নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানসিক একাকীত্ব\'র চরম পরিণতি

১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:৫১



০৬ বছর পরে; আজকের সমাজে মানসিক একাকীত্ব আরও বেড়েছে বৈ কমে নাই। দেশ, সমাজ, পাত্র ভেদে এই মানসিক একাকীত্ব'র অসহ্য যন্ত্রণা কেউ সইতে পারে, কেউ হয়তো পারে না। আজ ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত এর আত্মহত্যা'র ঘটনায় মনে পড়ে গেল অর্ধযুগ আগে এই ঢাকা শহরের বুকে অতি সাধারন অবিখ্যাত অসফল এক যুবা'র রেললাইন এ শুয়ে আত্মহনন এর ঘটনাটি। এনিয়ে সেসময়কার একটি পোস্ট আবার শেয়ার করা যাক:

মাহবুব রেল লাইনে শুয়ে শুয়ে যে স্ট্যাটাসটি লিখেছিলেন তা ছিল এরূপ, “বন্ধুরা, আমি এমন একটা অপরাধ করতে যাচ্ছি যা আমার পরিবার, আইন ও ধর্মের বিরুদ্ধে। আমি রেল লাইনের ওপর শুয়ে আছি, ট্রেন আসছে... ... বিদায়, বিদায় চিরতরে। মহান আল্লাহ্‌ তোমাদের সবার মঙ্গল করুণ”।

এইতো কিছুদিন আগে, একটা গল্প লিখলাম, "অ্যা সুসাইড নোট", অনেকটা সিনেমাটিক। কিন্তু পুরো ঘটনা আমার শৈশবে দেখা এক ঘটনা থেকে নেয়া। গত পরশুদিন রাতে, আমার ছোট ভাই অফিস থেকে বাসায় এসে আমাকে একটা অনলাইন নিউজ পোর্টালে একটা নিউজ দেখালো। ইতোমধ্যে আপনারা সবাই হয়ত নিউজটা জেনেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ২০১২ সালে “ভূগোল ও পরিবেশ” বিভাগ হতে মাস্টার্স শেষ করা ছাত্র মাহবুব শাহীন রেললাইনে চলন্ত ট্রেনের নীচে নিজ দেহ বিলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

ছেলেটি পুরো সিনেমাটিক স্টাইলে আত্মহত্যা করেছে, কিন্তু কথা হচ্ছে একজন সম্ভাবনাময় তরুন যুবা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। ছেলেটি এইচএসসি’তে আমার ছোট ভাইয়ের সাথে ঢাকা কলেজের স্টুডেন্ট ছিল। ফেসবুকে ও আরও অনেকের মত সে ও আমার ছোট ভাইয়ের ফ্রেন্ডলিস্টে ছিল। ফেসবুকে তার স্ট্যাটাস আমার ভাইও দেখেছিল। কিন্তু কেউ বিশ্বাস করতে পারে নাই সে সত্যি সত্যি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে।

খবরটা শুনেই আমার কান্না চলে আসলো, ছোট ভাই এর সামনে কাঁদতেও পারছিলাম না। উফ কেন এমন হয়। মাহবুব তার এই আত্মহত্যা’র সিদ্ধান্ত নেয়ার কারন ব্যাখ্যা করেছেন তার স্ট্যাটাসে, “এই হতচ্ছাড়া নিজেকে দূরে সরিয়ে দিতে যাচ্ছে, যে অপদার্থ কি না শুধু খেতেই জানে। আমি একটা কমেন্টে লিখেছিলাম, আমার যেতে হবে। তারপর তোমাদের কেউ একজন জানতে চেয়েছে, কোথায় থেকে কোথায় যাচ্ছ? আমি জানি না আমি কোথায় যাচ্ছি। কিন্তু আমি যাচ্ছি। এই অকর্মা নিজেকে ছেড়ে যাচ্ছে।”

উফ কি কষ্ট! একটা ছেলের বুকের এই আর্তনাদ কি তার আশেপাশে থাকা কেউ একজনও শুনতে পায় নাই। ছেলেটি কি প্রচণ্ড কষ্ট আর অভিমান থেকে সুসাইড নোটে লিখেছে, “ঐ টাকা যেন আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে তার লাশ দাফনের জন্য ব্যয় করা হয়”। মাহবুবরা কেন এমন করে চলে যায়। যে ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করেছে, যে ছেলে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি টুরিস্ট সোসাইটি’র দুবার সহসভাপতি ছিল, এমন প্রাণোচ্ছল একটি ছেলে কি একদিনের হঠাৎ ক্ষোভ, ক্লান্তি, গ্লানি, অভিমান থেকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে? অবশ্যই না। কি পরিমাণ অপমান, হেনস্তা এবং পরাজিত হলে এমন একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া যায় ভেবে দেখবেন কি?

