নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা আমার, আমি বাংলার

মস্টার মাইন্ড

আশাবাদী মানুষ আমি, মৃত্যুর সাথে সাক্ষাত না হউয়া পর্যন্ত আশা ছাড়ব না। একটা সুন্দর, সাজানো গোছানো নিরাপদ দেশ.....

মস্টার মাইন্ড › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই যে ছেলেগুলা ভাল হয়ে যাও, কোমলমতি মেয়েটাকে আর প্যারা দিও না....!!!

০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ১:৩৯

ছেলেরা অহেতুক মেয়েদের সাথে ঝগড়া করে। মেয়েদের কোন সময় দোষ থাকেনা। দোষ থাকবে কি করে, মেয়েরাতো বেশি প্যাঁচ বোঝেনা। প্যাঁচ বোঝে ছেলেরা। আর তাই সবসময় মেয়েদের ধৈর্য্যের সীমা ছাড়ানোর মত কাজগুলো করে।

এই যেমন মেয়েটি একটা লাল পাড়ের কচুপাতা রঙের শাড়ী পরেছে। এখন সে ছেলেটার কাছে জানতে চাইছে তাকে কেমন লাগছে।

ছেলেটা: বেশ লাগছে।
মেয়েটা: বেশ মানে বুঝিনা, ভাল লাগছে নাকি খারাপ লাগছে সেইটা বল।
ছেলেটা: তোমার ভাল লাগলে আমার ভাল লাগছে।
মেয়েটা: এইটা কোন উত্তর হইলো? ঠিক করে বলো ভাল নাকি খারাপ?
ছেলেটা: ভাল।
মেয়েটা: আমারতো মনে হয় হয় কচু পাতার সাথে এই লালটা ঠিক যাচ্ছেনা।
ছেলেটা: হতে পারে।
মেয়েটা: হতে পারে কি?
ছেলেটা: কচু পাতার সাথে লালটা যাচ্ছেনা, তোমার কথাটাই ঠিক।
মেয়েটা: (চিৎকার করে) তাহলে একটু আগে কেন বললে এটা ভাল লাগছে?
ছেলেটা চুপ করে থাকে।

মেয়েটা ছেলেটার সাথে ফোনে কথা বলছে।

মেয়েটা: এই বলোনা ফোনে কার কণ্ঠ বেশি সুন্দর?
ছেলেটা: তোমার।
মেয়েটা: সেটাতো জানি। কিন্তু তারপরও আমি ছাড়া আর কার কণ্ঠ বলোনা।
ছেলেটা: আর কারোনা। শুধু তোমার কণ্ঠই সুন্দর।
মেয়েটা: ধুর। এইটা কিছু হল? বললামতো আমি ছাড়া আর কার কণ্ঠ শুনতে ভাল লাগে?
ছেলেটা: নাবিলার কণ্ঠও সুন্দর। তবে তোমার মত না।
মেয়েটা: ও তাহলে নাবিলার কণ্ঠও সুন্দর? তারমানে নাবিলার সাথেও প্রতিদিন কথা হয়?
ছেলেটা: না কথা হয়না।
মেয়েটা: (চিৎকার করে) আমার সাথে একদম মিথ্যা কথা বলবানা। এই মাত্র না তুমি বললা নাবিলার কণ্ঠ সুন্দর লাগে? মিথ্যাবাদি কোথাকার। যাও নাবিলাকে ফোন দাও, আমাকে আর জীবনেও ফোন দিবানা। বেয়াদব একটা।

মেয়েটা ফোন রেখে দেবার দুই মিনিট পরে আবার ফোন করে ছেলেটাকে।

মেয়েটা: আমি রাগ করে কেটে দিলাম আর তুমি ফোন দিচ্ছনা কেন?
ছেলেটা: তুমি না বললা আর জীবনেও ফোন না দিতে।
মেয়েটা: ও তার মানে এই সুযোগটাই খুঁজছিলা এতদিন, তাইনা? আমি রাগ করে কথা বলা বন্ধ করে দেবো আর তুমি নাবিলাকে নিয়ে ফুর্তি করবে। ভাল, খুব ভাল। তোমাকে চিনতে আমি ভুল করছি। তুমি একটা কালপ্রিট। তোমাকে ফোন দেয়াই ভুল হইছে। তুমি আর জীবনে জীবনে জীবনেও আমাকে ফোন দিবানা।

মেয়েটা আবার ফোন কেটে দেয়। ছেলেটা এবার কনফিউজড হয়ে যায়। ফোন দিবে কি দিবেনা সেটা ভাবতে ভাবতেই মনে পরে একটু আগে ফোন দেইনি বলে সে ঝাড়ি খেয়েছিল। তাই সে মেয়েটাকে ফোন দেয়।

মেয়েটা: (চিৎকার করে) এই তোমাকে না বলছি আমাকে জীবনেও ফোন দিবানা? ফোন দিছো কোন সাহসে?

ছেলেটা আবারো চুপ করে থাকে।

ছেলেরা এরকমই। চুপ করে থেকে থেকে প্যাঁচ সৃষ্টি করে আর কোমলমতি মেয়েগুলোকে কষ্ট দেয়। সফট হৃদয়ের মেয়েগুলোকে বদ ছেলেগুলো যে কেন কষ্ট দেয় আমি বুঝিনা। ভাল হয়ে যাও ছেলেরা। :P

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭

আলিম উজ-জামান বলেছেন: খুব ই সাধারন ঘটনা। মেয়েরা এমন ই হয়। মেয়েকে পাওয়া হয়ে গেলে ছেলেদের অনভুতি তে ভাটা পড়ে। আর মেয়েদের হয় উল্টা। মেয়েরা প্রেম এ পড়লে আরও বেশি আবেগী হয়ে পড়ে।

০৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫

মস্টার মাইন্ড বলেছেন: এতো যন্ত্রনা প্রানে সয় কি!!!

২| ০৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫

মস্টার মাইন্ড বলেছেন: এতো যন্ত্রনা প্রানে সয়!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.