নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

বোকা পর্যটকের ভারতীয় বিরিয়ানিতে ডুব (বিরিয়ানি নামা – পর্ব ০৬)

১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৩৫


আসলে বিরিয়ানির কথা আসলে উপমহাদেশের কথা চলে আসে, আর সবার আগে আসে ভারতবর্ষের নানান ধরনের বিরিয়ানির কথা। বিরিয়ানিনামা'র আজকের পর্ব "ভারতীয় বিরিয়ানি"। বোকা মানুষের ভারত দর্শনে এই পর্যন্ত ভারতের নানান প্রদেশে প্রায় ২০টির মত শহরে বিরিয়ানি চেখে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। আজকের পর্বে থাকবে সেই অভিজ্ঞতার কথাও। এর আগের দুটি পর্বেও প্রাসঙ্গিকভাবে চলে এসেছিলো ভারতের নানান বিরিয়ানির কথা। আজ সেগুলোর অনেক কথাই হয়তো পুনরাবৃত্তি হতে পারে, তাই আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। সংক্ষেপে দেখে নেই ভারতের কিছু প্রসিদ্ধ বিরিয়ানির নাম, বিস্তারিত পাবেন এই পোস্টেঃ বিরিয়ানি'র বাহারি রকমফের - বিরিয়ানিনামা (পর্ব ০৩)

(০১)আম্বুর/ভানিয়াম্বাদি বিরিয়ানি
(০১)ভাতকলি/নববতী বিরিয়ানি
(০২)বোহরি বিরিয়ানি
(০৩)চেট্টিনাদ বিরিয়ানি
(০৪)দেহ কি বিরিয়ানি
(০৫)দিল্লি বিরিয়ানি
(০৬)ডিন্ডিগুল বিরিয়ানি
(০৭)হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানি
(০৮)মেমনি/কচি বিরিয়ানি
(০৯)কল্যাণী বিরিয়ানি
(১০)কলকাতা বিরিয়ানি
(১১)রাওথার বিরিয়ানি
(১২)সিন্ধি বিরিয়ানি


এখন শুরু করা যাক আমার খাওয়া বিরিয়ানিগুলোর গল্পঃ


কাশ্মীরি বিরিয়ানিঃ কাশ্মীর ভ্রমণের শুরু আমরা করেছিলাম পাহেল্গাও থেকে, শেষ করেছিলাম শ্রীনগর থেকে। তো পাহেল্গাও এর দ্বিতীয় দিন ছিলো সারাদিনের সাইট সিয়িং। প্রায় সন্ধ্যের আগে আগে আমরা পাহেল্গাও শহরের 'হিনা রেস্টুরেন্ট' নামক একটা ভালো মানের রেস্টুরেন্ট ঢুঁকে এই অবেলায়ও লাঞ্চ করার সুযোগ পেয়ে যাই। রেস্টুরেন্ট সরগরম, ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা খেলা হচ্ছে; অবাক কান্ড সবাই দক্ষিণ আফ্রিকাকে সাপোর্ট করছে। আমরা খুব মজা পেলাম কান্ড থেকে স্থানীয়দের, তারা সবাই আবার বাংলাদেশ আর সাকিব আল হাসানের বড় ফ্যান। যাই হোক, এর মাঝেই অর্ডার করা হলো যার যার পছন্দ মতো খাবার। আমি অর্ডার করলাম কাশ্মীরি বিরিয়ানি। স্বাদ তেমন আহামরি না, আবার মন্দও না। আমার ভারতে খাওয়া বিরিয়ানির মধ্যে এটার রেটিং হবে ৬/১০।