আমার খুব কাছের এক আত্মীয় আত্মহত্যা করেছিল মাত্র ২০ বছর বয়সে। আমি তাকে ক্লাস এইটে থাকাকালে প্রাইভেট পড়িয়েছি প্রায় এক বছর। ছেলেটা আর দশটা অন্যান্য ছেলেদের মত স্বাভাবিক ছিল না, কিন্তু অস্বাভাবিকও ছিল না। সে একটু আলাদা, একরোখা, জেদী, বেয়ারা টাইপের ছিল। তার মা তাকে প্রচুর মারত, কথা শোনাত, আমি নিজে মাঝে মাঝে উনাকে আটকাতাম। তো সে ছেলে স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে বড় হওয়ার সময়টায় কি হয়েছিল কেউ জানে না। একদিন বিকেল বেলা সবার সাথে নাশতা করে সে তার রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। রাতে খাবার সময় তাকে ডাকতে গেলে কোন সারা না পেয়ে জানালা দিয়ে দেখলে দেখতে পায় পাখার সাথে দড়িতে ঝুলে আছে। উফ কি কষ্ট!

আমাদের সমাজে একটি কমন ঘটনা আছে, কেউ আত্মহত্যা করলে প্রথমেই আলোচনায় আসে ছেলেটি অথবা মেয়েটি প্রেমে ব্যর্থ হয়ে এ কাজ করেছে। কিন্তু আজ মাহবুব এর মত ঘটনাগুলো সামনে আসছে। অপার সম্ভাবনাময় একটি তাজা প্রাণ ঝরে গেল। কিন্তু কেন? আগে শুনতাম পশ্চিমা বিশ্বে অনেক আত্মহত্যা হয়। এখন আমাদের সমাজে হচ্ছে। কারণ সামাজিক বন্ধনগুলো ঢিলে হয়ে গেছে।

জিপিএ ফাইভ, গোল্ডেন এ প্লাস, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-বিবিএ-এমবিএ। স্মার্ট ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ, আইপড। গার্ল ফ্রেন্ড, গাড়ী, ৩৬০০ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাটবাড়ী। হাই সেলারি, মানিব্যাগ ভারী। আপনি খুশী, সবাই খুশী। এই রেসে আপনি হেরে গেলেন তো সবই গেল। এই যান্ত্রিক জীবনের ছুটে চলায় হাত ফস্কালেই সব শেষ! পরিবার, বন্ধু-বান্ধব সবার কাছে আপনি হয়ে যাবেন হেরে যাওয়া একজন। ছোটবেলা থেকে আমাদের শুনতে হয় উমুকের ছেলেমেয়ে এটা করেছে, তুমি কি কর? হ্যাঁ, আমি একজন ফেইলর। কিন্তু সবাইকে জিততে হবে কেন? হেরে যাওয়াদের কেন জায়গা হবে না? সমাজে নয়, আপনজনদের হৃদয়ের মনি কোঠায়?

আমার এক ফ্রেন্ড, যে গ্রাজুয়েশন শেষে ক্যারিয়ার নিয়ে দিশেহারা, প্রচণ্ড মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও কোন ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পেয়ে গ্রাজুয়েশন করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সে যখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, তখন তার ব্রেইন টিউমার বা এই জাতীয় একটা সমস্যা হয়। বাসায় কাউকে জানায় নাই, জানাবে কীভাবে? বাসা থেকে প্রতিদিন শুনতে হয়, ‘এতো বড় ধাড়ী ছেলে, হাত পা গুটিয়ে বসে থাকে সারাদিন। নিকম্মা কোথাকার”! কি নিষ্ঠুর আমরা! আরেকজনের কথা জানি, মাস্টার্স পাশ করে কোথাও চাকুরী না পেয়ে এক অফিসে পিয়নের চাকরি করত। বাসায় বলত একাউণ্টেণ্ট! কি করবে সমাজ সংসার যে হেরে যাওয়াদের মেনে নেয় না। আমি আমার কোন এক লেখায় আমার এক স্টুডেন্ট এর কথা লিখছিলাম, যে কিনা এসএসসি’র রেজাল্টের আগে দড়ি এবং বিষ যোগাড় করে রেখেছিল। কি প্রচণ্ড পারিবারিক এবং সামাজিক চাপ থাকলে একটা কিশোর বা কিশোরী এই কাজ করতে পারে একবার চিন্তা করে দেখেছেন কি?

