফিশ ফ্রাই খেয়ে হোটেলে ফিরে যখন ঘুমাতে গেলাম তখন রাত প্রায় বারোটার কাছাকাছি। ক্লান্ত শরীর নিয়ে হিমশীতল কামরায় লেপমুড়ি দিতেই ঘুমের রাজ্যে হারালাম। ঘুমটা যখন বেশ জাঁকিয়ে বসেছে নিজের রাজত্বে তখনই বেরসিক এলার্ম বেজে উঠলো... কি আর করা, কোন মত নিজেকে তুলে নিয়ে শাওয়ারের নীচে ছেড়ে দিলাম। ট্যুরে বের হলে, খুব সকাল সকাল উঠে রওনা দেয়ার জন্য এর চেয়ে ভাল কিছু নাই। যাই হোক নিজে তৈরী হয়ে বাকী সবাইকে তাড়া দিলাম তৈরী হয়ে নিতে। আজও ভোর পাঁচটা নাগাদ চেক আউট করতে হবে হোটেল থেকে। ঠিক ভোররাত পাঁচটা দশে আমরা যখন গাড়ীতে চেপে বসলাম, আমাদের ড্রাইভার মিঃ বিনয় পি যোশ আমাকে মনে করিয়ে দিল যে, আমরা দশ মিনিট লেট :( । টানা চারদিন ভোররাতে উঠে হোটেল হতে চেক আউট করে ছুটছি পরবর্তী গন্তব্যে, আবার হোটেলে চেকইন করছি সন্ধ্যের পরে, কখনো রাতের বেলায়। তবে সান্ত্বনার ব্যাপার একটাই, পরের দিন ভোরবেলা আর এই কষ্ট পোহাতে হবে না। কারণ, আজকের গন্তব্য কেরালা’র বিখ্যাত ব্যাকওয়াটারে “হাউজবোট’ করে ঘুরে বেড়ানো।



তামিলনাড়ু'র কণ্যাকুমারী হতে আমাদের গাড়ী ছুটে চলল আড়াইশ’ত কিলোমিটার দূরের কেরালা রাজ্যের আলিপ্পে শহরের দিকে। বেলা নয়টা নাগাদ ত্রিভান্দ্রাম পার হয়ে একটা রোড সাইড ধাবা টাইপের রেস্টুরেন্টে সকালের নাস্তা সারা হলে পরে ফের যাত্রা। ২৫০+ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বেলা ১২টা নাগাদ এসে পৌঁছলাম আল্লিপপে, সরাসরি চেকইন হাউজবোটে। কেরালা’র হাউজবোটগুলো সত্যিই চমৎকার, কাঠ, বাঁশ আর কিছু ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরী এই নৌঘর’গুলোতে রয়েছে বেডরুম, ড্রইং রুম, ডাইনিং রুম, কিচেন সহ একটি ফ্ল্যাটের সকল সুবিধা। বিগ স্ক্রিন এলইডি টিভি, ডিভিডি প্লেয়ার...





















আলিপ্পের বিখ্যাত “রামাদা” হোটেল সংলগ্ন জেটি’তে আমরা যখন পৌছলাম; তখন ঘড়িতে প্রায় এগারোটার উপরে। আমাদের হাউজবোটে চেকইন করার সময় সকাল দশটায়। কিন্তু সেখানে পৌঁছে শুনি; এখনো হাউজবোট রেডি হয় নাই। পরে জানতে পারি যে, আমাদের আসতে একটূ দেরী হবে শুনে ভোরবেলা ঘন্টা তিনেকের জন্য আরেকটা ইউরোপীয় পর্যটক গ্রুপকে নিয়ে ব্যাকওয়াটার ট্যুর করে এসেছে। :O বেশকিছুটা সময় অপেক্ষার পর, আমাদের পদার্পন ঘটল আমাদের আগামী ২৪ ঘন্টার নিবাস, “Golden Mist Yacht” এ। দু’টি বেডরুম, একটি ডাইনিং এন্ড ড্রইং স্পেস, পেছনে রান্নাঘর, তারও পেছনে ইঞ্চিন রুম, জেনারেটর; মোটামুটি সুন্দর আয়োজন। কেরালার হাউজবোটগুলো সিঙ্গেল রুমের থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ দশ বেডরুমের দ্বিতল হয়ে থাকে। এছাড়া শ’খানেক লোক নিয়ে পিকনিক টাইপ আয়োজন করার মত ভিন্নধরনের হাউজবোটও রয়েছ। সকাল বেলা চেকইন করে পরদিন সকাল পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটারের ব্যাকওয়াটার রাইড করে ফের আগের যায়গায় ড্রপ করে দেয়; রাতে প্রতিটি বোটের নিজস্ব কোন স্থল আবাসের সংলগ্ন স্থানে পার্ক করা হয় বোট। সেখান হতে কানেকশন দিয়ে রাত ন’টা হতে ভোর ছ’টা পর্যন্ত বেডরুমগুলোতে এসি সংযোগ দেয়া হয়। এই ২৪ ঘন্টার ট্যুরে তিনবেলার মূল খাবারের সাথে সকাল বিকাল হালকা নাস্তা, চা দেয়া হয়। ভাড়া বোট ভেদে ৫,০০০ রুপী থেকে ৮,০০০ রুপী; প্রতি সিঙ্গেল রুমের জন্য। প্রতিরুমে ডবল বেড; দুইজন গেস্টের জন্য। এক্সট্রা ম্যাট্রেস দিয়ে তৃতীয় একজন থাকা যায় রুমে; সেইক্ষেত্রে থার্ড পারসনের জন্য আলাদা চার্জ করা হয়।

















