![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের প্রায় ৯৬ শতাংশ শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। নিরক্ষরতা দূরীকরণেও অর্জিত হয়েছে তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য। বাংলাদেশে বয়স্ক শিক্ষার হার উন্নীত হয়েছে ৫৯ শতাংশে । জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন ইউনেস্কোর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে । নিম্ন আয় সত্ত্বেও অল্প যে কয়েকটি দেশ জাতীয় বাজেটে শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছে, বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম । সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার প্রতিও গুরুত্ব দিয়েছে । ১৯৯৯ সালে যেখানে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার হার ছিল ১৮ শতাংশ, ২০১২ সালে তা ২৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম-শহর উভয় অঞ্চলেই বেড়েছে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার হার। মানের দিক থেকেও এগিয়েছে এ পর্যায়ের শিক্ষা। ২০০০ সালে বাংলাদেশে স্কুলে যেত না এমন শিশু ছিল ২০ শতাংশ। ২০১০ সাল নাগাদ এর সংখ্যা অর্ধেকেরও বেশি হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে। উপবৃত্তির কারণে স্কুলগামী মেয়েশিশুর হার বেড়েছে উল্লেখ করার মতো। স্কুলে খাবার কর্মসূচিও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। এসব কর্মসূচির ফলে ঝরে পড়া শিশুর হার কমেছে। উপবৃত্তি কার্যক্রম মেয়েদের ঝরে পড়া রোধে সহায়ক হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের ২০১৩ সালের শিক্ষাবিষয়ক এক জরিপে দেশে প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের ৫০ শতাংশ ও পুরুষের ৫৭ শতাংশ শিক্ষিত। জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন নারী ৩৬ শতাংশ এবং পুরুষ ৪৪ শতাংশ। তারা দক্ষতার সঙ্গে লিখতে, পড়তে ও গাণিতিক হিসাব সম্পন্ন করতে পারে এবং ভবিষ্যতে এ দক্ষতার উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম।
©somewhere in net ltd.