নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিমালায়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনিস্টিটিউট এবং অন্যান্য (দার্জিলিং এ বর্ষাযাপন - পর্ব ০৯)

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৪২



আগের পর্বঃ দার্জিলিং জু (পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুওলজিক্যাল পার্ক) ভ্রমণ - (দার্জিলিং এ বর্ষাযাপন - পর্ব ০৮)

হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট তথা এইচ এম আই দার্জিলিং এর ক্যাম্পাসটি দার্জিলিং চিড়িয়াখানা’র সাথে একই স্থানে অবস্থিত হওয়ায় আমরা চিড়িয়াখানা দেখতে দেখতে এক সময় পৌঁছে গেলাম মূল ভবনের সম্মুখে। ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৯শে মে তেনজিং নোরগে এবং এডমন্ড হিলারি মাউন্ট এভারেস্ট বিজয়ের পরপর ১৯৫৪ সালের ৪ঠা নভেম্বর ভারতের দার্জিলিং এ পর্বতারোহণকে জনপ্রিয় করতে প্রতিষ্ঠিত হয় হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, দার্জিলিং (এইচ এম আই দার্জিলিং)। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহ্‌রুর উদ্যোগে এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায়ের তত্ত্বাবধানে মূলত প্রতিষ্ঠা পায় এই ইনস্টিটিউট যার প্রথম প্রশিক্ষণ পরিচালক ছিলেন তেনজিং নোরগে। প্রতিষ্ঠানের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন ভারতের বিশিষ্ট পর্বতারোহী এবং পর্বতারোহনের অন্যতম প্রচারক, মেজর জয়াল। তিনি হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউটকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। মূলত তাঁর দৌলতেই এই পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল দেশের বাইরেও। এখানে নিয়মিত এডভেঞ্চার , বেসিক এবং উন্নত মাউন্টেনিয়ারিং কোর্সগুলি পরিচালিত হয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত প্রায় পঞ্চাশ হাজার প্রশিক্ষণার্থী এখান হতে পর্বতারোহনের নানান কোর্সে অংশগ্রহণ করে প্রশিক্ষিত হয়েছেন পর্বতারোহনে।











এইচ এম আই দার্জিলিং এর প্রবেশমুখেই রয়েছে ছোট্ট একটি বৌদ্ধস্তুপা, এর বাইরের অংশে ভ্রমণার্থীদের জন্য নানান পর্বতারোহনের এক্টিভিটি করার সুযোগ যা আমরা যখন ভ্রমণ করি তখন বন্ধ ছিলো। মূলত বর্ষার শেষে শীতের শুরুতে এই কার্যক্রম চালু থাকে। বৌদ্ধস্তুপা’র পাশেই একটি স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে Nawang Gombu’র যিনি বিখ্যাত পর্বতারোহী, গবেষক এবং এখানকার প্রশিক্ষক এবং ফিল্ড ট্রেনিং এর পরিচালক ছিলেন আমৃত্যু। এখান থেকে উপরের দিকে উঠে গেলে ইনিস্টিটিউট এর মিউজিয়াম রয়েছে। তার বাইরের দিকে একটি মডেল পর্বতের উপর পতাকা হাতে তেনজিং নরগে শেরপা দাঁড়িয়ে থাকা স্ট্যাচু রয়েছে। প্রতি বছর প্রায় পাঁচ লক্ষ ভ্রমণার্থী এখানে বেড়াতে আসেন। হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট এর মিউজিয়ামে পর্বতারোহনের নানান চিত্র, মডেল, পুস্তক এর সাথে হিমালয়ের জীবন এবং সংস্কৃতি’র সাথে সম্পর্কিত নানান জিনিষপত্র দিয়ে সাজানো হয়েছে ভেতরটা। মিউজিয়ামের বাইরে এইচ এম আই এর ক্যাম্পাসে একটি ক্যাফেটেরিয়া রেস্টুরেন্ট রয়েছে। রয়েছে হ্যান্ডিক্রাফটস এবং সুভেনিয়র এর দোকান। ভবনের উপরতলায় ট্রেনিং কোর্সের নানান ক্লাসসহ অন্যান্য কার্যক্রম চলে এখানের ভবনগুলোতে।