যাই হোক; আমরা চেকইন করে কিছু ছবি তুলে রুমে গিয়ে গোসল সেরে বোটের সম্মুখপানের ড্রইং রুমে বসে ভুবনখ্যাত কেরালার ব্যাকওয়াটারের সৌন্দর্য উপভোগ করার মাঝে ডাইনিং টেবিলে খাবার চলে এল। আইটেম মন্দ নয়; ভাত, দু’তিন পদের সবজি, রূপচাঁদা ফ্রাই, কেরালার নারিকেল ডাল জাতীয় একটা পদ... কেরালার স্পাইস দিয়ে রান্না করা খাবার পেটপুরে খেলাম। যদিও আমার ভ্রমণ সঙ্গীরা বরাবরের মত তৃপ্তি করে খেতে পারলো না। শেষে রাতের খাবারের জন্য রান্নাঘরে গিয়ে আমাদের বোটের রাঁধুনি ভদ্রলোক :P ‘কে গিয়ে মসলা দেখিয়ে নির্দেশনা দিয়ে দেয়া হল এর বাইরে যেন কোন মসলা না ব্যবহার করে। কিন্তু ভদ্রলোক যথারীতি কিছু কেরালার কমন মসলা রাতের চিকেন আইটেমে দিয়ে আমি ছাড়া সবার রসনা বিলাস পূরণে ব্যর্থ হয়েছিলেন। খাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ আড্ডা চলল; এরপর দুপুর তিনটে নাগাদ কিছুক্ষণ ‘ভাতঘুম’ দেয়ার বিলাসিতা করারও সময় মিলল আমাদের; যা গত একসপ্তাহের দৌড়ঝাঁপের সাথে তুলনা করলে এক কথায় অকল্পনীয়।

















বিকেলবেলা পাকোড়া আর চা দিয়ে নাস্তা করতে করতে বোট এসে ভিড়ল, একটা ছোট্ট গ্রামে; সারি সারি বোট ভিড়ে আছে সেখানে। বোট হতে নামতে দেখলাম ছোট ছোট দোকান; স্থানীয় নারী-পুরুষ চালাচ্ছে সেসব। নানান মাছ; ফল, আইসক্রিম, নানান পদের সফট ড্রিংকস, চকলেট, চিপস ইত্যাদি সাজিয়ে বসেছে। আমরা সেখান হতে রূপচাঁদা কিনে নিলাম, প্রতি পিস দুইশত রুপীতে। সেই রূপচাঁদা আমাদের বোটের শেফ এর হাতে দিয়ে দিলাম।













সন্ধ্যের পর যখন মেমরী কার্ড হতে (বোটেই ছিল) “বাজরাংগী ভাইজান” মুভিটি দেখছিলাম আর নয়টা বাজার অপেক্ষা (অত্যাধিক গরমে অস্থির তখন); তখন সেই মাছ ফ্রাই করে নিয়ে এল আমাদের শেফ বাহাদুর। আমার এই এক জীবনে যত মাছভাজা খেয়েছি; তা ছিল সবচেয়ে সেরা। পারফেক্ট মসলা, ঝাল এবং ফ্রাই। সফট এন্ড ইয়াম্মি... তখন দুঃখ হল কেন আরও এক পিস করে কিনে নিলাম না।

















