নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বিপ্লবী ধারায় লিখতে পছন্দ করি।

গিলগামেশের দরবার

সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র গবেষক (দক্ষিণ চীন সাগর)

গিলগামেশের দরবার › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিলারী, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারনা ও মেইল কেলেঙ্গারী

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:১০

আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে ডাই পোল দেশ আমেরিকার কিছু বেসরকারি পরিসংখ্যানের দেয়া তথ্য দেখে খুবই ভালো লাগল। যেখানে ডেমোক্রাট কন্যা হিলারির সম্ভাব্য ভোট পোল দেখা যাচ্ছে ৪২% আর রিপাবলিক শিবিরের ট্রাম্পের পোলে ৩৮.১%।

ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারনার সময় বিভিন্ন স্টেটে গিয়ে যেসব বক্তৃতা করেছে, সেগুলোর প্রায় সবগুলাই আমি শুনেছি। ট্রাম্পের আচরন লক্ষ করতে গিয়ে আমি দেখেছি তার ছেলে মানুষী, গোয়াড় মনোভাব, রাজনৈতিক ভাবে মূর্খ একজন মানুষ হিসাবে। তার বিরোধী পক্ষকে আক্রমন করে করা মন্তব্য গুলো যে এত বিশ্রি তা বলে বোঝানো যাবে না। মিঃ ট্রাম্পের প্রতি বক্তব্যে একটা কথা সবাই শুনে থাকবেন। সে সব সময়ই হিলারিকে "ক্রুকড হিলারি" বলে ডাকে। এই ক্রুকড মানে হলো বাঁকা বা অসৎ। পৃথিবীর কোন দলের বা বিরোধী দলের প্রধান এই ভাবে কাউকে সম্বোধন করে এটা আমি আর কোথাও দেখি নি।

তারপর আসেন তার কার্টুন ক্যারেক্টারের কথায়। সে যেভাবে হাটে বা কথা বলে সেটা দেখলেই মনে হয় সং উঠেছে স্টেজের উপর। অ্যারিজোনাতে দেয়া তার এক বক্তৃতার পরে তার এক সহযোগী রাজনীতিবীদ তো হেসেই গড়া যাচ্ছিল।

তার যুক্তি খন্ডন গুলো আরো অদ্ভুত। সে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি স্থাপনের জন্য সৌদি আরব ও ইরানকে পারমানবিক অস্ত্র দেয়ার কথা বলেছে। তারপর আই এসের প্রসঙ্গে বলেছে তাদের জন্য একটা নিরাপদ টেরিটরি দরকার। উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে তার অবস্থান আরো ঘোলা। সে যেন এই ব্যাপারে ব্যাখ্যাই দিতে পারছে না।

এদিকে আমেরিকার মানুষ লজিক চায়। চায় নিরাপদ ব্যাখ্যা। যেখানে গোটা আমেরিকা ও তার নাগরিকরা সারা পৃথিবীর কোন জায়গায়ই নিরাপদ ফিল করে না সেখানে ট্রাম্পের এইরকম মন্তব্য ও ব্যাখ্যা উগ্রপন্থী গোষ্ঠী ও তাদের মতাদর্শী লোকদেরকে আরো উস্কে দেবে।

হিলারী যখন সেক্রেটারি অফ দ্যা স্টেট বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিল তখন তার মেইল অ্যাকাউন্ট থেকে ট্রানজিকশন হওয়া মেইল গুলা বিতর্কের জন্ম দেয়। সে তখন স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাছে মেইল গুলা জমা দিয়ে তদন্তে স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা করে। কিছু দিন আগে জুলাই ও আগস্ট মাস ব্যাপী কোর্টে এই মেইল কেলেংকারীর হিয়ারিং হয়। সেখানে বিচারপতি থেকে শুরু করে এফ বি আই এর প্রধান বক্তব্য রেখেছিল। তার মেইল গুলাতে সন্দেহ করা হচ্ছে যে তিনি নাকি মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গিদের সাহায্য করতে চেয়েছিলেন এবং উগ্রপন্থা উস্কে দিতে চেয়েছিলেন।

এইবার আমি এর ব্যাখ্যা দিই। আমেরিকার কভার্ট পররাষ্ট্রনীতিতে কিন্তু এই হেল্পিং হেল্পিং খেলাটা চলে। তা না হলে আল কায়েদার লাদেন বা আইসিসের বোগদাদীর জন্মই হতো না। এই গেমগুলা তারা খেলে বহিঃ বিশ্বে আমেরিকার ইমেজ ধরে রাখার জন্য। তারা দেখায় যে, তোমাদের ওখানে একটা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এবং দেখো আমরাই কেবল ওই গোষ্ঠী সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো জানি। তাই আমাদেরকে ডেকে নিয়ে যাও আর আমরা তোমাদের হেল্প করে ওদের উচ্ছেদ করে দেবো। বিনিময়ে কয়েক বছরের জন্য তোমার সেনা নৌ ও বিমান ঘাটি আমাদেরকে ব্যবহার করতে দাও। এই লাউড এন্ড ক্লিয়ার ব্যাপারটা আমেরিকার সুধী সমাজ কিন্তু ঠিকই জানে এবং বোঝে। অর্থাৎ হিলারি আমেরিকার সিক্রেট পররাষ্ট্র নীতিতেই তার ক্ষমতাকালে তিনি কাজ করেছেন। এখন কেন সেই সুবিধাবাদী আমেরিকানরা তার বিরুদ্ধে কোর্টে নালিশ করছে? কেন গোয়েন্দারা তার মেইলে্র এক্সপোজ চায়?

কারন এটাই রাজনীতি। যা সুবিধাবাদীদের আতুড়ঘর। ব্যাপারটা এমন যে, আমার খাবে, আমার পরবে, আর আমার নামেই বদনাম করে বেড়াবে। যাই হোক মেইল কেলেংকারী এখন মোটামুটি ঢাকা পড়ে গেছে। এখন প্রচারনার যুদ্ধে কে কাকে হারাতে পারে সেটাই দেখার বিষয়।

তবে হিলারী যে আমেরিকার ৪৫ তম প্রেসিডেন্ট হচ্ছে তাতে আমার নিজের কোন কনফিউশন নাই। আমি সেরকমটাই প্রিডিকশন করেছি। এবং দেখবেন তাইই হবে।

ডেমোক্রাটদের জয় হোক, হিলারীর জয় হোক।

ছবি কার্টেসিঃ Fox News

যে মেইল গুলার জন্য হিলারীর বিচার হয়েছে বা হচ্ছে তা কেউ পড়তে চাইলে অ্যাসাঞ্জ মিয়ার উইকিলিকসে যেতে পারেন। লিংকটা হলো- https://wikileaks.org/clinton-emails

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.