আমার এই লেখা পরে নিশ্চয়ই আপনি বিরক্ত হচ্ছেন? যারা আত্মহত্যা করছে তাদের দোষারোপ করছেন? কিন্তু একবার ভেবে দেখুন মানসিক চাপ যখন মৃত্যুর চেয়ে তীব্রতর হয়ে যায় তখনি একজন আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এটা আমার কথা না, মনোবিজ্ঞানের কথা। একটি মানুষ যখন আগত দিনে তার জন্য অপেক্ষমান একটিও সম্ভাবনার দুয়ার খোলা দেখতে পায় না তখনই সে এই সিদ্ধান্ত নেয়। হয়ত সবাই পারে না, কেউ কেউ বেঁচে থেকে প্রতিদিন মরে।

আমি আজ যে কথাটি বলতে চাই, দয়া করে আপনার কাছের মানুষগুলোর সাথে আন্তরিকাতা বৃদ্ধি করেন। প্রতিটি মানুষেরই একটি নির্ভরতার জায়গা থাকতে হয়, যেখানে সে সব কিছু শেয়ার করতে পারে। আপনি, আমি কেন আমাদের আপনজনদের সেই নির্ভরতার জায়গা হতে পারবো না। সেই নির্ভরতার জায়গা, যে জায়গায় হতে মাহবুবদের মত মানুষগুলোকে বুকে জড়িয়ে আশ্বাস দেয়া হবে, ভরসা দেয়া হবে, নাথিং টু লুজ। কেননা, ‘... বল সব মানুষ কি পারে? কেউ জেতে, কেউতো হারে...’।

আজ থেকে আমরা প্রতিজ্ঞা করি, আমার আশেপাশের প্রতিটি কাছের মানুষকে আরও আন্তরিকতার সাথে আপন করে নিব। যাতে করে সে তার মনে যে কোন কষ্ট-বেদনা, পাওয়া-না পাওয়ার কথা অকপটে শেয়ার করতে পারবে। মাহবুবের স্ট্যাটাস পড়ার পর কেউ যদি তাকে কাউন্সেলিং করতে পারত, হয়ত মাহবুব বেঁচে যেত। হয়ত আমার সেই আত্মীয় ছেলেটি বেঁচে যেত। আজকের সমাজে আমরা কেউ কাউকে ভরসা করতে পারি না, আপন ভেবে মনের সব কথা উজাড় করে বলতে পারি না। এমন কি আপন মা-বাবা, ভাইবোন কে না। স্ত্রী-সন্তানকে না। খুব কাছের বন্ধুটিকে পর্যন্ত না। তাই আসুন আমাদের কাছের মানুষটাকে আরেকটু জানি, আরেকটু কেয়ারিং এন্ড শেয়ারিং বৃদ্ধি করি; যাতে করে আর কোন মাহবুবকে একবুক কষ্ট নিয়ে চলে যেতে না হয় এই পৃথিবী থেকে। আপনার একটু হাসিমুখে কথা অথবা মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়া, একটু মানসিক সাপোর্ট, একটু ভরসা দেয়া হয়ত আপনারই কাছের প্রিয় মানুষটিকে এই অপ্রিয় সিদ্ধান্ত হতে বাঁচাতে পারে। আর তাই আসুন বিশ্বাস করতে শিখি যে, আমরাই পারি আত্মহত্যা বন্ধ করতে। ইয়েস, উই ক্যান স্টপ সুসাইড।

এই লাইনগুলো যখন লিখছি, চোখে অশ্রুফোঁটারা উকিঝুকি দিচ্ছে। কাকতালীয় হলেও সত্য আমার কম্পিউটারের অডিও প্লেয়ারের প্লেলিস্টে এখন বাজছে, “একদিন, পাখি উড়ে... ... যাবে যে আকাশে... ফিরবে না সেতো আর...”।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০২০ ভোর ৪:১৩