কাশ্মীরি ওয়াজওয়ানঃ কাশ্মীরের অতি বিখ্যাত খাবার এটি, কাশ্মীর ভ্রমণে গেলে মাস্ট টেস্ট এর তালিকায় দুই এ থাকে, একে ওদের লোকাল চা 'খাহওয়া'। আমরা আমাদের কাশ্মীর ভ্রমণে ওয়াজওয়ান খেয়েছিলাম কাশ্মীরের বিখ্যাত মোঘল রেস্টুরেন্টে। দারুন ছিল স্বাদ, পরিবেশন। সবকিছু মিলে এটার রেটিং যাবে ৮/১০। ওয়াজওয়ান হচ্ছে অনেকগুলো বিশেষ খাবারের সমন্বয়ে তৈরি হওয়া একটি 'মাল্টি-কোর্স মিল', যাতে চৌদ্দ থেকে ছত্রিশ পদের খাবার থেকে। এটি সাধারণত কোনো উপলক্ষে রান্না করা হয়। সাধারণত কোনো উৎসব, বিয়ের অনুষ্ঠান কিংবা পার্টি থাকলে এই খাবার বিশেষভাবে রান্না করা হয়। উল্লেখযোগ্য পদগুলো হলঃ রিশতা, রোগান যোশ, তাবাক মাজ, ওয়াজা পালাক, আব গোশ, গুস্তাবা, লাহবি কাবাব, তাসির ই গুস্তাব ইত্যাদি।



কারিম'স দিল্লী'র বিরিয়ানিঃ প্রথমবার দিল্লী ভ্রমণে আমার মাস্ট টু ডু লিস্টে ছিলো কারিম'স এর বিরিয়ানির স্বাদ নেয়া। স্বাদ নিয়ে যারপরনাই হতাশ হয়েছি। আমাদের পুরাতন ঢাকার যে কোন অখ্যাত হোটেলের বিরিয়ানিও আমার কাছে বেটার মনে হয়েছে। হয়তো আমার জিহবার স্বাদ নষ্ট ছিলো, নইলে এদের নিয়ে টাইমস ম্যাগাজিন প্রচ্ছদ করে! রেটিং ৪/১০।



কেরালার বিরিয়ানিঃ এটি আমার ভারতে খাওয়া অন্যতম সেরা বিরিয়ানি। আমরা যেদিন কোচিন শহরে সারাদিন কাটিয়ে বিকেল থেকে অবসর, প্ল্যান মুভি দেখার, সেদিন লাঞ্চ করতে একটু দেরী হয়ে গিয়েছিলো। আমাদের ড্রাইভার কাম গাইড বিপিন কেরালার অবস্থাসম্পন্ন আমেরিকা ফেরত শখের ড্রাইভার। কেরালায় বিশাল বাংলো টাইপ বাড়ীর মালিক এই ভদ্রলোক আগের দিন আমাদের একটা মার্কেট এলাকার ভেতরে এক দোকানে চিক্কু শেক ড্রিকংস খাইয়েছিলো। আজও সেখানে গিয়ে দেখি সেই দোকানের সাথেই কলাপাতায় মোড়ানো চিকেন বিরিয়ানি বিক্রি হচ্ছে। ভালোই হলো, লাঞ্চ করেই ড্রিংকস পাণ হবে। কলাপাতার মোড়ক খুলতেই দারুন সুবাস আর মুখে দিতেই দারুন স্বাদ, আহ লাজাওয়াব। আমি একে ৮/১০ রেটিং দিবো।



কোদাইকানালের বিরিয়ানিঃ কর্ণাটক ভ্রমণের সময় কোদাইকানাল দিয়ে ট্যুর শুরু করেছিলাম। তো সেখানে হোটেল শিভাপ্রিয়ার ডাইনিং এ বিরিয়ানি দেখে কেরালার বিরিয়ানির কথা মনে পরে গিয়েছিলো। দিলাম অর্ডার, খেয়ে হতাশ হলাম। সাধারণ মানের বিরিয়ানিতে হায়দ্রাবাদি স্টাইলে কিছু বাদাম দিয়ে গার্নিশ করা হয়েছে, আর কিছুই না। এটি অবশ্য ছিলো মোঘলাই ভেজ বিরিয়ানি। এই বিরিয়ানি রেটিং পাবে ০৫/১০।



ঊটি বিরিয়ানিঃ মানুষ ধরা খায় একবার, আমি সেবার ধরা খেয়েছিলাম আরেকবার ঊটি'তে এসেও বিরিয়ানি চেখে দেখার শখ গেল না। অর্ডার করলাম, মোটামুটি ছিলো এটির মান। রেটিং পাবে ০৫.৫/১০।