এখানে ঘুরতে ঘুরতে দেখি বন্ধ একটি মিউজিয়াম, নাম “Bengal Natural History Museum”। মূলত আমাদের ট্যুরটি ভরা বর্ষায় হওয়ায় অনেক কিছুই মিস করতে হয়েছিলো। কিন্তু বর্ষায় প্রকৃতির অপরূপ সবুজ চাঁদরে মোড়া পাহাড়ি পরিবেশ হৃদয়-মন ছুঁয়ে গেছে অন্যরকম এক ভালোলাগায়। মন ভরে উপভোগ করেছি প্রকৃতির স্নিগ্ধতাটুকু। তো, ঘোরাঘুরি শেষ করে আমরা এখানে হতে বের হয়ে সোজা চলে এলাম প্রবেশ পথে যেখানে সবাইকে আগে থেকে বলে দেয়া হয়েছিলো এসে অপেক্ষা করতে। দলের প্রায় সবাই সময়মত চলে আসলেও আমাদের সেই প্রফেসর স্যার তখনও ভেতরে থাকায় আমরা প্রবেশমুখের দোকানগুলোতে ঢুঁ মেরে সময় কাটালাম। এক সময় স্যারের ছবি তোলা শেষ হলে আমরা সবাই সেখান হতে রওনা দিলাম হোটেলের দিকে।













ফেরার সময় দার্জিলিং এর কিছু চা বাগানের রাস্তা দিয়ে ঘুরে চা বাগান দেখতে দেখতে ফেরা হলো। চা বাগানে সেদিন আমরা থামি নাই, চলন্ত গাড়ী থেকে দেখতে দেখতে হোটেলে ফিরেছি। এই ফিরতি পথে দার্জিলিং এর বিখ্যাত সেন্ট জোসেফ স্কুলের সামনে গাড়ী থামানো হলে আমরা বাইরে হতেই এর ক্যাম্পাসটি দেখলাম, ছবি তুলে নিলাম দূর থেকে। এরপর সোজা হোটেলে। হোটেলে ফিরে দুপুরের খাবারের পর আমরা অলস সময় কাটিয়ে বিকেলে বের হলাম দার্জিলিং মল এবং আশপাশের এলাকাটা ঘুরে দেখতে। বিকেলের গোমড়া মুখো আকাশ এর মেঘলা আবহে আমরা দার্জিলিং এর রাস্তাঘাট, মল চত্বর, দেখে সন্ধ্যার পর ফিরলাম। রাতে দেখতে গেলাম দার্জিলিং এর মসজিদটি। এখানকার মসজিদের উল্টো দিকের মুসলিম দোকানের কাবাবের অনেক সুনাম শুনেছিলাম, কিন্তু চেখে দেখা হয় নাই, কারণ সেটিও বন্ধ পেয়েছিলাম; কি কারণে তা জানা যায় নাই। :(













ভ্রমণকালঃ জুলাই ২০১৬

এই ভ্রমণ সিরিজের আগের পর্বগুলোঃ
উদ্ভট যাত্রার আগের গল্প (দার্জিলিং এ বর্ষাযাপন - পর্ব ০১)
যাত্রা হল শুরু; রক্ষে করো গুরু (দার্জিলিং এ বর্ষাযাপন - পর্ব ০২)
দার্জিলিং মেইল এর যাত্রা শেষে মিরিকের পথে (দার্জিলিং এ বর্ষাযাপন - পর্ব ০৩)
মিরিকের জলে কায়ার ছায়া (দার্জিলিং এ বর্ষাযাপন - পর্ব ০৪)
কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা টাইগার হিল হতে বাতাসিয়া লুপ (দার্জিলিং এ বর্ষাযাপন - পর্ব ০৫)
ঘুম মনেস্ট্রি হয়ে রক গার্ডেন (দার্জিলিং এ বর্ষাযাপন - পর্ব ০৬)
দার্জিলিং পিস প্যাগোডা ভ্রমণ (দার্জিলিং এ বর্ষাযাপন - পর্ব ০৭)
দার্জিলিং জু (পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুওলজিক্যাল পার্ক) ভ্রমণ - (দার্জিলিং এ বর্ষাযাপন - পর্ব ০৮)

এক পোস্টে ভারত ভ্রমণের সকল পোস্টঃ বোকা মানুষের ভারত ভ্রমণ এর গল্পকথা

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ছবি আর বর্ননা মিলে সুন্দর পোস্ট।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই।

২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: এ বছর দার্জিলিং যাওয়ার ইচ্ছা আছে।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বহুল প্রতিক্ষিত...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.