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: খুবই মন ছুঁইয়ে যাওয়া লেখা। সমস্যা একটাই। সমস্যাওয়ালা লোকগুলো দারুন সব ঝাঁ চকচকে ছবি দিয়ে তাদের হতাশাগুলো লুকিয়ে রাখে। এদের খোঁজ আমরা পাবো কই যে হাত ধরে পাশে বসিয়ে কথা শুনবো তাদের?
দিন শেষে লড়াইটা আসলে নিজের সাথে নিজের পর্যন্তই গড়ায়।

১৫ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কথাটা আংশিক হয়তো সত্য। কিন্তু আমরা যদি নিজের গন্ডির ভেতরে নিজ পরিবার, কাছের আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব, প্রতিবেশী এদের জন্য একটু সচেতন হই, দৃষ্টিভঙ্গি বদলাই, সহমর্মী হই তাহলে কিন্তু অনেক কিছুই সম্ভব। আসলে আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কের গভীরতাটা দিন দিন অনেক বেশী ফিকে হয়ে যাচ্ছে। তাই তো, নিজের কষ্ট বা ব্যর্থতা ঢাকার কি আপ্রাণ প্রয়াস আমাদের চারিদিকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সারাদিন খুঁজলে একটাও কোন সমস্যা শেয়ারিং এর কথা দেখা বা শোনা যায় না। তাই আমরা যদি নিজেরদের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্কের বাঁধন প্রকৃতই মজবুত করতে পারি, তাহলে কিন্তু এই লুকোছুপি বন্ধ হবে। দায়টা কিন্তু উভয়পক্ষেরই; কারো হয়তো কম, কারো বেশী।

ধন্যবাদ আপু, ভাল থাকবেন সবসময়। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

২| ১৫ ই জুন, ২০২০ ভোর ৪:৫১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আত্ম হত্যা জীবনে যন্ত্রণার অবসান কিন্তু ভীরুতা ও কাপুরূষতা নয় কি।

২১ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলে পুরো ব্যাপারটা নির্ভর করে প্রতিটি মানুষের নিজস্ব জীবনধারা, চিন্তার জগতের বিস্তৃতি, পারিপার্শ্বিক প্রেক্ষাপট, আর্থ-সামাজিক-পারিবারিক বাস্তব অবস্থার সাথে নিজস্ব একান্ত মানসিক জগতের উপর। প্রতিটি সাবজেক্ট তথা ম্যাটার এর কিন্তু নিজস্ব সহনশীল সীমা রয়েছে। এর বেশী হলে তা ভেঙ্গে বা ছিঁড়ে যেতে বাধ্য। এখন এই ভেঙ্গে যাওয়া বা ছিঁড়ে যাওয়াকে অন্যদের দৃষ্টিতে ভীরুতা বা কাপুরুষতা যাই বলি না কেন, তার নিজস্ব অবস্থানে সীমার বাইরে চলে যাওয়াতেই কিন্তু এরকমটা ঘটে। মনে করেন আপনি একটা মোটা পাটের রশির কথা, যা দিয়ে আমরা কোরবানী ঈদের সময় গরু-মহিষ বেঁধে রাখি। সেই দড়ি দিয়ে যদি কয়েকটন ওজনের কোন জিনিষ যদি সেই দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেয়া হয়, তাহলে সেই দড়ি কিন্তু লোড রাখতে পারবেন না। তাই প্রতিটি মানুষের এই লোড নেয়ার ক্যাপাসিটিটাই ভিন্ন ভিন্ন হয়। হ্যাঁ, এই ক্ষেত্রে লোড শেয়ারিং করার মত মানসিক সাপোর্ট দিয়ে অনেক সময়ই আত্মহত্যার মত কঠোর এবং কঠিন সিদ্ধান্ত থেকে মানুষকে সরিয়ে আনা যায়। কিন্তু সমস্যা হল, এই মানসিক সাপোর্ট নিতে বর্তমান সময়ে আমরা সম্মত নয়; বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ইগো, প্রেস্টিজ, সোশ্যাল পজিশন সহ আরও শত রকম কারন বলা যাবে।

অনেক ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই। বোকা মানুষের ব্লগে স্বাগতম। ভাল থাকুন সবসময়।