ব্যাঙ্গালোর এর বিরিয়ানিঃ সেই ট্রিপের শেষে ছিলাম ব্যাঙ্গালোর এর খুব নামকরা হোটেল ম্যাজিস্টিক এর পাশে। তো ফেরার আগের রাতে সেখানে গেলাম ডিনার করতে। সেটা ছিলো আমার সলো ট্যুর, কোদাইকানাল-উটি-কুনুর-ব্যাঙ্গালোর-মাইসুর ছিলো রুট। ফেরার আগে একটা ভালো মানের কিছু না খেলে অপূর্ণতা রয়ে যাবে। হোটল হতে বলল, তুমি ম্যাজিস্টিক এর বিরিয়ানি চেখে দেখ। সেখানে গিয়ে কাউন্টারে বললাম, তোমাদের সবচেয়ে ভালো বিরিয়ানি কোনটা, আমি গত কয়েকদিনে দুইবার বিরিয়ানি খেয়ে হতাশ হয়েছি। তারা বললো হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানি টেস্ট কর। আসলেই ভালো ছিলো বিরিয়ানিটা, রেটিং পাবে ০৭.৫/১০।



কলকাতার বিরিয়ানিঃ সেই কর্ণাটক ট্রিপের শুরু হয়েছিলো অদ্ভুত অভিজ্ঞতায়। রাত দশটায় এয়ারপোর্ট হতে বের হয়ে হোটেলে গিয়ে শুনি আমার বুকিং করা রুম ফাঁকা নাই, সেই গল্প যথাসময় শোনাবো একদিন। তো নানান ঘটনা করে রাত দেড়টায় আরেক হোটেল যেটা হাওড়ার ওপারে সেখানে যাওয়ার পথে খিদিরপুর এর "ইন্ডিয়া রেস্টুরেন্ট এন্ড ক্যাটারিং" হতে রাত একটার দিকে বিরিয়ানি কিনে নিয়ে হোটেলে গিয়ে গোসল সেরে রাত দুটোয় খেয়েছিলাম। সুস্বাদু ছিলো, আর তাই তো এতো রাতেও সেখানে কাস্টমার এর ভিড় ছিলো। রেটিং দেব ০৭/১০। কলকাতার আরসলান এর বিরিয়ানি খেয়েছি, আমার কাছে ততটা ভালো লাগে নাই, এদেরটা ঢের ভালো ছিলো। আরসলান রেটিং পাবে ০৬/১০।



আসামের বিরিয়ানিঃ নাগাল্যান্ড থেকে কলকাতা হয়ে দেশে ফেরার পথে আসামে একরাত ছিলাম। সারাদিন সাইট সিয়িং করে বিকেলবেলা খোঁজ করলাম ভালো রেস্টুরেন্ট এর, সবাই সাজেস্ট করলো "মোঘল রেস্টুরেন্ট" এর নাম। বহুপথ পাড়ি দিয়ে সেই রেস্টুরেন্টে যাওয়া সার্থক ছিলো তাদের খাবারে। রেটিং পাবে ০৮/১০। তাদের আফগানি কাবাবটাও দারুন ছিলো।




কলকাতার সানঝা চুলাহঃ মেঘালয় ট্রিপে ছিলাম আমি আর বাল্যবন্ধু মনা। মেঘালয় ঘুরে আসাম হয়ে বাই এয়ারে এলাম কলকাতা। সেখানে মনার কিছু কাজ ছিলো, আর আমি ঘোরাঘুরি আর মুভি দেখে সময় পার করলাম। কলকাতার এক দাদা এলো মনার সাথে দেখা করতে, তার পূর্ব পরিচিত। হোটেল রুমে তিনজন আড্ডা দিতে দিতে লাঞ্চের সময় পেরিয়ে বিকেল হয়ে গেলে বের হলাম খাবার খোঁজ করতে, পেয়ে গেলাম চাইনিজ রেস্টুরেন্ট টাইপ এই রেস্টুরেন্টটি। এটিতে খাওয়া মুরগ টিক্কা বিরিয়ানি আমার ভারতে খাওয়া সেরা তিন বিরিয়ানির একটি। রেটিং ০৯/১০।