এরপর মুভি শেষে রাতের খাবার; ভাত, সবজি, ডাল, মুরগীর মাংস, সালাদ; এবার যদিও মসলার যন্ত্রণা কিছুটা কম ছিল; কিন্তু এক্কেবারেই ছিল না বলা যাবে না; আগেই ব্যাখ্যা করেছি। আমাদের শেফ চোখ বড় বড় করে জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘এসব মসলা ছাড়া কিভাবে রান্না করা যায়’। শেফ প্রসঙ্গে বলি, আমি বিকেলবেলা চায়ের খোঁজে রান্না ঘরে গিয়ে দেখি সে রাতের খাবারের আয়োজন করছে। তখন তার সাথে অনেকক্ষণ গল্প করলাম। জিজ্ঞাসা করলাম, সে পেশায় কি করে? উত্তরে বলল, “রান্না”। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “কোথায়? কোন রেস্টুরেন্ট নাকি হোটেলে?”। সে অবাক হয়ে উত্তর দিল, কেন? এই বোটে। আমি আরও অবাক হয়ে বললাম, “মানে কি?” সারা মাস এই বোটে গেস্ট আসে? সে আমাকে আরও অবাক করে জানাল, মাসে ২২ থেকে ২৬ দিন টানা বুকিং থাকে। সারা ভারতে তাদের ছয়টি এজেন্টের মাধ্যমে গেস্ট আসে, কখনো একই দিনে দুইদল গেস্ট চলে আসলে সামলাতে মুশকিল হয়; যেমন আজ সকালে হয়েছিল। এরপর আরও গল্পে গল্পে জানা গেল, কেরালার এই হাউজবোট ইন্ডাস্ট্রি’র অনেক কথা। “ইন্ডাস্ট্রি” শুনে অবাক হচ্ছেন? কেরালা ব্যাকওয়াটারের হাউজবোটে একদিন না কাটালে বুঝা যাবে না সেই কর্মযজ্ঞ। আমরা গিয়েছিলাম অফ সিজনে, তখনই হাজারে হাজার বোট চলতে দেখেছি সেখানে।

তো আজকের গল্প এখানেই শেষ; খাবার শেষে ঘুমাতে গেলাম। অনেকদিন পর সকালে উঠার তাড়া নেই; কাল সকাল দশটার পর হাউজবোট হতে চেক আউট। সো... নো টেনশন। শুভরাত্রি। ;)

আগের পর্বগুলোঃ
যাত্রা শুরুর গল্প (ট্রিপ টু কেরালা ২০১৬) (পর্ব ০১)
ট্রানজিট পয়েন্ট কলকাতা... অন্যরকম আতিথিয়তার অভিজ্ঞতা (ট্রিপ টু কেরালা ২০১৬) (পর্ব ০২)
অবশেষে কোচিন - তৃতীয় রাতে যাত্রা শুরুর স্থানে (ট্রিপ টু কেরালা ২০১৬) (পর্ব ০৩)
ডেস্টিনেশন মুন্নার (ট্রিপ টু কেরালা ২০১৬) (পর্ব ০৪)
মুন্নার টি মিউজিয়াম (ট্রিপ টু কেরালা ২০১৬) (পর্ব ০৫)
মুন্নার ভ্রমণ - মাতুপত্তি ড্যাম এবং ব্লোসম পার্ক (ট্রিপ টু কেরালা ২০১৬) (পর্ব ০৬)
ইকো পয়েন্ট এবং টপ ষ্টেশন অফ মুন্নার (ট্রিপ টু কেরালা ২০১৬) (পর্ব ০৭)
ট্রিপ টু কুলুক্কুমালাই... (ট্রিপ টু কেরালা ২০১৬) (পর্ব ০৮)
পেরিয়ার লেক - ওয়াইল্ড লাইফ স্যাঙ্কচুয়ারি (থিক্কাদি - কেরালা) (ট্রিপ টু কেরালা ২০১৬) (পর্ব ০৯)
শিকারা রাইড এন্ড সানসেট এট ব্যাকওয়াটার (কুমারাকোম - কেরালা) (ট্রিপ টু কেরালা ২০১৬) (পর্ব ১০)
কোভালাম সী বিচ (ট্রিপ টু কেরালা ২০১৬) (পর্ব ১১)
কন্যাকুমারী দর্শন (ট্রিপ টু কেরালা ২০১৬) (পর্ব ১২)

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:২৬

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো ভাই। একেবারে কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে গিয়েছিলাম।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:০২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। :)
কেমন আছেন? প্রো পিকের ব্যক্তিটি কে?

২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:০৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ছবি ও বর্ননায় খুব ভাল লাগল।
ভাল থাকুন।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩৪

তারেক ফাহিম বলেছেন: ছবিগুলোর প্রশংসা না করলেই নয়

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২

রানা আমান বলেছেন: খুবই ভালো লেগেছে , ছবি ও বর্ননা অসাধারণ ।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রানা আমান। ভাল থাকুন সবসময়। :)

৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:০৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: খুব ভাল লাগল।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২৯

রাখালছেলে বলেছেন: ভাল হয়েছে । টাকা হইলে আপনার মত আমিও বিদেশে যেয়ে টাকা উড়াব আশা করি । টাকাই টাকা ।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আইচ্ছা.. শুভকামনা রইল।

৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুন্দর সুন্দর ছবি সাথে বর্ণনা ।
শুভেচ্ছা রইল ।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৮| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকা মানুষ বলতে চায় ,




হাউজবোটের সুন্দর সব ছবি দেখে ভাবছি , আমাদের এখানে অমন ব্যবস্থা নেই কেন ?

