![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ট্রাকের চাকার নিচে ফেটে যাওয়া দিপালী সাহার হৃদপিন্ডকে যারা ভ্যালেন্টাইন-বেলুন বানিয়ে বেচে দ্যায়, অথবা যাদের শুধুমাত্র শরৎবাবুই কাঁদাতে পারেন, একমাত্র গোপাল ভাঁড়ই হাসাতে পারে- সেই নিথর স্বাভাবিকতায় মৃত মানুষদের ব্যবচ্ছেদ ঘটে এক নীল ক্লিনিকে।
"ভিন র্ধমির পুজা মন্দির, ভাঙ্গীতে আদেশ দাও নিহে বীর,
আমরা আজিকে সহ্য করিতে পারি নাকো পর মত,
ক্ষমা কর হজরত।"
আমি আজকে একজন মহামানবের কথা বলব তবে আমার মুখ দিয়ে নয়
বিশ্ব বিখ্যাত লেখক গবেষক মাইকেল এইচ হার্ট এর মুখ থেকে,
যার উপর অত্যন্ত একটা গুরুদায়িত্ব আরোপ করা হয়েছিল। দায়িত্বটা ছিল মানব ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ জন
ব্যাক্তির একটি তালিকা বানাতে হবে শুধু তালিকা হলেই হবে না ঐ ১০০ জন মহা মনীষীর মেরিট যাচাই করে
১ম, ২য়, ৩য় এভাবে স্থান নির্ধারণ করে দিতে হবে। বুঝুন কতো কঠিন একটা কাজ !!
সারা বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে নির্ভীক এবং সত্যান্বেষী মিস্টার হার্ট নিজে খৃস্টান হওয়া সত্ত্বেও
ইসলামের নবী সাঃ কে তালিকায় ১ম স্থান দিয়েছিলেন এবং যীশু খ্রিস্টকে ৩য় স্থান দিয়েছিলেন।
তাঁর গবেষণা বই আকারে প্রকাশ করেন যার নাম “THE 100” এজন্য পরবর্তীতে তাঁকে
ব্যাপক সমালোচনা ও বাঁধার মুখে পড়তে হয়েছিল। তাঁর যুক্তি ছিল ইসলামের নবী সাঃ ই মানব ইতিহাসের
একমাত্র ব্যাক্তি যিনি আধ্যাত্মিক এবং রাজনৈতিক উভয় ক্ষেত্রেই সমভাবে সফলকাম হয়েছিলেন।
শুধু তাই নয় তিনি ছিলেন একাধারে সফল কূটনীতিক, তার্কিক, সমাজসংস্কারক, ব্যাবসায়ী, আইন প্রনেতা,
দার্শনিক, সমর বিশারদ। মোট কথা মানব ইতিহাসে এই রকম সর্বক্ষেত্রে পুরোপুরি সফল ব্যাক্তি আর দ্বিতীয়টি নাই।
এইসব দিক বিবেচনায় যীশু খ্রিস্ট, মহানবী সাঃ থেকে অনেক অনেক পিছনে আছেন।
তাই বিজ্ঞানী Sir Isaac Newton কে উনি ২য় স্থান দিয়েছেন।
যেই ব্যাক্তির অবস্থান তার অনুসারীদের বাদ দিয়েই অন্য মতাদর্শীদের কাছেই সবার উপরে, তাকে নিয়ে অবশ্যই
সত্য মিথ্যা নানান অপপ্রচার চলবে, হয়েছেও তাই ইসলাম পৃথিবীর সবচেয়ে আলোচিত সমালোচিত ধর্ম।
De Lacy O'Leary (মনে হয় "দে লেসি ওলেরি" হবে) তার "Islam at the Crossroads" বইতে
দেখিয়েছেন প্রতিদিন ইসলামের বিপক্ষে ১০০০-৫০০০ বই বের হয়,
তাতে কি এই ধর্মের অনুসারী সংখ্যা কমেছে ? ?