জয়পুর রোড সাইড বিরিয়ানিঃ রাজাস্থান ভ্রমণে জয়পুরের তৃতীয় দিন সকালে ইচ্ছে জাগলো পরাটা খাবো। খোঁজ করতে করতে পেয়ে গেলাম একটা মুসলিম হোটেলের সামনে ভ্যানগাড়ীতে করে বিক্রি করা এই বিরিয়ানি। স্বাদ মোটামুটি ভালই ছিলো, সকালের নাস্তা আর দামের হিসেবে। হাফ ৩০ রুপি আর ফুল ৫০ রুপি, ফুলের পরিমাণ আমাদের রেস্টুরেন্টের হাফের সমান। রেটিং ০৬/১০।



লাখনৌ বিরিয়ানিঃ লাখনৌ বিরিয়ানি খাওয়ার লোভে রেল স্টেশন থেকে বের হয়ে গুগুলে ৪.৪/৫ রেটিং পাওয়া রেস্টুরেন্ট দেখি বন্ধ, তার পাশেই আরেকটা বিরিয়ানির দোকান। শেষ বিকেলে সেখানকার বিরিয়ানি ক্ষুধা পেটও মজা লাগেনি, জঘন্য ছিলো স্বাদ। রেটিং ০৪.৫/০৫।



লাখনৌ টুন্ডা বিরিয়ানিঃ বিকেলের অপূর্ণতা লাখনৌ এর বিখ্যাত টুন্ডে কাবাব এর বিরিয়ানি খেয়ে মিটে গিয়েছিলো। দারুন সুঘ্রানে সত্যিকারের লাখনৌ বিরিয়ানির স্বাদ, আমাদের প্রচলিত বিরিয়ানি থেকে ভিন্ন, অনেকটা ওয়েলি, ভালো সুগন্ধী যুক্ত। রেটিং পাবে ০৭/১০।




জয়সালমির এর ভেজ পোলাওঃ জয়সালমির এ যে হোস্টেলে ছিলাম সেটা সোনারকেল্লার ঠিক বিপরীতে। তো রাতের বেলা কিচেনে বলে রেখেছিলাম দেরী করে খাবো, প্রায় এগারোটার পর কিচেন হতে জানালো কিচেন বন্ধ করবে, আমি আমার বিরিয়ানি ছাঁদে নিয়ে গেলাম। খোলা আকাশে সামনে সোনার কেল্লা হলুদ আলোয় আলোকিত, আকাশ ভরা তাঁরা, এর মাঝে মুম্বাইয়ের পর্যটক ওয়াসিম এর সাথে গল্প করতে করতে খাওয়া ভেজ পোলাও স্বাদের জন্য না হলেও পরিবেশের জন্য আজীবন মনে থাকবে। রেটিং ০৫/১০।



যোধপুর রোড সাইড বিরিয়ানিঃ যোধপুর পৌঁছে প্রথম রাতেই খুঁজে পেয়েছিলাম একটা মুসলিম এলাকা, আমার হোস্টেল হতে প্রায় দেড় কিলোমিটার হাঁটা পথ মাড়িয়ে আগের রাতে খাওয়া মাটন আর নান এর স্বাদ মনে করতে করতে পরদিন দুপুরে হাজির হলাম সেখানে, তেমন কোন বিরিয়ানির দোকান পেলাম না। একটা সাধারণ মানের দোকানে সিঙ্গেল প্লেট বিরিয়ানি নিলাম চেখে দেখার জন্য, একটুও মজার ছিলো না। রাজাস্থানি খাবারে কেন যেন লবন অতিরিক্ত ব্যবহৃত হয়। রেটিং ০৪/১০।




