![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সন্ত্রাস এমন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে যে, বাংলার ঈশান কোণই নয়, সমস্ত আকাশটা জুড়েই ঘনঘোর কালো মেঘে আচ্ছন্ন। অন্যদিকে যে কোনো মুহূর্তে সামাজিক বিপর্যয়ের আশঙ্কায় গোটা দেশের জনগোষ্ঠী দগ্ধীভূত হৃদয়ে মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছে। কেউ কেউ এতটাই আতঙ্কিত যে, আমরা কি সত্যিই সোমালিয়া হয়ে যাব? অর্থনীতি শুধু ভঙ্গুর নয়, অবকাঠামো এমনভাবে দুমড়ে-মুচড়ে যাচ্ছে যে, ২০১৯ নয়, একে স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে অনেক সময় পার হয়ে যাবে। বেদনাদায়ক হলেও লক্ষণীয়, জনগণ রাজনৈতিক অবক্ষয়ের দীপ্তিহীন আগুনের নির্দয় দহনে দগ্ধীভূত হলেও আজ নির্বিকার শুধু ২০-দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ২০ দলীয় জোটের এক শ্রেণির লোকেরা তাদের একচ্ছত্র নেত্রীকে বোঝাচ্ছেন, হরতাল-অবরোধের কর্মসূচিতে আপনি অবিচল থাকুন, হঠাৎ করে বাংলাদেশ বিস্ফোরিত হবে। যা দিবা স্বপ্ন ছাড়া কিছুই না। ক্ষমতার লোভে এমন একটি তুচ্ছ ঘটনা এই অচল অবস্থার সৃষ্টি করেছে যে, কোনো গণতান্ত্রিক দেশ এটি কল্পনার আঙ্গিকেও আনতে পারবে না। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া আহুত মার্চ ফর ডেমোক্রেসির নিদারুণ ব্যর্থতা সাংগঠনিকভাবে বিএনপির দেউলিয়াত্ব প্রমাণ করে স্তাবকদের আশঙ্কা কতটা অসাড় ও অবাস্তব। আজ স্কুলপড়ুয়া বাচ্চারা জিজ্ঞেস করছে- বাবা, আমি স্কুলে যাচ্ছি না কেন? এই প্রশ্ন আজ পুরা জাতির! আজকেও বিএনপির কর্মসূচির মধ্যে জনস্বার্থের পরিপূরক কোনো কথা নেই। অর্থনীতি ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে সে ব্যাপারে কোনো কৈফিয়ত নেই। পেট্রোলবোমা, ককটেল, গ্রেনেড হামলায় দগ্ধীভূত মানুষের আর্তনাদ তাদের কর্ণকূহরে পোঁছায় না। বরং তারা দিবাস্বপ্ন দেখছেন অলৌকিকভাবে কোনো পরিবর্তন আনতে পারবেন। আদৌ ভাবছেন না যে এই সন্ত্রাস ও জঙ্গি কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসীন হলেও তারা ক্ষমতায় থাকবেন কীভাবে! এই মুহূর্তে সরকার হটানোর ক্ষমতা তাদের নেই, কাজেই সেই চেষ্টা ব্যর্থ হবে। মানুষ সরকারের প্রতি কিছুটা বিক্ষুব্ধ ও বিরূপ মনে হলেও তাদের স্বপক্ষে পথে নামতে নারাজ। এই ক্ষমতালিপ্সু, দাম্ভিক, জনস্বার্থ-বিবর্জিত রাজনীতির বৃত্ত থেকে আমরা নিষ্কৃতি চাই।
©somewhere in net ltd.