![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবাহ-১
শুনলাম অসম্ভবকে সম্ভব করা অভিনেতা (নাম কয়্যা তার ব্রান্ডিং করব ক্যা? হেতি কি আমারে টাকা দিয়ে ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর বানাইসে?) বলেছে, পোষাকই ধর্ষনের বড় কারন। খুবই ভালো কথা। মানুষ মাত্রই বাক স্বাধীন। আমি তার কথাকে সমর্থন করব না, তবে তিনি যে কোন একটা মতামত প্রকাশ করেছেন, সেটাই বিশাল বড় ব্যাপার বলে মনে করি। যে কাজগুলা ছিল, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের, সেই কাজ গুলা এখন অভিনেতা ও ব্যবসায়ীরা করেতেছে। মারহাবা!
প্রবাহ-২
উপোরুক্ত অভিনেতা একদিক থেকে ঠিকই বলেছেন। কারন তিনি জাত ব্যবসায়ী। মেয়েরা শালীন পোষাক পরলে, তার পোষাক বিক্রি বেড়ে যাবে। লাভেই লাভ।
প্রবাহ-৩
ইউরোপে মেয়েরা তো অফিস, আদালতে, রাস্তায় মিনি স্কার্ট পরে। শুনেছেন কখনো, রাস্তা থেকে মিনি স্কার্ট পরা মেয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে গ্যাং রেপ করা হয়েছে। আরে ভাই, ইউরোপ আম্রিকা বাদ দেন। এশিয়ার দেশ, মাল-এশিয়া, এখানেও মেয়েরা মিনি স্কার্ট পরে, হাফ প্যান্ট পরে, একটা চিপা চাপা টি শার্ট পরে রাস্তা দিয়ে যায়। আপনি একটু টু শব্দ করার চেস্টা করেন তো? গায়ের চামড়া, হাড় একসাথে বস্তায় ভরে দক্ষীন চীন সাগরে ফেলে দিবে। আর মাংস দিয়ে ওরাং ওটাং গুলো রাতে বারবিকিউ করবে।
যত সব ফালতু কথা। পোশাক টোশাক কিচ্ছু না। এইসব হলো মানসিকতার বিষয়। আইনের প্রতি শ্রদ্ধার বিষয়। একটা দেশে যখন যৌন হতাশায় ভোগা লোকজনের সংখ্যা বিশাল আকারে বাড়ে, এবং তাদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা করতে কিছু সামাজিক ও রাজনৈতিক সংঘ এগিয়ে আসে তখন সোনায় সোহাগা হয়। যার ফলাফল এই সামাজিক অবক্ষয়।
উক্ত অপরাধীদের চরিত্র বিশ্লেষণ ও তাদের উপর অ্যাকাডেমিক সাক্ষাৎকার করে গবেষনা করার জন্য, মাওলানা ভাসানি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের "ক্রিমিনোলজি ও পুলিশ সায়েন্স" বিভাগকে দ্বায়িত্ব দেয়া হোক।
আইন বানিয়ে শাস্তি বাড়িয়ে, অপরাধের স্বরুপ বিশ্লেষন না করে তার কারন ইত্যাকার বিষয় গুলি এড়িয়ে গেলে এই অপরাধ বন্ধ করা মুশকিল হবে। ধরেন, মানষিক ভাবে অসুস্থ একজন প্রিডেটর প্রতিজ্ঞা করল, সে মরলে মরবে কিন্তু সে XYZ কে ধর্ষন করেই ছাড়বে। এর সমাধান কি?
রসু খা ধরা পড়েছিল তার ২৬ তম খুনের সময়, আপনাদের দেশে হাজার হাজার রসু খা বা নোয়াখালির XYZ যে নাই তার নিশ্চয়তা কে দিবে??
©somewhere in net ltd.