যোধপুর চিকেনঃ এটি একটি রেস্টূরেন্ট এর নাম, যোধপুর রেলস্টেশন রোডে অবস্থিত। উপরের রোড সাইড রেস্টূরেন্ট হতে প্রায় দেড় কিলোমিটার হাঁটা পথ পাড়ি দিয়ে গেলাম সেখানে, মাথায় বেরাম ছিলো বিরিয়ানি খাইতেই হবে। যোধপুর চিকেন খুব নামকরা রেস্টুরেন্ট যোধপুরে, রেটিং অনেক ভালো। কিন্তু সেই অতিরিক্ত লবন আর উদ্ভট মসলার ব্যবহারের কারণে এখানকার চিকেন বিরিয়ানি কোনমত ধনেপাতার চাটনি আর পেয়াজ দিয়ে মুখে তুলে থাম্বসআপ দিয়ে পেটে চালান করেছিলাম। সেদিন সন্ধ্যায় সেই রেস্টুরেন্টে প্রায় বিশ জনের একটা দল, দক্ষিণ ভারতে কোন বয়সভিত্তিক ক্রিকেট দল, লাঞ্চ সারছিলো যোধপুর চিকেনের নানান পদ দিয়ে। এইটার বিরিয়ানি রেটিং পাবে ০৫/১০।



উদয়পুরের জমজম রেস্টুরেন্ট এর বিরিয়ানিঃ উদয়পুরেও খুঁজে পেয়েছিলাম মুসলিম এই নামকরা হোটেলটি। দ্বিতীয় রাতে সেখানে বিরিয়ানি চেখেছিলাম, সেই একই সমস্যা, তবে মান যোধপুরের দুইটার চেয়ে ভালো ছিলো। যদিও পরের দিন রুটি আর মাটন এর একটা আইটেম খেয়েছিলাম, খুব সুস্বাদু ছিলো। বিরিয়ানির রেটিং ০৬/১০।


আপাতত ভারতীয় বিরিয়ানিনামা এখানেই শেষ করছি, আগামী পর্বে আসছি আমাদের ঢাকার নানান বিরিয়ানির গল্প নিয়ে, সাথেই থাকুন, পাশেই থাকুন।

শুভরাত্রী।

এই সিরিজের আগের পর্বগুলোঃ
বিরিয়ানিনামা (পর্ব ০১)
মাশালাজাদে মাশালাদার… বিরিয়ানিনামা (পর্ব ০২)
বিরিয়ানি'র বাহারি রকমফের - বিরিয়ানিনামা (পর্ব ০৩)
বিরিয়ানির অমর সব রন্ধনশিল্পীরা - বিরিয়ানিনামা (পর্ব ০৪)
বিশ্ব জুড়ে বিরিয়ানি (বিরিয়ানি নামা – পর্ব ০৫)



মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার বিরিয়ানি খাওয়ার গল্প নিয়ে তো পুরো একটা বই লেখা যায়!!!

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:১৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হাহাহা, আসলে এই সিরিজের শুরু হয়েছিলো পুরাতন ঢাকায় হুট করে হাইপ তোলা এক বিরিয়ানি খেতে গিয়ে, তখন ইচ্ছে জাগলো একটা বিরিয়ানিনামা লেখার। সত্যি বলতে আমার ব্লগে লেখালেখি শুরু করার পর কখনো বই প্রকাশের ইচ্ছে জাগে নাই। তবে এই সিরিজের কেউ বই ছাপতে চাইলে আমি এক কথায় রাজি। কি দারুন একটা বই হবে, "বিরিয়ানিনামা"; কাটতিও ভালোই যাবে, বিরিয়ানির হাইপ আছে আলাদা একটা। কিন্তু কেউ কি ছাপবে আমার বই, বিনে পয়সায়, নিজের টাকায় বই ছাপাতে আমি একবিন্দুও আগ্রহী নই। =p~ =p~ =p~

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৫৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:



- কাশ্মিরে বিরিয়ানি খেয়ে ছিলাম। দেখতে অসাধারন, খেতে ভালো লাগেনি।
- করিম'স-এ খেয়েছি। খাবারে মসলা-তেল বেশী বেশী মনে হয়েছে, টেস্ট ভালো। তবে চামতা তুলনামূলক বেশী।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:১৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হুম। আমার সাথে পুরো উল্টো আপনার অভিজ্ঞতা।

ধন্যবাদ পাঠ এবং মন্তব্যে।

৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৩৯

কামাল১৮ বলেছেন: ৭২ সালে আমিনিয়া হোটেলেই থাকতাম।নিচে নেমে ওদের হোটেলেই বিরানি খেতাম।নাখোদা মসজিদের সামনে।পরে অবস্য নিউমার্কেটের দিকে থাকতাম।ঢাকার থেকে কলকাতা আমার বেশি পরি পরিচিত।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ওয়াও!!! আমি নাখোদা মসজিদ একবার গিয়েছিলাম, গত ২০১৮ সালে। অনেক সুন্দর স্থাপত্যকলা।

