নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

টুকরো কথা

হিসলা সিবা

লেফটেন্যান্ট জেনারেল ট্রাকের চাকার নিচে ফেটে যাওয়া দিপালী সাহার হৃদপিন্ডকে যারা ভ্যালেন্টাইন-বেলুন বানিয়ে বেচে দ্যায়, অথবা যাদের শুধুমাত্র শরৎবাবুই কাঁদাতে পারেন, একমাত্র গোপাল ভাঁড়ই হাসাতে পারে- সেই নিথর স্বাভাবিকতায় মৃত মানুষদের ব্যবচ্ছেদ ঘটে এক নীল ক্লিনিকে।

হিসলা সিবা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কর্নেল তাহের লও লও লও সালাম

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

আমাদের এই দুর্ভাগা দেশে প্রথম মৃত্যুদণ্ডটি কার্যকর করা হয়েছিল ১৯৭৬ সালে,

যার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল তিনি ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা, একজন সেক্টর কমান্ডার,

একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা যিনি কমলাপুর সম্মুখযুদ্ধে নিজের পা হারান, একজন সৈনিক যিনি যুক্তরাষ্ট্রের

ক্যারোলিনার ফোট ব্রানের স্পেশাল অফিসারস ট্রেনিং ইন্সটিটিউট থেকে সনদ পান



"এই যোদ্ধা পৃথিবীর যেকোনো সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যেকোনো অবস্থায় কাজ করতে সক্ষম।"



হ্যাঁ

আমি কর্নেল তাহের এর কথাই বলছি-

যিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় সামরিক বুৎপত্তি অর্জনের লক্ষ্যে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন ।



হ্যাঁ

আমি কর্নেল তাহের এর কথাই বলছি-

যিনি পাকিস্তান থেকে ছুটিতে এসে এদেশকে স্বাধীন করার লড়াকুদের ট্রেনিং দিতেন ।



হ্যাঁ

আমি কর্নেল তাহের এর কথাই বলছি

যিনি পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন ।



হ্যাঁ

আমি কর্নেল তাহের এর কথাই বলছি

যিনি সর্ববৃহৎ ১১ নং সেক্টর এর অধিনায়কত্ত্ব করেছিলেন ।



হ্যাঁ

আমি কর্নেল তাহের এর কথাই বলছি-

যিনি কামালপুর সম্মুখযুদ্ধে তার বাম পা হারিয়েছিলেন ।



হ্যাঁ

আমি কর্নেল তাহের এর কথাই বলছি-

যিনি সেনা অফিসারদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্ছার হয়েছিলেন ।



হ্যাঁ

আমি কর্নেল তাহের এর কথাই বলছি-

যিনি সেনাবাহিনীকে উৎপাদনমুখী করার পরকল্পনা করেছিলেন ।



হ্যা

আমি কর্নেল তাহের এর কথাই বলছি

যিনি জাসদ’র বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা ওগণবাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ।



হ্যাঁ

আমি কর্নেল তাহের এর কথাই বলছি-

যিনি জিয়াকে মুক্ত করেছিলেন সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে ।



হ্যাঁ

আমি কর্নেল তাহের এর কথাই বলছি-

যাকে জিয়া বলেছিলেন ‘ইউ আর মাই ব্রাদার ,ইউ আর মাই সেভার ’।



হ্যাঁ

আমি কর্নেল তাহের এর কথাই বলছি -

যিনি ছিলেন প্রথম বাঙালী যাকে ফাসী দেয়া হয়েছিল ।



আজ বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল তাহেরের জন্মদিন,

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

প্রকৌশলী রিয়াদ হাসান চৌধুরী বলেছেন: লক্ষ কোটি শ্রদ্ধা ................

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: ২০ জুলাই ১৯৭৬ বিকেলে কর্নেল তাহেরকে জানানো হয় যে, ২১ তারিখ সকালে তার মৃত্যুর দন্ডাদেশ কার্যকর করা হবে।
মৃত্যুর কয়েক মিনিট আগে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি তার প্রাণপ্রিয় স্ত্রী এবং মহাবীর ভাইদের উদ্দেশে বলেন, 'এইভাবে যদি জীবনকে উৎসর্গ করা না যায় তাহলে সাধারন মানুষের মুক্তি আসবে কীভাবে ?

রাষ্ট্রীয় হত্যার দীর্ঘ ৩৫ বছর পর হাইকোর্টে এক রীট পিটিশন করা হয়। পিটিশনে বলা হয় কর্নেল তাহেরের বিচার ছিল অবৈধ। তাহেরকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছিল।

জেনারেল জিয়াকে তাহের হত্যাকান্ডের জন্যে দায়ী করা হয়। রায়ে বলা হয়, জেনারেল জিয়া বেঁচে থাকলে তাহের হত্যাকান্ডের জন্য তার বিচার হতো। উল্লেখ্য, জিয়াউর রহমান কর্নেল তাহেরের বন্ধু ছিলেন।

আজ লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আবু তাহেরের ৭৬ তম জন্মদিন। তিনি একজন বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধা এবং বামপন্থী বিপ্লবের নেতা ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি ছিলেন ১১নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.