![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘুন পোকায় ঠুকরে খাচ্ছে কমরেডের আলগা মগজ,
বাহুবলে দেয়ালে সাটছে অনিয়মের পোস্টার,
তেরাঙ্গা বিষাক্ত হয়ে সভ্যতায় বিষের লেপন,
থ্যাবড়া নাকের চামচা নেতার আস্ফালনে-নীতির সংযোগ।
অগভীর নদীতে জাল ফেলা জেলের জাল ছিড়ে-
পথচারীর টসটসে গোল মাথাটা বাসের চাকার নিচে পিস্ট।
এলাচি মদের দোকানে, মাতালের কষা অনাগত ছক,
ধর্ষিতা কুমারি মেয়ের পুনঃ ধর্ষনের উল্লাস- এখানে,
এখানে সব বৈধ হয়ে গেছে, ফ্রিতে পাওয়া স্বামীহীন গৃহবধু,
আমলার কলম নীতিহীনতার চূড়ান্ত মহাকাব্য,
নষ্ট শালিকের এক পায়ে ভর করে বিদেশ যাত্রা- মহাকাল
ছন্দে ছন্দে দোল খায় নর্তকীর নিটোল দেহ-
কৃষি জমিতে ঘাস চাষে চাষার- কোটিপতি স্বপ্ন,
কৃষ্ণচূড়ার ফুল পিষে চলে যায়- অবাধ্য স্বপ্নকাতুর মেয়েটা।
তবে কি নষ্ট হয়ে গেছে সভ্যতা? এ কোন সভ্যতা?
তবে কি কুমারির স্বীকৃতি মিলবে না?
চাষার ধান, পাটের দাম, বিকালঙ্গ কোন ভালোবাসা?
তবে কি মাতালের জয়জয়াকারে, নষ্ট হবে মেধাবীর হিংস্রতা-
তবে কি ভালোবাসা চাওয়া কোন আত্বস্বীকৃত প্রেমিক ফিরে যাবে?
না এ হতে পারে না।
এ আমি হতে দেবো না।
আমি উন্মাদকে গারদ থেকে বের করে, সভ্যদের দিয়ে সভা বসাব,
মিছিলে মিছিলে বলে যাব- পচা শামুকের বিষ,
কাঠালের হলুদ গন্ধ হাতে মেখে, রাস্তা সাজিয়ে দেবো লাল রক্তে,
কুকুরের গায়ে বসা পরজীবীকে মুক্ত করে-
তোমাদেরকে দিয়ে দেব আমার এই অসভ্য কবিতা।
উৎসর্গঃ সকল অসভ্য কবিকে
©somewhere in net ltd.