আপনার কলকাতা যেমন বেশী পরিচিত, আমার ঠিক উল্টো। কলকাতায় আমার তেমন ঘোরাঘুরি হয় নাই। এই পর্যন্ত সর্বসাকুল্যে ০৫ রাত সব মিলিয়ে থাকা হয়েছে। :(

৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৪৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: চট্টগ্রামের ওরষের আখনি বিরিয়ানি খেয়েছেন কখনো? এখানে একটা বিরিয়ানির দোকান আছে। নাম "মামুনারে " হুবুহু ওরশ বিরিয়ানির ফ্লেভার না হলেও আংশিক ফ্লেভার পাওয়া যায়।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: না খাওয়া হয়নি, আবার চট্টগ্রাম গেলে ট্রাই করবো। পোস্ট লেখার সময় আপনার কথা মনে পড়ছিলো, যদি আমার স্মৃতি ধোঁকা না দেয়, এই সিরিজের কোন একটা পোস্ট পড়ে আপনার বিরিয়ানি খেতে ইচ্ছে জাগে এবং অর্ডার করে বিরিয়ানি আনিয়ে খেয়েছিলেন।

এই সিরিজে একটা পর্ব করার ইচ্ছে আছে "বাংলাদেশের নানান অঞ্চলের বিরিয়ানির গল্প"। সিলেটের আখনি পোলাও, আপনার৷ বলা ওরষের বিরিয়ানি এরকম আরও যদি অঞ্চল ভিত্তিক বিরিয়ানির তথ্য কারো জানা থাকে প্লিজ মন্তব্যে উল্লেখ করলে উপকৃত হবো।

সিরিজের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা রইলো।

৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৬:৫২

স্মৃতিভুক বলেছেন: কাঙ্গালকে শাকের খেত দেখানোর দোষে দুষ্ট এই পোস্ট।

কপালে জোটে না মোটে, তার উপর ছবি-সম্বলিত এই পোস্ট দিয়ে আপনি আমার মানসিক যন্ত্রনা শতগুন বাড়িয়ে দিয়েছেন। এখানে মন্তব্য লিখতে লিখতেও যেন কাচ্চি বিরিয়ানির সুগন্ধ পাচ্ছি।

আহা, কতদিন হয়ে গেলো এই পরমান্ন চেখে দেখা হয় না!

১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৫৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনি ঢাকায় কোন কাজে গুলিস্তান বা পুরাতন ঢাকার দিকে আসলে পথ ভুল করে (ইচ্ছাকৃতভাবে) সিদ্দিকবাজার চলে যাবেন অথবা লালবাগ চৌরাস্তা.... তাহলেই এই পরমান্ন চোখে এবং চেখে দেখা দুটোই হয়ে যাবে। অন্যথায় যে কোন শুক্রবার শেরজা তপন ভাইয়ের বাসায় আতিথ্য নিতে পারেন। পুরাতন ঢাকার দিকে আসলে বোকা মানুষেরাও আতিথ্য দিতে পারবে... :)

৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: @স্মৃতিভুক সপ্তাহে একদিন আমার বাসায় তেহারি না হলে বিরিয়ানি রান্না হবে! :) কোন শুক্রবারে বিরিয়ানি পাতে না থাকলে ছেলে-মেয়ে যেন আকাশ থেকে পড়ে কিভাবে এটা সম্ভব!! কোন ভাবেই তাদের মুখে খাবার রুচে না।
আপনার জন্য কষ্ট লাগছে।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৫১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভাই কালকে শুক্রবার, জুম্মা নামাজ পইড়া আইতেছি... :-B

ওহ, থুক্কু এখন তো রোজার দিন... =p~

৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:১২

কিরকুট বলেছেন: বিরিয়ানী আসলে আরবীয় খাবার । আরবে একে মাংস ভাত বলে । মুঘলদের হাত ধরে ইহা ভারতে প্রবেশ করেছে ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:১৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হ্যাঁ। বিরিয়ানির উৎপত্তিগত তথ্য নিয়ে এই সিরিজের প্রথম পর্বে আলোচনা করা হয়েছে, আগ্রহী হলে দেখতে পাতেন।

৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: ভারতের অনেক অঞ্চলের বিরানী খেয়েছি। কিন্তু আরাম পাইনি। ওরা কিশমিশ দেয় অনেক গুলো। যা বিরক্তিকর। অনেকে পাঁচফোড়নও দেয়। যা আমার একেবারেই অপছন্দ।

এর চেয়ে আমাদের দেশের বিয়ের বাড়ির বিরানী দারুন হয়।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:২১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: জাতি জানতে চায় আপনি ভারতের কোন কোন অঞ্চলের বিরানী খেয়েছেন? B:-/

কিশমিশ তো অরিজিনাল ঢাকাইয়া সাদা পোলাও, বিরিয়ানি, মোরগ পোলাও সবকিছুতেই দেয়। আর বিয়ের খাওয়াতেতো আরো বেশী পরিমাণ দেয়া হয়। কেম্নে কি? B:-)

৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:০৩

স্মৃতিভুক বলেছেন: @তপন, একদমই খাইনি বললে আসলে মিথ্যে বলা হবে। বেশ কয়েকমাস আগে একবার ভিন্ন এক শহরে গেলাম, তখন ট্রাই করলাম। ভালো লাগেনি একদমই।

আবার গতবছর কয়েক ঘন্টার জন্য গেলাম আরেক শহরে। রেস্টুরেন্টে বসার পর কনফিউস্ড - ছোট মাছ দিয়ে ভাত খাবো নাকি বিরিয়ানী খাবো। মাথা খারাপের মতো অবস্থা আর কি। পরে ছোট মাছ খেলাম। হয়তো আরেকবেলা থাকলে বিরিয়ানী খেতাম।

আপনার সহমর্মিতার জন্য ধন্যবাদ, তপন।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:২৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমার পরামর্শ থাকবে যে কোন রেস্টুরেন্টের বিরিয়ানি বা মোরগ পোলাও (এই দুইটাই বেশী চলে, ইদানীং অবশ্য কাচ্চি বিরিয়ানিও সবাই বিক্রি করছে) হুট করে টেস্ট না করাই শ্রেয়। আশেপাশে স্থানীয়দের কাছ থেকে কিছুটা জেনে নিয়ে একটা ধারণা পাওয়ার পর যদি মনে করেন যে খাওয়া যায়, তাহলে খাবেন। নইলে ভাত-মাছ বা অন্য কিছু দিয়েই আহার পর্ব সারাটা বেটার মনে করি।

১০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:০৬

মিরোরডডল বলেছেন:



দোকানের বিরিয়ানি যত মজাই হোক, বাসার রান্নার মতো হয় না।
আমাদের মা খালারা যে বিফ বিরিয়ানি, মাটন কাচ্চি বিরিয়ানি, মোরগ পোলাও রান্না করে, সেটা অমৃত।
ইভেন এই অধমের হাতের বিরিয়ানি খেয়েও অনেকেই বলে দোকানের চেয়ে মজা :)
পোষ্ট দেখে এখনই বিরিয়ানি খেতে ইচ্ছে করছে :(


১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৩০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমার কাছে নির্দিষ্ট কিছু দোকানের বিরিয়ানি ছাড়া আর কোনটা তেমন ভালো লাগে না। তবে আপনি দাওয়াত দিলে খাওয়ার পর বুঝা যাবে আপনার বিরিয়ানি ভালো লাগলো কি না... দাওয়াতের অপেক্ষায় রইলাম... :-B

১১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৩৪

সোহানী বলেছেন: রোজা রমজানে বিরিয়ানের পোস্টে মাইনাস :P

খাওয়া দাওয়া নিয়ে আদিখ্যতা ছিল না কোন কালেই। কোন রকমে দিন পার করি। তার উপর হাফ ভেজিটেরিয়ান, মাংস খুব কম খাই। কিন্তু দেশে থাকতে পুরান বা নতুন ঢাকার বিরিয়ানী ট্রাই করেছি অনেকগুলো। কম বেশী একই মনে হয়েছি। শুধু মালঞ্চের কাচ্চি ভালো লাগতো। এখন কেমন জানি না।

