এ লেখা কেবল চেতনাবাদীদের চেতনায় আঘাত করার জন্য.........................

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৬

আজ আবার কিছু মানুষের চেতনায় আঘাত করতে ইচ্ছে হলো।মাঝে মাঝে ভালই লাগে এ রকম আঘাত করতে।এক রকম মজা পাই।যেমন করে হরর মুভির পিশাচগুলো রক্ত পানে মজা পায়।আমার মজাটা ও অনেকটা সেই রকম।চেতনাবাদীরা রেডি তো?
আমি যেখানে জব করি সেখানে আমার ডিউটিটা রাতে।আর তাই অনলাইনে আসতে হয় রাতেই।বিপিএল এর ম্যাচগুলো আমি দেখতে পারিনি।যখন খেলা চলতো তখন আমি নিদ্রা দেবীর কোলে।তাই রাতে বসে বসে হাইলাইটস দেখার জন্য একটা পেইজে লাইক দিলাম।সেখানে খেলার হাইলাইটস আপলোড দেবার পর চেতনাবাদীরা কতো রকম কমেন্ট করতো তা বলে বুঝাতে পারবো না।খেলা দেখার থেকে তাদের কমেন্টগুলো ছিল বড় বিনোদন।তাদের সব রাগ পাকি খেলোয়াড়দের উপর।তারা ছক্কা হাকালে বা উইকেট নিলে যদি কোন দর্শক বা মেয়ে হাততালি বা নাচানাচি করছে তাহলে তো সোজা তাদের পাকিদের ভাই বা বউ বানিয়ে দিয়েছে।সামুতে ও অনেক লেখা দেখলাম।কেউ কেউ তো বিপিএল খেলাই দেখেই নাই।বিজয়ের মাসে পাকিদের উল্লাস দেখতে নাকি তাদের চেতনায় আঘাত লাগে!!এটা আবার সামুতে লিখে শেয়ার ও করেছে।
পেপারে দেখলাম বাংলাদেশের দশ জন নাকি পাকিস্তান পিএসএলের নিলামে উঠবে।সাকিব,তামিম,মুস্তাফিজ আর মুশফিকরা দলে জায়গা ও করে নিয়েছে।টাকার পরিমানটা ও কম না।সাকিব তো কোটি টাকার উপরে।
আমি পিএসএল দেখবো।আমি দেখবো সাকিব,তামিমের ছক্কা মারার সাথে সাথে মরূরবুকে পাকি নর-নারীদের উল্লাস।গর্বে আমার বুকটা ভরে যাবে।আমি গর্ব করি,যে পাকিরা আমাদের এতো নির্যাতন করছে সে পাকিদের আজ বাংলাদেশি খেলোয়াড় না হলে চলে না।এটা একজন বাংলাদেশি হিসেবে অনেক বড় গর্বের।আমার জানতে ইচ্ছে হয় বাংলার সেই সব চেতনাবাদীরা কি পিএসএল দেখবে?সেখানে তো পাকি খেলোয়াড় বেশি।নাকি তারা এটা ও বয়কট করবে?যদি তাই করে তা হলে আমি নিশ্চিত তারা সবাই পাকিদের জারজ।দেশে থেকে বাংলার জন্য মায়াকান্না দেখায়।সবগুলো ভন্ড।একজন খেলোয়াড় ও কি বলেছে যে তারা পাকিদের লীগ খেলতে যাবে না?এখন কি চেতনাবাদীরা আমার দেশের সোনার ছেলেদের জন্ম পরিচয় নিয়ে সন্দেহ করবে?করে ফেলতে ও পারে।কারন চামড়ার মুখের আর গোবর মার্কা মগজের উপর আমার কোন ভরসা নাই।
বিখ্যাত ক্রিকেটার লারাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল,কেন তাদের দলে ইতিহাস সেরা মারকুটে ব্যাটসম্যান জন্ম নেয়?উত্তরে সে বলেছিল,"সাদা চামড়ার মানুষগুলোকে তখন আমরা ঘৃনা করতাম।কারন তারা আমাদের দাস বানিয়ে রেখেছিল।তারা মনে করতো আমরা দাস।তাই তাদের বোলারদের বল আমরা সবসময় মাঠের বাইরে পাঠানোর চেষ্টা করতাম।এটা ছিল আমাদের তখনকার খেলোয়াড়দের প্রতিবাদের একমাত্র ভাষা"।তাই যখন কোন পাকি বোলারের বলে তামিম বা সাকিব ছক্কা বা চার মারবে,মুস্তাফিজের কার্টারে বোল্ড হবে তখন আমি হাততালি দেব।আমি গর্ব করবো,আমার দেশের সোনার ছেলেদের নিয়ে।আমি আমার গর্ব করবো আমার সোনার বাংলাকে নিয়ে।

১১ টি +৫/-০