৩| ১৫ ই জুন, ২০২০ ভোর ৬:২৭

মেটালক্সাইড বলেছেন: নো, উ ক্যান্ট স্টপ সুসাইড!!!
ইতিহাস, পরিসংখ্যান ও বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে পরিস্কার যে, আত্নহত্যা জন্ম, মৃত্যের মতই একটি প্যাটার্ন। পার্থক্য এটুকু এটির মনুষ্যর স্বনিয়ন্ত্রণে। প্রাচীন তথ্যভান্ডার হিসেবে ১৪০০ বছর আগের কুরয়ান গ্রন্থে আত্নহত্যার সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা আমরা পাই। আধুনিক সময়ে মানুষের জ্ঞানের উৎকষর্তা বৃদ্ধির কারণে আত্নহত্যার অনুপাত তুলনামূলক হারে বেড়ে গেছে। সমস্ত পৃথিবীতে প্রায় সব স্থানে আত্নহত্যা বিদ্যমান ও ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। ভারতের এক আর্টিস্টের আত্নহত্যাই সবার ঘুম হারাম হয়ে গেছে। অথচ বিগত তিনবছর যাবত আমাদের দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে অসংখ্য আত্নহত্যার ঘটনা ঘটেছে সেটিকে কেউ আবেগ বা প্রতিবাদ দিয়ে প্রকাশ করেনি ও করছেওনা। আপনার আবেগকে শ্রদ্ধা করি কিন্তু আবেগে বশবর্তী কথাকে মেনে নেওয়া যায় না। সময়ের সাথে এর পরিবর্তনকে স্বীকার করে নিতে হবে নতুবা ধবংস অনিবার্য ইতিহাসে এর স্বাক্ষী আছে। আর
সেইজন্যই বলতে চায়,
নো ওয়ান ক্যান স্টপ সুসাইড।

২১ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:০২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আত্মহত্যার ক্রমবর্ধমানতার অন্যতম কারণ আজকের সময়ের নাগরিক জীবনের ধরণ এবং দর্শন। তাই আমি মনে করি জীবনযাপনের ধরণ, চিন্তার জগত, জীবন দর্শন, পরিবার-সমাজ এর পারস্পরিক বন্ধন সুদৃঢ়করণ এর মাধ্যমে অতি অবশ্যই আমরা পারি আত্মহত্যা প্রবণতা থেকে নিজেদের এবং নিজেদের চারিপাশের কাছের মানুষগুলোকে সরিয়ে আনতে।

অনেক ধন্যবাদ আপনার পাঠ এবং সুচিন্তিত মতামতের জন্য। ভালো থাকা হোক প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ।

৪| ১৫ ই জুন, ২০২০ ভোর ৬:৩০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এটাএকটা মানষিক রোগ।আবার হতে পারে এমন কোন সমস্যায় পরেছে যার সমাধান তার জানা নেই।

২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ঠিক বলেছেন, নানান রকম ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দাঁড় করানো যেতে পারে। কিন্তু আত্মহত্যার অন্যতম একটি কারন হচ্ছে, সমস্যা বা কষ্টের কথা আস্থা এবং বিশ্বাস এর সাথে কারো সাথে শেয়ার করতে না পারা।

ধন্যবাদ আপনাকে, পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৫| ১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিটা আত্মহত্যা'ই আসলে হত্যা।

২১ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কথাটা অনেক তর্কের অবকাশ রেখে যায়।

পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৬| ১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৫৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অস্হির সময়ে প্রাইভেসীর নামে আমরা যে একজন অন্যজনের কাছে থেকে কত দূরে সরে যাচ্ছি :(
মানসিক ভাবে একাকিত্ব আরও বাড়ছে।
লেখাটা স্পর্শ করলো।

২২ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৩১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: শুধু প্রাইভেসী! স্ট্যাটাস, লাইফস্টাইল, সাকসেস, ইগো, জেলাসি সহ আরও কত কি যে এখন মানুষের মনের একুরিয়ামে চাষাবাদ হয়; তা হয়তো নির্দিষ্ট মানুষটি ছাড়া অন্য কেউ জানেই না। ফলাফল ভীষণরকমের মানসিক একাকীত্ব।

ধন্যবাদ আপু। অনেকদিন পর ব্লগে ফিরলাম। কেমন আছেন? আশা করি ভালো। করোনার এই কঠিন সময়ে সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন, এই দোয়া রইলো।