ভারত যেহেতু যাইনি কিন্তু কানাডায় ভারতীয়, আরবীয়, মিশরীয় সহ অনেক ধরনের বিরিয়ানী ট্রাই করেছি। এবং কথা একই, প্রায় একই মনে হয়।................. ;)

তবে এখানকার বাংলা দোকানের বিরিয়ানী খেলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। এদের বিরিয়ানী এর দুক্ষে আমিই রান্না শুরু করেছি। এখন খারাপ রাঁধি না।

যাহোক.......... এইসব ছাড়ান দিয়া লতা পাতা খাওয়া শুরু করো................. B-)) । বয়স এর সাথে সাথে এর বিকল্প নাই।

আমার মনে হয় রুচিতে সমস্যা................... হাহাহাহাহা

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:০৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ইয়া আল্লাহ, ঢাকাতে আমার খাওয়া সেরা তিন কাচ্চির মধ্য এলিফ্যান্ট রোডের "মালঞ্চ" র টা ছিলো। বাই দ্যা ওয়ে মালঞ্চ এখন বন্ধ হয়ে গেছে যতদূর জানি। খুব খারাপ লাগে, সকালবেলা গরম গরম রুমালি রুটি পাওয়া যেতো ওদের ওখানে, অর্ডার করলে পরে বানাইতো, আমার খুব পছন্দের নাস্তা ছিলো রুমালি রুটি আর খাসির কলিজা ভুনা।

আমি যখন টিউশনি করতাম, আমার এক ছাত্র ছিলো, এলাকার বন্ধুর ছোট ভাই। ওর কাছে পৃথিবীর সকল বিরিয়ানির স্বাদ একই লাগতো।

রুচিতে সমস্যা দূর করতে এখনই খেয়ে নিন "রুচি চানাচুর' =p~

১২| ০৫ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৫২

ইমরান আশফাক বলেছেন: আপনি বাংগালোরে যখন গিয়েছিলেন তখন ওদের নিজামী বিরিয়ানীর স্বাদ নিতে পারতেন, অথবা নিজামীর চিকেন রোস্ট (খুবই ঝাল)। ওখানে তাজ হোটেল & রেঁস্তোরায় এটি খেয়ে রীতিমত বিদিক হয়ে গেছিলাম। এরপর ওদের ওখানেই নিয়মিত হানা দিতাম ওখানে থাকাকালিন সময়।

কলকাতার কোন বিরিয়ানীই আমার মন:পুত হয়নি। সেটা আরসালানের বিরিয়ানিই হোক অথবা সিরাজীর, আমেনিয়া বা নিজামীর হোক কোন বিরিয়ানীই ভাল লাগে নাই। আর বিরিয়ানী সার্ভ করার সময় প্লেটের উপর ওরা কাঁচা কিসমিস আর কাজু বাদাম ছড়িয়ে
পরিবেশন করে যাতে আমরা অভ্যস্ত নই। আর সালাদের কথা নাই বা বললাম।

উত্তর ভারতের রান্নার ট্রাডিশন হচ্ছে ওরা প্রায় প্রতিটা রান্নার মধ্যে পনির কিংবা তেতুল গুলিয়ে দিবে, এরজন্যই ওদের খাবারে লবন বেশী মনে হয়।

০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:২৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আসলে ঐ ট্রিপটা ছিলো আমার ভারতে প্রথম সলো ট্রিপ, সেবার খাবার ব্যাপারটা কোন প্ল্যানেই ছিলো না। তবে এরপর ব্যাঙ্গালোর গেলে অতি অবশ্যই নিজামীর বিরিয়ানি চেখে দেখবো। আমারও কলকাতার নামীদামী কোন বিরিয়ানি তেমন আহামরি লাগে নাই। তবে "সানঝা চুলা" দোকানটির চিকেন টিক্কা বিরিয়ানিটা সেইরকম সুস্বাদু ছিলো।

উত্তর ভারত থেকে রাজাস্থান হয়ে গুজরাট, মহারাষ্ট্র... এই বেল্টে মনে হয় লবন বেশীই খায় ওরা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.