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৫২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার খুবই ইচ্ছে, আমাদের কাপ্তাই, টাংগুয়ার হাওর আর সুন্দরবন এ এধরনের "হাউজবোট" সার্ভিস চালু করার... যদি সুযোগ এবং সামর্থ্য থাকতো!!!

৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৩৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ওয়াও যাক্কাস ট্রুর ছবি ও বর্ননায় খুব ভাল লাগল। ভাল থাকবেন সবসময় থাকবেন।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমান সুজন। ভাল থাকুন সবসময়। :)

১০| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩

জুন বলেছেন: কই থাকেন ডুব দিয়ে, আবার ভুস করে ভেসে ওঠেন পানকৌড়ির মত। আমার মত নগন্য ব্লগার খেই হারিয়ে ফেলে শেষতক বোকা মানুষ। আমার মনে হচ্ছে এবার মেলায় আপনার বই দেখবো । আর তার প্রত্যাশায় থাকলাম :)
+

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৫৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: রুটিরুজির ধান্দায় কামলা দিতে হয় যে আপা। সকাল ছয়টায় অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে রাত আটটা নাগাদ বাসায় ফেরার পর লগইন করতে আর এনার্জি পাই না। মাঝে মাঝে মোবাইল হতে অফলাইনে ব্লগে ঢুকে কিছু পোস্ট পড়া হয়। এর মাঝে যেদিন সবকিছু অনুকূলে থাকে, সেদিন ব্লগে লগইন করে ভ্রমণ পোস্ট করা হয়। এটা করে আবার উধাও হয়ে যাই, প্রায় শ'খানেক ভ্রমণ পোস্ট বকেয়া পড়ে আছে... দ্রুত লিখে না শেষ করতে পারলে অনেক কিছুই হয়ত হারিয়ে যাবে নিউরনের উঠোন হতে।

বই এর সম্ভাবনা নেই কোন। তবে কোন একদিন বই বের হবে ইনশাআল্লাহ্‌। স্বপ্ন দেখতে নেই কো মানা, আছে আমার স্বপ্নডানা...

সবশেষে একটা প্রশ্ন, আপনি নগন্য ব্লগার হলেন কবে থেকে? জাতি জানতে চায়... :P

১১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০

বাকি বিল্লাহ বলেছেন: ভাই মাস অনুযায়ী সবগুলো ভ্রমন গল্প নিয়ে পোস্ট করা বন্ধ করে দিলেন কেন? আপনার কারনে অনেক গুলো পোস্ট হয়ে গেছে :(

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:২০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আর বলিয়েন না ভাই... জুন আপুর মন্তব্যের প্রতিত্তর পড়লেই বুঝতে পারবেন আমার দশা :(

যদি কখনো আবার ফিরে পাই হারানো সেই সময়, আবার না হয় করবো শুরু হে প্রিয়...

১২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৩০

মোঃ হাসনাত আল-আমিন বলেছেন: ভ্রমণ আমার শখ বলতে পারেন। এবার ঈদে কন্যাকুমারী যাওয়ার পরিকল্পনা করেও বাদ দিলাম, রাজস্থান যাব। কিন্তু আপনার লেখা আর ছবি দেখে ভবিষ্যতে যাবার ইচ্ছাটা আরো বেড়ে গেল।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বিলম্ব প্রতিত্তরের জন্য ক্ষমা করবেন। ভ্রমণ আমারও খুব ভাল লাগে। সময় সুযোগ পেলে বেড়িয়ে আসুন কণ্যাকুমারী, সাথে পন্ডিচেরী আর রামেশ্বরম বাদ দিয়েন না। একই এলাকায় কাছাকাছি কি না।

ভাল থাকুন সবসময়।

১৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৮

শেখ মাসুদুর রহমান বলেছেন: ভাই অফ সিজন কবে থেকে শুরু হয়। লেখা আপনার চমৎকার।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: নভেম্বরে থেকে শুরু বলা যেতে পারে। আসলে কেরালার গরমের কারনেই শীতে সেখানে টুরিস্ট সমাগম বেশী হয়ে থাকে। নইলে সারা বছরই টুরিস্ট থাকে কেরালা জোনে, বিশেষ করে সাদা চামড়ার পর্যটকের দল।

পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.