নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সর্বং অনিত্যম

আমার কবিতারা ঘাস খায় বিষণ্ণ নদীর তীরে

ব্ল্যাক_ডাইমণ্ড

শেষ বলে কিছু নেই এখানেশুন্যের মাঝে চেতনারা সব জেগে থাকেঘুরে ফিরে সেইসব সুখ দুঃখফিরে ফিরে আসে চক্র পুর্ণ করhttps://www.facebook.com/herahemel

ব্ল্যাক_ডাইমণ্ড › বিস্তারিত পোস্টঃ

অণুগল্পঃ বিভ্রম (শরৎচন্দ্র সংস্করণ)

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০০

বৈশাখের আকাশে ঘোর কৃষ্ণ বর্ণ মেঘমালা রাখাল বিহীন ছাগুপাল রূপ ইতঃস্তত ছুটিয়া বেড়াইতেছে। আকাশের তদ্রুপ অগ্নিমূর্তি আমার চিত্তে জাগাইয়া দিয়াছে শঙ্কার বীজ। লোকালয় হইতে দুই ক্রোশ দূরে এই নির্জন প্রান্তরে কি হেতু আসিয়া ছিলাম, মেঘের রুদ্ররূপে এখন তাহা আমি বিস্মৃত হইয়াছি। তপাথি সাহস না হারানোর সংকল্প করিয়া সন্তপর্নে পদচালনা করিতে লাগিলাম।

বাতাসের গর্জন কামানের গোলার মত মূর্হু মূর্হু কর্ণে আঘাত করিতেছে, কিন্তু সাহস হারাইলে চলিবে না। মূহুর্তকাল পরেই বাতাসের তাণ্ডব নৃত্যে আমার বরফ কঠিন সাহস চৈত্রের খরতাপে বিলের জলের মতই উবিয়া গেল। বাতাসের এই সর্বনাশা ঘুর্ণির মাঝে বাইবেলের গোলিয়াথ পড়িলে, বোধকরি ডেভিডের কোন প্রয়োজন পড়িত না তাহাকে বধ করিবার।

অকস্মাৎ বাতাসের সবল ঝাঁপটায় আমার এই ক্ষুদ্রকায় তনু খানি ভূমি হইতে উর্ধে ভাসিয়া উঠিল। পিতৃদেব প্রদত্ত প্রানখানি হারাইবার শঙ্কায় চক্ষুদ্বয় বন্ধ করিলাম। ক্ষণকাল পরেই শক্ত ভূমি পৃষ্ঠে আমার দেহখানি পতিত হইল।

তীব্র বিদ্যুৎঝলকে চক্ষু মেলিয়া সিলিংয়ে সজোরে ঘুর্ণনরত ইলেকট্রিক ফ্যান দেখিতে পাইলাম, আমার গুণধর রুমমেট লাইট জ্বালাইয়া দিয়াছে। ক্ষণকাল অতিক্রান্ত হইবার পর বুঝিলাম নিদ্রার মাঝে তক্তপোষ হইতে আমার পতন ঘটিয়াছে। তপাথি বিশেষ ব্যথিত হইলাম না, প্রানে রক্ষা পাইয়াছি এই ঢের।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.