৭| ১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
পূঁজিবাদের আম্ফান ঝড়ে
উড়ে যায় মূল্যবোধ, পরিবার, আন্তরিকতা
মানবিকতা আর ভালবাসা
বড্ড সেকেল পরাজিতের পারিজাত স্বপ্ন

সাফল্যের সংগায়ন বদলে গেল
মানুষ আর মানুষ হতে চায়না
অর্থশালী, বিত্তশালী কেউকেটা হবার ইদুর রেস
ছিটকে গেলেই সব হারানোর শংকা

অত:পর
রয়ে যায় ফানুস সভ্যতা
মানুষ গুলো হারিয়ে যায় বড্ড অভিমানে
একটা ভরসা, মমতা আর ভালবাসা, অনুভবের দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতায়।।

++++

২২ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার, চমৎকার, অতীব চমৎকার বলেছেন ভৃগু'দা। ++++

কেমন আছেন? আশা করি ভাল। এই অসময়ে ভালো থাকাটাই অনেক বড় বিষয়। ভাল থাকুন, নিরাপদ থাকুন; সবসময়, প্রতিক্ষণ।

৮| ১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪৮

সাইন বোর্ড বলেছেন: আত্মহত্যা কোন সমাধান নয়, জীবনের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকাটাই আসল । কারণ সবার জীবনেই কম বেশি একটা কঠিন অবস্থা আসে । সেটাকে মোকাবেলা করা জীবনেরই একটা অংশ ।

২৮ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলেই আত্মহত্যা কোন সমাধান হতে পারে না। জীবনের সকল সমস্যার সাথে সম্মুখ সমরে মুখোমুখি হয়ে লড়াই করার যে চ্যালেঞ্জ সেটাই কিন্তু মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে জ্বালানী হিসেবে কাজ করে।

অনেক ধন্যবাদ আর ভালোলাগা রইল সাইন বোর্ড'কে বোকা মানুষের ব্লগে দেখে।

৯| ১৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

বিজন রয় বলেছেন: আরে আপনি!!!!!!
এত দিন কোথায় ছিলেন??

ভাল আছেন তো??

নিয়মিত থাকবেন??

২৮ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ছিলুম এই অন্তরীক্ষেই, অন্যকোন নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান হয়ত।

আছি ভালোই। ইচ্ছে আছে নিয়মিত হওয়ার; দেখা যাক আল্লাহ ভরসা।

আপনি কেমন আছেন? আশা করি ভালো। এই অসময়ে ভালো থাকাটাই অনেক বড় প্রাপ্তি। :)

১০| ১৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আমার মনে হয় এটা বিধাতার একটা খেলা! তিনি খেলে চলেন!

০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হুমম।

১১| ১৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:৪৬

জাফরুল মবীন বলেছেন:

ওহে বোমা ভাই আপনার জাম ভাই করোনার ধাওয়ায় এসেছে ফিরে ব্লগে! =p~

কেমন আছেন আপনি?

আপনার পোস্টে শাহীন মাহবুবের কথা পড়ে মনে হলো ৫বছর আগের লেখাটা (এটাতে শাহীন মাহবুবের ঘটনা বিবৃত আছে) রিপোস্ট করি।এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আত্মহত্যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে ভারতীয় এক মডেল-অভিনেতার আত্মহত্যার প্রতিক্রিয়ায়।

পোস্টে ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম।শুভকামনা রইলো অনিঃশেষ।

০৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অফলাইনেই আপনার প্রত্যাবর্তন পোস্ট দেখেছিলাম। আলস্য আর ব্যস্ততার পারস্পরিক বৈপরীত্যের এক জটিল মিশ্রণে লগইন করা হয় নাই। তবে আপনার ব্লগে গিয়ে ঢুঁ মেরে দেখি আগের কোন পোস্ট এখনো ড্রাফট মোডের কারাগার থেকে মুক্তি পায় নাই। তাই এই প্রতিত্তরের মাধ্যমে তাদের জামিন আবেদন করছি উচ্চ আদালতে। বিজ্ঞ জাম জাজ যেন এই বোকা মানুষের জামিন আবেদন নামঞ্জুর না করেন এই কামনা রইলো।

অনেক অনেক ভালোবাসা আর শুভকামনা রইলো সুপ্রিয় জাম ভাই। :)

১২| ২৮ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭

বিজন রয় বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় বোকা।

০৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ইউ মোস্ট ওয়েলকাম ডিয়ার। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.