ইসলাম সহনশীল ধর্ম তাই আজো ১৪০০ বছর পর পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ইসলাম ধর্ম গ্রহনের খবর শোনা যায়
আচ্ছা ইসলাম নিয়ে যারা ব্যাঙ বিদ্রুপ করে তাদের শাস্তি কি হওয়া উচিত বলে মনে করেন?
অবশ্যই বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতদান কারীর শাস্তি হওয়া উচিত কিন্তু তাই বলে
ব্লাস্ফেমি আইন ??
ধর্মের বিরুদ্ধে লিখলে মৃত্যুদণ্ড ??
ব্লাস্ফেমি আইন ইসলাম ধর্মের কোন জিনিস নয় এটা খৃষ্টান ধর্ম থেকে আমদানিকৃত, সত্যিকার অর্থে
ব্লাস্ফেমি আইন বলেই ইহুদীরা যীশুকে ক্রুশ বিদ্ধ করে হত্যা করে বলে দাবী করে (যদিও আমি মানী না)
এই আইনেই ব্রনো,কোপার্নিকাস দের পুড়িয়ে মারা হয়, হালের জমানায়ও অনেক দেশে এই আইন
প্রচলিত আছে, ইসলামে না থাকলেও কয়েকটা উগ্রবাদী মৌলবাদী রাষ্ট্র ব্লাস্ফেমি আইন দিয়ে মৃত্যুদণ্ডের
বিধান রেখেছে।
ইসলাম ধর্মের অনুসারী মাত্রই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী কম-বেশি সবাই জানেন। তাঁরা সেই হাদিসটিও জানেন।
যে হাদিসে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)- এর আসা যাওয়ার রাস্তায় এক বুড়ি কাঁটা বিছিয়ে রাখতো আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
এর পায় কাটা বিঁধলে, রক্ত ঝরলে, নবীজী কষ্ট পেলে বুড়ি হাসতেন। হঠাৎ একদিন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যাওয়ার সময় দেখলেন পথে কাঁটা নেই।
তিনি বুড়ির খোঁজ নিতে নিতে তার বাসায় গিয়ে উঠলেন। যেয়ে দেখলেন বুড়ি অসুস্থ। হযরত মুহাম্মদ (সা.) বুড়ির কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই বুড়ি ভয়
পেয়ে গেল। হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাকে অভয় দিয়ে বললেন, আমি তোমার কোন ক্ষতি করতে আসিনি। তিনি বুড়ির আরোগ্যের জন্য সেবা শুশ্রা করলেন।
বুড়ি সুস্থ হয়ে উঠলো।
এই ছিলেন আমাদের নবী,
আপনাদের মনে করিয়ে দেই যখন কিছুদিন আগে ইউ টিউবে "Innocence of Muslims" নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হলো
সারা পৃথিবীর উগ্রবাদী মুসলমানরা জ্বালাও পোড়াও শুরু করল কিন্তু "ইউ কে সেন্ট্রাল মসজিদ" এক অভিনব পদক্ষেপ
গ্রহন করল তারা এক লক্ষ "কোরআন শরীফ" বিনামুল্যে বিতরণ করল,
যেখানেই "Innocence of Muslims" এর ডিভিডি সেখানেই পাশে ফ্রি কোরআন, মানুষ খুব উৎসাহ নিয়ে দুটোই নিল
তারপর ??
তারপর কোরআনের সেই বানী
"তাহারা ষড়যন্ত্র করিল, আল্লাহও ষড়যন্ত্র করিলেন নিশ্চয়ই আল্লাহ ষড়যন্ত্র কারীদের মধ্যেও শ্রেষ্ঠ" (বাকারা ২:৫৪)
ধর্ম নিয়ে যারা ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করে তাদের শাস্তি অবশ্যই হওয়া উচিত তাই বলে মৃত্যুদণ্ড নয়
এটা ইসলামের আইন না, ইসলাম সহনশীল ধর্ম
আজকে আটক ব্লগারদের অনেকে এমনকি নাস্তিকও নন, শুধু রাজনৈতিক ক্ষোভের কারণে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে
আর ৮৮ জন ব্লগারদের তালিকার বেশীর ভাগই আস্তিক এবং মুসলিম, এই তালিকা করে শুধু তাদেরই না বরং তাদের
পরিবারকেও নিরাপত্তাহীনতার মাঝে ফেলেছে সরকার। তাদের অপরাধ একটাই রাজাকারের ফাঁসি আর জামাত-শিবির
নিসিদ্ধ করার দাবী তোলা, তাদের বোঝা উচিত ছিল দেশ আজ প্রকৃত মুসলমানদের হাতে নেই, দেশ আজ ফ্যাসিবাদী মোল্লদের
হাঁটে, আজ তাদের যদি গ্রেফতার নাও করা হয় ধর্মান্ধ মৌলবাদীরা তাদের
ওপর আক্রমণ ঠিকই চালাবে।
শেষ করি নজরুলের কবিতা দিয়ে
ক্ষমা কর হজরত
কাজী নজরুল ইসলাম
তোমার বাণীরে করিনি গ্রহন ক্ষমা কর হজরত
ভুলিয়া গিয়াছি তব আদর্শ, তোমার দেখানো পথ
ক্ষমা কর হজরত।
বিলাস বিভব দলিয়াছো পায়, ধুলি সম তুমি প্রভু
তুমি চাহ নায়, আমরা হইবো বাদশা নওয়াব কভু।
এই ধরণীর ধন সম্ভার, সকলের তাহে সম অধীকার
তুমি বলে ছিলে, ধরনীতে সবে সমান পুত্র বত
ক্ষমা কর হজরত।
তোমার ধর্মে অবিশ্বাসিদের তুমি ঘৃনা নাহি করে
আপনি তাদের করিয়াছ সেবা, ঠায় দিয়ে নিজ্ ঘরে।
ভিন র্ধমির পুজা মন্দির, ভাঙ্গীতে আদেশ দাও নিহে বীর,
আমরা আজিকে সহ্য করিতে পারি নাকো পর মত,
ক্ষমা কর হজরত।
তমি চাহ নায় র্ধমের নামে গ্লানি কর হানহানি,
তলোয়ার তুমি দাও নায় হাতে, দিয়াছ অমর বাণী।
মোরা ভুলে গিয়ে তব উদারতা, সার করিয়াছি র্ধমান্ধাততা।
বেহেসত্ হতে ঝরে নাক আর তাই তব রহমত।
তোমার বাণীরে করিনি গ্রহন, ক্ষমা কর হজরত।
ভুলিয়া গিয়াছি তব আদর্শ, তোমার দেখানো পথ
ক্ষমা কর হজরত।
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:০৮
নীল জানালা বলেছেন: খুবি সুন্দর এবং যৌক্তিক লেখা। কিন্তু জোশিলাদের ভালো লাগবেনা।
৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৫৫
পিয়ার আহসান বলেছেন: apnar jouktik bishleshon khub valo laglo. +++
৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:০৪
শয়ন কুমার বলেছেন: যে হাতেগোনা কয়েকজন মহান লেখকদের কারনে লাখ লাখ সাধারণ মানুষের শাহবাগ মঞ্চ আজ শুধুমাত্র বাম ঘরনার হাতেগোনা কয়েকজন দলীয় কর্মিদের ছোট্র আড্ডাস্হলে পরিনত হইছে, সেইসব মহান লেখকদের ফাসি দেয়াই উচিৎ ।
৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:০৭
শয়ন কুমার বলেছেন: যেসব হাতেগোনা কয়েকজন মহান লেখকদের কারনে লাখ লাখ সাধারণ মানুষের শাহবাগ মঞ্চ আজ বিতর্কিত হইয়া ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হইয়া পড়িল, সেইসব মহান লেখকদের ফাসি দেয়াই উচিৎ ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১৯
রিয়াদ হাকিম বলেছেন: +